২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বাজেট : ‘অনন্য’ ও ‘জঘন্য’

- ফাইল ছবি

একটা মজার ধাঁধা হলো, ‘বাংলাদেশে কোন জিনিস একবার উঠলে আর নামে না?’ এর জবাবে কোনো প্রাণীর নাম নয়, বলতে হবে নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্যের কথা। দৈনন্দিন জীবনের জিনিসপাতির দাম এ দেশে প্রতি বছর অন্তত দুই বার বাড়বেই। এক. বাজেটের সময়, দুই. রোজার মাস উপলক্ষে। আর যদি এ দুটো একই সময়ে হয়, তাহলে অনেকের যেন সোনায় সোহাগা। অর্থাৎ দামটা কিছু বেশি বাড়তে পারে। আর কোনো দেশে দামের পাগলা ঘোড়া এভাবে ছোটে কি না জানি না। তবে আমাদের দেশে এমন অনিয়মই দীর্ঘদিন ধরে ‘নিয়ম’ হয়ে আছে।

এবারো পত্রপত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের খবর, বাজেট উপলক্ষে নানা পণ্যের দাম বেড়েছে। বাজেট ঘোষণার পরপরই টিভিতে বলা হয়Ñ ‘অমুক আইটেমের দাম বাড়বে, তমুক আইটেমের দাম কমবে।’ বাস্তবে কী দেখা যায়? যে পণ্যের দাম কমার কথা জানানো হয়, তা সাধারণত কমে না। অন্য দিকে, যেটার দাম বেড়ে যাওয়ার বার্তা দেয়া হয়, সেটা সাথে সাথে অতিরিক্ত বেড়ে যায়। এবার বাজেট পেশ করার আগে থেকেই কোনো কোনো পণ্যের দাম বাড়তে থাকে। যেমন- ঈদ উপলক্ষে আদার দাম বাড়ছিল। তা বাড়ছে ঈদের পর এখনো। চলছে বাজেটের গরম। আসবে কুরবানির ঈদ। তখন ‘আদার বেপারি’দের আর পায় কে? তারা শুধু ‘জাহাজ’ নয়, আরো বড় কিছুর খবরও তখন নিতে পারেন। ১৮ জুন সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে ব্যবসায়ীদের এক বৈঠকে বাণিজ্য সচিব ক্ষোভের সাথে বলেছেন, ‘৮০ টাকার আদার দাম ডাবল হবে কেন? মাত্র ১৫ দিনে কেন এর দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে? ঈদ আসতে আসতে এটা আরো বেড়ে যাবে।’ যেখানে সরকারের একজন সচিবের জন্যও এই দাম অনেক বেশি, সেখানে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের মাত্রা কতটা, বলা বাহুল্য মাত্র।

বাজেট নিয়ে জাতীয় সংসদে যথারীতি আলোচনা-পর্যালোচনা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহলগুলো নিজ নিজ স্বার্থের দিকে তাকিয়ে বিবৃতি, সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, পত্রিকায় লেখা, টকশো প্রভৃতির মাধ্যমে প্রস্তাবিত কর কমানো আর নিজেদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর দাবি তুলছে। এসব মিলিয়ে, অর্থাৎ সবার প্রস্তাব, পরামর্শ, আবেদন-নিবেদনের সমন্বয়ে বাজেটে অনেক ক্ষেত্রেই করের পরিমাণ কমবে। বিশেষত ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে অনেকেই নানা সুযোগ সুবিধা পাবেন বলে ধরে নেয়া যায়। কিন্তু কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশের সাধারণ কৃষকেরা এবং সেই সাথে মেহনতি শ্রমজীবী মানুষ, সীমিত আয়ের ছা-পোষা চাকুরে- তারা বাজেটের কাটছাঁট শেষে কী পাবেন? যাদের দাপট ও ক্ষমতা নেই; প্রভাবশালী প্রতিনিধিত্ব নেই, রাজনীতির হাতিয়ার ও পেশিবাজি নেই, তাদের কল্যাণ ও উন্নতি নিশ্চিত হবে কিভাবে? অথচ এই মানুষেরাই দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ।

কবি তাদের কথাই বলেছেন- ‘এসব মূঢ় মূক মুখে দিতে হবে ভাষা,/এসব ম্লান মুখে ধ্বনিয়া তুলিতে হবে আশা।’
প্রতি বছরের মতো এবারো সরকারের ভক্ত-সমর্থকেরা চোখ বুজে বাজেটের পঞ্চমুখ প্রশংসায় নেমেছেন। এর বিপরীতে, সরকারবিরোধীরা বাজেটের সব কিছুই মন্দ- এমন কথা বলেছেন গৎবাঁধা সুরে। দেখা যায়, নষরহফ ংঁঢ়ঢ়ড়ৎঃবৎ-দের চোখে বাজেটটি অতুলনীয় এবং ‘এমন বাজেট ছাড়া দেশ বাঁচবে না’। আর যারা ফবধফষু ধমধরহংঃ ঃযব মড়াবৎহসবহঃ, তাদের দৃষ্টিতে ‘মানুষ মারার এহেন জঘন্য বাজেট আর হয়নি’। জাতি হিসেবে আমরা যে নিজ নিজ দলীয় বা গোষ্ঠীগত সঙ্কীর্ণ ঘেরাটোপের বাইরে আসতে পারিনি, তার সাক্ষ্য দেয় এ চিত্র। তেমনি এটা প্রমাণ করে, বাজেট নিছক অর্থনৈতিক কিছু হিসাব বা পরিসংখ্যান মাত্র নয়; এর পেছনে কাজ করে রাজনীতি। তাই রাজনৈতিক আদর্শের ঊর্ধ্বে উঠে বাজেট কার্যকর করা কঠিন এবং বাজেটের কাক্সিক্ষত বাস্তবায়ন নির্ভর করে নীতিনির্ধারক মহলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর।

কেউ কেউ বলছেন, বাজেটে ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী অঙ্গীকারের প্রতিফলন ঘটেছে। কিন্তু বাজেটে এর উল্লেখ করাই যথেষ্ট নয়; বরং মূল বিবেচ্য হলো, নির্বাচনী সে প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এবং এ জন্য বরাদ্দ পর্যাপ্ত কি না। আরেকটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য। তা হলো, বাজেটকে ‘ব্যবসায় বান্ধব’ বলে কেউ কেউ প্রশংসা করেছেন। তবে ব্যবসায় বান্ধব হলেই যে তা ‘উৎপাদনবান্ধব’ হবে, এর গ্যারান্টি কে দেবে? আর সবচেয়ে বড় কথা, বাজেটকে হতে হবে জনবান্ধব। তাহলে এটা পরিবেশবান্ধবও হতে বাধ্য।

বাজেট সম্পর্কে ‘ক্ষমতাসীন’ ও ‘ক্ষমতাহীন’দের মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গি পরস্পর সম্পূর্ণ বিপরীত। অর্থাৎ যে সরকারের আমলে বাজেট ঘোষণা করা হয়, তারা বলেন, এ বাজেট অনন্য। আর ক্ষমতাহারা কিংবা ক্ষমতাপ্রত্যাশী বিরোধী দলের এককথা, বাজেটটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। আমাদের দেশের ‘রাজনৈতিক ঐতিহ্য’ মোতাবেক এবং প্রচলিত প্রথা অনুসারে, ক্ষমতাসীনেরা বাজেটকে অভিনন্দন জানাতে এবং বিরোধী দল বাজেটের নিন্দা করতে আগে থেকেই পুরোপুরি প্রস্তুত থাকে। এজন্য ব্যানার-প্লাকার্ড, প্রেস রিলিজ, মিছিলের লোকজন প্রভৃতি তৈরি করে রাখার কথাও জানা যায়। কোনো পক্ষই বাজেট পুরোপুরি অথবা মনোযোগ দিয়ে পড়ে না কিংবা শোনে না। বাজেট বক্তৃতা সাধারণত দীর্ঘ হয়ে থাকে এবং সংসদে এটা শেষ হতে কয়েক ঘণ্টাও লেগে যেতে পারে। এর আগেই বাজেটের পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল-মিটিং, বক্তব্য-সাক্ষাৎকারের কথা বিভিন্ন সময় শোনা গেছে। এসব কিছু রাজনীতির নামে হালকা আবেগসর্বস্বতা এবং অগভীর ভাবনাচিন্তার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। বাজেট জাতির জীবনে অত্যন্ত গুরুত্ববহ এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে থাকে। এর সমর্থন ও বিরোধিতা- দুটোই হতে হবে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ, যুক্তি ও গবেষণার নিরিখে।

দিন দিন টাকার দাম কমছে, সরকারের খরচ বাড়ছে আর সেই সাথে বাড়ছে মেগা প্রজেক্টের তালিকা। এ দিকে, বাজেটের আকার-আয়তন বাড়তে বাড়তে বিশাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে যতই সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের ফিরিস্তি থাকুক না কেন, বাজেটে ঘাটতির মাত্রা উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে গেছে। সংসারে যারা নিত্যঘাটতির সম্মুখীন, তারা বোঝেন প্রতি বছর বিরাট অঙ্কের ঘাটতি বাজেটের বোঝা বহন করা সরকার তথা দেশের জন্য কতটা কঠিন, কষ্টসাধ্য ও দুশ্চিন্তার বিষয়।

সাদা মন ও কালো টাকা
‘আমরা সাদা মনের মানুষ চাই, সেই সাথে কালো টাকা চাই।’ সরকারের বাজেটনামা দেখলে ফিবছর এ কথাই জোর দিয়ে বলতে হয়। কালো টাকাকে মন্দ মনে করা হলে তার উৎস বন্ধ না করে প্রত্যেক বাজেটেই অল্প কিছু করের বিনিময়ে তা ‘সাফ’ করে দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হতো না। কিন্তু ‘কালো’ কি আসলেই ভালো হয়? কালো কয়লার ময়লা দূর হয় না। ‘ময়লা যায় না ধুইলে/ স্বভাব যায় না মইলে’ (মরলে)। কালো টাকার বিরুদ্ধে সারা বছর লম্বা-চওড়া গরম গরম কথা বলে বাজেটের মওসুমে নরমগলায় শরমভরা কথা বলা সরকারের এক ধরনের স্বভাব হয়ে গেছে। যত দিন কালো টাকার উৎস বন্ধ না হবে, তত দিন এটাকে ‘বৈধ’ করা ঘবপবংংধৎু ঊারষ মনে করতে হবে হয়তো। কিন্তু মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করে কোটি টাকার ওষুধ দিলেও, এমনকি কামান দাগালেও তার উৎপাতের অবসান হবে না। কালো টাকার বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। আর কালো টাকার বেশির ভাগ নিছক ‘অপ্রদর্শিত আয়’ নয়; বরং এটা নানা অপরাধের মধ্য দিয়ে লুণ্ঠিত মন্দ সম্পদ; তা কে না জানে? তাই কালো টাকা শুধু অর্থনীতির ব্যাপার নয়; এই অর্থের অনভিপ্রেত আগমন রোধ করার জন্য সমাজ ও সরকারকে সুদৃঢ় নৈতিকতার অধিকারী হতে হবে।

তারাও মুখ খুলছেন
বাজেট নিয়ে কেবল বিরোধী দল বা সাধারণ মানুষ নয়; সরকারপক্ষের ভিআইপি গোছের ‘অসাধারণ’ ব্যক্তিরাও মুখ না খুলে পারছেন না। এবার বাজেটে পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের উৎসে কর কর্তনের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ, অর্থাৎ ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এর তীব্র বিরোধিতা করে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় একজন নেত্রী বৃহস্পতিবার সংসদে বক্তৃতা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিগত সরকারের কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী অর্থমন্ত্রীকে বলেন, ‘আপনি এমন একটি ব্যবস্থা নিলেন, যা অন্তত আমি সমর্থন করতে পারছি না। এই সঞ্চয়পত্র প্রধানমন্ত্রীর স্কিম। এর ওপর নির্ভর করে গ্রামের বিধবা থেকে শুরু করে অসচ্ছল ও অসহায় মহিলারা। ওখানে হাত দিলেন; যেখানে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়িয়ে দিচ্ছেন, সরকারের কর্মকর্তাদের গাড়ি কেনার সুযোগ দিচ্ছেন, অনেক সেক্টরে সুবিধা বাড়ালেন।’ বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘আমার আপিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে। অর্থমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছেন নানাভাবে। সঞ্চয়পত্রের লোকেরা তার কাছে হাত পাততে পারেন না। তারা কার কাছে হাত পাতবেন? কেউ কেউ আমাকে বলেছেন, উনার তো সাইড ইনকাম নাই। ঝাড়– মারি সাইড ইনকামের ওপর, অসৎ পথে উপার্জনের ওপর।’

‘অগ্নিকন্যা’ মতিয়ার আগুন গরম ক্ষোভের কারণ সহজেই বোধগম্য। তার কথাগুলো বাজেট আলোচনার ‘বাড়তি কথা’ হিসেবে গণ্য হবে না বলে আশা করা যায়। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং এমন কথা না বলতে মন্ত্রীদের সাবধান করে দিয়েছেন। মতিয়া চৌধুুরী এখন আর মন্ত্রী নন।

ডিজিটাল দেশ ও বাস্তবতা
বর্তমান সরকারের একটা বড় দাবি হচ্ছে, তারা দেশকে ডিজিটাল বানিয়েছেন। এজন্য প্রত্যন্ত গাঁওগেরামের স্কুলেও কম্পিউটার দেয়া হয়েছে। অবশ্য কম্পিউটার চালু রাখার জন্য বিদ্যুৎ কতক্ষণ থাকে কিংবা দিনে ক’বার লুকোচুরি খেলে, তা ভিন্ন ব্যাপার। এবার বাজেট ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার অনুকূল নয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। তা বলা হয়েছে ডিজিটালাইজেশন সংশ্লিষ্ট মহল থেকেই। বিশেষত মোবাইল অপারেটরসহ তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত সংগঠনগুলো বাজেটে কয়েকটি ক্ষেত্রে কর বাড়ানোকে অতিরিক্ত ও স্ববিরোধী বলে আখ্যা দিয়ে বলেছে, ‘এটা ডিজিটাল দেশ গড়ার অন্তরায়।’ মোবাইলে কথা বলার ওপর কর বাড়বে, মানে এর খরচ বাড়ানো হবে। এর অর্থ এটা নয় যে, সরকার মানুষের বকবকানি কমিয়ে এ জাতিকে কাজে উদ্বুদ্ধ করার মহান আদর্শে অনুপ্রাণিত। আসলে সরকারের ক্রমবর্ধমান (যার অনেকটাই অপচয় ও দুর্নীতিজনিত অতিব্যয়) খরচ পোষাতে যে অর্থ প্রয়োজন, তার জোগান দিতে সব ক্ষেত্রে হাত দেয়া হচ্ছে। এ জন্য প্রত্যক্ষ কর তো বটেই, পরোক্ষ করের ওপরও নির্ভর করা হচ্ছে ব্যাপকভাবে।

পাদটীকা : ক) একজন আরেকজনের সাথে বাজেট নিয়ে আলোচনা করছিলেন। প্রথম ব্যক্তি : বাজেট দেয়ার সময় এলেই কেন বাজারে জিনিসের দাম বেড়ে যায়। অথচ বাজেট ঘোষণার পর দাম আর কমে না? দ্বিতীয় ব্যক্তি : ‘বাজেট’ কথাটার মধ্যেই এর কারণ আছে। ‘বাজেট’ শব্দটা দু’ভাগ করা হলে পাওয়া যায়, বাজে + ট। আর ‘ট’ মানে টাকা, এটা তো সবার জানা।

খ) এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে বলছেন, এই যে প্রতি বছর ঘাটতি বাজেট দিচ্ছে সরকার, এভাবে কি কোনো দেশ চলতে পারে? অপর বন্ধুর জবাব : দেশের কথার আগে তোর এই দোস্তের কাহিনী শোন। প্রত্যেক মাসের শেষ ১০ দিন আমার ফ্যামিলি বাজেটে ঘাটতি পড়ে। এই মহাবিপদ থেকে উদ্ধার করবে কে?

গ) দেশে উন্নয়নের সয়লাব বয়ে যাচ্ছে এবং আমরা গরিব থেকে নিকট ভবিষ্যতে ধনী হওয়ার পথে। তদুপরি, বাঁচি বা মরি, আমাদের আয়ু বাড়ছে- সরকারের এহেন প্রচারণার মধ্যে প্রবৃদ্ধি নিয়ে আবার বিতর্ক বেধেছে। সরকার সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধির যে হারের পূর্বাভাস দিয়েছে, এবারো তা আন্তর্জাতিক ‘দাতা’ সংস্থা মানে না। তাদের ভিন্নমত হলো, আসলে প্রবৃদ্ধি এর চেয়ে কম হবে। যা হোক, যারা তর্কাতর্কিতে মজা পান, তারা বিতর্ক করতে থাকুন। এটা তো অনস্বীকার্য, দেশে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে কিছুটা হলেও। কথা হলো, কর্মসংস্থান সে তুলনায় অনেক কম কেন? উন্নয়ন যে কিছু ক্ষেত্রে হচ্ছে না, তাও নয়। কিন্তু বিদেশী বিনিয়োগ আশাব্যঞ্জক নয় কী কারণে? কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচন হয় ভোটারবিহীন; আর পার্লামেন্ট এখন কার্যত বিরোধী দলবিহীন। সে দেশে কর্মসংস্থানবিহীন প্রবৃদ্ধি হবে না তো, কোন দেশে হবে?

পুনশ্চ : ছড়াকার জগলুল হায়দার দৈনিক ইত্তেফাকে ‘বাজেট’ শীর্ষক ছড়ায় লিখেছেন- বাজেট ভালো/বাজেট মন্দ/বাজেট দ্বিধা/বাজেট দ্বন্দ্ব।/বাজেট বেতাল/বাজেট ছন্দ/বাজেট মানে কেবল ধন্দ।/বাজেট সওয়ার/বাজেট নন্দ/বাজেট ছড়ায়/দামের গন্ধ।


আরো সংবাদ



premium cement
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, অন্যদের কথা ব্যক্তিগত : প্রেস উইং সালাহর জোড়া গোলে জিতল লিভারপুল ১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৬ দফা মেনে নেয়ার আহবান হাসিনা-কন্যা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত বুটেক্স-পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে : প্রেস উইং ব্যর্থ টপ অর্ডার, মুমিনুলের ফিফটির পর পথ দেখাচ্ছেন লিটন তেজগাঁওয়ে বুটেক্স ও ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’

সকল