২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

চলছে আস্থার সঙ্কট

চলছে আস্থার সঙ্কট - ছবি : সংগৃহীত

নতুন বছর, সেইসাথে নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশের। নতুন বছরে মানুষের স্বাভাবিক প্রত্যাশা থাকে আগামী দিনের প্রত্যাশিত প্রাপ্তির। এর সাথে সংযুক্ত হয়েছে নতুন সরকারের দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। নির্বাচনের আগে সরকারের প্রতিশ্রুতি ছিল প্রশ্নমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের। কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি রক্ষিত হয়নি। এই হতাশার পর এখন আলোচনা চলছে ক্ষমতাসীনদের নির্বাচনী ওয়াদা নিয়ে।

সব সময়ই নির্বাচনের আগে প্রতিটি দলই বলে থাকে, বিজয়ী হলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য আকাশচুম্বী অনেক ওয়াদা বাস্তবায়ন করবে। তারা নানা আশার কথা শুনিয়ে থাকে। কিন্তু ভোট পেয়ে ক্ষমতায় গেলে এসব কথার আর বিশেষ মূল্য থাকে না। তখন ক্ষমতা আর প্রভাব-প্রতিপত্তি হয়ে উঠে মুখ্য বিষয়। এটা কোনো নতুন বিষয় নয়, হামেশাই এমন ঘটে আসছে। এটা আমাদের রাজনীতি এবং রাজনৈতিক সংগঠনের সততার ঘাটতিকেই প্রমাণিত করে। রাজনীতিকেরা তাদের প্রতিশ্রুতিপত্র তথা যে অঙ্গীকারনামা, সেই দলিলের প্রতি উদাসীন শুধু নন, বাংলাদেশের লক্ষ্য, এর উন্নয়নের গতিপথ মানুষের সর্বজনীন অধিকারগুলো সংরক্ষণের যে নির্দেশনা জাতির পবিত্র গ্রন্থ সংবিধানে রয়েছে, তার প্রতি অপরিসীম উদাসীনতা দেখিয়ে আসছেন। অথচ রাজনীতিকেরা ক্ষমতায় গিয়ে যখন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন তারা শপথবাক্য উচ্চারণ করে বলেন, ‘আমি সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান করিব’; আর এই সংবিধানেই জাতির অগ্রগতির স্থায়ী পথনির্দেশ রয়েছে। কিন্তু এই শপথের বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায় না। সংবিধানের নির্দেশনার প্রতি দায়বদ্ধতার এই অভাব থেকে তো এটাই ভাবতে হয় যে, অন্য কিছুর প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোর আর কোনো গরজ তাদের থাকার কথা নয়। এমনটি সব রাষ্ট্রীয় নির্বাহীর মধ্যে লক্ষ করা যায় বলে আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রে গলদ এত বেশি। সেই সাথে, এই ভুলের জন্য কোনো গ্লানিবোধ অনুভব করা হয় না। এ বিষয়গুলো কেউ ধরিয়ে দিলে তাকে ধৃষ্টতা হিসেবেই ধরে নেয়া হয়। সমালোচনা সহ্য করার এমন ঘাটতি ‘বিশুদ্ধ’ হওয়ার বিরাট অন্তরায়।

বাংলাদেশের সংবিধানের শুরুতেই এর প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা আছে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা। সেখানে বলা হয়েছে, দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। আর এই সংবিধান বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিস্বরূপ। তাই এই সংবিধানের সার্বিক প্রাধান্য অক্ষুণœ রাখা এবং এর রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান প্রতিটি নাগরিকের সুমহান কর্তব্য। দেশের প্রতিটি নাগরিক যদি দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সংবিধানের এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাকে গ্রহণ করে নেয়, তবে বাংলাদেশ আর বহুদিক থেকে পিছিয়ে থাকা একটি জনপদ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে না।

অতীতে এই বাংলাদেশেও রাজনীতিকে ধরে নেয়া হতো জনসেবার মাধ্যম হিসেবে। কিন্তু এখন এটা নিছক পেশায় পরিণত হয়েছে। আগে রাজনীতিতে আসতেন শিক্ষক, কৃষিবিদ ও আইনজীবীরা। অথচ এবার এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, যারা সংসদে গেছেন তাদের ১৬০ জনের বেশি ব্যবসায়ী। স্বাভাবিকভাবে তাদের চিন্তা-চেতনায় ব্যবসার প্রাধান্য থাকাটাই স্বাভাবিক। তাদের পক্ষে মনেপ্রাণে অন্য বিষয় নিয়ে ভাবার অবকাশ কম। দুনিয়ায় অর্থকড়ি অনেক ভালো উদ্যোগকে সফল করতে পারে বটে, কিন্তু অর্থলিপ্সা বহু অঘটন ঘটিয়ে সমাজকে কলুষিত করে। এখন যে উপসর্গ দেখা দিয়েছে দুর্নীতির, সেটা প্রধানত অর্থকড়ি লোপাট করাকে কেন্দ্র করে। এখন সরকারি ব্যাংকগুলোর যে শোচনীয় অবস্থা, তা প্রমাণ করে যে, অর্থনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন অনিয়ম-অব্যবস্থায় ভরে গেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সফলতার সাথে তার কর্মকাণ্ড পরিচালিত করতে ব্যর্থ। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে রাজনৈতিক পছন্দ-অপছন্দকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। আর এই রাজনীতির হাত এতটাই শক্তিশালী ও কৌশলী যে, সুযোগ পেলেই তা সর্বগ্রাসী হয়ে ওঠে।

নির্বাচনোত্তর বাংলাদেশে এখন যদি জিজ্ঞাসা করা হয়- আমাদের বড় সঙ্কট কোনটি? তবে এক বাক্যেই সবাই বলবেন- গণতন্ত্রহীনতাই এ অঞ্চলের মূল সঙ্কট। মাত্র শেষ হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সাদা চোখেই দেখা গেছে এই নির্বাচনের স্বরূপ। এ বিষয়ে আরো কিছু বললে হয়তো অনেকে বিরক্ত হবেন। এতটুকু বলা যায়, এই সংসদ দশম সংসদের মতোই, অর্থাৎ জনপ্রতিনিধিত্বশীল নয়। অথচ বহু প্রত্যাশিত এই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে এবং মানুষ তার ভোটাধিকার ফিরে পাবে বলে প্রত্যাশা ছিল। অথচ তা হয়নি। এই আশা দৃঢ় ভিত্তি পেয়েছিল এ কারণে যে, ক্ষমতাসীন মহল থেকে বলা হয়েছিল, তারা যেনতেন নির্বাচন চান না। নির্বাচনে এই আশ্বাস রক্ষিত হয়নি। এই আশ্বাসের প্রতি যে চরম অবিশ্বস্ততা দেখানো হয়েছে, তা সাধারণ কোনো ব্যাপার নয়। এটা সংবিধানের চেতনার প্রতি অশ্রদ্ধা।

