২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

গণতন্ত্রের জয় হোক

গণতন্ত্রের জয় হোক - ফাইল ছবি

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ২০ দল ও ১৪ দলে বিভক্ত ছিল। এখন ২০ দলের প্রধান শক্তি বিএনপি সদ্য গঠিত ঐক্য প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হয়েছে। তাই এই বিভক্তিটা এখন ১৪ দল ও ঐক্য প্রক্রিয়ার মধ্যে। ঐক্য প্রক্রিয়া বর্তমানে কর্মসূচি নিয়ে ময়দানে। আওয়ামী লীগ ১৪ দলের বড় শরিক, তারাও এখন রাজনৈতিক ময়দান দখলে রাখার জন্য ব্যাপক কর্মসূচি দিচ্ছে। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে উভয় পক্ষের এটা স্বাভাবিক প্রস্তুতি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ময়দানে স্বাভাবিক সহাবস্থান এবং পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে পরস্পর সহিষ্ণুতা দেখানোর নজির নেই বললেই চলে। তা ছাড়া সরকারি দলের নেতারা বিরোধী দলের প্রতি যে ভাষায় এখন আক্রমণ করে চলেছেন, তাতে দলের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিরোধী দলের প্রতি অনেক বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতে পারেন।

তার ফলে পাশাপাশি উভয়পক্ষের কর্মসূচি কতটা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা সম্ভব হবে তা নিয়ে পর্যবেক্ষকদের গভীর সন্দেহ রয়েছে। দুই পক্ষের যদি পরস্পর সহিষ্ণুতার বাঁধ ভেঙে তারা হাঙ্গামায় জড়িয়ে পড়েন, তবে তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে দেরি হবে না। এমন সঙ্ঘাত এখন কোনোভাবেই কারো কাছে কাম্য হওয়া উচিত নয়। সব দলের নেতাদের পরম ধৈর্য্যরে সাথে এমন পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি হতে না পারে তার জন্য চেষ্টা করা উচিত। রাজনৈতিক পরিস্থিতির এমন অবনতি ঘটলে তা জাতীয় নির্বাচনকে হুমকির মুখে ফেলে দেবে। তাই এই মুহূর্তে সঙ্ঘাত নয়, সমঝোতার বড় প্রয়োজন। নির্বাচন বানচাল হলে তা কেবল দেশে সাংবিধানিক সঙ্কটই সৃষ্টি করবে না, অরাজকতার মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি নাজুক করে তুলবে। দেশ এখন নানা সামাজিক সমস্যায় জর্জরিত। দুর্নীতি ও অনিয়মকে কোনোভাবেই সরকার সামাল দিতে পারছে না। এর মধ্যে নির্বাচনের আগে যদি অন্যান্য সমস্যা এসে হাজির হয়, তবে তা মোকাবেলা কঠিন হয়ে পড়বে। সারা দেশের মানুষ এখন শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। তাই এর পরিবেশ যাতে কোনোভাবেই বিঘিœত না হয় তা নিশ্চিত করা উচিত।

বিগত দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচন নিয়ে কেউই সন্তুষ্ট ছিল না। আর সন্তুষ্ট হওয়ার কথাও নয়। বিরোধী দলের বর্জনের মুখে সে নির্বাচন ছিল কার্যত একদলীয় এবং তাও নির্বাচনের নামে একটা প্রহসন মঞ্চস্থ হয়েছে। তাই সবাই এখন একটি প্রশ্নমুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে গণতন্ত্র বিজয়ী হোক। এমন নির্বাচনে যে দলই ক্ষমতায় আসবে তাতে কারোই আপত্তি থাকবে না। কিন্তু নির্বাচন প্রশ্নমুক্ত না হলে তা কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য হবে না। এর পরিণতি নিয়ে দেশের অর্থনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা উদ্বিগ্ন। চলতি অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় তা ভেবে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন জাতীয় অর্থনীতির সাথে জড়িত মহল। আগামী দিনগুলোতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না থাকে, তবে দেশের শিল্প উৎপাদন, রফতানি ও বিনিয়োগ পরিস্থিতি মারাত্মক ক্ষতির শিকার হবে। অর্থনীতির জন্য পরিবেশ অনুকূল থাকা ব্যবসা-বাণিজ্য বিকাশের স্বার্থেই অপরিহার্য। পত্রিকার এক রিপোর্টে প্রকাশ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১৪ সালের একতরফা সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতায় মাত্র আড়াই মাসে বাংলাদেশের উৎপাদনে ক্ষতি হয়েছে চার হাজার ৯০০ কোটি টাকা। আর এখন একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন কেমন, বিশেষ করে অংশগ্রহণমূলক হবে কিনা, রাজনৈতিক অঙ্গন স্থিতিশীল থাকবে কিনা, এসব নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। যে সমাজে ভয়ভীতি, আতঙ্ক বিরাজ করে সেখানে সৃজনশীল কাজ হওয়া সম্ভব নয়।

