সৌহার্দ্যের রাজনীতি ফিরে আসুক
- সালাহউদ্দিন বাবর
- ২৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৯:৪২
মত পথের ভিন্নতা সত্ত্বেও অতীতে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে সম্প্রীতি সোহার্দ্য ছিল বিশেষ করে বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে যে ঐক্য ছিল তা কি আবার ফিরিয়ে আনা যায় না? সবার সম্মিলিত উদ্যোগে ন্যূনতম ইস্যুতে দেশের মানুষকে এক কাতারে দাঁড় করানোর প্রাপ্তিটা অনেক বড়। দেশের সব মানুষের মৌলিক যে চাহিদা রয়েছে অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবন ধারণের আর সব উপায় উপকরণের ব্যবস্থা করা যদি রাজনীতির মুখ্য উদ্দেশ্য হয়, তবে পথ ভিন্ন হলেও, যা কোনো দোষের নয় আর তাতে লক্ষ্যে পৌঁছা কোনো কঠিন কাজও নয়। আজ রাজনীতিকেরা শত বিভেদের মধ্যে রয়েছেন। তাদের পূর্বসূরিরা কিন্তু পথের ভিন্নতা রেখেই পরস্পর শ্রদ্ধা সৌহার্দ্যরে মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য একসাথে লড়াই করেছেন। মাত্র কিছুকাল আগেও তো দেশে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন জোট দল সৌহার্দ্য নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করেছে।
তারা বহুবার আন্দোলনের ইস্যু ও কৌশল নিয়ে আলোচনা শেষে অভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এমন আন্দোলনে সফলতা আসার পর ভিন্ন ভিন্নভাবে নির্বাচন করেছে। ঐক্যের আরো উদাহরণ রয়েছে। সবাই একমত হয়ে অধিকতর গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। তারপর গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান অনুশীলন নির্বাচনকে সব প্রশ্নের ঊর্ধ্বে তোলার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এমন সব উত্তম নজির বাংলাদেশে রাজনৈতিক ইতিহাসে সংযোজিত রয়েছে। তবে এসব উদাহরণ থাকার পরও সর্বত্র আজ কেন এত হতাশা, এত ভেদাভেদ।
কারণ অতীতে এসব সুখস্মৃতি আমাদের নেতারা ভুলে গিয়ে পরস্পর এতটা দূরত্বে অবস্থান করছেন যে, তাদের মধ্যে সাধারণ কুশলবিনিময় পর্যন্ত হয় না। নেতাদের যদি এমন হাল হয় তবে তাদের অনুসারী সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভেদ কতটা গভীর তা সহজেই অনুধাবন করা যেতে পারে। দেশে এমন বিভক্তি জাগিয়ে রেখে কোনো বৃহত্তর অর্জনের কথা ভাবা যায় না। রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং অন্যান্য ব্যাপারে যে নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হয়ে আছে তা থেকে উত্তরণে অতীতের মতো সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি।
উপরে উল্লেখ করা হয়েছে, গণতন্ত্রের জন্য তথা বিশুদ্ধ নির্বাচনের দাবিতে অতীতে সব দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করেছে। আজো গণতন্ত্রের সেই একই দৈন্যদশা। সে নিয়ে দেশে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করা হচ্ছে। জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা নির্বাচনে সম্প্রতি যে অনিয়ম ঘটিয়েছে ক্ষমতাসীনদের কর্মী-সমর্থকেরা, তাতে নির্বাচনের সাধারণ কোনো বৈশিষ্ট্য আর বজায় থাকেনি। এসব নির্বাচনে লক্ষণীয় বিষয় ছিল ভোটারদের অনুপস্থিতি। যে দেশে অতীতে সব সময় দেখা গেছে জনগণ নির্বাচনকে একটা আনন্দ উৎসবের বিষয় হিসেবে গ্রহণ করে, নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে গেছে।
তারাই এখন ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকছে। এর কারণ দুটো বলে মনে করা হয়। প্রথমত, নির্বাচনের যে উৎসবমুখর পরিবেশের কথা বলা হয়েছে এখন তার পরিবর্তে লক্ষ করা যায় মাস্তানি। এ অবস্থায় ভোটকেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে কেউ নিরাপদ বোধ করছেন না। দ্বিতীয়ত, মানুষ নিজের বিবেচনায় যাকে সৎ যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মনস্থ করবেন, তাকে ভোট দিতে সক্ষম না হলে তেমন নির্বাচনে অংশ নেয়াকে নিরর্থক বলে বিবেচনা করে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকছে দেশের ভোটারেরা।
৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদের নির্বাচনের প্রাক্কালে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এবার নির্বাচনে সরকারের ভূমিকা থেকে নির্ধারণ হবে ভবিষ্যতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হবে কিনা। এবার নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ভোটে অবাধ নিরপেক্ষতা নিয়ে হাজারো অনিয়মের উদাহরণ লক্ষ করা গেছে। এই প্রেক্ষাপটে এখন নির্বাচন কমিশনের কথা অনুসারে আগামীতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সব দলের ‘না’ বলা উচিত এবং অতীতের মতো সব দল একজোট হয়ে একটি দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোটের ব্যবস্থা করতে এক ‘প্লাট ফর্মে’ ওঠা উচিত।
অতীতের নির্বাচনের চেয়ে আরো নগ্নভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম অব্যবস্থা ঘটেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশ ও বিদেশ থেকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। গণতন্ত্র সঙ্কটে পড়লে সরকারকে এ কথা মনে রাখতে হবে যে, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে তাদের উন্নয়নের যে স্লোগান তা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গণতন্ত্রের একটি সার কথা হচ্ছে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। এর অস্তিত্ব বজায় না থাকলে উন্নয়নের তদারকি হবে কিভাবে? এখনই শোনা যাচ্ছে উন্নয়নকে জড়িয়ে নানা অনিয়ম অপচয় দুর্নীতির কথা। অথচ জাতীয় সংসদে এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা নেই। জাতীয় সংসদ এখন যেভাবে গঠিত হয়েছে তার পক্ষে আসলে সরকারের অনিয়ম অব্যবস্থা নিয়ে কথা বলা সম্ভবও নয়। কেননা বর্তমান সংসদের সব সদস্যই তো ক্ষমতাসীনদের।
তাই নিজেরা নিজেদের কী জবাবদিহি করবে। আর এমন পরিস্থিতিটা প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রীয় কোনো অঙ্গে সঙ্কট নয়, বরং গোটা রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকর। গণতন্ত্রের প্রকৃত অনুশীলন বা চর্চা না হলে এ ধরনের সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব হওয়ার নয়। তাই এ থেকে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে ভোটব্যবস্থাকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। আর সেজন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। স্মরণ করা যেতে পারে যে, আগে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত ছিল তখন আর নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না। আরো উল্লেখ করা যেতে পারে, এমন নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য যে সংসদ গঠিত হয় তা প্রকৃতপক্ষে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সংসদ হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে না। আর সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে যদি সংসদই কার্যকর না থাকে তবে সরকারের অবস্থান নিয়ে তো প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়। সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্ষমতাসীন সরকারের তৃতীয় মেয়াদের একশত দিন পার হওয়ার মূল্যায়ন করেছে।
এতে বলা হয়েছে তাদের এই সময়টা ছিল উদ্যম উৎসাহ ও উচ্ছ্বাসহীন। এই মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলা হয়েছে, শাসক দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কোনো রকম দুর্নীতি আমরা সহ্য করব না; কিন্তু দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতরে, অন্যান্য সামাজিক সেবার ক্ষেত্রে সেই দুর্নীতি প্রকটভাবে বিরাজমান রয়েছে। খেলাপি ঋণ কমানোর কথা বলে সরকার নতুন নতুন সার্কুলার দিয়ে ঋণখেলাপিদের সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দিচ্ছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিডিপি আরো বলছে, আওয়ামী লীগ ঘোষণা করেছে, আমাদের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি পরিবর্তনের, দিনবদলের। আর ওই বদলকে আটকে রাখছে এমন একটি গোষ্ঠী যারা এই দুর্নীতি থেকে সুবিধা ভোগ করছে। সুবিধাভোগী সম্প্রদায় যা রাষ্ট্রযন্ত্রের সাথে আছে সেটা রাজনৈতিক পরিবর্তনে শক্তিকে আসতে দিচ্ছে না।
এর যদি সমাধান না হয় তাহলে আওয়ামী লীগের সুচিন্তিত, সুলিখিত ও সংগঠিত ইশতেহার কাল্পনিক দলিল হিসেবেই ইতিহাসে স্থান পাবে। সম্প্রতি এটা লক্ষ করা যাচ্ছে যে, সরকারের অনিয়ম অব্যবস্থার বিষয়গুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। সুশীল সমাজের এমন দায়িত্ব পালন করা যথার্থ বটে কিন্তু এটা করার মূল দায়িত্ব জাতীয় সংসদের। কিন্তু সংসদ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। জাতীয় সংসদের অন্যতম প্রধান দায়িত্বের মধ্যে একটি হচ্ছে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। সংসদ এমন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কারণ হচ্ছে এর গঠন প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের ত্রুটি রয়েছে। এই ত্রুটি সম্পর্কে অপর বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের নির্বাচন ছিল অশুভ আঁতাতের ফসল। এই ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত কারো জন্যই শুভ নয়, এটি কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না।
এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচন হয়েছে একতরফা, যা দেশের ইতিহাসে কলঙ্কময় অধ্যায়ে পরিগণিত। উল্লিখিত নির্বাচনগুলোতে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় সংসদের এখন এই হাল। আর সংসদে যদি প্রকৃত জনপ্রতিনিধিরা যেতে না পারেন তবে সেটা অর্থহীন হয়ে পড়ে। সে আলোকে বলা যায় যে, দশম জাতীয় সংসদ সফল ছিল না আর একাদশ জাতীয় সংসদের সূচনা থেকেই এখনই আঁচ করা যাচ্ছে যে, এই সংসদ তার দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে না।
এখন এমন ভোটারবিহীন নির্বাচনকে বৈধতা দেয়ার যে চল সৃষ্টি হয়েছে, তাতে এভাবে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যারা বিভিন্ন পদে আসীন হয়েছেন, সাধারণভাবে তাদের দায়িত্ব পালনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে এর জবাব দেয়া যাবে না। এসব মারাত্মক অনিয়মকে এখন সিদ্ধ বলে ধরে নিয়ে যেভাবে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাতে তো সবক্ষেত্রেই অব্যবস্থা অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করা হবে। এর ফলে নৈতিকতাই শুধু ভেঙে পড়বে না দেশে আর শুদ্ধাচার নিয়ে কথা বলার জো থাকবে না। দুর্নীতি অব্যবস্থা সব কিছুকে যদি গ্রহণ করে নেয়া হয়, তবে বল ও ক্ষমতার অধিকারীরাই সমাজে তাদের কর্তৃত্বই প্রতিষ্ঠা করে যাবে।
তাদের নীতি আদর্শ সমর্থনযোগ্য না হলেও সমাজের মানুষকে সেটাই মেনে নিতে হবে। এই অবস্থার বহু নেতিবাচক দিক রয়েছে। প্রথমত, যারা দেশ পরিচালনায় রয়েছেন তাদের সাথে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সম্পর্কের ছেদ ঘটবে। আর তাতে প্রশাসন পরিচালনাকারীদের যে গণবিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি হবে সেটিকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে সমাজবিরোধিতা জনজীবন বিষিয়ে তুলতে তৎপর হবে। আর এমনিতেই আমাদের সমাজে নানা বিষয় নিয়ে যে হতাশা ক্ষোভ রয়েছে তা আরো বাড়িয়ে দেবে এদের তৎপরতা। একটি শুদ্ধ সমাজ গড়ে উঠতে পারে নীতি আইন কানুনের সঠিক অনুসরণ ও প্রয়োগের মধ্য দিয়ে। এমন অনুশীলন যদি না হয় সেক্ষেত্রে সমাজসভ্যতা বজায় থাকবে না। সমাজসভ্যতার বিকাশই মূলত বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিবিধান, শৃঙ্খলা সৌন্দর্যকে প্রতিষ্ঠা করে। যে দেশ বা সমাজে সভ্যতার অগ্রগতি যত বেশি ঘটে সে সমাজ রাষ্ট্রাচারে তত বেশি স্বচ্ছতা সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। সেখানে মানুষ শান্তি নিরাপত্তা নিয়ে জীবনযাপন ও মতামত প্রকাশ করতে পারে। সেখানে মানুষের অধিকার স্বাধীনতা তার দায়িত্ব কর্তব্যগুলো সুবিন্যস্ত থাকে।
সরকার বা ব্যক্তি যে-ই এর ব্যত্যয় ঘটাবে সে দায়ী সাব্যস্ত হবে এবং এ জন্য বিচারের সম্মুখীন হতে হয়। এই আলোকে আমরা যদি আর্শিতে নিজেদের চেহারা দেখি তবে অবশ্যই অনেকেই রেহাই পাব না। অথচ আমরা দেশের সংবিধান ও অন্যান্য আইনকানুন মেনে চলার ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এসব বিধি-বিধান সংরক্ষণ ও প্রতিপালনের ওয়াদাও করা হয়। কিন্তু সমাজের দিকে তাকালে মনে হয় না যে, এসব শপথ অঙ্গীকার এখন কোনো মূল্য বহন করে। এমন স্ববিরোধিতা নিয়ে আসলে কোনোভাবেই সমাজ সামনে অগ্রসর হতে পারবে না। এ থেকে নেতাদের আত্মশুদ্ধির প্রয়োজন, অঙ্গীকার রক্ষায় তাদের কথার সাথে কাজের সঙ্গতি থাকা উচিত। কথা ও কাজের এমন গরমিল এটাই প্রমাণ করে যে দেশে সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে। অথচ সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা প্রতিটি সরকারের অন্যতম মুখ্য দায়িত্ব।
ndigantababor@gmail.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা