ক্রিকেট বিশ্বকাপ : কিছু অপ্রিয় সত্য
- মীযানুল করীম
- ১৪ জুলাই ২০১৯, ১৮:২১
শেষ পর্যন্ত ‘ল্যান্ড’ নামধারী দু’টি দেশ বা অঞ্চলের ক্রিকেট টিমই এবার বিশ্বকাপের ফাইনালে উন্নীত হলো। রোববার এই খেলা হয়েছে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত লর্ডসে। আর এই চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড এবং বিশ্বের প্রায় আরেক প্রান্তের দেশ নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ড দেশটি এর আগেও ফাইনালে উঠেছিল। তবে চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি তাদের ভাগ্যে জোটেনি। এবার ফলাফল কী হয়, সে দিকে নজর ছিল সবার। ইংল্যান্ড থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে, ‘সাত সমুদ্র তেরো নদী’র ওপারে অবস্থিত হলেও নিউজিল্যান্ড ‘প্রাচ্যের মধ্যে প্রতীচ্য’, অস্ট্রেলিয়ার মতো। যদিও ‘জিল্যান্ড’ হচ্ছে নেদারল্যান্ডসের একটি অঞ্চলের নাম, নিউজিল্যান্ড কিন্তু তাদের নয়; ব্রিটেনের উপনিবেশ ছিল। আজ পর্যন্ত দেশটির কোনো প্রেসিডেন্ট নেই, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ব্রিটিশ রাজা বা রানীকেই মর্যাদা দেয়া হয়। যে নিউজিল্যান্ড এক সময় বাংলাদেশের হাতে ‘ধবল ধোলাই’ খেয়েছিল, সেই দ্বীপ দেশটির সাথে এখন ক্রিকেট খেলায় অনেকেই ‘ডবল ধোলাই’ খাওয়া অসম্ভব নয়। এবার বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে বলা হচ্ছিল ‘সবচেয়ে গোছানো দল’। সেমিফাইনালে তারা ভারতের কথিত অপ্রতিরোধ্য ক্রিকেটার বিরাট কোহলিকে যেভাবে মাত্র এক রানের বেশি করতে দেননি, তা সত্যিই বিরাট সাফল্য!
যা হোক, ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর বর্ষণবিঘিœত ম্যাচের দিক দিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে এই বছর। তাই অনেকেই রসিকতা করে বলেছেন, এটা ‘বৃষ্টিকাপ’। সেমিফাইনালে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচটিতেও নিউজিল্যান্ডের খেলার শেষ প্রান্তে বৃষ্টির বাগড়ায় সে দিন আর খেলাই হতে পারেনি। ভারতকে ব্যাট করতে হলো পরদিন ‘রিজার্ভ ডে’তে। এই সুবিধা বিশ্বকাপের প্রতিযোগিতায় শুরু থেকে থাকলে এতগুলো ম্যাচ বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে যেত না।
পাকিস্তান আর ভারতের দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাত তাদের জন্মাবধি চলে আসছে। দক্ষিণ এশিয়া তথা আমাদের এই উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় দেশ ভারত, এর পরই পাকিস্তানের অবস্থান; আয়তন ও জনসংখ্যা উভয় দিক দিয়েই। বিশেষত কাশ্মির নিয়ে তাদের মাঝে প্রচণ্ড বিরোধ ও হানাহানি। এ ইস্যুতে ১৯৪৭ ও ১৯৬৫ সালে দুই দেশের ভয়াবহ যুদ্ধ হয়ে গেলেও কাশ্মির সঙ্কটের বিন্দুমাত্র সুরাহা হয়নি। যুদ্ধে দুই পক্ষই ‘বিরাট’ সাফল্যের দাবি করেছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, আসলে কেউ জেতেনি এবং উভয়ের বিরাট ক্ষতি হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে ক্রিকেট খেলাও এক ধরনের যুদ্ধে রূপ নেয় বলে সবিশেষ রাজনৈতিক তাৎপর্য বহন করে থাকে।
এবারকার বিশ্বকাপে পাকিস্তান হেরে গেছে ভারতের সাথে খেলে। বেশি দক্ষ ও শক্তিশালী টিমই জয় পাবে- এটা অস্বাভাবিক নয়। তবে ক্রিকেট যুদ্ধ নিয়ে দেশ দু’টির প্রচারণা অনেক ক্ষেত্রে আপত্তিকর হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
এ ক্ষেত্রে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে কারো কারো ভূমিকা। যেমন, পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলী এবার বলেছিলেন, ভারত তার ‘নিজের সুবিধার জন্য’ই ক্রিকেটে বাংলাদেশকে জিতিয়ে দিয়ে নিজে হেরে যাবে। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের খেলোয়াড়রা স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। বাস্তবে বাংলাদেশ ভারতের কাছে হারলেও তার কারণ হিসেবে এটা বলা যায় না যে, বাংলাদেশ চায় ভারত জিতুক। দেখা গেছে, ভারত খেলার মাঠে নয় কেবল, অন্যান্য ক্ষেত্রেও তার তুলনায় অনেক ক্ষুদ্র ও দুর্বল বাংলাদেশকে ছাড় দিতে রাজি নয়; বরং তারা নিজের স্বার্থ ষোলোআনা বুঝে নেয়ায় কখনো ভুল করে না। আর বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা ভারতের বিরুদ্ধে জেতার যথাসাধ্য চেষ্টা করেই শেষাবধি হারলেন। সেই বাসিত আলীর মুখে কয়েক দিন পরে উল্টো সুর শুনে অবাক হতে হয়। তিনি সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতকে জোর সমর্থন দিয়ে আগাম দাবি করলেন, ‘পাকিস্তানের সবাই এই ম্যাচে ভারতের পক্ষে থাকবে। কারণ, ভারত জিতলে এই উপমহাদেশের একটা দেশই জয়ী হবে।’
এ দিকে, বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারতের ভূমিকা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে এবার। অনেকের অভিযোগ, ভারত চিরাচরিতভাবে তার সবচেয়ে বড় দুশমন দেশ পাকিস্তানের পরাজয় চাইবে- এটা আগে থেকে অনুমিত হলেও বাংলাদেশ হেরে যাক, এটাও কৌশলগত কারণে কামনা করেছে শেষ দিকে। এ নিয়ে ঢাকার কোনো কোনো পত্রিকা তীব্র সমালোচনা করেছে। অন্য দিকে, অনেকের মত হলো, ভারত তার ঘোষিত শত্রু বা মিত্র যে দেশই হোক, যে কারো সাথে প্রতিযোগিতা বা দ্বন্দ্বের বেলায় নিজের ষোলোআনা উসুল করতে কখনো ভোলে না। এটাকে ‘জাতীয় স্বার্থে কৌশলী ভূমিকা’ বলে নয়াদিল্লি বিশ্বাস করে। অপর দিকে, এমন দৃঢ়তা ও অনমনীয়তা ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো দেখাতে পারে না। এমনকি, তাদের কেউ কেউ ভারতকে ‘পরীক্ষিত বন্ধু’ হিসেবে মনে করে নিজের নাক কেটে হলেও শতভাগ উজাড় করে দিতে পিছপা হয় না। তারা হীনম্মন্যতায় ভুগে এক ধরনের পরাজয় বরণ করে বসে আগে থেকেই।
পাক-ভারত পারস্পরিক শত্রুতা নতুন নয়। তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাত দক্ষিণ এশিয়ায় অশান্তি-উত্তেজনার সবচেয়ে বড় কারণ। যে কাশ্মির ইস্যু এই দুই দেশের মাঝে স্বাভাবিক সম্পর্কের সর্ববৃহৎ প্রতিবন্ধক, তা এ অঞ্চল ছাড়িয়ে, এশিয়া পেরিয়ে গোটা বিশ্বে উত্তেজনা ও সহিংসতার একটা বড় উৎস হয়ে রয়েছে। তবে সাধারণ ক্রীড়ামোদীরা চান না, পরস্পরের প্রতি রাজনৈতিক বৈরিতা ক্রীড়াঙ্গনেও কালো ছায়া ফেলুক। বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচের দিন গ্যালারির একাংশে ভারতের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে সে দেশের অনেককে সরব দেখা গেছে। এটা ছিল অযৌক্তিক ও উসকানিমূলক। সে দিন খেলা হচ্ছিল অন্য দু’টি দেশের মধ্যে। সেখানে ভারতের পক্ষে পতাকা উড়িয়ে দলবেঁধে প্রচারণা চালানোর কোনো দরকার ছিল না। এমন দৃষ্টিকটু ও উদ্দেশ্যমূলক দৃশ্য আরো এক ম্যাচ চলাকালেও সবাই দেখেছেন।
ভারতের ক্রিকেট টিম নিঃসন্দেহে খুব শক্তিশালী। ধারাবাহিকতা ও ভারসাম্য, ফিটনেস ও স্কিলসহ সব দিকেই তারা আদর্শস্থানীয়। হয়তো সে কারণে ভারত নিজেকে ক্রিকেট জগতে কেবল ‘ফেভারিট’ নয়, বিশেষ ‘ফেভার’ বা আনুকূল্য ভোগের অধিকারী হিসেবে ভাবতে শুরু করে দিয়েছিল। তবে অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ড নয়, নিউজিল্যান্ডের কাছে সেমিফাইনালে হেরে গিয়ে তার সে ‘দর্প অনেকটা চূর্ণ’ হয়েছে বলে কোনো কোনো পত্রিকা শিরোনামে উল্লেখ করেছে। তবুও ভারত যে, ক্রিকেট দুনিয়ার একটি পরাশক্তিতুল্য হেভিওয়েট টিম, তাতে সন্দেহ নেই।
ভারত নামের দেশটির একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য বা প্রদেশ হলো পশ্চিম বাংলা। এর বাইরেও আরো কয়েকটি প্রদেশে বিপুলসংখ্যক বাংলাভাষী বা বাঙালির বসবাস। শুধু ভারতের বৃহত্তম নয়, বিশ্বের একটি বড় নগরীর নাম কলকাতা, যা পশ্চিম বাংলার রাজধানী। এসব মিলিয়ে বলা যায়, বেশ কয়েক কোটি বাঙালির দেশ, ভারতের জাতীয় ক্রিকেট টিমে অন্তত একজন হলেও বাঙালি ক্রিকেটারের উপস্থিতি অত্যন্ত স্বাভাবিক আর একান্তই প্রত্যাশিত। ভারতের এ অঞ্চলে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে কয়েক শ’ বছর ধরে, ব্রিটেনের সেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আমল থেকেই। আজো পশ্চিম বাংলা, আসাম, ত্রিপুরাসহ দেশটার এই বিরাট অংশে ব্যাপকভাবে ক্রিকেট খেলার প্রচলন ও প্রতিযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। তবুও বাঙালি এবং ভারতের ‘সাত বোন’ রাজ্যের ক্রিকেট খেলুড়েদের ভারতীয় জাতীয় টিমে নজরে পড়ে না। এটা দেশের ভেতরে-বাইরে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগায়। বাঙালি সৌরভ গাঙ্গুলী এক সময় ভারত ক্রিকেটের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু এই ‘মহারাজ’-এর পর বাঙালি ‘মন্ত্রী, সান্ত্রী, সেপাই’ কারো দেখা নেই কেন?