নির্বাচন নিয়ে হতাশা ও শঙ্কার কথা শুনছি। নির্বাচনের যারা পাত্রমিত্র তাদের কাছ থেকে আশার কোনো কথা শোনা যাচ্ছে না। আমরা সমস্যায় আকীর্ণ একটি দুর্ভাগা দেশের মানুষ। প্রধান সমস্যাগুলো একে একে চিহ্নিত করা এবং তার সমাধানের বাস্তবমুখী কর্মসূচি নেয়ার দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতাদের। নির্বাচন এলে রাজনৈতিক দলগুলো অবশ্য বিজয়ী হলে কী করবে দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের কতটা স্বাচ্ছন্দ্য বিধান করবে তার একটা ফিরিস্তি প্রকাশ করে থাকে। কিন্তু সুলিখিত সেই ফিরিস্তি প্রকাশের পর তার বাস্তবায়নের কোনো খবর থাকে না। তাই বলা যায় এসব ‘দিবাস্বপ্ন’। দিনের আলোর সাথে তা মিলিয়ে যায়। আজকাল দলগুলো নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার ব্যাপারে নিবেদিতপ্রাণ জননেতাদের পরিবর্তে অর্থ-বিত্তের অধিকারীদের বেছে নেয়। এসব ব্যক্তি দলে ভিড়ে ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ব্যস্ত থাকেন নিজেদের ক্ষমতা, অর্থ-বিত্ত আরো বাড়িয়ে নেয়ার জন্য। রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণ চিন্তা করার অবকাশ তাদের থাকে না। এটা হালের কোনো চিত্র নয়, দীর্ঘ সময় ধরে এদেশে এভাবে সব চলছে। এ কারণে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সঙ্কট দূর, অর্থনৈতিক বিকাশ ও শৃঙ্খলা এবং সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি।

বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তান আমলে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম আন্দোলন করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবি উঠেছিল যে কয়টি বিষয়কে কেন্দ্র করে, তার অন্যতম ছিল- অর্থনৈতিক শোষণ-নিপীড়ন থেকে মুক্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। কিন্তু ৪৭ বছর পরে, আজো সেই আন্দোলনের ইতি ঘটেনি। এখনো অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতিতে রাষ্ট্রব্যবস্থা ডুবে আছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ দুর্নীতিগ্রস্ত একটি দেশ হিসেবে পরিগণিত। এসব কারণে এ দেশের মানুষের একটি বড় অংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে। স্বাস্থ্য সুবিধা, শিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার কারণে তারা অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। গণতন্ত্র তথা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মতামতের মূল্য এখন আর নেই। নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটে থাকে। কিন্তু এখন পেশিশক্তি মানুষের সেই অবিচ্ছেদ্য অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। ক্ষমতা যাদের হাতে থাকে আর যারা অর্থবিত্তের মালিক, জনরায়ের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। যারা মানুষের এই অধিকারের প্রতি অবজ্ঞা দেখায়, তারাই এখন সমাজপতি এবং তাদের হাতেই সব ক্ষমতা পুঞ্জীভূত।

গণতন্ত্রের সুষ্ঠু চর্চা না থাকায় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকভাবে কাজ করছে না। তেমনি এর ফলে জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা কার্যকর নেই। বাংলাদেশে সংসদীয় শাসনপদ্ধতি কায়েম রয়েছে। এ ব্যবস্থা অধিকতর গণতান্ত্রিক বলে তাকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, সেই সংসদই এখন যথাযথভাবে কার্যকর নয়। ২০১৪ সালে এই সংসদ গঠিত হয়। কিন্তু যে নির্বাচনের মাধ্যমে এই সংসদ গঠিত হয়েছে সেই নির্বাচনে কোনো বিরোধী দল অংশ নেয়নি। কেবল আওয়ামী লীগ ও তার সুহৃদরা সে নির্বাচনে অংশ নেয়। এতে সংসদের সব আসনেই আওয়ামী লীগ ও তার সুহৃদরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এটা সংসদীয় গণতন্ত্রের মূল চেতনার পরিপন্থী। আর একদলীয় সংসদ সরকারের জবাবদিহি করবে কিভাবে? সংসদে সরকারের ভুল-ত্রুটিগুলো নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। কিন্তু এখন সংসদে এসব বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা করতে দেখা যায় না। সংসদ সদস্যরা তাদের এই সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করেন না বটে, কিন্তু বৈধ ও অবৈধভাবে তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার চর্চা করছেন বিনাদ্বিধায়।

সে কারণেই বিরোধীদলগুলো অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবি জানাচ্ছে। অপর দিকে, ক্ষমতাসীন মহল যেভাবে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে, তাতে সংসদ বহাল থাকলে নির্বাচনে বিরোধী দলের জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ হওয়ার কোনো উপায় থাকবে না। এ ব্যাপারে প্রায় সব বিরোধী দল একমত। সেজন্য দাবি তোলা হয়েছে নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়ার। কিন্তু সরকার সংবিধানের কথা বলে সংসদ ভেঙে দেয়া এবং ক্ষমতাসীন দলের সরকার থেকে পদত্যাগের কথা ভাবতে পর্যন্ত নারাজ। অথচ অতীতে দেখা গেছে, যতবারই ক্ষমতাসীনদের অধীনে নির্বাচন হয়েছে, তার কোনোটিই সুষ্ঠু হয়নি। দেশের মানুষ এখন আর নির্বাচন নিয়ে কোনো আশঙ্কায় থাকতে রাজি নয়।
আন্তর্জাতিক মহল থেকেও বারবার বলা হচ্ছে, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। কিন্তু সরকার এসব ব্যাপারে তেমন কোনো ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই দুই মতের সমন্বয়টা হবে কিভাবে?

কোনো বিষয়ে একমত হতে হলে প্রয়োজন সমঝোতার মনোভাব নিয়ে আলোচনার মানসিকতা। এর সাথে এটা মনে রাখতে হবে, কোনো কিছু পেতে অবশ্যই কিছু দিতে হবে। শুধু জেতার মনোভাব নিয়ে আলোচনায় বসলে, তা কোনোভাবেই সফল হয় না। যদি কেবল মনে করা হয়, বিশেষ কোনো ব্যক্তির ও দলের বিজয় হতে হবে; আজ রাজনৈতিক অঙ্গনে যে মারাত্মক সঙ্কট বিরাজ করছে, তাকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা না নিয়ে যদি পাশ কাটিয়ে যাওয়ার মানসিকতা দেখানো হয়, তবে সামনে যে বিপদ ঘটবে তার দায় কেউ এড়াতে পারবে না। দেশের মালিক জনগণ। তাদের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে কারো অহমিকা পোষণ উচিত নয়। জনগণ যাদের নীতি আদর্শ ও কর্মপন্থাকে পছন্দ করবে, তাদের অবাধে ভোট দেয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

সরকারকে মোকাবেলার জন্য বিরোধী দলগুলো জোট বেঁধেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এই জোটকে পছন্দ তো করছেই না, বরং তা নিয়ে বিদ্রƒপ করছে এবং জোট যাতে এগোতে না পারে, সে জন্য কলকাঠি নাড়ছে। কিন্তু জোট নেতাদের এটা নিশ্চিয়ই বুঝে আছে যে, জনগণ জোটের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং জোট এগিয়ে যাক এটাই তারা কামনা করে। জোট নেতাদের এটা উপলব্ধি করে নিজেদের ঐক্য ঠিক রাখতে হবে। জোট গঠনের মধ্য দিয়েই দায়িত্ব শেষ হয়েছে বলে যদি মনে করা হয়, তবে গণতন্ত্রের আন্দোলনে সাফল্য আশা করা যায় না। জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। মানুষের আশা, তারা আন্দোলনে জনগণকে শরিক করতে কর্মসূচি দেবেন। কর্মসূচি সফল করার মাধ্যমে আন্দোলন গতিবেগ পাবে ও এগিয়ে যাবে, জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পাবে। এই আন্দোলনে প্রধান শক্তি বিএনপি। তারা এর নেতৃত্বে না থাকলেও মানুষ তাদের কাছেই বেশি আশা করছে, এটা বুঝে তাদের এগোতে হবে। অবশ্য বিএনপির অনেক বিপদ। জোটের প্রধান হওয়ার কারণে সরকারের সর্বাধিক ক্রোধ তাদের প্রতি। ইতোমধ্যে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে নতুন ‘গায়েবি মামলা’ দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে অসংখ্য মামলা। এরপরও যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছে তাকে অব্যাহত রাখা ও গতিবেগ সৃষ্টি তাদের ওপরই নির্ভর করছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে ফিরে এক সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছেন, তাতে নির্বাচনে আশা প্রকাশ করেছেন যে, সব দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তার এই আশার সাথে একাত্ম হবে সবাই। তার এই আশা তখনই পূরণ হবে যখন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে অন্তরায়গুলো রয়েছে, তা দূর করা হবে। এটা সরকার ইচ্ছা করলেই পারে। সবার নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে কতগুলো বিষয়ের কথা বলা হয়েছে। সেগুলোর সমাধান হলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী এ কথাও বলেছেন, টানা দুই দফা দেশ পরিচালনার টার্গেট তার পূরণ হয়েছে।’ এখন তিনি এই লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেন যে, একটা প্রশ্নমুক্ত নির্বাচন তার সরকার করবে। সে নির্বাচনে জনগণ যদি পুনরায় তাকে এবং তার দলকে বিজয়ী করে অবশ্যই তাতে কারো দ্বিমত করার অবকাশ থাকবে না। এভাবে তিনি ও তার দল বিজয়ী হলে প্রকৃতপক্ষে বিজয় হবে গণতন্ত্রেরই।


আরো সংবাদ



premium cement