সেইসাথে মানুষের মৌলিক অধিকারের প্রতি অবজ্ঞাও দেখানো হয়েছে। সংবিধানের যে চার মূলনীতি রয়েছে, তার মধ্যে গণতন্ত্র অন্যতম। সংবিধানের ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে রয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানব সত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে।’ রাষ্ট্র গণতন্ত্রের প্রতি এতটা গুরুত্ব দেয়া সত্ত্বেও বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন নেই। রাষ্ট্র অধিকতর গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা হিসেবে সংসদীয় গণতন্ত্রকে বেছে নিয়েছে। কিন্তু যারা এই গণতন্ত্রের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে বজায় রেখে তার সুষ্ঠু চর্চা করবে, সেই রাজনীতিকরা আন্তরিক নন। তারা বরং উৎসাহী নিজেদের ক্ষমতার চর্চা করতে। নির্বাচন গণতন্ত্রের একটি অনুশীলন তখনই হতে পারে, যখন নির্বাচনপ্রক্রিয়া হবে প্রশ্নহীন। নির্বাচনের অনুশীলনে দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন অতীতে কখনো বিতর্কমুক্ত হতে পারেনি। এবারো তারা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেননি। অথচ বিতর্কমুক্ত নির্বাচন করার যাবতীয় ক্ষমতা দেশের আইন তাদের দিয়েছে। গণতন্ত্রের আজ যে করুণ দশা, তা দেশের মানুষকে চরমভাবে হতাশ করেছে। এর পাশাপাশি আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে আইন অমান্যকারীরা। এটা আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন ছাড়া কিছু নয়।

চতুর্দিকে এখন যে অব্যবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে দেশের মালিক জনগণ হতবুদ্ধি হয়ে পড়েছে। এমন নৈরাশ্য দেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। রাষ্ট্রের মানুষ রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নির্লিপ্ত হয়ে পড়লে সমাজ ভেঙে পড়বে এবং দৌরাত্ম্য বাড়বে দুর্বৃত্তদের। এটা রাষ্ট্রকে অকার্যকর করে ফেলার হুমকির সম্মুখীন করবে জাতিকে। স্মরণ রাখতে হবে, রাষ্ট্র যদি এই নাজুক অবস্থায় পড়ে, তবে সরকারের ব্যর্থতার দায় এড়ানোর কোনো পথ থাকবে না। সরকারের পক্ষে বারবার বলা হয়েছে, তারা ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থাকতে চান। যাতে তারা তাদের গৃহীত কর্মসূচি দীর্ঘ মেয়াদে থেকে সম্পন্ন করতে পারেন। যেভাবেই হোক, টানা তিন মেয়াদে তারা ক্ষমতায় রয়েছেন। কিন্তু তাদের অতীত পর্যালোচনা করলে এ কথা বলা যাবে না যে, খুব ভালোভাবে দেশ পরিচালিত হয়েছে এবং জনগণ তাদের ওপর সন্তুষ্ট।’

গণতন্ত্রের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে বাক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। সংবিধান তার পূর্ণ নিশ্চয়তা দিয়েছে বটে; কিন্তু প্রশাসন এর ওপর প্রভাব সৃষ্টি করে থাকে। ফলে প্রকাশ্যে কোনো অন্তরায় দৃশ্যমান না হলেও সংবাদপত্রসেবীরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করেন, ভীতির কারণে। সব সত্য প্রকাশ করতে সাহসী হচ্ছেন না। সংবাদপত্র সমাজের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ষোলোআনা সোচ্চার হতে পারছে না। মানুষের জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়াটা সরকারের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত হলেও সে ক্ষেত্রে বৈষম্য ঘটে। যারা পক্ষপাতিত্বহীন ভূমিকা পালন করে, তারা সরকারের সুনজরে থাকে না। বিগত নির্বাচনে লক্ষ করা গেছে সংবাদপত্রগুলো সব সত্যকে প্রকাশ করেনি। এটাকে নীতি বিরুদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি গণতন্ত্রকে ত্রুটিমুক্ত করার যে জাতীয় অভিপ্রায় তার প্রতি সমর্থনের ঘাটতি হিসেবেই ধরে নিতে হয়। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের এই সঙ্কট আরো বিস্তৃত। গণতন্ত্রের নিজস্ব একটা সংস্কৃতি রয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই দলগুলোর মধ্যে নীতি ও আদর্শের তফাত থাকবেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও অন্তত দলের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান থাকা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অংশ। পরস্পরের আদর্শের ভালো মন্দের আলোচনা সমালোচনা হবে বটে, কিন্তু সে সমালোচনা বিদ্বেষপূর্ণ হওয়া সমীচীন নয়। তবু এই সহিষ্ণুতার বড় অভাব এখন পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভাগ্য হচ্ছে, ক্ষমতাসীনেরা প্রতিপক্ষের প্রতি সব শালীনতা অতিক্রম করে বাক্যবাণে তাদের জর্জরিত করে থাকে।

এমন অবস্থার ফলে পরস্পর সৌজন্যমূলক সম্পর্ক বজায় থাকে না। এতে, রাষ্ট্রীয় কোনো দুর্যোগ মুহূর্তে পরস্পর মতবিনিময় করাটাও সম্ভব হয় না। এটা শুধু দলবিশেষের সমস্যা নয়, এর ফলে রাষ্ট্রীয় ক্ষতি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সরকারকে নিজেদের ওপর আস্থা বাড়ানোর কাজটি করতে হবে। বর্তমান সরকার নিজেদের সবার সরকার হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। কিন্তু শুধু এতটুকুতে জনগণের আস্থা ফিরবে না। কেননা অতীত থেকে এমন উদাহরণ টানা যাবে না যে, তারা জনগণকে মূল্যায়ন করেছেন এবং তাদের ভোটের ওপর ভরসা করেছেন। জনসন্তুষ্টি নিয়ে এবারো সরকার ক্ষমতায় আসেনি। তাই তাদের যোগ্যতা ও সততা প্রদর্শন করা কর্তব্য। সংসদ এবার ‘এক জোটের’ হওয়ায় সরকারের জবাবদিহিতার ঘাটতি বিগত দিনগুলোতে যেমন ছিল, তা এখনো বজায় থাকবে। অথচ একটা সরকারের ঠিক পথে চলার জন্য অবশ্যই জবাবদিহিতার প্রয়োজন। তা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। তবে সমালোচনাকে গ্রহণ করার মানসিকতা যেমন থাকা দরকার, তেমনি সমালোচকদের সতর্ক থাকতে হবে শুধু সমালোচনার জন্য সমালোচনা হলে এটা কারো কল্যাণেই আসবে না। সরকার যেমন একপেশে হওয়া উচিত নয়, তেমনি প্রতিপক্ষকেও এই বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিষ্ণুতার যে অভাব তা দূর করতে সক্ষম না হলে এর পরিণতি কারো জন্যই ভালো হওয়ার কথা নয়।

বিজয়ী হওয়ার পর ক্ষমতাসীনেরা এখন গুরুত্ব দিচ্ছেন দলের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে। যদি সততার সাথে এই ইশতেহারের জন্য সরকার কাজ শুরু করে, তবে ভালো কথা। কিন্তু একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে। গত ১০ বছর কী তারা নিজেদের ইশতেহার নিয়ে ভেবেছেন বা কাজ করেছেন। আর না কোনো জবাবদিহি গত ১০ বছর সংসদে তাদের করতে হয়েছে। এবার সেই একই দশা সংসদের; প্রকৃত অর্থে তাদের প্রতিপক্ষ বলে কিছু নেই। সরকার কি মনে করে যে তারা নিজেরা সব ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে? কিন্তু মানুষ হিসেবে সব ত্রুটির ঊর্ধ্বে ওঠা সম্ভব নয়। এখন সংসদে প্রতিপক্ষ না থাকাজনিত সঙ্কটের কারণ কি সরকারের দূর করা উচিত নয়? দেশের মানুষ এই সঙ্কটের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে গণতন্ত্রহীনতা। গণতন্ত্রের বড় অনুশীলন হচ্ছে নির্বাচন, যা শুধুই নির্বাচন নয়, বলতে হবে ‘প্রশ্নমুক্ত নির্বাচন’। দেশের মালিক দেশের সব জনপদের প্রতিটি মানুষ তাদের বাছাই করা প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সংসদ গঠন করার অধিকার থাকতে হবে। তবেই সংসদের প্রকৃত জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
ndigantababor@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement