ভবিষ্যৎ সরকারের পথচলা মসৃণ হবে কি?
- সালাহউদ্দিন বাবর
- ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:২৭
পূর্বসূরিদের কাছ থেকে যারাই এবার নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষমতা গ্রহণ করবেন, তারা উত্তরাধিকার সূত্রে তেমন ভালো একটা অবস্থার অধিকারী হবেন না। তাই ভবিষ্যৎ সরকারের পথচলা মসৃণ হওয়ার কারণ দেখা যাচ্ছে না। দেশের হাল অবস্থা এমন নয় যে, তারা কোনো চ্যালেঞ্জ ব্যতিরেকেই রাষ্ট্রযন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। গত দশ বছরে দেশে উপযুক্ত পরিকল্পনা ও সুষ্ঠু উদ্যোগ না থাকায় রাজনৈতিক, সামাজিক সঙ্কট পুঞ্জীভূত হয়েছে বিপুলভাবে; যার ফলে নাগরিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে আছে। ক্ষমতাসীন দল যদি নতুন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে, তাতেও তেমন পরিবর্তনের আশা করা যায় না।
গত দশ বছরে একটি কথা সরকারের পক্ষ থেকে দেশবাসী বারবার শুনেছে যে, দেশের প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে। কিন্তু উন্নয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সূচক হচ্ছে কর্মসংস্থান। বিভিন্ন গবেষণা রিপোর্টে দেখা গেছে, বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। মাত্র গত সাত বছরেই বেকারত্বের হার দ্বিগুণ হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এ দেশে উচ্চশিক্ষা এখন আর কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। তরুণেরা যত বেশি লেখাপড়া করছে, তত বেশি বেকার থাকার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। তাই এ দেশে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) আঞ্চলিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এই বিস্ময়কর চিত্র উঠে এসেছে। এ অঞ্চলের ২৮টি দেশের বেকারত্ব, তরুণদের কর্মসংস্থান, নিষ্ক্রিয় তরুণদের হার, আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক কর্মসংস্থান, কর্মসন্তুষ্টি ইত্যাদির তুলনামূলক চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব ২০১০ সালের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে ২০১৭ সালে ১২ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্য দিকে, এ দেশে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্ব ১০ দশমিক ৭ শতাংশ, যা এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় ২৮টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আইএলওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে দেড় যুগ আগে ২০০০ সালে সার্বিক বেকারত্বের হার ছিল ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১০ সালে তা ৩ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়ায়। ২০১৩, ২০১৬ ও ২০১৭ সালের হিসাবে এই হার থাকে ছিল ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। বাংলাদেশে পুরুষদের বেকারত্ব ৩ শতাংশের বেশি ও নারীর ক্ষেত্রে ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগ না থাকায় গত সাত বছরে নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠার হার নিতান্ত কম। দেশে সার্বিক পরিস্থিতি এখনো বিনিয়োগবান্ধব নয়। বিনিয়োগের জন্য যে অবকাঠামো ও জ্বালানির যে প্রকট ঘাটতি, তাও শিল্পের অনুকূলে নয়। এই চিত্রের পাশাপাশি সরকারের উন্নয়নের দাবি ধোপে টিকে না।
উন্নয়ন ও গণতন্ত্র পাশাপাশি চলে। সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী, যদি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়, তাহলে প্রশ্ন ওঠে-গণতন্ত্র কোথায়? এই লেখা যখন তৈরি হচ্ছে তখন নির্বাচনের সময় অত্যাসন্ন। আর যখন এ লেখা প্রকাশিত হবে তখন সব কিছু ঠিক থাকলে নির্বাচন হয়ে যাবে। তাই সংসদ নির্বাচন কেমন হবে, তা বলার অবকাশ নেই। তবে এবার নির্বাচনের আগে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে গণতন্ত্রের একটি বড় অনুশীলন হিসেবে নির্বাচন শুদ্ধতা পাবে বলে মনে হয় না। কিন্তু পুরো জাতির প্রত্যাশা ছিল- এবার নির্বাচন ‘যেনতেন’ হবে না। সরকারি মহল থেকে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিল যে, তারা ‘যেনতেন’ নির্বাচনে বিজয়ী হতে চান না। কিন্তু এই অঙ্গীকারের প্রতি তাদের আন্তরিক বিশ্বাস নির্বাচনী মাঠে দেখা যায়নি। তাই উন্নয়ন ও গণতন্ত্র নিয়ে কারো উল্লসিত হওয়ার কিছু নেই, বরং বাস্তবতা দেখে গভীর হতাশার দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসবে। গণতন্ত্রের অর্থ শুধু ভোট দেয়া নয়; এটা বিশেষত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাছে সার্বক্ষণিক সংস্কৃতি হয়ে ওঠা উচিত। আচার-আচরণ ও ধ্যান-ধারণায় সবাইকে গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান শিক্ষা, পরমতের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহিষ্ণুতা অর্জন ও চর্চা করতে হবে। আগামী দিনে রাষ্ট্রক্ষমতায় যারা আসবেন তাদের গণতন্ত্র ও উন্নয়ন নিয়ে বিশেষভাবে ভাবতে হবে।
গত পাঁচ বছর গণতন্ত্রের অনুপস্থিতির কারণে দেশে জবাবদিহিমূলক প্রশাসন ছিল না। গত সংসদ নির্বাচিত ছিল না বলে এবং একদলীয় হওয়ার কারণে তা সরকারের কোনো জবাবদিহি নিতে পারেনি। বস্তুত বিগত দিনগুলোতে আইন বিভাগ স্থবির হয়ে পড়েছিল। রাষ্ট্রের তিন অঙ্গের অন্যতম আইন বিভাগ। তাদের অকার্যকারিতার জন্য পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র এক ধরনের স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় চলেছে।
সংসদে ছিল না প্রকৃত কোনো বিরোধী দল। সংসদের বাইরে ছিল অন্যান্য সব দল। কিন্তু বৈরী পরিবেশে তাদের পক্ষে কখনোই পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি সাংগঠনিক কার্যক্রম। একটা বদ্ধ পরিবেশে কেটেছে পাঁচটি বছর। যে সমাজে গণতন্ত্রের অনুশীলন হতে পারে না, সেই সমাজে স্বাধীন সাংবাদিকতা চলতে পারে না। ভয়ভীতির কারণে সাংবাদিকেরা ‘সেলফ সেনসর’ করছেন। সব সত্য মুক্তভাবে বলতে না দেয়ার লক্ষ্যে সরকার আইন তৈরি করেছে। এই আইন বাতিলের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে আন্দোলন করা হলেও এই সোচ্চার প্রতিবাদের দিকে ভ্রুক্ষেপ পর্যন্ত করা হয়নি। গণতন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলন হচ্ছে নির্বাচন। সেই নির্বাচন প্রশ্নমুক্ত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু নির্বাচনের যে স্বরূপ এবার দেখা গেছে তাতে এক কথায় বলতে গেলে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সংবিধান এই কমিশনকে পূর্ণ ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব দিয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য, কিন্তু তারা তাদের সে গুরুদায়িত্ব পালনে নিষ্ঠার পরিচয় দেননি। তাই এমন সম্ভাবনাই রয়ে গেল যে, একাদশ সংসদে আগের সংসদের মতোই সরকারের একচ্ছত্র প্রাধান্য বজায় থাকবে।
ফলে সংসদ তার যথাযথ দায়িত্ব পালনে সমর্থ হবে না। এতে করে সরকারের জবাবদিহি করাও সংসদের পক্ষে সম্ভব হবে না। আর একটি বিষয় এবার স্পষ্ট হয়ে গেল, দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে পুরো প্রশাসনকে তারা নিজদলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছেন। এই আশঙ্কা আগেই বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বারবার প্রকাশ করা হয়েছে যে, নির্বাচনে এমনটি হবেই। তাই নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিষয়টির সুরাহা করা আগামী সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হয়ে দাঁড়াবে। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে কমিশনের ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন ওঠায় এর গঠনপদ্ধতি সম্পর্কে ভাবতে হবে। সরকার নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের মনোনয়ন দিয়ে থাকে। এর ফলে সরকারঘেঁষা ব্যক্তিরাই কমিশনে মনোনয়ন পেয়ে থাকেন। তাই তাদের পক্ষে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করা কিছুতেই সম্ভব হয় না। সেজন্য এ বিষয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।
গত দশ বছর দেশে গণতন্ত্রের সুষ্ঠু চর্চার অভাব থাকায় গণতান্ত্রিক সমাজে যে নীতিবোধগুলোর অনুশীলন হয়ে থাকে, তার অন্যতম প্রধান দিক, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শিত হয়নি। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান লক্ষ্যগুলোর মধ্যে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা ছিল অন্যতম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও মানবাধিকারের বাণী নিভৃতে কাঁদছে। অথচ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন মহান সংবিধানের ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সামগ্রিক অবস্থা দেখলে মনে হবে, আমাদের এই ভূখণ্ড মানবাধিকার লঙ্ঘনের চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধানের ২৬ নম্বর থেকে ৪৭ ক অনুচ্ছেদ পর্যন্ত নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলো সুবিন্যস্ত করা হয়েছে এবং অধিকারের প্রকৃতি ও ভোগের নিশ্চয়তা সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। অনুচ্ছেদে ২৬-এ বলা হয়েছে, মৌলিক অধিকারের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সব আইন বাতিলের যোগ্য। এতকাল সংবিধানের নির্দেশগুলোর প্রতি অবহেলা করা হয়েছে। এর ফলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি। আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবেন, তাদের এ বিষয়ে বিশেষ মনোযোগী হতে হবে।
দেশের সর্বোচ্চ আইনের নির্দেশ অনুসরণ করতে যে অবহেলা আমরা করি তা থেকে প্রমাণিত হয়, শাসকবর্গ ও অন্যদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও জ্ঞান কতটুকু। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ বিশ্বের ১১৩ দেশের মধ্যে ১০২তম স্থানে রয়েছে। এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। মধ্য আয়ের ৩০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ২২তম স্থানে। এই তথ্য থেকে বুঝে নেয়া যায়, বাংলাদেশের মানুষ আইনের কতটা সুরক্ষা পায়। আইনের শাসনের ওপর একটি আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট আটটি সূচকের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। সরকারের ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা, দুর্নীতির অনুপস্থিতি, উন্মুক্ত সরকার, মৌলিক অধিকার, নিয়ম ও নিরাপত্তা, নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতার প্রয়োগ, নাগরিক ন্যায়বিচার ও মৌলিক অধিকার, নাগরিক ন্যায়বিচার ও ফৌজদারি বিচার- এই আটটি সূচকের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
একটি দেশের মানুষ আইনের সুরক্ষা কতটা পেয়ে থাকে, রাষ্ট্রের কাছ থেকে তার জীবন ও সম্পদের কতটা নিরাপত্তা পায়; সে দেশে আইনের শাসন কতটা কার্যকর রয়েছে তা থেকে পরিমাপ করা যায়। এর সাথে নিয়মশৃঙ্খলা, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন কতটা কার্যকর, তা বোঝা যায়। সরকারের সাফল্য নির্ভর করে নাগরিকদের আইনের ন্যায়ভিত্তিক প্রয়োগের মাধ্যমে অধিকার সুনিশ্চিত করার ওপর। যেহেতু আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে আছে; যে সরকার ক্ষমতায় আসবে তাদের জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। একটি নিয়মতান্ত্রিক দেশে আইনের শাসনকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে। আইনের ঘাটতি থাকায় বাংলাদেশের বিশেষ করে নারীরা স্বচ্ছন্দে নেই। যৌন সহিংসতা, স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি, সাংস্কৃতিক ও আর্থিক সুযোগ সুবিধা- এই চার মানদণ্ডে বাংলাদেশের নারীরা নিরাপদ নন। রাজধানী ঢাকার চিত্রও ভালো নয়। রয়টার্স ফাউন্ডেশনের এক জরিপ অনুসারে, ঢাকার অবস্থান স্বস্তির নয়। নারীদের জন্য ‘ভয়ঙ্কর’ শহরের তালিকায় বিশ্বের ১৯টি মেগাসিটির মধ্যে ঢাকার অবস্থান সপ্তম।
যেখানে আইনের শাসন নেই সেখানে এর অনেক উপসর্গ মানুষের জীবন ভোগান্তিতে ফেলে। তার মধ্যে দুর্নীতি একটি। বাংলাদেশে অনেক কিছু নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, কিন্তু এখন দুর্নীতি সব কিছুকে যে ছেয়ে ফেলেছে, তাতে কেউ দ্বিমত করবে না। কারণ, প্রত্যেক নাগরিকই দুর্নীতির কবলে পড়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ করপোরেশনের মূল্যায়নে, চার ধাপ অবনতি ঘটেছে বাংলাদেশের। সম্প্রতি সংস্থাটির প্রকাশ করা স্কোর কার্ড-২০১৯ দুর্নীতিসহ ১১টি সূচকে রেড জোনে আছে বাংলাদেশ। গত বছর বাংলাদেশ সাতটি সূচকে রেড জোনে ছিল। এখন রেড জোনে থাকা ১১টি সূচক হচ্ছে- দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসায় শুরু করার পরিবেশ, বাণিজ্য নীতিমালা, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কার্যকারিতা, ভূমির অধিকার ও প্রাপ্যতা, অর্থনীতিতে নারী ও পুরুষের সমতা, ঋণপ্রাপ্তির সুযোগ, তথ্যপ্রাপ্তির স্বাধীনতা, স্বাস্থ্য খাতে সরকারি ব্যয়, প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারি ব্যয় এবং প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা। ভবিষ্যতের জন্য দেশকে যে অবস্থায় সরকার তার উত্তরসূরির কাছে রেখে যাচ্ছে, তা কোনোক্রমেই উন্নত নয়।
ndigantababor@gmail.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা