২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঢাকায় মানুষ যে পরিবেশে বাস করে

-

রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা অনুসারে অর্থনৈতিক বিকাশের মধ্যমে জনগণের জীবনযাত্রার মানের উন্নতি সাধন। যাতে নাগরিকদের জন্য অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবন ধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা হয়। এর সাথে মানুষ কোন পরিবেশে বসবাস করবে বর্তমান সময়ে সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। পুরো বিশ্বে পরিবেশগত চরম বিপর্যয় ঘটতে চলেছে। পরিবেশগত সমস্যায় বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে। পরিবেশের এই অবনতি দ্রুত রুখতে না পারলে মানবজাতির ভবিষ্যৎ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে পড়বে। বিশ্বব্যাপী পরিবেশবাদীরা এ নিয়ে সব রাষ্ট্রের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছেন। ইতোমধ্যে পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে আবহাওয়ার পরির্তন ঘটছে, যার ফলে কৃষির ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে।

নাগরিকদের যে পাঁচটি মৌলিক চাহিদা রয়েছে তা যদি পূরণ করা যায়, তাতেও মানুষের স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব হবে না। যদি না পরিবেশ অনুকূল হয়। এখন বাংলাদেশ পরিবেশগত বিবেচনায় নানা দিক থেকে হুমকির মুখোমুখি। যে আবহাওয়ার মধ্যে পৃথিবীর সৃষ্টি সেই পরিবেশ মানুষ বজায় রাখতে পারেনি। আর বাংলাদেশ এখন নাগরিকদের পাঁচ চাহিদা পূরণের জন্য কমবেশি চেষ্টা তদবির করছে বটে কিন্তু পরিবেশগত উন্নয়নের তেমন কোনো উদ্যোগ চেষ্টা লক্ষ করা যায় না। এমন অবহেলার কারণে জীবন ধারণ ক্রমেই অসম্ভব হয়ে উঠছে। রাজপথে চলতে প্রতিপদেই পরিবেশের শোচনীয় অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু প্রতিকারের কোনো উদ্যোগ আছে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশে পরিবেশগত দূষণ বহু মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, শুধু ঢাকায়ই এক বছরে ১৮ হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণ ঘটে। সারা দেশে শহরাঞ্চলে মারা যায় ৮০ হাজার মানুষ। বিশ্ব ব্যাংকের এই জরিপ করা হয় ২০১৫ সালে। তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে যা ২০১৮ সালে প্রকাশ করা হয়। বিশ্ব ব্যাংকের অন্য এক রিপোর্টে প্রকাশ- বাংলাদেশে বায়ু, পানি ও পরিবেশ দূষণে বছরে ক্ষতি ৪২ হাজার কোটি টাকা, যা মোট দেশজ উৎপাদনের ২ দশমিক ৭ শতাংশ। শুধু বায়ুদূষণে ক্ষতি হয় ২০ হাজার কোটি টাকা। দূষণের সবচেয়ে বেশি শিকার হয় শিশুরা।

এখন বিশ্বব্যাপী পরিবেশ রক্ষার আন্দোলন চলছে। এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিয়ত পরিবেশ নিয়ে পৃথিবীর মানুষকে সতর্ক করছে। পরিবেশের অবনতির কারণে বিশ্বব্যাপী আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটছে। এই পরিবর্তন মানবজাতির প্রতিকূলে যাচ্ছে, জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের দিকে চলেছে। প্রতিটি দেশ যদি নিজ নিজ জনপদের পরিবেশের বিপর্যয় রুখতে এগিয়ে আসে তবে হয়তো রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। পরিবেশগত সমস্যায় তৃতীয় বিশ্বের লোকজন বেশি দুর্যোগের মুখে। অথচ বাংলাদেশসহ এসব দেশের ক্ষমতাসীনদের পরিবেশ নিয়ে তেমন মাথাব্যথা নেই।

পরিবেশ সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইপিএ তার সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিশ্বের দূষিত বায়ুর দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান উপরে। বিশ্বের কোনো শহর স্থাপনার ক্ষেত্রে, কোনোটা আবার বৃক্ষ বা জলাভূমির জন্য বিখ্যাত হয়। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বায়ুদূষণের জন্য এখন আলোচিত। যুক্তরাষ্ট্রে পরিবেশ সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থা ইপিএ’র সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলেছে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। সংস্থাটি বিশ্বের ১৮০টি দেশে সামগ্রিকভাবে পরিবেশ সুরক্ষায় কী ধরনের ভূমিকা রাখছে তা নিয়ে একটি সূচক তৈরি করেছে। তাতে বাংলাদেশ ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৭৯তম স্থানে নেমে এসেছে। ২০০৬ সালে সর্বপ্রথম ওই সূচক তৈরি করা হয়েছিল। সে বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২৫তম।

অর্থাৎ গত এক যুগে দূষণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ৫৪ ধাপ নিচে নেমেছে। এই যে ক্রমাবনতি ঘটছে, তা নিয়ে চিন্তা করার কেউ নেই। বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদতরের নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ প্রকল্প থেকে দেশের আটটি শহরের বায়ুর মান প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করা হয়। তাতে দুই মাস ধরে ঢাকার পাশাপাশি রাজশাহী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা শহরের বায়ুর মান মারাত্মক ও খুব অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর হলো রাজধানী ঢাকা। এরপর রয়েছে রাজশাহী। বরিশাল সবচেয়ে কম দূষিত হলেও এর বায়ুর মান গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে খারাপ অর্থাৎ আশঙ্কাজনক। ২০১৬ সালে পরিবেশ অধিদফতরের কেইস প্রকল্পের আওতায় ঢাকার বায়ুদূষণ উৎস ও ধরন নিয়ে একটি জরিপ হয়েছে। সেই জরিপে দেখা গেছে, ঢাকার চার পাশে পায় এক হাজার ইটভাটায় ইট তৈরি হয়। এসব ইটভাটা বায়ুদূষণের জন্য ৫৮ শতাংশ দায়ী। জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাংকের ঋণের টাকায় সরকার ঢাকার পরিবেশ উন্নয়নের কাজে ব্যয় না করে পরিবেশ অধিদফতরের বহুতল ভবন, সড়কে উন্নতমানের ফুটওভার ব্রিজ তৈরি করেছে।

প্রতিটি দেশের রাজধানীর একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। একে পরিবেশবান্ধব রাখা, নির্মল বায়ুর প্রবাহের জন্য প্রচুর গাছপালা রোপণ করা হয়। অথচ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বায়ু নির্মল করার কোনো পরিকল্পনা রয়েছে তা আঁচ করা যায় না। অতি সম্প্রতি ঢাকার বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে সবচেয়ে বায়ুদূষণের কবলে থাকা শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৭তম। আর রাজধানী শহরগুলোর তালিকায় ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। এই শহরের বাতাসে ক্ষুদ্রবস্তু কণার পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেয়া মাত্রার চেয়ে দশ গুণ বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান এয়ারভিজ্যুয়ালের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বায়ুদূষণে বিশ্বের ৭৩টি দেশের বিভিন্ন শহরের ২০১৮ সালের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ১৭তম হলেও রাজধানী শহরগুলোর তালিকায় এই শহরের অবস্থান দ্বিতীয়। এ ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে ভারতের নয়াদিল্লি। স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাতাসে ক্ষুদ্র কণিকার গড় মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ১০ মাইক্রোগ্রাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। অথচ ঢাকার বাতাসে এই কণিকার মাত্রা ২০১৮ সালে ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৯৭ দশমিক ১ মাইক্রাগ্রাম। আরো জানা গেছে, গত ১০ বছরে ঢাকার বাতাস আরো অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

বেঁচে থাকার জন্য মানুষের অক্সিজেন দরকার। আর সে অক্সিজেন যদি বিশুদ্ধ না হয় তবে শরীরে বিভিন্ন রোগব্যাধি দেখা দেয়। হাঁপানি, ফুসফুসে ক্যান্সারের জন্য বায়ুদূষণকে দায়ী করা হয়। ঢাকার বায়ুতে ভয়াবহ দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে তা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে রাজধানীবাসীর জন্য চরম দুঃসংবাদ। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ঢাকার হাসপাতালগুলোয় শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দিন দিন নগরবাসীর স্বাস্থ্য বিপর্যয় বেড়ে চলেছে। ঢাকার বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিকর বস্তুকণা। এর পরিণতিতে হেলথ ইফেক্টর ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, বাংলাদেশে বছরে এক লাখ ২২ হাজার ৪০০ মানুষ বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুবরণ করে। দূষিত বায়ুর কারণে পৃথিবীতে ৩৬ শতাংশ ফুসফুসে ক্যান্সার, ৩৪ শতাংশ স্ট্রোক ও ২৭ শতাংশ হৃদরোগের জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী মনে করা হয়। এমন বায়ু মানুষের দীর্ঘ জীবন লাভের প্রতিবন্ধকতা ঘটিয়ে থাকে।

রাজধানী ঢাকা শহরে ভালোভাবে বেঁচে থাকার আরেক সমস্যা মারাত্মক পানিদূষণ। ঢাকার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া অন্যতম বড় নদী বুড়িগঙ্গা। শিল্প-কারখানার বর্জ্যরে পাশাপাশি বসতবাড়ি ও হোটেল রেস্তোরাঁর উচ্ছিষ্টে ভরে গেছে নদীটি। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদী ঢাকাকে চার দিক থেকে ঘিরে রেখেছে। এই চার নদ-নদীর দূষণ দূরীকরণের মাত্রার উন্নতি তো দূরের কথা, ক্রমাগত এসব নদীর পানিতে দূষণ বাড়ছে। পরিবেশবাদী সংগঠন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন নিয়মিত এসব নদীর পানির মান পরীক্ষা করে আসছে। পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মানের কেবলই অবনতি ঘটছে। বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার পানি শোধন করে মহানগরীতে গৃহস্থালি কাজে ব্যবহারের জন্য সরবরাহ করা হয়। এসব সরবরাহ করা পানির মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের যেসব বোতলজাত পানি বাজারে পাওয়া যায়, এর নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, অধিকাংশ ব্র্যান্ডের পানি মানোত্তীর্ণ নয়। এসব পানি পান করা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হলেও সেসব পানি রীতিমতো বাজারজাত হচ্ছে।

মহানগরীতে পানির দূষণ তো রয়েছেই। এ ছাড়া ঢাকা ওয়াসা যে পানি নাগরিকদের জন্য সরবরাহ করছে তা শুধু স্বল্পই নয় বিশুদ্ধতার প্রশ্ন রয়েছে। পানি ঘোলা, ময়লাযুক্ত এবং তাতে দুর্গন্ধ রয়েছে। ঢাকা ওয়াসা কর্তৃক এমন পানি ব্যবহার করে জন্ডিস, টাইফয়েড, ডাইরিয়াসহ পেটের নানা পীড়ায় মানুষ ভোগে। অথচ এসব পানি ব্যবহারকারীদের ওয়াসাকে মোটা অঙ্কের চার্জ দিতে হয়।

সারা ঢাকা শহর শুধু পানিদূষণের কারণ নিয়েই বিশেষজ্ঞরা উদ্বিগ্ন নন। একইভাবে নীরব পরিবেশে শান্তিতে বসবাস করা এখন ঢাকায় অসম্ভব। কেননা পুরো শহরই এখন শব্দদূষণের শিকার। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, শহরের বেশির ভাগ এলাকাতেই শব্দ গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেশি, যা কিনা ক্ষতিকর। এর ফলে আগামী কয়েক বছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ঢাকার জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ কোনো না কোনো ধরনের বধিরতায় আক্রান্ত হবে বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অভিমত। শব্দের মাত্রার একককে বলা হয় ডেসিমেল। বিশ্ব সংস্থার মতে, আবাসিক এলাকায় শব্দের মাত্রা দিনের বেলায় ৫৫ ডেসিবল, রাতে ৪৫ ডেসিবল হওয়া উচিত, আর বাণিজ্যিক এলাকায় দিনের বেলায় ৬৫ ডেসিবল এবং রাতে ৫৫ ডেসিবল; শিল্প এলাকায় দিনে ৭৫ ডেসিবল রাতে ৬৫ ডেসিবলের মধ্যে শব্দমাত্রা থাকা উচিত। একটি বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট ঢাকা শহরের ১০টি স্থানের শব্দের পরিমাপ করে দেখেছে ঢাকায় নির্ধারিত মানমাত্রার চেয়ে গড়ে প্রায় দেড় গুণ শব্দ সৃষ্টি হয়। জনৈক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল হাসপাতালের নাক কান ও গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা: মনি লাল আইচ লিটু ডয়েসের গবেষণায় দেখা গেছে, এই শব্দদূষণ অব্যাহত থাকলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ঢাকা শহরের মোট জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগ কানে কম শুনবে।

আর একটি অংশের মানুষ পুরোপুরি বধির হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পানির দূষণ নিয়ে কম বেশি সতর্কতা সমাজে রয়েছে। এর প্রতিকারের জন্য অন্তত মুখে কিছু উদ্বেগ উৎকণ্ঠা রয়েছে। সমাজে পানির সরবরাহে স্বল্পতা ও বিশুদ্ধতা নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের উদ্বেগের কথা জানা গেলেও শব্দদূষণের বিষয়টির ব্যাপারে তেমন কোনো উচ্চবাচ্য শোনা যায় না। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের গবেষক বিশেষজ্ঞদের মধ্যেই এখন পর্যন্ত এসব আলোচনা সীমাবদ্ধ রয়েছে। দেশের রাজধানীর মানুষ অন্যান্য এলাকা থেকে সচরাচর কিছুটা বেশি সুবিধাদি পেয়ে থাকে। কিন্তু ঢাকাবাসী তার উল্টো। ঢাকার বাইরে থেকে এখানে নগরবাসী বায়ু, পানি ও শব্দদূষণের কারণসহ অধিক মানুষের চাপে এবং যানজটের দুর্বিষহ যন্ত্রণা নিয়ে বসবাস করে থাকে।
ndigantababor@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement