পাশ্চাত্য জগৎ কি প্রকৃতির প্রতিশোধের শিকার?
- মুজতাহিদ ফারুকী
- ২৬ মার্চ ২০১৯, ১৯:০৭
‘রিভেঞ্জ’ বা ‘ভেনজেন্স অব নেচার’ বলে একটা কথা আছে বাংলায়, যাকে বলা যায় প্রকৃতির প্রতিশোধ। সচরাচর পরিবেশ দূষণের কারণে প্রকৃতিতে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং মানবজাতিকে যার খেসারত দিতে হয়, সেটা বোঝাতেই বাগধারাটি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। পরিবেশ সম্পর্কিত সচেতনতা সৃষ্টির জন্য যেসব লেখালেখি বা মিডিয়া কার্যক্রম বিশ্বজুড়ে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, সেখানে এই প্রতিশোধের বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হচ্ছে।
আমরা এখানে পরিবেশ নিয়ে আলোচনার অবতারণা করতে যাচ্ছি না। তবে প্রকৃতির প্রতিশোধ যে আরো অনেকভাবে হতে পারে সেটি বলতে চাই। আমরা আলোচনা করব ভিন্ন একটি প্রসঙ্গে, যা প্রাচ্যের দেশগুলোকে এখনো তেমনভাবে আক্রমণ করেনি; কিন্তু ধীরে হলেও তার সংক্রমণ টের পাওয়া যাচ্ছে।
আমরা বলছি পাশ্চাত্যের জীবনযাপন পদ্ধতির কথা। ব্যক্তিস্বাধীনতানির্ভর পশ্চিমা মূল্যবোধ পাশ্চাত্যের জাতিগুলোর ওপরই প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে। নগরভিত্তিক সভ্যতা এবং পেশাগত সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছার তীব্র প্রতিযোগিতা মানুষকে যেভাবে যান্ত্রিক জীবনের দিকে ঠেলে দিয়েছে, তার কতগুলো কুফল এখন দৃশ্যমান। মূলত পশ্চিমা জীবনযাত্রার বিশেষ ধরনের কারণেই তাদের সমাজে পারিবারিক জীবন মোটামুটি বিলুপ্ত। ক্যারিয়ারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার ফলে দাম্পত্যজীবন নানাভাবে ব্যাহত। সেই সাথে জীবন সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিও এর অন্যতম কারণ। সব কিছু শুধু অর্থের মানদণ্ডে দেখা এবং ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যনির্ভর ভোগবাদী জীবনব্যবস্থা মানুষকে আত্মকেন্দ্রিক করে তুলেছে। তারা পারিবারিক বন্ধন বা সামাজিক দায়িত্ব অস্বীকার করে নির্ভার ও বাধাবন্ধনহীন সুখানুভবে জীবন কাটাতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। দায়িত্ব নিতে অনীহার কারণে নারী-পুরুষের বিয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে। এরই পরিণতিতে কথায় কথায় বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে এবং বিচ্ছিন্ন পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে।
অনেকে বিয়ে করার পরও সন্তান গ্রহণে আগ্রহী নন; কারণ তাতে দায়দায়িত্ব এসে পড়ে এবং নিজেদের সুখভোগে ব্যাঘাত ঘটে। এসব কারণে পাশ্চাত্যের দেশে দেশে অনেকে বিয়ে না করেই ‘লিভ টুগেদার’ করেন। এক ছাদের নিচে বসবাস করে রোমান্টিক সম্পর্ক রক্ষা করেন কিন্তু যাকে বলে সংসার, দায়িত্ব- সেটা গ্রহণ করেন না। এর ফল ভালো হয়নি। পাশ্চাত্যের বহু দেশে জনসংখ্যা কমতে শুরু করেছে এবং উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এই জন্মহার কমে যাওয়া আরো ত্বরান্বিত হবে পাশ্চাত্যে নতুন এক লাইফস্টাইলের সূচনা হওয়ায়। লিভ টুগেদারের ধারণা এখন পুরনো। নরনারীর প্রেম-ভালোবাসার পথিকৃৎ পশ্চিমা সভ্যতা সব সময়ই রোমান্সের নিত্যনতুন নানা কায়দা বিশ্বকে ‘উপহার’ দিয়েছে। এখনো দিচ্ছে। তাদের সর্বশেষ উদ্ভাবন হলো ল্যাট (LAT)। এত দিন যেটা ছিল লিভ টুগেদার, সেটা এখন আরো বিস্তৃত। এখন তারা রোমান্টিক সম্পর্ক স্থাপন করবেন, কিন্তু একঘরে বা এক বাড়িতে থাকবেন না। LAT-এর অর্থ হলো লিভিং অ্যাপার্ট টুগেদার। শুনতেই কেমন অদ্ভুত লাগে না! অ্যাপার্ট টুগেদার মানে ‘একসাথে আলাদা’। ‘একসাথে’ হলে ‘আলাদা’ হয় কেমন করে? আমাদের কাছে এ প্রশ্নের জবাব নেই। কিন্তু এই ফেনোমেনা পাশ্চাত্যে বেশ ভালোভাবেই জেঁকে বসেছে।
ব্রিটেনে এখন প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের সম্পর্কে জড়িত। কানাডা, অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থা আরো গুরুতর। যারা এ ধরনের সম্পর্কে জড়াচ্ছে, তাদের অর্ধেকেরও বেশি তরুণ। তবে অনেকে চাকরি-বাকরি বা অন্য কোনো প্রয়োজনে আলাদা থাকেন এবং উভয়েই এক ব্যক্তির পরিবারের মতো বসবাস করেন। সেটা ভিন্ন বিষয়।
এই ল্যাট-এর পক্ষে পাশ্চাত্যের মনোবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানীদের সমর্থন আছে। একজন মনোবিজ্ঞানী বলেছেন, বিয়ের আগে আলাদা বাড়িতে থেকে নিজেদের মধ্যে রোমান্টিক সম্পর্ক রক্ষা করলে এর কিছু উপকারিতা আছে। কী সেই উপকারিতা? ম্যালেনি স্ক্যালিং নামের ওই মনোবিজ্ঞানী ব্রিটেনের ডেইলি মেল পত্রিকাকে বলেছেন, এর ফলে একটি দম্পতি পারস্পরিক সম্পর্কের চাপ এড়িয়ে যেতে পারেন। অর্থাৎ বাচ্চাকাচ্চা নেয়া, তাদের দেখাশোনা, মানুষ করা ইত্যাকার বিশাল ঝামেলা এড়িয়ে অবাধে রোমান্টিকতা উপভোগের এমন ভালো অনুশীলন আর কী হতে পারে? এ ছাড়াও পাশ্চাত্য সভ্যতার বেশ কিছু উপজাত রয়েছে। মোটা দাগে বলা যায়, এলজিবিটি (লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেন্ডার) কমিউনিটির কথা। এসব সমাজে ক্রমেই গ্রহণযোগ্য জীবনাচার হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে এবং অনেকেই এতে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে।
আমাদের বলার কথা এই যে, এ ধরনের জীবনাচরণ মানুষের জন্য স্বাভাবিক নয়। এগুলো মানুষের স্বাভাবিক যৌনাচরণ ও প্রজননের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অস্বীকার করার নামান্তর। যা হোক, আমরা বলছিলাম, এমন ভোগবাদী জীবনাচার তাদের জন্য ভালো পরিণতি বয়ে আনছে না। পাশ্চাত্যের দেশে দেশে জন্মহার কিভাবে কমে যাচ্ছে, সেটি একনজরে দেখে নিতে পারি।
জাতিসঙ্ঘের ২০১৭ সালের এ সংক্রান্ত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ক্রমাগত জনসংখ্যা কমছে বিশ্বে এমন দেশের সংখ্যা ৫১টি। অনেক দেশে ৫০-৬০ বছর ধরে জনসংখ্যা বাড়েনি বরং কমেছে। ২০৫০ সালের মধ্যে অনেক দেশের জনসংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ কমে যাবে। জনসংখ্যার ক্রমহ্রাসমান এই প্রবণতাকে অনেকে ‘ডেমোগ্রাফিক টাইমবোম্ব’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যদি জন্মহার বাড়ানো না যায় এবং বিদেশীদেরও গ্রহণ না করা হয়, তাহলে এক সময় কোনো কোনো দেশ জনশূন্য হয়ে যাবে- এমন আশঙ্কা করছেন অনেকে। হারিয়ে যেতে পারে অনেক শ্বেতাঙ্গ জাতিগোষ্ঠী। আর তা চলতি শতাব্দীর মধ্যেই।
কয়েক দশক ধরে জন্মহার না বাড়ার কারণে ইতোমধ্যে বুলগেরিয়া, স্পেন, জাপান ও ইউরোপের প্রায় সব দেশের অনেক গ্রাম জনশূন্য হয়ে পড়েছে। বুলগেরিয়া, স্পেন ও জাপানের অনেক গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজার, যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে মানুষ না থাকায়। অনেক বাড়িঘর পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে। বিবিসি, রয়টার্স, গার্ডিয়ানসহ বিশ্বখ্যাত গণমাধ্যম ছাড়াও সংশ্লিষ্ট দেশের গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সরেজমিন প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে। বুলগেরিয়ার কোনো কোনো পাড়া ও গ্রামে মাত্র এক থেকে ৩০ জন বাসিন্দা আছেন, যেগুলো একসময় ছিল কোলাহলমুখর।
বলা হয়ে থাকে, কোনো দেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে সংশ্লিষ্ট দেশের প্রত্যেক নারীর গড়ে ২ দশমিক ১০ শতাংশ করে সন্তান থাকা প্রয়োজন। সেখানে ইউরোপে এ হার গড়ে ১ দশমিক ৫৫। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো অনেক দেশেও এ হার একই। বিশ্বে দ্রুত জনসংখ্যা কমছে- এমন শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকা রয়েছে জাতিসঙ্ঘসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে। এর সবগুলো দেশই পূর্ব ইউরোপের। এসব দেশে একজন নারীর গড়ে সন্তান রয়েছে ১ দশমিক ৩ জন। স্পেনে এ হার ১ দশমিক ২।
জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সাল থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যেসব দেশের জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি হ্রাস পাবে, সেগুলো হলো- বুলগেরিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ড, মলদোভা, রোমানিয়া, সার্বিয়া, ইউক্রেন, হাঙ্গেরি ও যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিন আইল্যান্ডস। দ্রুত জনসংখ্যা কমছে, জাতিসঙ্ঘের এমন দেশের তালিকায় ১১তম স্থানে জাপান। এর পরের দেশগুলো হলো- জর্জিয়া, পর্তুগাল, বসনিয়া হার্জেগোভিনা, এস্টোনিয়া, লেবানন, গ্রিস, দক্ষিণ কোরিয়া, আলবেনিয়া ও বেলারুস। জনবহুল যেসব দেশে সবচেয়ে নিম্ন জন্মহার, সেগুলো হলো- চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, রাশিয়া ফেডারেশন, জাপান ও ভিয়েতনাম। ১০ বছর আগে একজন মার্কিন নারীর গড়ে ২ দশমিক ১টি সন্তান ছিল। এখন তা কমে ১ দশমিক ৭৭টি। একে ‘ঐতিহাসিক পতন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বোস্টন গ্লোব পত্রিকা।
এই ঐতিহাসিক পতন এমনিই ঘটেনি। প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরণের অনিবার্য পরিণতি হিসেবেই এই পতনের সূচনা হয়েছে; আর সেটা অব্যাহত থাকবে। পাশ্চাত্যের যে বোধোদয় হবে না, সেটা নিশ্চিত। তারা এখন অভিবাসীদের নিয়ে এসে দেশের অর্থনীতিসহ সব ব্যবস্থা চালু রাখার পথ ধরেছে। আমাদের লাভ এখানে।
পাশ্চাত্যে জন্মহার কমে যাওয়ার কারণে, যারা একসময় ঔপনিবেশিক শক্তির হাতে নিপীড়িত হয়েছে, আজ তাদেরকেই নিতে হচ্ছে একসময়ের সাম্রাজ্যবাদী, উৎপীড়ক, শোষক এবং বর্বর পাশ্চাত্য দেশগুলোর অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য। কানাডা সরকারের এক জরিপে দেখানো হয়েছে, আগামী তিন বছরে চার লাখের মতো অভিবাসী গ্রহণ না করলে, ৩০ বছরের মধ্যে দেশটির অর্থনীতিকে বড় ধরনের ধকল সইতে হবে। একই অবস্থা বেশির ভাগ শিল্পোন্নত দেশের। ব্রিটেন, জার্মানি ও ফ্রান্স বিপুল সংখ্যায় অভিবাসীদের আসার সুযোগ দিচ্ছে এবং এভাবে ভবিষ্যতে টিকে থাকা নিশ্চিত করছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিবাসনের ব্যাপারে কট্টর মনোভাব নিলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিবাসন বন্ধ হলে অর্থনীতি ঝুঁকির মুখে পড়বে।
আগামী দিনে বিশ্বে আধিপত্য বিস্তারে অর্থাৎ রাজনৈতিক আগ্রাসন এবং তার মোকাবেলা উভয় ক্ষেত্রেই অন্যতম নিয়ামক হয়ে উঠতে যাচ্ছে জনশক্তি। অধিক জনসংখ্যা এখন আর কোনো দেশের জন্যই বোঝা নয়। বরং একটি দেশের সার্বিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও মানুষ অন্যতম বিবেচ্য বিষয়। জনবহুল দেশ মানেই বিশাল বাজার। সব বহুজাতিক কোম্পানি এবং পণ্য রফতানিকারক দেশের লক্ষ্য থাকে ওই সব বাজারে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার। ফলে নানা কারণে জনবহুল দেশকে সমীহ করছে অনেক বড় বড় শক্তিধর দেশ। এ সুযোগে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানা ক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বিস্তারের সুযোগ পাচ্ছে জনবহুল দেশগুলো। এ দিক থেকে জনবহুল বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকার কোনো কারণ নেই।
বিশ্বসংস্থার হিসাবে, বর্তমানে বিশ্বে প্রতি বছর বাড়ছে আট কোটি ৩০ লাখ মানুষ। আগামী ৩২ বছরে নতুন করে বাড়বে ২২০ কোটি মানুষ। নতুন যোগ হওয়া ২২০ কোটি মানুষের অর্ধেকেরও বেশি বৃদ্ধি পাবে শুধু ১০টি দেশে। এগুলো হলো- ভারত, নাইজেরিয়া, কঙ্গো, পাকিস্তান, ইথিওপিয়া, তানজানিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, উগান্ডা, ইন্দোনেশিয়া ও মিসর। জাতিসঙ্ঘের এ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এই ২২০ কোটি মানুষের মধ্যে ১৩০ কোটি বাড়বে আফ্রিকা মহাদেশে এবং ৭৫ কোটি এশিয়ায়।
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীন, অন্যতম জনবহুল দেশ বাংলাদেশও আগামীতে বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে থাকবে না আলোচনায়; বরং চীন এখন আলোচনায় রয়েছে নিম্ন জন্মহারের বিষয়ে। বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে উচ্চ জন্মহার যে ২২টি দেশে, তার মধ্যে ২০টি আফ্রিকায় এবং দু’টি এশিয়ায়। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি জন্মহার নাইজেরিয়া, কঙ্গো, তানজানিয়া, উগান্ডা ও আফগানিস্তানে।
জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত ৫১টি দেশের জনসংখ্যা কমতে থাকবে। আবার সবচেয়ে দ্রুত জনসংখ্যা বাড়ছে, এ রকম ৪৭টি দেশের তালিকা তৈরি করা হয়েছে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদনে। এর মধ্যে ৩৩টি দেশই রয়েছে আফ্রিকা মহাদেশে এবং এর প্রতিটিই অনুন্নত। ২১০০ সাল নাগাদ আফ্রিকার যেসব দেশে জনসংখ্যা পাঁচগুণ পর্যন্ত বাড়বে সেগুলো হলো- অ্যাঙ্গোলা, বুরুন্ডি, নাইজার, সোমালিয়া, তানজানিয়া ও জাম্বিয়া।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৪০ সালের মধ্যে চীন হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি। দ্বিতীয় স্থানে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র, তৃতীয় ভারত আর চতুর্থ ইন্দোনেশিয়া। বর্তমানে পিছিয়ে থাকা আরো কয়েকটি জনবহুল দেশ সামনের কাতারে চলে আসবে নতুন শক্তি হিসেবে। দেশগুলোর এ অবস্থানের পেছনে ভূমিকা থাকবে ওই সব দেশের জনসংখ্যার।
শুরুতে প্রকৃতির প্রতিশোধের কথা তুলেছিলাম। কারণটা বলি। আমাদের ধারণা, পাশ্চাত্য সভ্যতা তার বিকাশের চূড়ান্ত শিখর স্পর্শ করে ফেলেছে। ভ্রান্ত জীবনাচরণ ও ভোগবাদের পরিণতিতে এখন তার শুধু জন্মহার হ্রাস দিয়ে ঐতিহাসিক পতন হবে না; পতন হবে আরো অনেকভাবেই। সম্ভবত অশ্বেতাঙ্গ অভিবাসীদের কাছে নিজেদের সব অর্জন তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে তাদের আসল পতন সূচিত হবে এবং সেটি চলতি শতকের মধ্যেই ঘটবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এটিকে প্রকৃতির প্রতিশোধ বলুন বা আল্লাহর গজব বলুন- কথা একই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা