মাটির তারকা ও জেদের ইভিএম
- মীযানুল করীম
- ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ২০:০৪
একজন আরেকজনকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘ভাই আপনি কোন দল?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘ঠিকই বলেছেন। কোন্দলের মধ্যেই থাকি সারা বছর (আসলে ‘কোন দল’ আর ‘কোন্দল’ শুনতে একই রকম)। এ জন্যই তো আমার প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতা পার্টির নমিনেশন পেপার কিনবে শুনেই তার আগেই সেটি কিনে ফেলেছি।’
সত্যিই, এ কারণেই বাংলাদেশে এত প্রার্থী সংসদ নির্বাচনে ভোটে দাঁড়াতে চাচ্ছেন। একেক আসনে একই দলের ১০, ২০, ৩০ ও ৪০ জন! আমরা গণতন্ত্রের তালিকায় তলানিতে পড়ে থাকলে কী হবে, মনোনয়ন প্রার্থীর সংখ্যার সুবাদে বিশ্বে প্রথম হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। এদের মধ্যে শিক্ষক-সাংবাদিক কম হলেও ব্যবসায়ী, বিত্তবান, উকিল, প্রবাসী- এমনকি চাঁদ-তারার ছড়াছড়ি! চন্দ্র-তারকারা অভিনয় ও সঙ্গীতসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের। তাদের কেউ রাজনীতির অংশ হিসেবে সংস্কৃতিসেবা ও সেবন করে আসছেন; কেউবা ঝোপ বুঝে কোপ মারতে নেমে পড়েছেন নমিনেশনের টিকিট জোগাড় করার জন্য।
মনোনয়ন দৌড়ে মাটির তারকা
তারকা থাকে আকাশে। দুর্ঘটনাবশত তারকা বা নক্ষত্র মাঝে মধ্যে আকাশ থেকে খসে পড়ে এবং পৃথিবীর মৃত্তিকায় পতনের আগেই জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে যায়। বাংলাদেশে এখন কিন্তু তারকার মেলা। তাদের কেউ ঊর্র্ধ্বাকাশ থেকে পতিত হননি। অবশ্য তারা ‘ঘটনা’ ঘটাবেন, নাকি দুর্ঘটনার ট্র্যাজিক হিরো/হিরোইন হবেন, সেটি সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্ত মনোনয়ন লাভ এবং তার চেয়েও বেশি, নির্বাচনী ফলের ওপর নির্ভর করছে। গণ্ডায় গণ্ডায় তারকা বড় দলের মনোনয়নপত্র কিনেছেন; সে মোতাবেক, ইন্টারভিউ দিয়েছেন। এসব তারকার কেউ কেউ কয়েক বছর আগে ছিলেন ‘নগণ্য’, এখন তারা ‘গণ্যমান্য’।
কথিত আছে, একজন তারকা চারদলীয় জোট আমলে ‘তারেক ভাই তারেক ভাই/আমরা শুধু তোমাকে চাই’ মার্কা গান গেয়ে লাইন ঠিক রেখেছিলেন। হাওয়া ভবনের হাওয়া বদলের পর এখন এ ধরনের শিল্পী অন্য ভবনের বন্দনায় লিপ্ত। দিনকয়েক আগে পত্রিকার খবর, অমুক তমুক তারকা রাস্তায় নামছেন (অবশ্য আকাশ থেকে নয়)। তাদের মধ্যে দম্পতিও রয়েছেন। তাদের কাজ হবে একটি দাপুটে দলের পক্ষে ক্যানভাস করা। ‘কিছু পেতে হলে, বিনিময়ে কিছু দিতে হয়।’ যে দলের গুনগান তারা গাইবেন, তারা ইলেকশনে জিতলে ‘পুষিয়ে দেবেন’ বৈকি। তারকাদের ক’টা জ্বলে ওঠে, আর ক’টা দপ করে নিভে যাবে, সেটিই দেখার বিষয়।
এবার ভিন্ন চিত্র। রুনা লায়লাকে বলা যায় সঙ্গীতজগতের মহাজ্যোতিষ্ক। কিন্তু এই বিখ্যাত তারকা রাজনীতিতে নামতে চান না। নির্বাচনের হুজুগ আর নমিনেশনের হিড়িকের মধ্যেও তিনি বেরসিকের মতো বলে দিলেন, আমি রাজনীতি বুঝি না। আমার তেমন আগ্রহও নেই।’ তার স্বামী চিত্রনায়ক আলমগীর ক্ষমতাসীন দলের ঘনিষ্ঠ এবং এ দলের প্রার্থী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগ্রহী বলে শোনা গিয়েছিল।
রুনা লায়লাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এখন তো জাতীয় নির্বাচনের মওসুম। শিল্পীদের অনেকে মনোনয়নপত্র কিনেছেন। বিষয়টাকে কিভাবে দেখছেন? তার জবাব- এটি যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। নায়ক মাহফুজ আহমেদ হলেন জাতীয় পার্টির নেতা এবং স্বয়ং এরশাদের আপন ভাই জি এম কাদেরের জামাতা। মাহফুজ রাজনীতির ব্যাপারে সচেতন, তবে আগ্রহী নন। তাকে প্রশ্ন করা হয়, সামনেই সংসদ নির্বাচন। মিডিয়ার অনেকেই বিভিন্ন দলের কাছে মনোনয়ন চেয়েছেন। আপনার কি তেমন কোনো ইচ্ছা ছিল না? মাহফুজ সরাসরি বলে দেন- কোনো দলীয় রাজনীতির সাথে কখনোই যুক্ত ছিলাম না, ভবিষ্যতেও থাকার সম্ভাবনা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণাতেও আমি জড়াতে পারি না।
নায়িকা মৌসুমী ‘লিডার’ ছায়াছবির নাম ভূমিকায় আছেন। ছবিটি এবার মুক্তি পেয়েছে। খবর রটেছিল, তিনি নাকি সংসদ নির্বাচনে লড়বেন। এমনকি, এমন কথাও শোনা গেছে, মৌসুমী প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগ থেকে। কিন্তু এসব উড়িয়ে দিয়ে তিনি জানিয়েছেন- রাজনীতি করার ইচ্ছা তার নেই মোটেও। তার ভাষায়, আওয়ামী লীগ করলে বিএনপি ভক্তরা কষ্ট পাবে; আর বিএনপি করলে মেনে নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ ভক্তরা। কেন অন্যের চোখে খারাপ হতে যাবো? আমার ভক্তদের কেন বিভক্ত করব? তার চেয়ে এই বেশ ভালো আছি।’
ইভিএম রহস্য : ইসির তোড়জোড়
নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রথমাবধি নানা প্রহসন মঞ্চস্থ করে আসছে। তারা জনগণের আস্থা অর্জনে এখনো সক্ষম হননি। এর কারণ, সাহসের অভাবে সংবিধানপ্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ না করা। জনমনে সন্দেহ, তার কারণ হলো, ‘যোগসাজশ’ ও ‘তল্পিবহন’। আমরা তাদের সম্পর্কে ফাইনাল কমেন্ট না করে বলব, সামনের নির্বাচন তাদের জন্য ‘এসিড টেস্ট’। স্বয়ং সিইসি জানিয়েছেন, দলীয় সরকারের অধীনেও যে নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে, বিষয়টাকে তিনি নিয়েছেন চ্যালেঞ্জ হিসেবে। কমিশন এই চ্যালেঞ্জ উৎরাতে পারে যদি তার নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে পারে নির্বাহী প্রশাসন, তথা সরকারের ওপর। কিন্তু এর নিশ্চয়তা নেই। আমাদের দেশে হিম্মত, হিকমত আর কুওয়ত- কথা তিনটি আজো বহুল প্রচলিত। শব্দ তিনটির অর্থ যথাক্রমেÑ সাহস, বুদ্ধি আর শক্তি। নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান দিয়েছে কুওয়ত (শক্তি)। তা প্রয়োগ করার জন্য থাকতে হবে হিম্মত বা সাহস এবং সেই সাথে হিকমত বা বুদ্ধি। কমিশন এসব যোগ্যতা হাসিলের চিন্তা না করে ইভিএম নিয়ে তোড়জোড় করা কেবল দৃষ্টিকটু নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দেশের মানুষ মনে করে। ভারতের চেয়ে ১১ গুণ বেশি দামে ইভিএম কিনে তা ব্যবহারের জন্য এত জেদ ধরার রহস্য কী?
পত্রিকার খবর, সরকারের বরাদ্দের তহবিল না থাকলেও ইভিএমের পেছনে গরিব দেশের বিপুল অর্থ ঢালা হয়েছে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রামরত সব দল বলেছে, নির্বাচনে যেন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহার করা না হয়। এর বিপরীতে, ক্ষমতাসীন দলটি ইভিএমের পক্ষ নিয়েছে। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থের অনুকূল না হলে তারা এ অবস্থান গ্রহণ করতেন না। দেখা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশন আর আওয়ামী লীগ ইভিএম ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছে। এই যে, অপ্রয়োজনীয় বা গৌণ বিষয়ে বাড়াবাড়ি, এর হেতু কী? বলা হচ্ছে ‘আধুনিক প্রযুক্তির কথা। বাস্তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এখন ইভিএম ইস্যুতে প্রযুক্তি থাকলেও যুক্তি নেই। সর্বোপরি, এমন একটি স্পর্শকাতর ব্যাপারে ইসির অস্বচ্ছতা সচেতন নাগরিকদের মধ্যে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এমন এক অবস্থায়, প্রচারণার অংশ হিসেবে হয়ে গেল ‘ইভিএম মেলা’। রকমারি মেলার তালিকায় এটি সর্বশেষ সংযোজন। একজন ভাষ্যকার ‘প্রথম আলো’ পত্রিকায় লিখেছেন সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির গুরুত্ব ও উপায় নিয়ে। বিভিন্ন জরুরি বিষয়ে নজর দিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়ার দায়িত্ব পালন না করে ইসি ইভিএম নিয়ে কেন এত তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে, জনগণের মতো এটি তারও জিজ্ঞাসা। যা হোক, আমাদের নির্বাচন কমিশন দেশবাসীকে ইভিএমরূপ ‘জেদের ভাত’ গেলাতে যে উঠেপড়ে লেগেছে, এর জ্বলন্ত প্রমাণ হলো রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এবার বিনা প্রয়োজনে ইভিএম মেলার প্রশ্নবিদ্ধ আয়োজন।
পত্রিকায় ওই ভাষ্যকার বলেছেন, ‘তারা (ইসি) ইভিএমের প্রস্তুতিকে অগ্রাধিকার বিবেচনা করে মেলা আয়োজনে সময় ও সম্পদের অপচয় করছে। অথচ ইঙ্গিতে মিলছে, ইভিএম ভোটারদের ভোটদানে নিরুৎসাহিত করবে। গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত দু’দিনের ইভিএম মেলায় অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত, ব্যক্তিদের অনুপস্থিতির হার দেখলেই তার প্রমাণ মিলবে। আবার নির্বাচনের সময় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে অতীতের মতো একই মাত্রায় কাজে লাগাতে কমিশন অনাগ্রহী হলেও ইভিএম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তির অভাব মেটাতে তারা সেনাবাহিনীর দ্বারস্থ হয়েছে। কাগজে রেকর্ড রাখার ব্যবস্থা ছাড়া এই ইভিএম যে, সমূহ বিপত্তির জন্ম দিতে পারে, সে কথা অস্বীকারের উপায় নেই। সবচেয়ে বড় বিপত্তি দেখা দেবে ভোট পুনর্গণনার প্রশ্ন উঠলে। কাগজে রেকর্ড ছাড়া এর কোনো গ্রহণযোগ্য সমাধান নেই।’ ওই কলামিস্ট এ প্রেক্ষাপটে উপসংহার টেনেছেন এভাবে- ‘সুতরাং কমিশনের উচিত হবে অবিলম্বে এই ঝুঁকির পথ পরিহার করে অত্যাবশ্যকীয় কাজগুলোয় মনোযোগী হওয়া। না হলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও তা অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে- এমনটি বলা যায় না। বরং তাদের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের দায় বহন করতে হবে।’
উল্লেখ্য, দেশের প্রখ্যাত প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী ইভিএম সংক্রান্ত কমিটির একজন সদস্য। কিন্তু তার গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নির্বাচন কমিশন গ্রহণ না করেই ইভিএম চাপিয়ে দেয়ার কোশেশ করছে। প্রফেসর চৌধুরী ইভিএমের ব্যাপারে প্রচারণার ক্ষেত্রে তার নাম ব্যবহার না করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তার পরামর্শ ছিল, যথাযথ ভোটার কর্তৃক ভোটদানের প্রমাণ হিসেবে ইভিএমের কাগজে প্রিন্ট রাখার ব্যবস্থা করা। রহস্যজনকভাবে ইসি এটিকে আমলে নেয়নি।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) একটি সাংবিধানিক ও জাতীয় প্রতিষ্ঠান। সুষ্ঠুভাবে জনপ্রতিনিধি বাছাই, তথা ভোটাধিকার অবাধে প্রয়োগের মাধ্যমে গণতন্ত্রচর্চার ক্ষেত্রে এই কমিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, বাংলাদেশের মতো যেসব রাষ্ট্রে গণতন্ত্র কাজের চেয়ে কথায় বেশি এবং রাষ্ট্র ক্রমেই কর্তৃত্ববাদী হওয়ার পথে, সেখানে ইসির ভূমিকা আরো গুরুত্ববহ। ইসির দায়িত্ববোধ, সততা, সাহস ও যোগ্যতা থাকলে গণতন্ত্রের ভিত ক্রমেই মজবুত হবে। এর বিপরীতটা ঘটলে নির্বাচন কমিশন তার যাবতীয় ‘অমিশন’ (ঙসরংংরড়হ) বা করণীয় এড়িয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠাতে পারে। আমাদের ইসির তাই বিরাট পরীক্ষা এবারের নির্বাচনে।
তাদের টার্গেট অবশ্যই থাকতে হবে শতভাগ সাফল্য। কিন্তু যদি নির্বাচনের আগেই সিইসি কিং
তার কোনো সহকর্মী বলে বসেন, ‘নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হয় না’, তা হলে তাদের যোগ্যতা ও আন্তরিকতা, দেশপ্রেম ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন না উঠে পারে না। ব্যাপারটা যেন এ রকম- পাগল সাঁকো পার হবে। আর পাগলামির যাতে সুযোগ না পায়, সে ব্যাপারে সতর্ক না হয়ে যদি তাকে বলা হয়, ‘তুই সাঁকো নাড়াস নে,’ তা হলে সে দ্বিগুণ উৎসাহে সাঁকো নাড়িয়ে অন্যদের পানিতে ফেলে দেবে। এ দেশে নির্বাচনের উন্মাদনায় যাবতীয় কৌশল ও কারসাজি খাটানোর জন্য রাজনৈতিক উন্মাদরা সুযোগের অপেক্ষায়; তা কি ইসি জানে না?
পাদটীকা : নমিনেশন পেপার বিক্রি করে ক্ষমতাসীন দলের আয় সর্বোচ্চ ১৬ কোটি টাকা। বিএনপি এবং জাপা এদিক দিয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে। তাদেরও কোটি কোটি টাকা আয়। সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনের অত্যুজ্জ্বল, উজ্জ্বল ও অর্ধউজ্জ্বল তারকাসমেত ডজনে ডজনে সেলিব্রিটি মনোনয়নপত্র কিনেছেন। মনোন্নয়ন বা মানোন্নয়ন- যাই বলুন, সেসব না হলেও ভোটের মওসুমে মনোনয়ন চাই, যত টাকা লাগে। কেননা, এটি যে সোনার হরিণ!
এবার একটা চুটকি। প্রথম বন্ধু : ফেসবুকে বন্ধুদের মাঝে আমার যে একটা অবস্থা, চল যাই, নমিনেশন ফরম কিনেই ফেলি। দ্বিতীয় বন্ধু : আরে ধুর, এটা তো সবাই কেনে। তোর মতো স্পেশাল সেলিব্রিটির জন্য সাধারণ নমিনেশন ফরম কিনলে চলবে নাকি? প্রথম বন্ধু : তা-ও তো কথা। তা হলে? দ্বিতীয় বন্ধু : তোর জন্য একটা স্পেশাল ফরম কিনতে হবে। প্রথম বন্ধু : সেটা আবার কী? দ্বিতীয় বন্ধু : কেন, ‘নো-মেনশন’ ফরম!
(২) বাবা : তুই কি বেকারই থাকবি? ছেলে : না বাবা, এখনই ব্যবসায়ে নামছি। বাবা : কী বলিস, কিসের ব্যবসায়? এ জন্য পুঁজি দেবে কে? আমি তো দিচ্ছি না। ছেলে : তোমার কাছ থেকে পয়সা নিতে হবে না। এই দেখো আমার ব্যবসার উপকরণ (বাবাকে কাপ-পিরিচের সেট দেখাল)। বাবা : এসব কী? তুই ফেরিঅলা হবি? মাথা খারাপ নাকি? ছেলে : না বাবা। সামনে ইলেকশন। তাই আমার সিলেকশনে আছে চায়ের দোকান খোলা। পাড়ায় পাড়ায়, মোড়ে মোড়ে এখন মুফতে চা খাওয়ানোর ধুম। প্রার্থীরাই পয়সা দিয়ে দিচ্ছেন। এটিই বর্তমানে মোস্ট প্রফিট্যাবল বিজনেস।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা