ইসিকে আস্থা অর্জন করতে হবে
- সালাহউদ্দিন বাবর
- ০৪ নভেম্বর ২০১৮, ২০:৩৪
নির্বাচন এখন ঘরের দুয়ারে, ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন করতে হবে এটা সাংবিধানিক অবস্থান। তাই এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনের দিন ক্ষণের গণনা। তবে একটি অনুকূল পরিবেশের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার যে আকাক্সক্ষা তা কিন্তু এখনও বিরাজ করছে না। সে কারণে নির্বাচন নিয়ে যেমনি রয়েছে প্রতীক্ষা তেমনি উৎকণ্ঠা। সময়ের প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী প্রচারকাজে ব্যস্ত হয়েছেন। কিন্তু দল থেকে এখনো চূড়ান্ত সঙ্কেত পাননি।
এ দিকে নির্বাচন ঘিরে যে প্রশ্ন রয়েছে, যেমন নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে কি না, পূর্ণ নিরাপত্তার সাথে ভোট দেয়ার আস্থা সৃষ্টি হবে কি না, ইসি প্রশ্নমুক্ত নির্বাচন করার জন্য তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাদের নিয়ে যে সক্ষমতা সন্দেহ রয়েছে তার ঊর্ধ্বে উঠতে পারবেন কি না। এসব জরুরি জিজ্ঞাসা এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় হয়ে রয়েছে। এমন একটা অবস্থায় কেউই স্বস্তিবোধ করতে পারে না। কার্যত বিগত ১০ বছর পর নির্বাচন হতে চলেছে। এ নিয়ে উৎসাহ উৎসুক্য থাকার কথা। উদ্বেগ অস্বস্তি নয়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা ছিল অত্যন্ত মসৃণভাবে সব কিছু এগিয়ে যাবে। আর ক্ষমতাসীনদের কথা থেকে এ ধারণা পর্যবেক্ষকদের সৃষ্টি হয়েছিল। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যখন গঠিত হয়েছিল তখন সরকার নতুন এই ঐক্যকে এই বলে স্বাগত জানিয়েছিল যে, আওয়ামী লীগবিরোধী মানুষের ভোট দেয়ার একটা জায়গা থাকা দরকার। এটা ছিল বাস্তব, ইতিবাচক ও রাজনৈতিক শিষ্টাচারমূলক কথা। কিন্তু কিছু দিন পরই ফ্রন্টকে তুচ্ছ তাচ্ছিল করা এবং তাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে শুরু করেন সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতারা। এখন তো ঐক্যফ্রন্টের প্রতি ক্ষমতাসীনেরা প্রায় মারমুখী। শুধু ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের প্রতিই নয়, তাদের শুভাকাক্সক্ষীদের প্রতি হামলা মামলা চলছে।
এখন নির্বাচনের মাত্র কিছু সময় বাকি। এর পরে ক্ষমতাসীনেরা আরো কতটা অসহিষ্ণু হয়ে উঠবেন তা ভাবলে শঙ্কিত হতে হয়। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ঐক্যফ্রন্টকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয়া হয়েছে, তাদের দেয়া সাত দফা দাবির একটিও মানা হবে না। এখন ঐক্যফ্রন্টকে মাঠে নামা ছাড়া দ্বিতীয় বিকল্প নেই। কিন্তু তাতে তো ক্ষমতাসীনেরা আরো ক্ষিপ্ত এবং তাদের প্রতিহত করার জন্য তারাও রাজপথে নামবে। সে ক্ষেত্রে বিরোধী পক্ষের সাথে সংঘর্ষ -সঙ্ঘাত মামলা-হামলা বেশি মাত্রায় বেড়ে যাবে। এরপর কি আর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হওয়ার পরিবেশ থাকবে। অথচ গোটা দেশের মানুষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে তাকিয়ে আছে। আর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে না পারলে গণতন্ত্রের মূল চেতনাই অপূর্ণ থেকে যাবে। শুধু গণতন্ত্রই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, এর অনেক বিরূপ প্রক্রিয়া রাষ্ট্রীয় জীবনে দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
দেশের এখন যে পরিস্থিতি তাতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হওয়াটা জরুরি হলেও তা পুরোপুরি নির্ভর করছে সরকারি দলের সদিচ্ছার ওপর। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যে সাত দফা দাবি দিয়েছে, তার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রয়োজনে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে যাচাই করে দেখা যেতে পারে। কিন্তু তার কাছে না গিয়ে সরাসরি নাকচ করে দেয়াটা ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে কতটা বিরূপ হবে। দেশের বর্তমানে নাজুক অবস্থা। এ বিষয়গুলো নিয়ে ভেবে দেখা উচিত। কেননা, রাষ্ট্রের সর্ব অঙ্গে এখন সৃষ্টি হয়েছে ক্ষত। এই ক্ষত উপশম করা জরুরি না নতুন সঙ্কট সৃষ্টি করে পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটে করা উচিত কি না, তা ক্ষমতাসীনদের বিবেচনা করতে হবে। সরকারের প্রধান কর্তব্য কিন্তু দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কাজ করা। তাদের কারণে নাগরিক জীবনে দুর্ভোগ নেমে আসবে এটা কাম্য নয়।
নির্বাচন নিয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এখন ঘুম নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু অবস্থা দেখে মনে হয় তারা নির্ভাবনায় রয়েছেন। তাদের কোনো ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে না। একটি সফল নির্বাচন হওয়ার শর্ত হচ্ছে সব দলের তাতে অংশ নেয়া, দেশের মানুষের মনে এই আস্থা সৃষ্টি হবে যে তারা নিরাপদে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারবে, নির্বাচনে যারা প্রার্থী হবেন তারা নির্বিঘেœ জনগণের কাছে গিয়ে সমান সুযোগে প্রচার চালাতে সক্ষম হবে, ভোট দিতে গিয়ে মানুষ ইভিএমের কারসাজিতে না পড়ে। কিন্তু ইসি দেশে হাল অবস্থা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত, তা কিন্তু তাদের আচার-আচরণে বক্তব্য-বিবৃতিতে বোঝার উপায় নেই। অথচ সংবিধান নির্বাচনসংক্রান্ত সব দায়িত্ব ইসিকে দিয়েছে। ইসিকে এটা ভেবে দেখা উচিত, তাদের পূর্বসূরিরা পাঁচ বছর মেয়াদে কোনো একটি নির্বাচন প্রশ্নমুক্ত করে যোগ্যতা প্রমাণ করে যেতে পারেনি।
আর বিদায়ের প্রাক্কালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নামে প্রহসন করে দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও গণতন্ত্রে মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে গেছে। ইসির অতীতের এসব ঘটনাকে স্মরণ করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত এবং নিজেদের কর্তব্যকাজে বিগত দিনের ছায়া যাতে না পড়ে সেটা দেখা উচিত। ভোটের আয়োজন করেই ইসির দায়িত্ব শেষ সেটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই। সব ভোটার যাতে শান্তিশৃঙ্খল পরিবেশে নিরাপত্তার সাথে ভোট দিতে পারে। সে ব্যবস্থা হবে এমন আশ্বাস এখনো পাওয়া যায়নি। প্রায় সব মহল থেকেই ভোটকেন্দ্রে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েনের দাবি করা হচ্ছে। এ নিয়ে ইসির স্পষ্ট বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। ভোটকেন্দ্রের পরিপূর্ণ নিরাপত্তা বিধান না করায় অতীতে দেখা গেছে মাস্তানদের দৌরাত্ম্যের কারণে মানুষ ভোটকেন্দ্রের পাশে ঘেঁষতে পারেনি। ক্ষমতাসীনদের সমর্থকেরা ভোট পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের সামনেই বিনা বাধায় জাল ভোট দিয়েছে। বর্তমান এই পরিবেশ রুখতে ইসি কতটা আন্তরিক এবং তা এখনো বোঝার উপায় নেই। এখন তারা খোলাসা করেনি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য তারা যথাযথ ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েন করবেন কি না।
ইসি জনবলের অভাব রয়েছে। তাই নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের জন্য বহু সরকারি কর্মকর্তাকে ভোট পরিচালনায় ইসি দায়িত্ব দিয়ে থাকে। কিন্তু এসব সরকারি কর্মকর্তার পুরো আনুগত্য থাকে সরকারের প্রতি। ফলে নির্বাচনের সরকারের প্রতিপক্ষ প্রার্থী এবং তাদের কর্মীরা এসব কর্মকর্তার পূর্ণ সহযোগিতা না পাওয়ায় নির্বাচনে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। ইসি এর কী প্রতিকার করবে তা জানানো হয়নি। যদিও আইন রয়েছে নির্বাচনের সময় সরকারি কর্মকর্তারা যদি নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করে সে ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা ইসির রয়েছে। কিন্তু এর বাস্তব নজির খুব কম দেখা গেছে। বর্তমান ইসির প্রতি মানুষের আস্থা নেই বললেই চলে। তার ওপর এখন আবার ইসিতে নানা প্রশ্ন নিয়ে মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে জনৈক ইসি কমিশনার নির্বাচন সুষ্ঠু করার ব্যাপারে কিছু বক্তব্য দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বৈঠকে তাকে কথা বলতে দেয়া হয়নি। অবশ্যই ইসির এই আচরণ মানুষকে তাদের নিরপেক্ষতার প্রশ্নে সন্দেহ জাগাবে।
এই মনোভাব নিয়ে ইসি কিভাবে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করতে পারে। এ দিকে সরকারের প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক বলয় থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, ইসি ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে তাদের কাজকর্মে। এ অবস্থায় তারা কিভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন। সরকারবিরোধী রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে এর আগে ইসির এই ভূমিকার কারণে প্রতিষ্ঠানটির পুনর্গঠন দাবি করা হয়েছে। ইভিএম নিয়ে ইসির ইতিবাচক মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে। সংসদে আইন পাস হয়েছে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে। গোটা বিশ্বের প্রযুক্তিতে উন্নত দেশ ইভিএম ব্যবহারের ত্রুটি লক্ষ করে তা বাতিল করে কাগজের ব্যালট পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করছে।
ইভিএমের ভোটের ফলও পাল্টে দেয়ার প্রযুক্তি রয়েছে। এসব জেনে শুনে ইসির ইভিএমপ্রীতির কারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তা ছাড়া সব ঠিক থাকলেও যে জনগণ ইভিএম প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভোট দিতে সক্ষম হবে কি না, সেটা তো বোঝা উচিত। আরো স্মরণ করা যেতে পারে, বহু আগে পরীক্ষামূলকভাবে নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার হয়েছিল। কিন্তু সে পরীক্ষা সফল না হওয়ায় তা পরিত্যক্ত হয়। আরো প্রশ্ন হলো কাগজে ভোট দেয়ার পদ্ধতি ত্রুটিহীনভাবে বহুকাল থেকে চলছে। তাই এখন কেনো এর পরিবর্তনের চিন্তা। নির্বাচন আরো স্বচ্ছ প্রশ্নমুক্ত করার বহু প্রস্তাব ইসিতে রয়েছে, তা নিয়ে কোনো তাগাদা তারা অনুভব করে না। ভালো নির্বাচন করার জন্য নিজেকে সক্ষম ও যোগ্য করার বিষয় নিয়ে ভাবেন না কেন। দেশে কেনাকাটার ব্যাপারে সব সংস্থারই উৎসাহের শেষ নেই, ইসি এখন তাতে যোগ দিয়েছে। সংবাদপত্রে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে, ইসি যে ইভিএমযন্ত্র কিনেছে তার জন্য অনেক বেশি অর্থ খরচ করা হয়েছে। এ অভিযোগ তাদের খতিয়ে দেখা উচিত ছিল।
ইসির এটা ভেবে দেখা উচিত যে, কার্যত প্রায় ১০ বছর পর তারা জাতীয় নির্বাচন করতে যাচ্ছে। বহু প্রত্যাশিত এই নির্বাচন নিয়ে দেশে এবং আন্তর্জাতিক বলয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। সর্বত্রই অবাধ নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছে। এই গুরুত্ব দেয়া বিষয়টি ইসি কিভাবে গ্রহণ করছে, তা তাদের কথা ও কর্মে প্রকাশ পাওয়া উচিত ছিল তা উপলব্ধি করা যাচ্ছে না। মনে হয় তারা এসব বিষয়ে নির্লিপ্ত। নির্বাচনে যেসব দল ও জোট অংশ নেবে তাদের পরামর্শ মতামত নেয়া ছিল জরুরি।
অতীতে এমন নজির রয়েছে যে, ইসি দল ও জোটগুলোর সাথে ভোটের বিষয়ে কথা বলে তাদের মতামত নিয়েছে। যারা নির্বাচন করবে তাদের কথা শোনা হয়েছে এবং ইসি কিভাবে নির্বাচন করবে এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তাদের গৃহীত ব্যবস্থাবলি অবহিত করেছে। কিন্তু বর্তমান ইসি এসবের কোনো প্রয়োজনবোধ করে বলে মনে হয় না। ইসিকে নিয়ে কোনো কূটতর্ক থেকে দূরে থাকার জন্য সতর্কতা অবলম্বন বাঞ্ছনীয়। তা তারা অবলম্বন করেনি বলে দীর্ঘদিন থেকে ইসির সক্ষমতা নিয়ে কথা হচ্ছে। ইসির কোনো কোনো সদস্যকে নিয়ে এমন কথা রয়েছে যে, অতীতে তাদের ভূমিকা বিশেষ দলের সম্পূরক ছিল। এসব অভিযোগের ভিত্তিমূল অবদমন করা কোনো প্রয়াস লক্ষ করা যায়নি যা কাক্সিক্ষত ছিল।
অবাধ সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক অনুষ্ঠান করাটা এখন ইসির জন্য চ্যালেঞ্জ। প্রতিটি নির্বাচনই ইসি বাড়তি চাপ অনুভব করে থাকে বটে। তবে এবারের নির্বাচন কিন্তু অন্যান্যবারের চেয়ে গুরুত্ব অনেক বেশি। সেই সাথে ইসিকে স্মরণ রাখতে হবে, তারা একটা আস্থার সঙ্কট নিয়ে নির্বাচন মোকাবেলা করতে যাচ্ছে। আর যে ক’টা দিন নির্বাচনের বাকি রয়েছে সে দিনগুলোর পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে নিজেদের ওপর আস্থা ও ভাবমর্যাদা বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করা উচিত। ইসি পুনর্গঠনের দাবি রয়েছে তার যৌক্তিকতা নিয়ে যেন আর কোনো কথা না হয়, সেটা ভাবতে হবে। এ নির্বাচন যদি তার সক্ষমতার সাথে উৎরে নিতে পারে তবে তা ইতিহাস হয়ে থাকবে। ইসির জন্য এই ইতিহাস তৈরি করা কোনো কাজ নয়। তারা যদি সংবিধানের নির্দেশনা মেনে তাদের চলার পথ নির্ধারণ করে, কারো দিকে না তাকিয়ে অগ্রসর হয় তবে সব সহজ হয়ে যাবে।
ndigantababor@gmail.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা