আত্মহত্যা ও একাকিত্ব ঘোচাতে মন্ত্রী নিয়োগ
- জসিম উদ্দিন
- ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:৫২
মানুষের সমাজে ব্রিটিশেরা কিছু কিছু বিষয় চালু করেছে, যেগুলোকে অনেকে খুবই প্রশংসার সাথে গ্রহণ করেন। এর একটি হচ্ছে ওয়েস্ট মিনস্টার ডেমোক্র্যাসি। দেশ শাসনের সংসদীয় ব্যবস্থা। ধাপে ধাপে আইন প্রণয়নের পদ্ধতি। বিশ্বব্যাপী এই পদ্ধতি এখন ব্যাপক সমাদৃত। অনেকে এই শাসন পদ্ধতিকে দেবতার আসনে বসিয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, খুব কম শাসকেরাই ওয়েস্ট মিনস্টার সিস্টেমের চেতনা লালন করেছেন। মূলত এর নামে এরা রাজনীতি করতে চান। নিজেদের আদর্শবান হিসেবে পরিচিত করাতে চান। কাজের বেলায় এসব শাসকের বেশির ভাগ স্বৈরাচারী বা একানায়ক।
পনেরতম ও ষোলোতম শতকে যে ঔপনিবেশিকতার সূচনা করে সমুদ্রপাড়ের স্পেনিশ ও পর্তুগিজেরা, তা এক সময় ব্রিটিশদের হাতিয়ার হয়। তাদের দাপটে স্পেনীয় ও পর্তুগিজেরা পিছু হটে যায়। পরে ব্রিটিশেরা প্রায় সারা বিশ্বে নিজেদের উপনিবেশ গড়ে তোলে। শাসিত দেশে দেশে ব্রিটিশেরা তাদের শাসনপদ্ধতিকে ফেরি করে। এখনো এরা সম্ভবত বিশ্বে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় ফেরিওয়ালা। বিশেষ করে সাবেক উপনিবেশ কমনওয়েলথ দেশগুলোতে এ ব্যাপারে প্রভাব বিস্তার করতে চায় ব্রিটেন। যদিও তাদের আগের প্রভাব এখন আর নেই।
এরা এবার আত্মহত্যা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। এরও আগে নিয়োগ দিয়েছে একাকিত্ব ঘোচানোর মন্ত্রী। এ দুটো মন্ত্রণালয় বিশ্বে প্রথম তারাই প্রচলন করল। দেশটির তরুণেরা নিজেদের বেশি হারে হত্যা করার পরিপ্রেক্ষিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। খবরে বলা হয়েছে, আত্মহত্যা প্রতিরোধে প্রথমবারের মতো মন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছে ব্রিটেন সরকার। প্রতি বছর চার হাজার ৫০০ মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ব্রিটেনে। বহুসংখ্যক মানুষকে আত্মহত্যার এই প্রবণতা থেকে ঠেকাতে মন্ত্রী নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটেন সরকার।
২০১০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সময়ে যুক্তরাজ্যে কমবয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বেড়ে যায় ৬৭ শতাংশ। দেশটিতে ৩৫ বছরের কম বয়সীদের মৃত্যুর প্রধান কারণ আত্মহত্যা। দাতব্য সংস্থা পেপিরাসের মতে, এ ধরনের হত্যার বেশির ভাগ ঠেকানো সম্ভব। প্রতিষ্ঠানটি হাতে-কলমে উপদেশ দেবে, সমর্থন দেবে কিভাবে এ ধরনের মানসিক অবস্থা থেকে উদ্ধার পাওয়া যাবে সেজন্য। ২০১৭ সালে প্রতি লাখে ১৫ দশমিক পাঁচজন পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। নারীদের মধ্যে এ হার এক-তৃতীয়াংশ, চার দশমিক ৯ শতাংশ। দুইভাবে প্রধানত আত্মহত্যা করছে। প্রায় ৫৮ শতাংশ ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করছে। বিষপানে আত্মহত্যা করছে ১৮ শতাংশের বেশি।
ব্রিটেন বিশ্বের ধনী দেশগুলোর একটি। দুনিয়ায় ভোগের যত উপায়-উপকরণ রয়েছে, তার সবই তাদের রয়েছে। ভাত কাপড় বাসস্থানসহ মৌলিক সব জিনিসের আঞ্জাম দেয়া রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সেখানে নিশ্চিত করা হয়েছে। সব কিছু ভোগ করার পরও কেন একজন মানুষ সন্তুষ্ট থাকতে পারছে না, সেটি এক প্রশ্ন। যুক্তরাজ্যের আত্মহত্যাগুলোর কারণ নিয়ে গবেষণা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আত্মহত্যার মূল রহস্য সেখানে উদঘাটিত নয়। একজন মানুষ কেন নিজেকে হত্যা করে ফেলার মতো গুরুতর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তার সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ঘটনার আগমুহূর্ত পর্যন্ত বুঝে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না, কী কারণে আত্মহত্যা করছে একজন মানুষ। যেখানে আত্মহত্যার কারণ শনাক্ত হয়নি, দাতব্যসংস্থা পেপিরাস কিভাবে আত্মহত্যা বন্ধ করবে?
নারীদের তুলনায় সেখানে তিন গুণ পুরুষ আত্মহত্যা করছে। পুরুষেরা কেন বেশিমাত্রায় নিজেদের নিঃশেষ করে দিচ্ছে, তার কারণও জানা যাচ্ছে না। যুক্তরাজ্যের ডাক্তারদের বেলায় ঘটছে তার উল্টো। একজন নারী ডাক্তারের আত্মহত্যা করার আশঙ্কা যেকোনো পুরুষের তুলনায় চার গুণ। ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে সেখানে ৪৩০ জন স্বাস্থ্যকর্মী আত্মহত্যা করেছেন। দেশটিতে ডাক্তারেরাই মানসিক সমস্যায় পড়ে যাচ্ছেন। এর প্রধান কারণ, তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অভিযোগ। রয়াল কলেজ অব জেনারেল প্রাকটিশনারের সাবেক প্রধান ডক্টর জারেডা জানান, পাঁচ হাজার ডাক্তার তাদের থেকে সাহায্য নিয়েছেন। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ নারী।
দেশটির ৬০ শতাংশ মানুষ খ্রিষ্টান। আরো ১৫ শতাংশ মানুষ অন্যান্য ধর্মের অনুসারী। স্রষ্টায় বিশ্বাস করেন না, এমন মানুষ ২৫ শতাংশ। আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে বিভিন্ন গ্রুপের তুলনামূলক হার জানা যায়নি। তবে এটাই স্বাভাবিক, সবচেয়ে বৃহত্তর ধর্মসম্প্রদায়ের মানুষ আনুপাতিক বেশি আত্মহত্যা করছে। তারা যদি হজরত ঈসা আ:-এর অনুসারী হয়ে থাকেন, তাহলে ইনজিলের কোনো-না-কোনো পাঠ মেনে থাকেন। আসমানি কিতাবে নিশ্চয়ই মানুষ সৃষ্টির লক্ষ্য ও পরিণতি বর্ণনা করা হয়েছে। কিতাবে বর্ণিত বক্তব্য জানলে এমনটি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু বাস্তবে আত্মহত্যাকারী এসব মানুষের মধ্যে ইনজিলের কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।
আসমানি কিতাবগুলো মানুষের পরিচয় বরাবর স্পষ্ট করেছে। কুরআনে সূরা বনি ইসরাইলের ৭০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, অনেক সৃষ্টির মধ্যে মানুষকে মর্যাদাবান করা হয়েছে। এই কিতাবের বর্ণনা অনুযায়ী, মানুষ সৃষ্টির সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য রয়েছে। তাদের রয়েছে মর্যাদাসম্পন্ন কর্ম। এ কর্মে ক্ষান্তি দিয়ে মানুষ কোনোভাবে নিজেকে শেষ করে দিতে পারে না। সূরা আল মুলকের দ্বিতীয় আয়াতে বলা হয়েছে, জীবন ও মৃত্যু সৃষ্টি করা হয়েছে তোমাদের পরীক্ষার জন্য যে, তোমাদের মধ্যে কর্মে কে উত্তম। সূরা বাকারার ২৯ আয়াতে বলা হয়েছে, এ জন্য জমিনে যা কিছু আছে মানুষদের জন্য সব সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ। এই জমিন বা পৃথিবী পরীক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ পরীক্ষার জন্য যা যা প্রয়োজন তার প্রয়োজনীয় আঞ্জাম দেয়া হয়েছে জমিনে। বেঁচে থাকার জন্য হৃৎপিণ্ড, সেটা সচল রাখার জন্য নাকের সাথে লাগিয়ে রেখেছেন অক্সিজেন। বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন ছেড়ে গাছ পরিবেশকে সব সময় মানুষের বসবাসের উপযোগী করে রাখছে। বায়ুর সাগরে আরো হাজারো উপায়-উপকরণ দিয়ে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে।
সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে বলেই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য স্রষ্টার এ বিপুল আয়োজন। সুরাহ মুলকের তৃতীয় আয়াতেই বলেছেন, তিনি স্তরে স্তরে আকাশ বানিয়েছেন। তারপর মানুষকে লক্ষ করে আহ্বান জানাচ্ছেন তারা যেন আল্লাহর সৃষ্টি দেখে, ‘এতে তোমরা কি কোনো খুঁত দেখতে পাও’। বারবার দৃষ্টিকে ঘুরিয়ে তার সৃষ্টি পর্যবেক্ষণ করতে বলেছেন। তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছেন, এতে তোমরা কোনো ত্রুটি খুঁজে পাবে না। এই চেষ্টা চালাতে গিয়ে তোমাদের দৃষ্টি ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে ফিরে আসবে, কিন্তু কোনো খুঁত খুঁজে তোমরা পাবে না। মানুষের দৃষ্টিসীমায় যা আছে, একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। এরপর পৃথিবীতে তাদের কর্মের হিসাব অনুযায়ী পরিণতি নির্ধারিত হবে। একই সাথে এ বিষয়টিও স্পষ্ট করা হয়েছে, মানুষের একজন স্রষ্টা রয়েছেন। স্রষ্টার এত আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মানুষ। এই প্রাণ মানুষের মালিক আল্লাহরই দেয়া। আল্লাহর দেয়া বিধান অনুযায়ী, মানুষ কোনোভাবে নিজেকে হত্যার অধিকার রাখে না।
কুরআনে ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা রয়েছে, স্রষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী চললে কী হবে। অন্য দিকে তার বিরোধিতা করা কিংবা আল্লাহর ব্যাপারে গাফেল থাকলে তার পরিণাম কী হবে। সফলদের জন্য সীমাহীন সুযোগ সুবিধার বর্ণনা দিয়েছেন। এর মধ্যে আনন্দ-ফুর্তি, বিনোদন, আহার-বিহারের অপরিসীম সম্ভারের কথা বলেছেন। এতটা সুখসম্ভার ভোগ মানুষ পৃথিবীতে থেকে কল্পনাও করতে পারবে না। আবার বলা হয়েছে, যা সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে কোনো চোখ তা দেখেনি। এসব সুযোগ সুবিধা একঘেয়ে হয়ে যাবে না। আত্মহত্যার অন্যতম একটি কারণ একঘেয়েমি, নতুন বৈচিত্র্যময় কিছু আর খুঁজে না পাওয়া। মানুষের মন যতটা চাইতে পারে তার সবই পরকালে উপস্থিত হবে। নব নব চাহিদার সাথে নব নব বৈচিত্র্য পাওয়া যাবে। আর গাফেল হয়ে থাকা মানুষের ওপর কষ্ট ও বেদনা সার্বক্ষণিক ছেয়ে থাকবে, তারও উপর্যুপরি বর্ণনা দেয়া হয়েছে। কুরআনের এই বিস্তারিত বর্ণনা অন্যান্য আসমানি কিতাবেও এসেছে। স্রষ্টার পাঠানো এসব বর্ণনা পূর্বাপর জানলে মানুষ নিজেকে ধ্বংস করা বা একাকী অনুভব করার কোনো সুযোগ পাবে না।
প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জ্যাকি প্রাইসকে নতুন এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করতে লন্ডনে জড়ো হয়েছে বিশ্বের ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা। ঠিক এমন সময় দেশটির পক্ষ থেকে আত্মহত্যা প্রতিরোধে মন্ত্রী নিয়োগের ঘোষণা এলো। মন্ত্রী নিয়োগের পাশাপাশি বিনামূল্যে মানসিক চিকিৎসাসেবা দিতে অর্থ বরাদ্দ করেছে থেরেসা মে’র সরকার। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়া অলাভজনক এক সংগঠনকে এক কোটি ৮০ লাখ পাউন্ড অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। আগামী চার বছর ওই অর্থে বিনামূল্যে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেবে সংগঠনটি। নতুন ঘোষণায় থেরেসা মে’র সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে নতুন টিম গঠন করে প্রতিটি স্কুলে পাঠানো হবে।
শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং তাদের মানসিক অবস্থার উন্নয়নে পরামর্শ দেবে তারা। মে বলেছেন, যে বাস্তবতা নীরবে মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে রাখে আর আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়, আমরা সেই বাস্তবতার অবসান ঘটাতে চাই। প্রশ্ন হচ্ছে, মানসিক স্বাস্থ্যের ধরন কী এবং কিভাবে সেটা দেয়া হবে। যারা এত প্রাচুর্যের মধ্যে থেকেও বেঁচে থাকার কোনো অর্থ খুঁজে পাচ্ছেন না। এমনকি তারা বেঁচে থাকাকে সহ্য করতে না পেরে নিজেদের হত্যা করছেন। তাদের হাতে থাকা আসমানি কিতাবে আল্লাহর দেয়া প্রতিশ্রুতি ও সতর্কীকরণই হতে পারে কাউন্সেলিং। ব্যাপারটা বিস্তারিত জানলে যে কেউ ছোট্ট এ জীবনের এক বিস্তারিত ও সীমাহীন লক্ষ্য-উদ্দেশ্য খুঁজে পাবে। দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি এ পদ্ধতি অবলম্বন করবে বলে জানা যায় না।
ধনী দেশগুলোতে আরো একটি সমস্যা ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে একাকিত্বের সমস্যা। আত্মহত্যা বন্ধে মন্ত্রী নিয়োগ দেয়ার আগেই একাকিত্ব ঘোচানোর মন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন থেরেসা মে। এমন একজনকে জানুয়ারিতে এই দায়িত্ব দেয়া হয়, যিনি নিজেই একাকিত্ব সমস্যায় ভোগেন। ৪২ বছর বয়সী আইন প্রণেতা ট্রেসে ক্রচ জানান, প্রথম সন্তান জন্ম নেয়ার পর তিনি এই সমস্যায় পড়েন। পরিবার, বন্ধু ও চমৎকার সঙ্গী থাকার পরও তিনি নিঃসঙ্গতায় ভোগেন। আরো ছয় বছর আগে থেকে যখন তিনি প্রথমবার পার্লামেন্ট সদস্য হন মানসিক বিষণœতায় ভোগেন। তিনি সেই সময়টাকে অত্যন্ত অন্ধকার একাকী সময় বলে স্মরণ করেন। ধনী দেশগুলোর ধনী মানুষ ছেলেমেয়েসহ অনেক স্বজন থাকার পরও নিঃসঙ্গতায় পড়ে যান।
এ ধরনের অভিজ্ঞতা থেকে থেরেসা মে তাকে নতুন পদে নিয়োগ দেন। মে নিজ থেকে বলেন, আধুনিক জীবনযাপনের এক বিষাদময় বাস্তবতা হচ্ছে একাকিত্ব অনুভব। একাকিত্ব নিয়ে ব্রিটেনে একটি কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ব্রিটিশদের ১৪ শতাংশ বা ৯০ লাখের বেশি মানুষ সব সময় বা প্রায়ই একাকী অনুভব করেন। এ পদটিও পৃথিবীতে প্রথম ব্রিটিশরা সৃষ্টি করল। তবে সমস্যাটি সারা বিশ্বের এবং ক্রমবর্ধমান। জাপানে এটি প্রকট আকার ধারণ করেছে। ২০১০ সালের এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৪৫ বছরের বেশি বয়সের প্রতি তিনজনে একজন মার্কিন নাগরিক এই সমস্যায় রয়েছেন।
ধনী দেশগুলোতে এই সমস্যা থাকায় তারা ট্রেসে ক্রচকে উৎসাহের সাথে লক্ষ করছেন। কানাডা ও সুইডেনের আইন প্রণেতারা ইতোমধ্যে ক্রচের সাথে বৈঠক করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে ক্রচ বলেছেন, তারা আমাদের লক্ষ করছেন, কিভাবে আমরা একাকিত্ব সমস্যাকে মোকাবেলা করি। অর্থাৎ উন্নত দেশগুলো অঢেল সম্পদ ও প্রাচুর্য থাকার পরও তারা মানসিকভাবে সুস্থ নন। তারা যথেষ্ট সম্পদ থাকা সত্ত্বেও সমস্যায় পড়েছেন। এই সমস্যা এরা মোকাবেলা করতে পারছে না। ব্রিটেন যেন এসব ব্যাপারে পথ দেখাতে চাইছে। তবে এই পথ দেখানো অন্ধের হাতি দেখার মতো। তাদের কাছে নেই সঠিক পথ দেখানোর সেই আলোকবর্তিকা। তবে এই অন্ধকে উৎসাহের সাথে লক্ষ করছে অন্য ধনী দেশগুলো। যদি সফলতা পায় অন্যরা ব্রিটেনকে অনুসরণ করবে। অন্ধরা কি কখনো পথ খুঁজে পেতে পারে?
jjshim146@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা