তৃণমূলের উন্নয়নে বাধা
- সালাহউদ্দিন বাবর
- ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:৪৬, আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:৪৯
আজো বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ গ্রামে বাস করে। অনেক গ্রামও এখন শহরের মতোই। তাই ছোট ছোট শহর ও গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নের গুরুত্ব অনেকখানি। এ ক্ষেত্রে তথা গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নয়, বরং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো কর্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। শহর ও গ্রামীণ জনপদের মধ্যে জীবনযাত্রার এখন যে বিস্তর বৈষম্য বিরাজ করছে, সেটি দূর করা নাগরিক জীবনে যে সুবিধাগুলো ভোগ করা হয় তাকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছানোর যে মৌলিক রাষ্ট্রীয় নীতি সংবিধানে সংযোজিত রয়েছে, সেটি হলো, ‘নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করিবার... জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’ সংবিধানে আরো সন্নিবেশিত রয়েছে, ‘সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করিতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হইবেন।’
এই সুনির্দিষ্ট নীতিমালার প্রেক্ষিত বিবেচনা করে সরকারের কর্তব্য হচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো যতে সুষ্ঠু ও বাধামুক্তভাবে ভূমিকা পালন করতে পারে, সে ব্যবস্থা নেয়া। কেননা, এই মর্মে সংবিধানের ৯ নম্বর অনুচ্ছেদে আরো রয়েছে স্থানীয় শাসন-সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নের বিষয়টি।
বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার ইতিহাস দীর্ঘ দিনের। মোগল আমল থেকে শুরু হয়ে ব্রিটিশ শাসন পর্যন্ত নানা আইনি সংস্কারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে স্থানীয় সরকারের শাসনকাঠামো গড়ে উঠেছে। পাকিস্তানি শাসনামলেও এর প্রকৃতিও অপরিবর্তিত থাকে। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর নতুন রাষ্ট্রের সব কিছু ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন হয়। নতুন রাষ্ট্রে ১৯৭২ সালে এর সংবিধানে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে তিন স্তরবিশিষ্ট স্থানীয় সরকারকাঠামো বিদ্যমান রয়েছে। যথাÑ ইউনিয়ন পরিষদ, থানা/উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ।
এ ছাড়া শহরগুলোতে পৌরসভা, বড় শহরে সিটি করপোরেশন। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলায় স্থানীয় জেলা পরিষদ। তিন স্তরবিশিষ্ট যে স্থানীয় সরকারকাঠামো বিদ্যমান, তার মধ্যে উপজেলা পরিষদের গুরুত্ব অনেক। শিগগিরই এই পরিষদের পঞ্চমবারের মতো পর্যায়ক্রমে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই পরিষদের নির্বাচন আগে নির্দলীয় হলেও এখন তা দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে বিধায় এই স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানটির রাজনৈতিক গুরুত্ব অনেকখানি বেড়েছে।
উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দলগুলো দলীয় ভিত্তিতে প্রার্থী দেয়ায় এই নির্বাচন নিয়ে ভিন্নমাত্রায় উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এবার যৌক্তিক কারণেই এই নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ-উদ্দীপনা কমেছে। কারণ, দেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আগে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল, কিন্তু এবার বিএনপি এই নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে না। কারণ, এবারই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারি দলের পক্ষে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ক্ষমতাসীনদের ইঙ্গিতে ভোটে ব্যাপক অনিয়ম করেছে। ফলে নির্বাচনে বলতে গেলে জাতীয় সংসদের প্রায় সব আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হন। বিএনপি এই নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ঘোষণা দেয়- তারা আর এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। ফলে সরকারি দলের প্রার্থী ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো প্রার্থী উপজেলায় থাকছেন না। জাতীয় সংসদে যেমন কোনো প্রতিপক্ষ নেই, তেমনি উপজেলায়ও এক দলের প্রাধান্য সৃষ্টি হতে যাচ্ছে।
বলতে গেলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলায় প্রার্থী বিজয়ী হচ্ছেন ভেবে খুশি হওয়ার কারণ হতে পারে বটে, কিন্তু জাতির জন্য তা অকল্যাণই হবে। এ অবস্থায় দেশের আর কোনো ফোরামে ক্ষমতাসীনদের জবাবদিহি করার অবকাশ থাকছে না। ফলে আমরা আর জানতেও পারব না, প্রশাসন দেশ কোন দিকে নিয়ে চলেছে। একটা দেশ প্রকৃতপক্ষে পরিচালিত হওয়া উচিত পক্ষ-বিপক্ষের যৌথ ভূমিকা পালনের মধ্য দিয়ে। উভয়ের কর্মতৎপরতায় দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার সুযোগ ঘটে। কিন্তু এখন এমন যৌথ ভূমিকার অনুপস্থিতিতে দেশে সুশাসনের মারাত্মক ঘাটতি হবে। এই ঘাটতির কারণে যেসব উপসর্গ দেখা যায়, তা এখন সমাজে দৃশ্যমান। বিশেষ করে যেসব সরকারি সংস্থা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কাজ করবে; তারা এখন আইনকে বাদ দিয়ে জনগণকে শাসন করবে।
সংবিধানের ৫৯ ও ৬০ অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকারব্যবস্থা সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়- ‘স্থানীয় শাসনের ভার’ ন্যস্ত করা এবং স্থানীয় প্রয়োজনে তাদের কর আরোপ করা ও বাজেট প্রস্তুত করার ক্ষমতা প্রদান করেছে। সম্প্রতি প্রশাসনের তরফে স্থানীয় ভূমি ব্যবহারের ব্যাপারে পরিকল্পনা প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। তবে এতসব বিষয় এখন পর্যন্ত কাগজ-কলমে বিদ্যমান থাকলেও বাস্তবে রূপ লাভ করতে পারেনি। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো তাদের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারছে না। তাদের জন্য নির্দিষ্ট করা কাজগুলো অসম্পাদিত থাকার ফলে গ্রামীণ জনপদের মানুষ তাদের রাষ্ট্রীয় সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তাই এখন কর্তৃপক্ষকে বিবেচনায় নিতে হবে, কিভাবে এ সমস্যাগুলো থেকে উত্তরণ ঘটতে পারে। আমরা সাধারণভাবে দেখার চেষ্টা করব, এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যাগুলো বিরাজ করছে, যা গ্রামীণ জীবনে স্বাচ্ছন্দ্যের অন্তরায় হয়ে আছে।
দেশের রাজনৈতিক দলগুলো সম্ভবত স্থানীয় সরকারের ক্ষমতাকে সুনজরে দেখে না। তারা স্থানীয় সরকারের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে চায়। দেশে বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজারের অধিক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। লক্ষ করা যায় যে, প্রতিটি ক্ষমতাসীন দল তাদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অথবা দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে থাকে, যাতে দলের সাংগঠনিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা যায় এবং সরকারের নীতি ও আদর্শের বাইরে এ প্রতিষ্ঠানগুলো যেতে না পারে। এটাকে অনেকটা বশ্যতা স্বীকার করিয়ে নেয়ার মতো। এর ফলে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে জনগণের প্রয়োজনের দিকে দৃষ্টি দেয়ার চেয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশাবলিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হয়।
বাংলাদেশে বহু ভালো কিছু বিষয়ের সূচনা হয়েছিল। কিন্তু সে সূচনার পর তার আর ধারাবাহিকতা বজায় থাকেনি। স্বাধীনতার পর অত্যন্ত স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি চমৎকার গণতান্ত্রিক সংবিধান রচিত হয়েছিল। তারপর সে সংবিধানের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু সেই সংবিধান কার্যকর হওয়ার সামান্য পরই তাকে কাটাছেঁড়া করে গণতন্ত্রের যে বিনাশ ঘটানো হয়েছিল; যার ফলে বাংলাদেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়েছিল। এরপর থেকে দেশে নানা অনিয়মের সূত্রপাত হয়। সেসব অনিয়মের যারা সূচনা করেছিল, পরবর্তীকালে সেই অপকর্মের দায়গুলোর পথপ্রদর্শক হিসেবে তাদেরই অভিযুক্ত হতে হবে। দলীয় স্বার্থে সংবিধানকে কাটাছেঁড়ার মধ্য দিয়ে এর গুরুত্ব খাটো করা হয়েছে। আর একদলীয় রাজনীতির প্রবর্তন করার মাধ্যমে গণতন্ত্রের যে মূল চেতনা, তাকে নস্যাৎ করা হয়েছিল। এই ব্যবস্থা প্রবর্তন করার ব্যাপারে যে বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে, সেটি হলো দল ও ব্যক্তির স্বার্থ; এখানে ভিন্ন আর কারো মত গ্রহণ করা হয়নি।
রাজনৈতিক অঙ্গনে গণতন্ত্র ও তার প্রয়োজনীয়তার বহু কথা শোনা যায়। কিন্তু গণতন্ত্রের যে প্রধান অনুশীলন নির্বাচন, তাকে প্রশ্নমুক্ত করার কারো কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। ক্ষমতায় থেকে নির্বাচনের আয়োজন করে ছলে-বলে নিজেদের বিজয়কে নিশ্চিত করার নামকেই ভোট হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। এর জের হিসেবে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি উঠেছিল। সংসদে এবং সংসদের বাইরে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সরকার এই দাবির যৌক্তিকথার উপলব্ধিতে সংবিধান সংশোধন করে তা শাসনতন্ত্রের অংশ হিসেবে গ্রহণ করে নেয়। এরপর যে কয় দফা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে, তার প্রতিবার অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের যে শর্তগুলো রয়েছে তা সর্বাংশে অনুসৃত হয়েছে। কিন্তু উত্তম এ ব্যবস্থাটিকে বেশি দিন টিকতে দেয়া হয়নি। এ ব্যবস্থা প্রবর্তনের আগে নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান যাবতীয় ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব দেয়। কিন্তু এসব ক্ষমতা প্রয়োগ করে নির্বাচন প্রশ্নমুক্ত করার প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ করতে দেননি রাজনীতিকেরা। এভাবে একে একে বহু ভালো উদ্যোগ কার্যকর হতে পারেনি।
বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও স্থানীয় সরকারের দাবি সব সময়ই পরস্পরকে গতিময় করেছে। গণতান্ত্রিক ধারণার ওপর ভিত্তি করে একটি স্থানীয় সংস্থার প্রতিনিধি জনগণের স্বার্থকে তুলে ধরতে পারেন। নির্বাচিত প্রশাসনের সাথে প্রতিটি স্তরের প্রশাসনে স্থানীয় সরকার সংস্থার সংযোগ স্থাপন করা অপরিহার্য। বাংলাদেশের সংবিধানের ৫৯ ও ৬০ অনুচ্ছেদে স্থানীয় সরকারের একটি কাঠামো রয়েছে, যা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সাথে ব্যবস্থার কার্যকারিতা বর্ণনা করে, যাতে প্রশাসনের প্রতিটি ইউনিটে জনগণ কার্যকরভাবে অংশ নিতে পারে। সাংবিধানিক প্রয়োজন অনুপাতে এবং সব অঞ্চলে গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য কার্যকর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর হচ্ছে উপজেলা পরিষদ, যার পঞ্চম নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী আফসারের মধ্যে এখন ত্রিমুখী স্নায়ুদ্বন্দ্ব থাকার কারণে স্থানীয় সরকারব্যবস্থার কাজের এবং তা বিকাশের বড় অন্তরায়। তাদের মধ্যকার এই দ্বন্দ্বের কারণে উপজেলা পরিষদের দৈনন্দিন কার্যক্রমসহ স্থানীয় উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এসব কারণে পরিষদ অকার্যকর হয়ে পড়ছে এবং কালক্ষেপণের ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় সরকারব্যবস্থার বিভিন্ন স্তর যেমনÑ জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ইত্যাদির কাজের মধ্যে সমন্বয়হীনতা বা দ্বৈততা রয়েছে। অর্থবরাদ্দ কর্মসূচি বাস্তবায়ন কৌশল, নীতিমালাসহ অনেক বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর নির্ভর করতে হয় বলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্রীয় সরকার সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
স্থানীয় সরকারের জন প্রতিনিধিদের মধ্যে নিজ দায়িত্ব ও ক্ষমতা সম্পর্কে সম্যক ধারণার অভাব পরিলক্ষিত হয়। পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সম্যকভাবে জানেন না আইনানুযায়ী সংশ্লিষ্ট পরিষদের বাধ্যতামূলক ও ঐচ্ছিক কাজগুলো সম্পর্কে। নির্বাচিত মহিলা প্রতিনিধিরাও না জানার কারণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেন না বা তাদের অবহেলা করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর পর্যাপ্ত নিজস্ব তহবিল নেই। স্থানীয় সরকারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের এডিপিতে বরাদ্দ অত্যন্ত কম। স্থানীয়ভাবে পাওয়া করই রাজস্ব আয়ের একমাত্র উৎস। জনপ্রিয়তা কমার আশঙ্কায় স্থানীয়পর্যায়ে কর বাড়ানোর ক্ষেত্রে উৎসাহ দেখা যায় না। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যাপ্ত জনবলের সঙ্কট রয়েছে। একটি ইউনিয়ন পরিষদের জনবল মাত্র ১১ জন। শক্তিশালী ও কার্যকর স্থানীয় সরকারব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে এসব প্রতিষ্ঠানকে যথাযথ দায়দায়িত্ব, প্রয়োজনীয় অর্থসম্পদ, স্বায়ত্তশাসন ও অবশ্যকীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে গ্রামীণ জনপদের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন সম্ভব হবে না। দেশের সরকার সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞরা এসব প্রয়োজনীয় বিষয় বহুবার তুলে ধরলেও কেন্দ্রীয় সরকার এ সম্পর্কে উদাসীনই থেকে গেছে। কোনো অগ্রগতি হয়নি।
ndigantababor@gmail.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা