উন্নয়নের যত প্রসঙ্গ
- সালাহউদ্দিন বাবর
- ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:০০
উন্নয়নের ধারণা নিছক কেবল বৈষয়িক উন্নয়ন নয় বরং আরো অনেক কিছু। তবে এ কথা ঠিক যে, নাগরিকের জীবনযাপনের মান বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে অবশ্যই উন্নতির একটি অপরিহার্য শর্ত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে সমাজতান্ত্রিক ধ্যানধারণায় এই সামগ্রিকতার তেমন মূল্য নেই। বরং কেবল বৈষয়িক উন্নতিই সেখানে উন্নয়নের সংজ্ঞা। কিন্তু গণতান্ত্রিক বিশ্বে এই সংজ্ঞা গ্রহণ করা হয় না, সেখানে জনগণের উন্নতির ধারণা আরো বিস্তৃত। বাংলাদেশ যেহেতু নিজেকে গণতান্ত্রিক বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করে, তাই উন্নয়নের সেই বিস্তৃত ধারণা নিয়েই কথা বলব। তবে এ কথা ঠিক যে, রাষ্ট্র নাগরিকেরা নিজেদের গণতান্ত্রিক বিশ্বের সদস্য মনে করলেও বর্তমান সরকারের নীতি ও কর্মকাণ্ডে এবং বিশেষ করে তাদের উন্নয়ন চিন্তায় কিছুটা ভিন্নতা লক্ষ করা যাবে।
সে যাই হোক, আমরা এখন দেখার চেষ্টা করব রাষ্ট্রীয় ধারণা অনুসরণ করার ক্ষেত্রে কোথায় কতটা ঘাটতি রয়েছে। সেই সাথে একটা কথা এখানে স্মরণে রাখা যেতে পারে, আমরা এখানে উন্নয়নের ধারণা ও চিন্তাকে ঠিক করতে যখন ব্যস্ত তখন আমাদের সাথে যারা উন্নয়নের সড়কে উঠেছিল, তারা এখন মসৃণ পথে বহুদূর এগিয়ে গেছে। আর এখনো আমরা এবড়োখেবড়ো পথে চলতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছি। অন্য মানুষের সমৃদ্ধি সুখ আনন্দের কাহিনী শুনেই আমাদের দিন যাপিত হচ্ছে। আশা জাগানোর মতো কোনো আহ্বান আমরা শুনেত পাই না। আমাদের যারা নেতা তারা কেবল নিজেদের এবং পার্শ্বচরদের জন্য নিবেদিত। তাই তাদের ধ্যানজ্ঞান। আর হালে রাজনীতিতে এমন মনোভাবের তৈরি হয়েছে। অথচ আগে রাজনীতিতে যারা আসতেন তাদের ধ্যানজ্ঞানে জনকল্যাণটাই ছিল লক্ষ্য। কিন্তু এখন রাজনীতি অনেকটা পেশায় পরিণত হয়েছে। পেশা হিসেবে গ্রহণ করে নিজেদের আয়-রোজগারকে ঠিক রাখতেই প্রধানত আমাদের নেতারা বেশি মনোযোগ দিয়ে চলেছেন। এরও অন্যতম কারণ হচ্ছে কেউ তাদের কাজের হেলা অবহেলার জন্য কোথাও জিজ্ঞাসিত হন না।
উন্নয়নের ধারণা যে অনেক কিছু, সে কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। উন্নয়ন কথাটির সাথে গণতন্ত্রের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর উন্নয়নের সামগ্রিকতার মধ্যে গণতন্ত্রের স্থান শীর্ষে। কিন্তু বাংলাদেশ সেখান থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে। বাংলাদেশের জন্মের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। স্বাধীন হওয়ার পর তৎকালীন জাতীয় নেতারা গণতন্ত্রের পথ ধরেই এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে দেশে সংবিধান সেভাবেই রচনা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই চেতনাকে বেশি দিন লালন করা হয়নি। পথে বহু বাধা অতিক্রম করে ২০১৯ যেখানে এসে পেঁৗঁছেছে, তাকে কোনোভাবেই স্বস্তিকর বলা যাবে না। গণতন্ত্রের প্রধান অনুশীলন হলো নির্বাচন। কিন্তু সম্প্রতি দেশে যে জাতীয় সংসদের ভোট হয়েছে তাকে কোনোভাবেই সুষ্ঠু বলা যাবে না। ভোটের প্রধান শর্ত হচ্ছে সর্বজনীন ভোটাধিকার প্রয়োগ। কিন্তু গত নির্বাচনে সাধারণ মানুষ ভোটে অংশ নিতে পারেনি। ভুতুড়ে ভোটে বাক্স ভরেছে। এই গায়েবি ভোট কেবল একজোটের সব প্রার্থীকে বিজয়ী করেছে। এর ফল হিসেবে যে আইনসভা গঠিত হয়েছে তাতে সরকারি পক্ষ ছাড়া আর কোনো পক্ষ নেই।
আর এখানেই উন্নয়নের অংশ হিসেবে ভূমিকা রাখার আর কোনো সুযোগ থাকল না। কেননা উন্নয়নের যে সর্বজনীন নীতি ও পরিকল্পনা হওয়া উচিত তা গণতান্ত্রিকভাবে তথা বহু মতের সমন্বয়ে তৈরি হতে হবে। তা না হলে এই পরিকল্পনার শরিক অন্যরা হতে চাইবে না। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হবে। যা কি না উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রভাব ফেলবে। আর তা ছাড়া উন্নয়নের সাথে অর্থপ্রবাহের সংযোগ নিবিড়। উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ হবে তার ব্যবহার কতটা স্বচ্ছভাবে হবে এবং তাতে অপচয় আত্মসাতের সুযোগ থাকবে না। সেটা পরখ করবে সংসদে বিরোধী দল। অর্থাৎ রাষ্ট্রযন্ত্রের দু’টি ডানাÑ একটি সরকার অপরটি বিরোধী দল। একটি কাজ করবে অপরটি তার পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করবে। কিন্তু আইনসভায় এখন কোনো বিরোধী দল না থাকায় সরকারের ব্যয়ের যথার্থতা নির্ণয়ের কোনো সুযোগ থাকল না। উন্নয়নের অনেক কথা আমরা শুনতে পাই। পাশাপাশি অর্থ নিয়ে দুরাচার দুর্নীতি অপচয় আত্মসাতের বহু খবর আমরা পেয়ে থাকি। শুধু দেশে অঙ্গনেই নয় এসব কথা গোটা বিশ্বে মশহুর আর এ জন্যই সবাইকে লজ্জায় মাথা হেঁট করতে হয়।
কিন্তু এসবের প্রতিকার চাইলে সব কাজের জবাবদিহিতা থাকতে হবে। কিন্তু এখন তা নেই। যে আইন সভার কাজ সরকারের জবাবদিহি করার, সেটা গঠন প্রক্রিয়ায় বিরাট ত্রুটি থাকায় এখন সেই সভায় সদস্যদের পক্ষে জবাবদিহি করার কোনো অবকাশ নেই। কেননা সরকার ও আইন সভা সভ্যরা তো সব একই জোটের সদস্য। তাই তাদের এতটা নৈতিক শক্তি নেই যে, নিজের অপকর্মগুলো তুলে ধরে আত্মসমালোচনার প্রয়াস চালাবে। এর যদি কোনো প্রতিকার না হয় তবে নাগরিক জীবনের উন্নয়ন কোনোভাবে সম্ভব হবে না। এসব দূর করার বিধানাবলি এবং তার রূপায়ণের প্রয়োগ পদ্ধতি থাকা সত্ত্বেও তা গত দশ বছর ধরে সেটা অনুসৃত হচ্ছে না। ফলে অনিয়ম দুর্নীতি সব কিছু গিলে খাচ্ছে। সরকার যদি এসব অনিয়ম অব্যবস্থা দূর করার পথে অগ্রসর না হয়ে নিছক উন্নয়ন নিয়ে সোচ্চার হয় তবে এর ফলে কিছুই হবে না। সম্প্রতি এটা লক্ষ করা গেছে, দেশে ধনিক শ্রেণীর সংখ্যা বাড়ছে; একই সাথে বেকার জনশক্তির সংখ্যা দ্রুত স্ফীত হচ্ছে। চলমান অবস্থায় পরিস্থিতির আরো দ্রুত অবনতি ঘটবে। কেননা এখন রাষ্ট্র পরিচালনার সাথে জড়িতদের বেশির ভাগ ধনিক শ্রেণীর সদস্য। আইনসভার আর্ধেক সদস্যের বেশি হচ্ছেন ধনী ব্যবসায়ীরা।
উন্নয়ন অর্থ হচ্ছে একটি স্বস্তির জীবন। সেখানে পূর্ণ নিরাপত্তা নিয়ে নাগরিকেরা বসবাস করবে। সেখানে আইনের বিধানাবলির প্রাধান্য থাকবে। অর্থাৎ আইনের শাসন বলবৎ থাকবে যাতে করে নাগরিকেরা আইনের সুরক্ষায় জীবনযাপন করতে পারে। সব নাগরিক তাদের অধিকার ভোগ করবে। একই সাথে জীবনের এবং মানসম্মান ও সম্পদের নিশ্চয়তা থাকবে।
আমরা কি বলতে পারব, এমন একটা পরিস্থিতি দেশে বিরাজ করছে। অথচ উন্নয়নের ঢাকঢোল অনবরত সব দিক থেকে শোনা যায়। আমরা শুনি রাজনীতিতে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কথা কিন্তু এমন আন্দোলনে কখন উচ্চারিত হয় না জনগণের উল্লিখিত অধিকারের বিষয়গুলো নিয়ে। বলা হয় না এসব অধিকার ন্যায্য এবং তা পূরণ করতে হবে। বরং আন্দোলন হয় নেতা ও দলের ক্ষমতা অর্জন ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে। ছোট্ট এই ভূখণ্ডে ষোলো কোটির বেশি মানুষের বসবাস। এই বিপুল জনশক্তিকে সম্পদে পরিণত করতে অপার সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত হতে পারে। অথচ আমাদের চিন্তায় একে সম্পদ হিসেবে দেখা হয় না বরং এটা দায় হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। এদের জন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে আজ বিপুল সংখ্যক যুবক নানা ধরনের মাদকে আসক্ত হয়ে উঠছে। এদের মাদকাসক্তি গোটা জাতিকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এদের নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা প্রকাশ করা হয় কিন্তু পরিশুদ্ধির পথ খুঁজে বের করা হচ্ছে না।
আমাদের সংবিধানে উন্নয়নের একটি সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেয়া রয়েছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫তে সন্নিবেশিত রয়েছে, ‘রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হইবে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে উৎপাদন শক্তির ক্রমবৃদ্ধি সাধন এবং জনগণের জীবনযাত্রার বস্তুগত ও সংস্কৃতিগত মনের দৃঢ় উন্নতি সাধন, যাহাতে নাগরিকদের জন্য নি¤œ লিখিত বিষয়সমূহ অর্জন নিশ্চিত করা যায় : (ক) অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবন ধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা; (খ) কর্মে অধিকার, অর্থাৎ কর্মের গুণ ও পরিমাণ বিবেচনা করিয়া যুক্তিসঙ্গত মজুরির বিনিময়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার অধিকার। (গ) যুক্তিসঙ্গত বিশ্রাম বিনোদন ও অবকাশের অধিকার; এবং (ঘ) সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার, অর্থাৎ বেকারত্ব, ব্যাধি বা পঙ্গুত্বজনিত কিংবা বৈধব্য, মাতৃপিতৃহীনতা বা বার্ধক্যজনিত কিংবা অনুরূপ অন্যান্য পরিস্থিতিজনিত আয়ত্তাতীত কারণে অভাবগ্রস্ততার ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য লাভের অধিকার।’ কিন্তু এই নির্দেশনাগুলো কি শুধু কেতাবে থেকে যাচ্ছে না?
মানুষ হিসেবে সম্মান মর্যাদা এবং সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য সংবিধান যে দিকনির্দেশনা দিয়েছে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এগুলো অনুসরণ করে যদি সরকারের উন্নয়ন কৌশল প্রণীত হতো তবে দেশের মানুষের দুর্ভোগ থাকার কথা নয়। বোধ করি সংবিধানের পথরেখা অনুসরণে যখন যে সরকার এসেছে তার প্রতি যথাযথ গুরুত্ব না দিয়ে কেবলই নিজেদের ক্ষমতা নির্বিঘœ করার চেষ্টা চালিয়ে গেছে। বিভিন্ন সরকারের এমন দৃষ্টিভঙ্গি সমাজে বৈষম্যের বিস্তার ক্রমাগত বাড়িয়ে নিয়ে গেছে। একই সাথে এ কথাও স্মরণ করা দরকার যে, দলগুলো নির্বাচনের প্রাক্কালে জনকল্যাণের নানা ফিরিস্তি দিয়ে থাকে। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে এসব প্রতিশ্রুতির প্রতি তাদের তেমন মনোযোগ লক্ষ করা যায় না। তাই এসব প্রতিশ্রুতিকে কেবল মন ভুলানোর নিমিত্ত বলে ধরে নেয়া যেতে পারে। আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে সততা ও দায়িত্ব বোধের যে চরম ঘাটতি রয়েছে এসব তারই উদাহরণ। এমন মানসিকতার পরিবর্তন না ঘটলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে যে দায়িত্ব তাদের রয়েছে সেটা উপলব্ধি করলেই শুধু চলবে না এই উপলব্ধির বাস্তব প্রতিফলনও ঘটাতে হবে।
উন্নয়ন বললে এই ধারণাই পোষণ করতে হবে, একটি নিরাপদ সমাজে বসবাস করা মৌলিক অধিকার ভোগ করা। আমাদের সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। দেশের প্রধান আইনগ্রন্থ সংবিধানে ২০টি মৌলিক অধিকার নাগরিকদের জন্য নিশ্চিত করেছে। এর একটি হচ্ছে জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার রক্ষণ। কোনো ব্যক্তির জীবনের স্বাধীনতা না থাকলে সে ব্যক্তি পদে পদে বাধাগ্রস্ত হবে। আজ যেমন নিরপরাধ নাগরিকদের দেশের বিভিন্ন স্থানে গায়েবি মামলা দায়ের করে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে, এটা কোনো নিরাপদ সমাজের প্রতিচ্ছবি নয়। এ ধরনের হয়রানি সংবিধান অনুমোদন করে না। সরকার যদি সমাজকে নিরাপদ হিসেবে দেখতে চায় তবে অবশ্যই এর প্রতিবিধান করার ব্যবস্থা নিতে হবে। আজকে সরকার তার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক সংগঠনকে সভা সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। এটা সংবিধানের পরিপন্থী। যেমন সংবিধানে রয়েছে, ‘জনশৃঙ্খলা বা জনস্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হইবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।’ কোনো বৈধ সরকারের পক্ষে সংবিধানের এই নির্দেশনা উপেক্ষা করার অধিকার নেই।
একটি গণতান্ত্রিক সমাজে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সংবিধান এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তার সংযোজিত করেছে। সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদে রয়েছে ‘চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা দান করা হইল।’ এখানে আরো সংযোজিত রয়েছে, ‘প্রত্যেক নাগরিকের বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের এবং সংবাদ ক্ষেত্রে স্বাধীনতা নিশ্চয়তা দান করা হইল।’ সংবিধানে এসব স্বীকৃতি একটি উন্নত স্বাধীন সমাজ তৈরির সহায়ক। তবে এসব নীতিনির্দেশ পালনের ব্যাপারে সরকারের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা দরকার রয়েছে। প্রতিটি গণতান্ত্রিক দেশ এ মৌলিক নীতিগুলোকে গ্রহণ করে নাগরিকদের জীবনে স্বচ্ছন্দ বিধান করে। আমাদের গণতন্ত্রের অনুসারী বলে জাহির করি কিন্তু বাস্তব অনুশীলনে সেটা দেখা যায় না।
ndigantababor@gmail.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা