২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে কেন

-

আমাদের সংবিধানে দেশের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের যে রূপরেখা রয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সর্বজনীন কর্মপরিকল্পনা থাকা উচিত। ফলে জাতীয় উন্নয়নের গতি ও ধারাবাহিকতা, দেশের সরকার বদল হলেও তা বজায় থাকবে। বৃহৎ জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েই বস্তুত সংবিধানে এই বিষয়গুলো সন্নিবেশিত করা হয়েছে। তাই কোনো দলবিশেষের এটাকে প্রাধান্য দিয়ে অনুসরণ করতে দ্বিধা না থাকারই কথা। এই জনপদে ষোলো কোটির বেশি মানুষের বসবাস। এখানে নানা সমস্যা; আর এসব সমস্যার কোনোটির কমতি নেই বরং প্রতিদিন তা বাড়ছে। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, দুরাচার, বসবাসের জন্য উপযুক্ত পরিবেশÑ এ সবকিছুর সূচকে বাংলাদেশ ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে। বৈশ্বিক বিভিন্ন সূচকের সাম্প্রতিক এক জরিপে আমাদের বাংলাদেশের এই অবনতির দুঃখজনক চিত্র উঠে এসেছে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক অ্যান্ড পিস-এর বিশ্বশান্তি সূচক ২০১৯ প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্বের স্বাধীন ১৬৩টি দেশের নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন, অর্থনৈতিক মূল্য, প্রবণতা ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে দেশগুলোর নেয়া পদক্ষেপের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ সূচক তৈরি করা হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, বিশ্বশান্তি সূচকে ৮ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর ৯৩তম স্থানে অবস্থান করলেও এ বছর ১০১তম স্থানে নেমে এসেছে। দেশে উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই সূচকের গুরুত্ব অনেকখানি। দেশের উন্নয়নের অর্থ- জনগণের স্বস্তি, স্বাচ্ছন্দ্য ও শান্তি নিশ্চিত থাকা। কোনো দাবির পক্ষে যদি তথ্যপ্রমাণ উপস্থিত করা না যায় তবে তা গ্রহণ সম্ভব নয়।

যেসব নীতি ও আদর্শ দেশের সর্বোচ্চ আইনগ্রন্থে উপস্থাপিত রয়েছে, তার আলোকেই মূলত দেশ চলবে- এমন বাধ্যকতা অবশ্যই থাকতে হবে। সংবিধানের মূল প্রতিপাদ্যের বা দিকনির্দেশনার বাইরে যাওয়ার কোনো অবকাশ কারো নেই। যদি কেউ এমন প্রয়াস পায়, তবে সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। তা ছাড়া সংবিধানের দিকনির্দেশনাগুলোকে অনুসরণ করার মধ্যেই কল্যাণ রয়েছে। আর মানুষের কল্যাণের জন্যই তো সমাজ ও রাজনীতি। উল্লিখিত জরিপে বাংলাদেশে শান্তি-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে যে অবনতির কথা বলা হয়েছে, তা আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের ব্যর্থতাই তুলে ধরে। সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা তখনই নিশ্চিত হতে পারে যখন দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা পায়। এ ধরনের শাসনের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে দেশের মানুষের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নিবেদিত হওয়া। নাগরিকদের শান্তি বিধানে দেশ কেন পিছিয়ে পড়ল, সে ব্যাপারে কি কোনো জবাবদিহিতা রয়েছে?

এ পর্যায়ে সংবিধানের নির্দেশনাগুলো আলোচনা করা যেতে পারে। এ কথা বলা অপ্রাসঙ্গিক হবে না, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই সাংবিধানিক পরিষদ বা গণপরিষদ কালবিলম্ব না করে দেশের জন্য সংবিধান রচনায় ব্রতী হয়। অল্প সময়ের মধ্যে সংবিধান রচনার পর গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয়। সেই সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন হিসেবে গৃহীত এবং সবার প্রশংসা অর্জন করেছে। তার প্রস্তাবনা বা ভূমিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে।’

সংবিধানের ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, সেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে।’ এই পর্যায়ে সংবিধানের ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করা প্রাসঙ্গিক। সেখানে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হইবে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে উৎপাদন শক্তির ক্রমবৃদ্ধি সাধন এবং জনগণের জীবনযাত্রার বস্তুগত ও সংস্কৃতিগত মানের দৃঢ় উন্নতি সাধন, যাহাতে নাগরিকদের জন্য নি¤œলিখিত বিষয়গুলো অর্জন নিশ্চিত করা যায় : (ক) অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা।’ এ ছাড়া শহরাঞ্চলের সাথে গ্রামীণ জনগণের জীবনযাপনে যে বৈষম্য রয়েছে, তা দূর করাও রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব বলে সংবিধানে নির্দেশ রয়েছে।

এর বাইরেও প্রতিটি রাজনৈতিক সংগঠনের দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে নিজস্ব লক্ষ্য ও কর্মসূচি রয়েছে। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে দলগুলো তা জাতির সামনে উপস্থাপন করে। নির্বাচনের আগে এসব কর্মপরিকল্পনার প্রতি যতটা গুরুত্ব দেয়া হয়, নির্বাচনের পর তার খুব কম অংশই তাদের কর্মধারায় প্রতিফলিত হয়ে থাকে। তাদের ওয়াদার এমন গুরুতর বরখেলাপ নতুন কিছু নয়; হরহামেশাই তা লক্ষ করা যায়। এ জন্যই বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে জনগণ কখনই তেমন কিছু আশা করে না। কেননা, রাজনীতিকদের কাছে সামাজিক সুবিচার পাওয়া এখন খুবই দুরূহ। অথচ রাজনীতির মূল চেতনা হওয়া উচিত ছিল মানুষ ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা। এখন এই ভালোবাসা উবে গিয়ে ব্যক্তিবন্দনা ও গোষ্ঠীপ্রেমে রূপ নিয়েছে। হালে রাজনীতিতে সহমর্মিতার পরিবর্তে কৌশলে কী করে ক্ষমতা প্রভাব-প্রতিপ্রত্তি এবং অর্থবিত্তের অধিকারী হওয়া যায়, সেটাই মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সংবিধানের নির্দেশনাগুলো নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রথমেই এসে যায় গণতন্ত্রের বিষয়টি। এই ভূখণ্ডের মুক্তির জন্য যে সুদীর্ঘ সংগ্রাম ছিল, তার মুখ্য বিষয় হলো জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র কায়েম। এটাকে প্রাধান্য দিয়েই শাসনতন্ত্রে বা সংবিধানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। দেশের শাসনব্যবস্থায় গণমানুষের প্রতিনিধিত্ব যাতে নিশ্চিত হয়, সেজন্য এই ব্যবস্থা সংযুক্ত করা হয়। গণতন্ত্রের জন্য এ দেশের জনগণের দীর্ঘ আন্দোলন ও ত্যাগ-তিতিক্ষার স্বীকৃতিস্বরূপ এটা করা হয়েছিল। বিপুল জন-আকাক্সক্ষার প্রতি সাড়া দেয়া হলেও তা কতটা আন্তরিক ছিল, সে প্রশ্ন রয়ে গেছে। কেননা গণতন্ত্রের ব্যাপারে সংবিধানে বহু কিছু লেখা থাকলেও আজো এর বাস্তবে রূপ দেয়া হয়নি। গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান অনুশীলন হলো প্রশ্নমুক্ত বা মানসম্মত নির্বাচন। কিন্তু আজো সেই ‘সোনার হরিণ’ আমরা দেখতে পাইনি। এ দেশে নির্বাচন হচ্ছে বটে; কিন্তু তেমন নির্বাচন গণতন্ত্রকামী কেউ চায় না।

এখন নির্বাচনের অর্থ, ক্ষমতা প্রভাব প্রতিপত্তি কৌশল ও অর্থবিত্ত দিয়ে ‘বিজয়’কে কব্জা করে নেয়া হয়। প্রার্থীরা জনসমর্থনে নয়; বরং অপকৌশল ও শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বিজয়ী ঘোষিত হন। এমন জবরদস্তিই এখন ভোটের পরিবর্তে স্থান করে নিয়েছে। এমন কৌশল নির্বাচনের মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ শুধু জাতীয় পর্যায়েই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে শাসন কার্যক্রমকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। স্থানীয় সরকারগুলো যাতে নির্ধারিত ব্যক্তির দ্বারা পরিচালিত হয়, সে বিধানও সংবিধানে রয়েছে। গণতন্ত্রের প্রতি এত গুরুত্ব দেয়া সত্ত্বেও বাস্তবে তা পরিলক্ষিত হয় না; বরং দলবিশেষের কর্তৃত্ব এখন সর্বত্রই কার্যকর। গণতন্ত্রের এমন বিরাট বিচ্যুতির কারণে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে কার্যত একদলীয় ব্যবস্থা বহাল হয়েছে। এ নিয়ে দেশের মানুষ যেমন ক্ষুব্ধ, তেমনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা হচ্ছে। অথচ এই বিচ্যুতি সত্ত্বেও সরকারি মহলে তেমন প্রতিক্রিয়া নেই। অর্থাৎ, জনগণের ক্ষোভ ও বাইরের সমালোচনাকে কোনোভাবেই গ্রাহ্য করা হচ্ছে না। প্রকৃত জনপ্রতিনিধি না থাকায় জাতীয় পর্যায়ে এখন ‘মেকি’দের দৌরাত্ম্য সীমাহীন।

জাতীয় সব পরিকল্পনায় এই মেকিদের প্রতিনিধিত্ব জনগণের প্রকৃত আশা-আকাক্সক্ষার কোনো প্রতিফলন ঘটাতে পারছে না। প্রকৃত জাতীয় প্রতিনিধিদের কোনো ভূমিকা না থাকার পাশাপাশি সুশীলসমাজের গুরুত্ববহ বক্তব্য-বিবৃতি নিয়েও হাসি-তামাশা করা হচ্ছে। বিভিন্ন বেসরকারি গবেষণা সংস্থার গবেষণার মাধ্যমে যেসব প্রকৃত তথ্য-উপাত্ত বেরিয়ে আসছে, তার প্রতি কোনো নজর না দিয়ে তুড়ি মেরে সেগুলো উড়িয়ে দেয়ার ব্যর্থ প্রয়াস চালানো হচ্ছে। এমন একদেশদর্শিতা ও একগুঁয়েমি বজায় থাকলে প্রশাসন সঠিক তথ্য পাওয়া থেকে বিচ্যুত হবে। যা এখন কর্তৃপক্ষ আমলে নিচ্ছে না, বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করছে, হয়তো তা একদিন বিস্ফোরিত হয়ে সব কিছু তছনছ করে দেবে।
আমাদের নেতারা তাদের পরিকল্পনার ব্যাপারে যখন কথা বলেন, তখন দেশের মানুষের যে বৃহত্তম অংশ গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে, তাদের জীবনমান উন্নয়নের ব্যাপারে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয় না। অথচ সংবিধানে সেসব বিষয়ে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। সেখানে শহর ও গ্রামের মানুষের মধ্যে বিরাজমান যে বৈষম্য তা দূর করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনায় যদি এ বিষয়ে যথাযথ গুরুত্ব দেয়া হতো, তবে আজ যে বঞ্চনার শিকার গ্রামের মানুষ, তা বোধহয় এতকাল পর্যন্ত স্থায়ী হতো না। এমন নিদারুণ অবহেলার কারণে গ্রামে কর্মসংস্থানের অভাবে শহরে ছুটে আসে মানুষ। এখানে এসে তারা মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়ে থাকে। শহরে এসে তারা সীমাহীন দুর্ভোগের সম্মুখীন হয়। তেমনি শহরে অতিরিক্ত মানুষের চাপে বহুবিধ সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। গ্রামীণ জীবনের উন্নয়নের সাথে সামগ্রিকভাবে জাতীয় উন্নয়নও সম্পৃক্ত। এসব মানুষের উন্নতির জন্য কৃষি ক্ষেত্রে আরো সহায়তার পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক শিল্পের দিকে পর্যাপ্ত নজর দিতে হবে।

দেশের মানুষের কর্মসংস্থানের বিষয়কে সংবিধানে গুরুত্ব দিতে হবে। মানুষের বেকারত্ব ঘুচলে সাথে সাথে আরো বহু সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। সংবিধানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসার ওপর যে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে; মানুষ কাজ পেলে এসব সমস্যার কিছুটা সমাধান সে নিজেই করে নিতে পারবে। কর্মসংস্থানের বিষয়টি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জরুরি। কেননা দেশের বিরাটসংখ্যক মানুষ বেকার থেকে অকেজো জনশক্তি হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। পৃথিবীর কয়েকটি দেশ বেকারত্বের ভারে নুয়ে আছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থার বিরাট ত্রুটি কথা উল্লেখ করতে হয়। দেশে কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে কম। ফলে দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠতে পারছে না। আর এই অদক্ষ জনশক্তি নিজের পাশাপাশি দেশের জন্য তেমন কোনো ফায়দা আনতে পারছে না। সব মিলিয়ে যদি বিবেচনা করা হয়, তবে এটাই বলতে হয় যে, কোনো সুষ্ঠু পরিকল্পনা ছাড়াই বাংলাদেশ চলছে।

মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি গুরুত্বের কথা বাংলাদেশের সংবিধানে সংযুক্ত রয়েছে; অথচ তার প্রতি শাসকদের বিশেষ কোনো নজর নেই। এ পর্যন্ত যে বিষয় আলোচনা করা হয়েছে তার সাথে মানবাধিকারের সম্পর্ক নিগূঢ়। অথচ এসব কার্যকর করা হচ্ছে না। এ থেকে সহজেই অনুমিত, আমরা কতটা মানবাধিকার কায়েম করতে পেরেছি। দেশের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী বিভিন্ন সংগঠনের এবং আন্তর্জাতিক যেসব সংগঠন নানা দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে; বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিতে তাদের উদ্বেগের সীমা নেই। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করতে পারা মানবাধিকারের অপরিহার্য বিষয়। কিন্তু তার হাল অবস্থা কী, সেটা এ লেখার সূচনায় বলা হয়েছে। আইনের শাসনের ব্যাপারে বলতে এ কথা বলাই যথেষ্ট, যেখানে দেশের সর্বোচ্চ আইন হওয়া সত্ত্বেও শাসনতন্ত্রের প্রতি অবজ্ঞা লক্ষ করা যায়, সেখানে অন্যান্য আইনের প্রয়োগ কতটুকু হয় এবং তা থেকে জনগণ কতটা উপকৃত হচ্ছে তা সহজেই বোধগম্য।
ndigantababor@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
নিজ্জর-হত্যায় অভিযুক্ত ৪ ভারতীয়ের বিচার শুরু কানাডায় ফলোঅন এড়ালেও ভালো নেই বাংলাদেশ আইপিএল নিলামের প্রথম দিনে ব্যয় ৪৬৭.৯৫ কোটি রুপি : কে কোন দলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাত্রা বাড়াতে ট্রাম্প 'ভীষণ চিন্তিত' নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, অন্যদের কথা ব্যক্তিগত : প্রেস উইং সালাহর জোড়া গোলে জিতল লিভারপুল ১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৬ দফা মেনে নেয়ার আহবান হাসিনা-কন্যা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত বুটেক্স-পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে : প্রেস উইং

সকল