এর আগের এক বিশ্বকাপ ম্যাচের সময় ইংল্যান্ড টিমের অন্যতম তারকা হয়েও মঈন খান 'Free Palestine, Free Gaza' লেখা ব্যাজ পরে খেলতে পারেননি। এর দৃশ্যমান কারণ, আইসিসির নিয়ম ভঙ্গ করা। তবে অনেকের মতে, অদৃশ্য ও আসল কারণ হলো- বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় অন্যান্য অঙ্গনের মতো ক্রীড়ার জগতেও ইসরাইল ও তার মুরব্বিদের কেউ ক্ষেপিয়ে তুলতে চায় না। আর এই মুরব্বি বা ‘বড় ভাইরা’ই পাশ্চাত্যের হর্তাকর্তা এবং দুনিয়ায় দণ্ডমুণ্ডের মালিক। তবে এবার খোদ ইংল্যান্ডেই বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার শেষ দিকে একদিন ক্রিকেট ম্যাচ চলার সময় স্টেডিয়ামের ওপর আকাশপথে প্রচারণা চলেছে কাশ্মিরের জনগণের মুক্তি সংগ্রামের সপক্ষে। এতে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বিস্মিত ও বিক্ষুব্ধ হলেও তারা এটা ঠেকাতে পারেননি।
ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আর ভারত- এ তিনটি ‘ক্রিকেট পরাশক্তি’ এ খেলার বিশ্ব অঙ্গনে নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম করতে চায় এবং এ জন্য তারা বিশেষ সুবিধার অধিকারী বলে নিজেরা বিশ্বাস করেন। এটা অন্যদের কেবল অভিযোগ নয়, বিভিন্ন সময়ে এই তিন ক্রিকেট শক্তির আচরণ ও ভূমিকায় এটা প্রতীয়মান হয়েছে। এবারো একাধিক ঘটনা সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।
২৫ জুন ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছিল। এ দিন প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার একজন খেলোয়াড় আউট হয়ে এমনভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন, যা স্পষ্টত আপত্তিকর। পরে ইংল্যান্ডের একজন খেলোয়াড় আউট হয়ে ক্রুদ্ধভঙ্গিতে ব্যাট মাটিতে ফেলে দিয়ে মারলেন এক লাথি। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আইসিসি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা শোনা যায়নি। অথচ এর চেয়ে অনেক কম আপত্তিকর আচরণের কারণে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের ক্রিকেটারদের মোটা অঙ্কের জরিমানা এবং ‘ডিমেরিট পয়েন্ট’ যোগ হয়েছে। এ অবস্থায় জর্জ আরওয়েলের উক্তি স্মর্তব্য : All are equal, But some are more equal than others.
.
পুনশ্চ : আনোয়ারা সৈয়দ হক পেশায় চিকিৎসক, নেশায় সাহিত্যিক। তার একটি বড় পরিচয় হলো- তিনি বহুল আলোচিত সাহিত্যিক এবং বহুমুখী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের জীবনসঙ্গিনী। শামসুল হক ২০১৬ সালে ইন্তেকাল করেছেন। আনোয়ারা হক একটি দৈনিকের এ সপ্তাহের সাময়িকীতে নিবন্ধ লিখেছেন, যার শিরোনাম ‘ক্রিকেট ও আমাদের ছেলেরা’। তিনি উল্লেখ করেছেন অতীতে স্বদেশ হিসেবে তদানীন্তন পাকিস্তানের উৎসাহী সমর্থক ছিলেন। তবে স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে তার মনে একটা স্বপ্ন ছিল, ‘যেন মৃত্যুর আগে এবং বিগত সেঞ্চুরি শেষ হওয়ার আগেই যেন আমি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দেখি, তারা বাংলাদেশের কাছে হার মানছে। ঈশ্বর সেটিও আমাকে দেখবার সুযোগ দিয়েছেন।’ লক্ষণীয়, এ দেশের সেকুলারদের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ‘আল্লাহ’কে তিনি ‘ঈশ্বর’ বলেছেন। ক্রিকেটাঙ্গনে আমাদের অগ্রগতি দেখে সগর্বে আনোয়ারা সৈয়দ হক লিখেছেন, ‘প্রতিবেশী ভারত থেকে পৃথিবীর অনেক বড় বড় ক্রিকেট খেলোয়াড়ের ব্যঙ্গবিদ্রƒপ এবং মুখনাড়া শুনে শুনে আজ আমরা বিশ্ব ক্রিকেটের মাঠে অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড বা ভারতের মুখোমুখি।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা