উন্নয়ন বনাম গণতন্ত্র
- সালাহউদ্দিন বাবর
- ২৫ নভেম্বর ২০১৮, ২০:০৫
এবার নির্বাচনকে ঘিরে দু’টি বিষয় এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে। প্রথমত, ঐক্যফ্রন্টের গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা আর মহাজোটের উন্নয়ন। বিষয় দু’টি এখন পর্যন্ত দুই পক্ষের প্রধান নির্বাচনী স্লোগান। দুই পক্ষ এই দুই বিষয় নিয়ে জনগণের কাছে যাচ্ছে। নির্বাচনে দুই শিবিরের ভোটপ্রার্থীরা আরো অনেক বিষয় নিয়ে অবশ্যই কথা বলবেন বটে, তবে মূল ‘ফোকাসে’ থাকবে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন। প্রায় ১০ বছর মহাজোট ক্ষমতায়, এই সময়ে এরা উন্নয়ন করেছে তার ফিরিস্তি দেবে। পক্ষান্তরে ঐক্যফ্রন্ট গত ১০ বছরে দেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো কী বিপর্যয় অবস্থায় পৌঁছেছে তার চিত্র তুলে ধরবে।
এসব কিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে জনগণ ভোট দেবে। এই বিশ্লেষণের কাজটি সহজ করার দায়িত্ব বোদ্ধাসমাজের। তারা তাদের কথায়, লেখায় বিষয়গুলো স্পষ্ট করলে সাধারণের পক্ষে বিষয়গুলো উপলব্ধি করা সহজ হবে। যার যা পণ্য সে সেটাকে নিশ্চয় ভালো বলে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে। তাই তৃতীয় কারো এর চুলচেরা বিচার করা প্রয়োজন। অন্যান্য ক্ষেত্রে যাই হোক, এবারের নির্বাচনের ক্ষেত্রে ‘ভালো’কে বেছে নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মন্দকে ভালো হিসেবে বেছে নিয়ে ক্ষমতায় পাঠালে তাদের দিয়ে ভালো কিছু পাওয়ার কোনোই সম্ভাবনা থাকে না। সে জন্য ভালোকে মন্দ থেকে বেছে নিতে সাহায্য করার দায়িত্ব বোদ্ধাসমাজের। তাই এমন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে দূরে সরে থেকে দায়িত্ব এড়িয়ে গেলে তাতে দেশের ভয়ানক ক্ষতি হয়ে যাবে।
এবারের নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীদের বেছে দেয়ার কাজটি ভালো করে করতে পারলে দেশের জন্য কল্যাণকর হবে। যদি সহজ হিসাব করা হয়, তবে স্বাধীনতার গত প্রায় ৫০ বছরে দেশের জন্য নেতা নির্বাচনে আমরা সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আর সে কারণে সীমাহীন জনদুর্ভোগ আমরা সহ্য করে চলেছি। এ জন্য বোদ্ধাসমাজের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ত্রুটিহীন সিদ্ধান্ত দেয়া উচিত হবে। মানুষ হিসেবে প্রতিটি ব্যক্তির নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দের প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু বিচারের দায়িত্ব এলে নিজস্ব রাগ-অনুরাগের উপরে উঠে আসতে হয়। এখন তাই বোদ্ধাসমাজকে বিচারকের দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাই নিজস্ব পছন্দের চেয়ে জাতির কল্যাণের বিষয় গুরুত্বের সাথে ভাবা উচিত হবে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রায় ১০ বছর রাষ্ট্র পরিচালনায়। এবার তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা ভোটযুদ্ধে নামতে যাচ্ছে। তারা তাদের পক্ষে ভোট চাইছে এই বলে যে, গত ১০ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশের উন্নয়ন করেছে। উন্নয়নের এই ধারা বজায় রাখতে তাদের ক্ষমতায় যাওয়া দরকার। উন্নয়নের কথা বলা ভিন্ন আর কিছু তাদের বলার নেই। কিন্তু উন্নয়নের বিষয় নিয়ে তাদের কথার বিপরীতেও অনেক তথ্য-উপাত্ত রয়েছে; যা তাদের দাবিকে সর্বাংশে সঠিক বলে প্রতিপন্ন করা যায় না। এ সময়ে ধনী আরো অর্থ-বিত্তের অধিকারী হয়েছে বটে, কিন্তু দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগণ উপরে উঠে আসতে পারেনি। উন্নয়নের একটি সূচক হচ্ছে কর্মসংস্থান বেড়ে যাওয়া। কিন্তু গত ১০ বছরে দেশে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ নেই। ফলে কর্মসংস্থান হচ্ছে না। ফলে বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে প্রকাশ- গত সাত বছরে বাংলাদেশে তরুণের মধ্যে বেকারের হার দ্বিগুণ হয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, উচ্চশিক্ষা নিয়ে এখন আর কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। তরুণরা যত বেশি লেখাপড়া করছে, তাদের তত বেশি বেকার থাকার ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে। দেশে এখন উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি।
আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার (আইএলও) আঞ্চলিক কর্মসংস্থান নিয়ে সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। এশিয়া-প্যাসিফিক এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক-২০১৮ শীর্ষক এই প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এতে ২০০০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলের ২৮টি দেশের বেকারত্ব, তরুণদের কর্মসংস্থান, নিষ্ক্রিয় তরুণদের হার, আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক কর্মসংস্থান, কর্মসন্তুষ্টি ইত্যাদির তুলনামূলক চিত্র উঠে এসেছে। এই চিত্রের পাশে উন্নয়নসংক্রান্ত বক্তব্যের সারবত্তা আর থাকে না। প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব ২০১০ সালের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে ২০১৭ সালে ১২ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্য দিকে উচ্চশিক্ষিত তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব ১০ দশমিক ৭ শতাংশ, যা কিনা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় ২৮ দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের তরুণদের বড় অংশ আবার নিষ্ক্রিয়। তারা কোনো ধরনের শিক্ষায় যুক্ত নয়, প্রশিক্ষণ নিচ্ছে না, আবার কাজও খুঁজছে না।
দেশে এমন তরুণদের হার ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ। মেয়েদের মধ্যে এই হার অনেক বেশি, যা ৪৫ শতাংশের কাছাকাছি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গত এপ্রিল মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশে বেকারের হার ছিল ২৬ লাখ ৭৭ হাজার, যা আগের বছরের চেয়ে ৮৭ হাজার বেশি। ওই সময় কমপক্ষে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে সাড়ে ৪০ হাজার তরুণ-তরুণী বেকার ছিল। সরকারি চাকরির বাজার বেসরকারি পর্যায় থেকে সমধিক করুণ। তবে হালে এর সাথে যোগ হয়েছে রাজনৈতিক বিশ্বাস। অর্থাৎ সরকারি চাকরি পেতে হলে প্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচয় মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি দলের লোক না হলে চাকরি পাওয়া এখন এক ধরনের অসম্ভব।
বাংলাদেশে উন্নয়ন নিয়ে বিতর্ক থাকলে দেশে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এ দেশের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। অপর এক জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ করপোরেশন (এমসিসি) মূল্যায়নে চার ধাপ পিটিয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি সংস্থাটির প্রকাশ করা স্কোর কার্ড-২০১৯-এ দুর্নীতিসহ ১১টি সূচকে রেড জোনে আছে বাংলাদেশ। গত বছর বাংলাদেশে সাতটি সূচকে রেড জোনে ছিল। মোট ২০টি সূচকের বেশির ভাগই লাল তালিকায় থাকায় এবারো পাওয়া যাচ্ছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ ফান্ডের (এমসিএফ) অনুদান। স্কোর কার্ডের উন্নতির ভিত্তিতে কোনো দেশকে এ ফান্ডে যুক্ত করা হয়।
রেড জোনে থাকা ১১টি সূচক হচ্ছে- দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসা শুরুর পরিবেশ, বাণিজ্য নীতিমালা, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কার্যকারিতা, জমির অধিকার ও প্রাপ্যতা, অর্থনীতি নারী ও পুরুষের সমতা, ঋণপ্রাপ্তির সুযোগ, তথ্যপ্রাপ্তির স্বাধীনতা, স্বাস্থ্য খাতে সরকারি ব্যয়, প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারি ব্যয় এবং প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা। এর মধ্যে চারটি সূচক গত বছরের মূল্যায়নে সবুজ তালিকায় থাকলেও এবার রেড জোনে নেমে এসেছে। সেগুলো হলো- দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কার্যকারিতা, অর্থনীতিতে নারী ও পুরুষের সমতা এবং ব্যবসায় শুরুর পরিবেশ। এসব তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করলে উন্নয়ন ও অগ্রগতির যে দাবি সরকারি মহল থেকে করা হচ্ছে; তা ধোপে টেকে না। তা ছাড়া অস্থির দ্রব্যমূল্য, মানুষের জানমালের নিরাপত্তার দিকগুলো বিবেচনা করলে দেশের উন্নয়নের সারবত্তা মেলে না।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনী ময়দানে নেমেছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে। গণতন্ত্র একটি ব্যাপক বিস্তৃত বিষয়। অথচ দীর্ঘকাল থেকে রাষ্ট্রীয় আচারে অগণতান্ত্রিক কার্যক্রম চলছে, বলতে গেলে গণতন্ত্র নির্বাসিত হয়ে আছে। তাই ঐক্যফ্রন্টের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করা যথাযথ। আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে অনিবার্যভাবে এর সাথে উন্নয়ন, গণঅধিকার, এখন রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে জবাবদিহিতার যে অনুপস্থিতি সেটা প্রতিষ্ঠা পাবে। এ বিষয় কায়েম হলে স্বাভাবিকভাবে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। আর আইনের শাসন সমাজে উপস্থিত থাকলে অনিয়ম-দুর্নীতি ও দুরাচার দূরীভূত হবে। দেশের মানুষ ভোটের অধিকার হারিয়েছে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে।
সে সময় সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দলীয় সরকারের পরিবর্তে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি অগ্রাহ্য হলে সব বিরোধী দল সে নির্বাচন বর্জন করেছিল। এর কোনো প্রতিকার না করে সরকার ও তার সহযোগীরা এককভাবে এক প্রহসনমূলক নির্বাচন করে ক্ষমতা গ্রহণ করে। আর গণতন্ত্রের এই সঙ্কট গোটা রাষ্ট্রীয়ব্যবস্থাকে বিশৃঙ্খল করে ফেলেছে। সে কারণে আজকে দেশে যে অনিয়ম-অব্যবস্থা তা নাগরিক জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে। এই প্রেক্ষাপটে এখন হাজির হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন প্রশ্নমুক্তভাবে অনুষ্ঠানের জন্য দেশের অন্যতম বৃহৎ দল বিএনপিসহ আরো কয়েকটি দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছে। এই ফ্রন্ট জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার যে আন্দোলনের সূচনা করেছে, তাকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে দেশের সব মানুষের এই কাফেলার পেছনে দাঁড়ানো জাতীয় কর্তব্য। বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাস বলে জাতীয় দুর্যোগ মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে না।
জাতীয় এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবে নির্বাচন কমিশন। আমাদের এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের অতীতের সব ইতিহাস বিশেষ করে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিশনের ব্যর্থতা স্বাক্ষর বহন করে। বর্তমান কমিশন কয়েকটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন করিয়েছে। এর সবগুলো নিয়ে আত্মতুষ্টির অবকাশ নেই।
দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, জবাবদিহিমূলক শাসন কায়েমের যে নির্বাচন এখন অপেক্ষা করছে, তাকে নিয়ে শুধু দেশের মানুষ নয়, আন্তর্জাতিক সমাজও গভীর সতর্কতা নিয়ে পর্যবেক্ষণ করার জন্য প্রতীক্ষায় রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই নির্বাচনের সুষ্ঠু ফলাফলের ওপর। দেশের উন্নয়ন শান্তিশৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা নির্ভর করবে। নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান তা এর কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে অযোগ্যতা এবং ব্যর্থতা রাষ্ট্রের অপরাপর সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হবে। এভাবে আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যদি একে একে ব্যর্থ হতে থাকে তবে দেশ ভঙ্গুর রাষ্ট্রে পরিণত হবে। দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের এর দায় বহন করা থেকে রেহাই পাওয়ার জো নেই। এ ক্ষেত্রে রাজনীতিকদের দায়ের বোঝাটা যেমন বেশি তেমনি এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের পথও দেখানো তাদের বিশেষ কর্তব্য। একই সাথে যদি জনগণ ভুল করে তবে তাদের রয়েছে দুর্ভোগ।
এবার নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে মাঠে রয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তাদের এই বক্তব্য দেশের তরুণ সমাজের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি করবে সন্দেহ নেই। কারণ গত দশ বছরে দেশে কোনো জাতীয় নির্বাচন হয়নি বলে তাদের পক্ষে দীর্ঘ সময় জাতীয় রাজনীতিতে অংশ নেয়া সম্ভব হয়নি। সে কারণে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিটা তরুণ সমাজ ভালো করে উপলব্ধি করে। সব সমাজেই তরুণরা নতুন দিন ও চিন্তার বার্তা বহন করে থাকে। কিন্তু তাদের এই চেতন তখনই কার্যকর হতে পারে যখন তারা বৃহত্তর জনগণের ভেতর প্রবেশ করার সুযোগ পায়। গণতন্ত্রই তাদের এই সুযোগ করে দিতে পারে। তরুণদের এবার ভোট দিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ আসছে। আগামী দিনে তাদের ভোটে গণতন্ত্র ফিরে এলে, এর পাশাপাশি একটি সত্যিকার জবাবদিহিমূলক প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা পাবে। জবাবদিহিমূলক প্রশাসন কায়েমের ফলে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থের অপচয় রহিত হবে এবং তা সত্যিকার অর্থে উন্নয়নের জন্য ব্যয়িত ও দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা সহজ হবে। দেশে সর্বক্ষেত্রে যে বন্ধ্যতা চলছে তা দূর করার সুযোগ ঘটবে।
ndigantababor@gmail.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা