অন্য রকম ‘উত্তাপ’ ও সেলিব্রেটির দলবাজি
- মীযানুল করীম
- ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:১৬
একটা দেশের চেহারা ফুটে ওঠে এর রাজধানীর চিত্রে। রাজনীতির বেলায়ও কথাটি সত্যি। বাংলাদেশে এখন যে ইলেকশন ফেবার, রাজধানী ঢাকায় বসেও তার তাপের আঁচ করা যায়। যদি এই শহরে প্রতিদিন মোটামুটি লম্বা পথ অতিক্রম করে আসা-যাওয়া করতে হয়, তাহলে দেখবেন নির্বাচনের তোড়জোড় কেমন আর কত ধরনের। যানবাহনের গায়ে একটা পোস্টার। ‘নৌকায় ভোট দিন’ আবেদন একজন শিল্পপতির। এই তরুণের ছবিও আছে সাথে। তার নামটা অনেকের মনে থাকবে, কারণ কিছু দিন আগে তিনি মেয়র পদে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। তার চেয়েও বড় কথা, নতুন ও ব্যতিক্রমী এক দাবি জানিয়ে তিনি ক্ষমতাসীনদের শীর্ষ মহলের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চেয়েছেন। দাবিটি হলো- ‘টুঙ্গিপাড়াকে বাংলাদেশের প্রশাসনিক রাজধানী করুন।’ এর আগে বা পরে আর কারো মুখে এমন কথা শোনা যায়নি।
যা হোক, রাজধানীর তোপখানা রোডে দু’জন বামপন্থী প্রার্থীর পোস্টারের বক্তব্যের যা ফারাক, এতে বোঝা যায়- এ দেশের বামপন্থীদের দুই অংশ; কেউ বর্তমানে সরকারপন্থী, কেউ বা বিরোধী। তাদের একজন বড় নেতার প্রতীক নৌকা; সাথে আওয়ামী লীগ নেত্রীর ছবি। নিচে বাম দলটির নাম লেখা। যদিও অনেকের মতে, এ ধরনের দলগুলোর কাজকাম বাম মতাদর্শের পরিপন্থী। হঠাৎ দেখলে পোস্টারটিকে ক্ষমতাসীন বড় দলের প্রাচীরপত্র বলেই মনে হবে। এই ‘বাম’ দল শেষ অবধি নিজেদের প্রতীক বিসর্জন দিয়ে এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে তার দলের ঘনিষ্ঠতা অর্জন করেছে। ঢাকায় একই সড়কে আরেক বাম নেতার পোস্টার। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, সংসদকে জনসেবা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চান। সে সুযোগ পাবেন বলে মনে হয় না।
কয়েক দিন আগে রাজধানীর একটি এলাকায় গেছি। সন্ধ্যার কিছু আগে হঠাৎ হৈ হৈ রৈ রৈ কাণ্ড। ব্যাপার কী? নির্বাচনী মিছিল। অগ্রভাগে কয়েকজন মহিলা এবং তাদের পেছনে বিভিন্ন বয়সী পুরুষ। ওই দিন সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। তবে এর আগে থেকেই বিশেষ করে ক্ষমতাসীনদের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে এ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রার্থীর শোডাউন শুরু হয়ে গিয়েছিল। এতে বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠলেও নির্বাচন কমিশনারের তৎপরতা ধমক আর হুঁশিয়ারির মধ্যেই ছিল সীমিত। ভোটারদের বিশ্বাস, সংশ্লিষ্ট দলটি ক্ষমতায় আছে বিধায় তাদের ধরা বা ঠেকানো সোজা নয়। অন্য দিকে, খোদ ঢাকা নগরীরই অনেক আসনে বিরোধীদলীয় প্রার্থী তৎপরতা শুরু করার কোনো সুযোগই পাচ্ছেন না। কোনো কোনো প্রার্থীর সব পোস্টার রাতারাতি দেয়াল থেকে উধাও। অবস্থা বেগতিক দেখে কেউ কেউ মাঠে নামছেন না। এর মধ্যেই এক দিকে ভোটের ময়দান ‘সমতল’ করার দাবি এবং অন্য দিকে ‘ভয়েস’-এর পর এবার ‘অ্যাকশনে’ নামার আরো জোরালো ভয়েসের ঘোষণা। এ দিকে, প্লেয়িং ফিল্ডকে কিলিং ফিল্ড বানানোর কুমতলবেও কেউ কেউ অ্যাকশনে নেমে পড়েছে। মানুষের ভয়, না জানি বছরের শেষটা কিভাবে হয় আর ২০১৯ সালে জাতির নসিবে কী আছে। নির্বাচনী রাজনীতির ক্রমবর্ধমান তাপে শেয়ারবাজারে বিরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
পত্রিকার একটি খবর, ‘উত্তাপ চাই, তবে উত্তপ্ত হবেন না।’ কথাটি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের। এর সোজা অর্থ, গোসল করলেও গা ভেজাবেন না। যার উত্তাপ আছে, তার উত্তপ্ত হওয়া অবশ্যম্ভাবী। যে দিন বিতর্কিত সিইসির এই ব্যতিক্রমী বক্তব্য পত্রিকায় উঠেছে, একই দিনে জানা গেল, এবার নির্বাচন উপলক্ষে বৈধ অস্ত্র জমা দিতে হবে না। এ দেশে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার (এমনকি বেআইনিভাবে ভাড়া দেয়া) বড় বড় অপরাধের একটা বড় কারণ। অতএব, ‘ফস্কা গেরো’ থাকলে নির্বাচনের পরিবেশ নিদারুণ উত্তপ্ত করার জন্য এই হাতিয়ার ইস্তেমাল করার আশঙ্কা ব্যাপক। বিলম্বে হলেও এটা বুঝে সরকার নির্বাচনের সময়ে বৈধ অস্ত্র ব্যবহার বা প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে।
সংবাদপত্রের ছবিতে দেখতে পেলাম, দু’জন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক একটি দলের ট্রেডমার্ক পোশাকে সজ্জিত হয়ে (অর্থাৎ হাতাকাটা কালো কোট পরে) দলটির প্রতীকে ভোট দিতে বলছেন। দেশের নাগরিক হিসেবে যে কেউ তার মন মতো দলের সমর্থক হতে পারেন। কিন্তু গোল বেধেছে নায়কদ্বয়ের বক্তব্যে। তারা বলেছেন, তাদের অভিনয় ভালো লাগলে যেন ওই প্রতীককে সমর্থন করা হয়। ব্যাপার হচ্ছে, নির্বাচনকে রাজনৈতিক রঙ্গমঞ্চের নিছক অভিনয় বলা চলে না। এটি আরো অনেক বেশি সিরিয়াস কিছু। আর প্রত্যেক সেলিব্রেটির ভক্ত বেশুমার এবং তারা বিশেষ কোনো একটি দলের সমর্থক হতে পারেন না কিংবা একজন মাত্র নেতা বা নেত্রীর ভক্তও নন।
তাই সঙ্গীত-অভিনয়-নৃত্য-অঙ্কন-সাহিত্য প্রভৃতি অঙ্গনের সেলিব্রেটিরা রাজনৈতিক দলবাজিতে লিপ্ত হলে তাদের ভক্ত-অনুরক্তদের বিরাট অংশই হন বিস্মিত ও মর্মাহত। জাতীয় পার্টির একজন শীর্ষ নেতার জামাতা হলেও একজন প্রখ্যাত অভিনেতা বলে দিয়েছেন, ‘বিশেষ কোনো দলের সমর্থক নই। ভবিষ্যতেও তা হবো না।’ একজন প্রখ্যাত চিত্রনায়িকার সাফ কথা, ‘আমার ভক্তদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়ের লোকজন আছেন। আমি কেন বিশেষ একটা দলকে সমর্থন দিয়ে তাদের মধ্যে বিভেদ আনব?’ আর নাম ধরেই যদি বলতে হয়, তাহলে ‘সঙ্গীতসম্রাজ্ঞী’ রুনা লায়লার কথা উল্লেখ করা দরকার। তার স্বামী চিত্রনায়ক আলমগীর ক্ষমতাসীন দলের ঘোর সমর্থক। এমনকি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি সংসদীয় আসন থেকে তিনি সে দলের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল। তবে রুনা লায়লা পত্রিকার সাক্ষাৎকারে রাজনীতির ব্যাপারে নিজের অনীহার কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট টিমের খেলুড়েদের জনগণ গর্বভরে ‘টাইগার’ বলে থাকে। তাদের লোগোতেও রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ছবি। এমন একজন সেরা টাইগার হলেন বহুলালোচিত মাশরাফি বিন মর্তুজা। ক্রিকেট অঙ্গন ছাড়িয়ে তার প্রশংসা ও জনপ্রিয়তা দেশের সর্বত্র। এই খ্যাতিকে ব্যবহার করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার প্রত্যাশায় ক্ষমতাসীন দল তাকে তরণী (নৌকা) মার্কার প্রার্থী করেছে। প্রকাশিত বক্তব্যে দেখা যায়, জনগণের সেবা করার লালিত স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে তিনিও নির্বাচনে অবতীর্ণ হতে উৎসাহী। তিনি হয়তো জিতবেন। তবে তার স্বপ্ন কতটা পূরণ হবে, না-কি দলীয় রাজনীতির সঙ্কীর্ণতার কাছে ক্রমেই তিনি অসহায় হয়ে পড়বেন, সেটি ভবিষ্যতে দেখা যাবে। ইতোমধ্যেই কোনো কোনো পত্রিকায় আশঙ্কা করা হয়েছে, কোনো দলের পরিচয়ে নির্বাচনে প্রার্থিতা, এমপি হওয়া, এরপর সংসদে দলটির লোক হিসেবে অন্যদের মতো ভূমিকা রাখা প্রভৃতির ধারাবাহিকতায় সবার প্রিয় ক্রীড়াবিদ আর ‘সবার’ থাকবেন না এবং তার জনপ্রিয়তার পারদ দিন দিন নেমে যাবে।
অন্য দিকে, আরেক তুখোড় ক্রিকেট খেলুড়ে সাকিব আল হাসানও একই দলের জন্য ভোট প্রার্থনা করেছেন। দেখা গেছে, দেশের দু’জন বড় ব্যবসায়ীর মাঝে তিনি মঞ্চে উপবিষ্ট। এই দু’জনের একজন ঢাকায় মেয়র প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল। অন্যজন মালিকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোরামে নিজের নেতৃত্বের মেয়াদ বাড়াতে তৎপর বলে অভিযোগ উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন সাকিব শুধু খেলোয়াড় নন, তিনি একজন ব্যবসায়ীও। অতএব, এখানে অন্য বিষয়ও বিবেচনা করতে হবে। তবে কথা হলো, খেলোয়াড়রা তাদের পেশাদারি (খেলার) জীবন শেষে রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি- যা ইচ্ছা তা বেছে নিতে পারেন। অনেকের অভিমত, ক্রিকেট বোর্ডের সাথে চুক্তিবদ্ধ অবস্থায় আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো দলের লোক হিসেবে পরিচিত হওয়া মন্দ নজির বৈকি। কারণ, এর ফলে সংশ্লিষ্ট সেলিব্রেটি জাতির ঐক্যের বদলে বিভাজনের প্রতীক হয়ে পড়তে পারেন।
ভারতে অনেক ক্রিকেটারই ক্রীড়া জীবন শেষ করে রাজনৈতিক জীবনে ঢুকেছেন। হয়েছেন এমপি এবং মন্ত্রী। যেমন- প্রখ্যাত ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধু এখন পাঞ্জাবের মন্ত্রী। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তিতুল্য অর্জুনা রানাতুঙ্গা একজন মন্ত্রী। আর পাকিস্তানের ক্রিকেট সুপারস্টার ইমরান খান তো স্বদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। রাজনীতি যেখানে সঙ্ঘাত-সহিংসতায় আকীর্ণ, এবং জাতি রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত, সেই বাংলাদেশে ক্রীড়াঙ্গনসহ সব ক্ষেত্রেই সেলিব্রেটিরা নিছক আবেগে উচ্ছ্বসিত না হয়ে কিংবা কোনো নেতানেত্রীর কথায় গলে না গিয়ে সাবধানে পা ফেলা প্রয়োজন। জাতি তাদের ভালোবাসে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে। তাই তারা জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হলেই এই ভাগ্যহত দেশটার কপাল কিঞ্চিৎ হলেও জোড়া লাগতে পারে।
জাতীয় পার্টিকে বিশেষত বর্তমান সরকারের সমর্থকেরা বলে থাকেন ‘দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দল’। বাস্তবে এর সাংগঠনিক শক্তি ও জনসমর্থনের হিসাবে দলটি মোটেও তৃতীয় অবস্থানে নেই। প্রশ্নবিদ্ধ পার্লামেন্টের কথিত বিরোধী দল আর প্রহসনের রাজনীতিতে সব সুযোগসন্ধানী কিংবা কথামালার রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে দক্ষ অভিনয় কোনো রাজনৈতিক দলের অবস্থান নির্ধারণ করতে পারে না।
যা হোক, জাতীয় পার্টিতে আবারো এক ধরনের নাটক চলছে বলেই জনমনে ধারণা। ২০১৪ সালের বিনা ভোটের নির্বাচনের আগেও এমনটি ঘটেছিল। শুক্রবার টিভিতে খবর, ‘জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ আছে।’ এটা শুনে সন্দিহান মানুষের সন্দেহ আরো বেড়ে যাওয়ার কথা। এখন লোকে ভাববে, পার্টির মধ্যে অনৈক্যের আশঙ্কা না থাকলে দলের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ঐক্য থাকার’ ঘোষণা দিতেন না। দলের স্বাভাবিক অবস্থায় এমন ঘোষণা দিতে হয় না।
জাপার এই ব্যবসায়ী নেতার নামে বিশেষ ধরনের বাণিজ্যের অভিযোগে এবার তার অকস্মাৎ পতন ঘটেছিল। নমিনেশনও ফসকে যায়। তবে অচিরেই দলীয় প্রধান তাকে টেনে তুলে দলের সার্বিক দায়িত্ব দিয়ে বিদেশে গেলেন। আগে দলটির মহাসচিবের যে গুরুত্ব ও ক্ষমতা ছিল, এখন নতুন মহাসচিবের ততটা নেই। কারণ, তার ওপরে স্থান পেয়েছেন সদ্যবিগত মহাসচিব।
যা হোক, আকস্মিক পতন ও অপ্রত্যাশিত উত্থানে আলোচিত এই নেতার একটি সাম্প্রতিক বক্তব্য আমাদের আলোচনার বিষয়। এবার সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন কার্যক্রমের প্রথম দিকে তিনি ঘোষণা দিলেন, প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়ার বেলায় তিনটি ক্রাইটেরিয়া বিবেচ্য- ১. জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা, ২. নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা, ৩. জিতে আসার সামর্থ্য। কথা হলো, জনগণ তথা ভোটারের কাছে কতটা সমর্থনযোগ্য, এটা নিঃসন্দেহে প্রার্থীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় পয়েন্টটি গণতন্ত্রে একই অর্থবোধক হওয়ার কথা। তবে বাংলাদেশে আজিব কিসিমের নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রে হয়তো ‘নির্বাচিত’ হতে ‘বিশেষ কিছু’ যোগ্যতা থাকা চাই। জাপা নেতা এ বিষয়ের মতো শেষ বিষয়টিরও ব্যাখ্যা দেননি। তা হলো, নির্বাচনে জয়লাভের সামর্থ্য।
এ দেশের জনগণের যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল বিশেষ করে জাপা জনকের আমলে, তা কখনো ভুলে যাওয়া অসম্ভব। সেই দুঃস্বপ্ন দেশবাসী আবার দেখছে গত এক দশকে- ইউপি থেকে উপজেলা হয়ে সংসদ নির্বাচন অবধি। আশির দশকে বলা হতো, ‘হোন্ডা, গুণ্ডা, ডাণ্ডা থাকলে রাজনীতির প্রতিপক্ষ ঠাণ্ডা।’ অতএব, নির্বাচনেও বাজিমাত। শুধু ‘সিল মারো ভাই, সিল মারো।’ গত কয়েক বছরে পরিস্থিতি কেবল এতটা বদলেছে যে, নির্বাচনে জেতার কৌশলে পরিবর্তন এসেছে। তবে সহিংসতার মাত্রায় হেরফের হলেও প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও মিথ্যাচার মিলে অন্যায় অপকৌশলই ‘নির্বাচিত’ হওয়ার মোক্ষম মহৌষধ হিসেবে কাজ করেছে। এ ধরনের নির্বাচন গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানোর জন্য পর্যাপ্ত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা