আমি নৌকামন্ত্রীর পক্ষে
- মিনা ফারাহ
- ০৮ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৩৭
‘নৌকামন্ত্রী’ বলার কারণ, তাদের প্রত্যেকেই নৌকার মন্ত্রী, যাদের সাথে জনগণের সম্পর্ক নেই। তারপরও তার পদত্যাগ চাই না। অন্যথায়, টপ-টু-বটম ৫ জানুয়ারির প্রত্যেককেই পদত্যাগ করতে হবে। এই ঝুঁকি নেয়ার মতো পরিস্থিতি এখন আর নেই। সেফ এক্সিটের গ্যারান্টিও বহু আগেই ফুরিয়েছে। লাইসেন্সবিহীন হওয়ায় ক্ষুব্ধ পাবলিকের সাথে মারাত্মক সঙ্ঘাত হওয়ার আশঙ্কা। সর্বোপরি, ৫ জানুয়ারির দায় শাজাহান খানের নয়। অবৈধ নির্বাচনটি হয়েছিল বলেই তিনি এবং কালো বিড়ালদের মতো অনেকেই মন্ত্রী হতে পেরেছেন। প্রত্যেকেরই বেপরোয়া হওয়ার কারণও সেটাই। আইনহীন সরকার আইন মানবে না, ইতিহাসের এটাই নিয়ম। সেটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো ছাত্রছাত্রীরা। তাদের কারণে জানলাম, দেশের আসল চালক কে। জানলাম, সরকার অবৈধ হলে আইনও বৈধ হয় না। আরো জানলাম, লাইসেন্সবিহীন এবং ফিটনেসবিহীন সরকারের মতোই অর্ধেক গাড়ির অবস্থা। প্রশ্ন- সামান্য গাড়ি চালাতে লাইসেন্স লাগলে, দেশ চালাতে লাগে না?
দার্শনিক ব্যাখ্যাটি এ রকম- আমরা কি আমেরিকার কোর্টে ঢাকার বাড়ি রেজিস্ট্রি করতে পারব? আগের সরকারগুলোর বেলায় দুর্নীতি থাকলেও সীমানা ছিল। বিষয়টি হলো, ৫ জানুয়ারির লাইসেন্স দিয়ে ক্রেমলিন ও দিল্লিতে গাড়ি চালানো বৈধ। কারণ, ওই লাইসেন্সে তাদের অদৃশ্য সিল। ওই দিন বাংলাদেশের জনগণ ভোট দিয়ে কাউকে নির্বাচন করেনি, বলেছেন সুপ্রিম কোর্ট। আদেশটি এখন পর্যন্ত বহাল। অর্থাৎ ক্রেমলিন-দিল্লির লাইসেন্স দিয়ে বাংলাদেশে গাড়ি চালানো অবৈধ।
পর্কের মাংস হারাম নাকি হালাল, প্রশ্নটি একাধিক ধর্মের মানুষদের জন্য নিষিদ্ধ। একইভাবে, ‘কালো বিড়ালমন্ত্রী হারাম কিন্তু নৌকামন্ত্রী হালাল’, এই দাবিও ভিত্তিহীন। কারণ ৫ জানুয়ারির খামার থেকে উৎপাদিত হলে তা অবৈধ। সুতরাং মানুষ মারা গেলে মন্ত্রী কাঁদবেন কেন?
বাঙালির স্মৃতিশক্তি অত্যন্ত দুর্বল হওয়ায় সকালের কথা রাতেই ভুলে যায়। যেভাবে লাইসেন্সবিহীন সরকারের উদ্ভাবন, আবারো ঝালাই করব। নির্বাচনটি হয়েছিল পুতিন ও কংগ্রেসের সমন্বয়ে। বহু বছর আমেরিকা প্রবাসী হওয়ায় মার্কিন নির্বাচনে পুতিনের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ সম্পর্কে বিস্তারিত জানি। ভোট চুরি কিংবা প্রভাব ফেলা, এমনকি মার্কিন নির্বাচনও রক্ষা পায়নি। দেশে দেশে নির্বাচন নষ্ট করাই যেন পুতিনের কাজ। এমনকি বিএনপি-আওয়ামী লীগ স্টাইলে আমেরিকানদেরও বিভক্ত করে ফেলা হয়েছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তার অদৃশ্য হাত নিয়ে গণতন্ত্রকামীরা এখন পর্যন্ত ঘুমে। পুতিন-দিল্লি যাকে ক্ষমতায় চায়, তার জন্য নির্বাচন না হলেও চলে। কিন্তু চক্ষুলজ্জা বলে কথা এবং সেটাই ৫ জানুয়ারি।
বিনিময়ে নিরঙ্কুশ আনুগত্য এবং তাদের অর্থনীতিকেই শক্তিশালী করতে নিঃশর্ত বিলিয়ে দেয়া। এ কারণে তেল, গ্যাস, সুন্দরবন কিছুই রক্ষা করা যায়নি। ড. ইউনূস থেকে বিচারপতি সিনহা এবং বিরোধী শিবির... লাইসেন্সবিহীন গাড়ির চাকার তলে পিষ্ট হয়নি, ৯ বছরে একটি দৃষ্টান্ত থাকলে দেখানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম মহাসচিব কাদেরের কাছে। সুতরাং পুতিনের কব্জা থেকে নির্বাচনগুলো আর কখনো রক্ষা পাবে কি না সন্দেহ। দুর্নীতিবাজ কংগ্রেসের নগ্ন হস্তক্ষেপের পর একই পাগড়ি মোদির মাথায়। এভাবেই বিদেশীদের দেয়া লাইসেন্স দিয়ে ২০৪১ পর্যন্ত চলবে।
রাষ্ট্র একটি গাড়ি। এর চারটি চাকা। বাসের ভেতরে ১৬ কোটি মানুষ। রাস্তার চালকের লাইসেন্স না থাকলে বড়জোর ১০০ যাত্রীর জীবন ঝুঁকিপূর্ণ, কিন্তু রাষ্ট্রের চালকের লাইসেন্স না থাকলে ১৬ কোটি মানুষের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ।
শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করে ছাড়ল, বৈধ সিস্টেমের বিকল্প নেই। ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ চলতে দিলে মানুষ মরতেই থাকবে। প্রমাণ করল, পুলিশের গাড়ির পর্যন্ত লাইসেন্স নেই। অনির্বাচিত মন্ত্রীদের গাড়িরও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সংসদীয় বৈঠক বাতিল করতে হলো। আরো প্রমাণ করা হলো, বাইরের হস্তক্ষেপে যে নির্বাচন তার মাধ্যমে গঠিত সরকার গণমুখী নয়।
শিক্ষার্থীদের চোখ দিয়ে চালকের লাইসেন্স খোঁজার মধ্যে রাষ্ট্রচালকের লাইসেন্স খোঁজা যায়। বেছে বেছে নয়, সমষ্টিগত সমালোচনা করুন। বাসচালকদের লাইসেন্স একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দেশচালকের বৈধ লাইসেন্স একটি সমষ্টিগত আলোচনা। রাস্তার গাড়ির লাইসেন্স খুঁজতে গেলে কম্বলের লোম শেষ হয়ে যাবে। কারণ বাংলাদেশ পৃথিবীতে সবচেয়ে জনবহুল ও অন্যতম দরিদ্র দেশ হওয়ায় অনিয়মই যেন নিয়ম। যানবাহন এর শীর্ষে। তবে ৯ বছরে মাদকসেবী, নাবালক চালকের সংখ্যার বিস্ফোরণ হওয়ার কারণ, একজন মন্ত্রী একাই যেন ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ। আমরা ‘খানদের এন্টারপ্রাইজের’ গভীরে যাই না কেন?
২.
রাজা জর্জ লুইয়ের মতো অদম্য-অসীম ক্ষমতাধর ব্যক্তির কিছু স্মরণীয় উক্তি। তারেক মাসুদের মৃত্যুর পরই বলেছিলেন, ‘গরু-ছাগলের চিহ্ন চিনতে পারলেই লাইসেন্স দেয়া যাবে।’ দিনে লাশের সংখ্যা কখনো ৫০-এ দাঁড়ায়। বেশির ভাগ খবর মিডিয়ার বাইরে থাকে। চালকেরা জানেন, দোর্দণ্ড প্রতাপশালী নৌকামন্ত্রী একাধারে মালিক নেতা, শ্রমিক নেতা প্লাস মন্ত্রীও। অর্থাৎ সর্প তিনি, ওঝাও তিনি। তবে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট মন্ত্রী তিনি একাই নন।
অনির্বাচিত মন্ত্রীর উইকিপিডিয়া থেকে কিছু তথ্য নিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেছে ‘প্রথম আলো’। সেখানে এন্টারপ্রাইজের কিছুটা চেহারা। লেবারলিডার হওয়ায় ইউনিয়নভুক্ত ক্রিমিনালদের বিচারকাজে হস্তক্ষেপ করা তার রুটিন। মালিকেরা গণ্ডগোল করলে শ্রমিকদের পক্ষ নিয়ে মালিকের জীবন বিপন্ন করে দেন। মন্ত্রণালয়টি ব্যক্তিগত অফিস হওয়ার অভিযোগ। দিনে দুই কোটি টাকা পরিবহন চাঁদা আদায়েরও অভিযোগ। যে ছেলেটি কখনোই স্কুলে যায়নি, গরু-ছাগলের চিহ্ন তার জানা। সুতরাং তাদের হাতেই লাইসেন্স তুলে দেয়ার জন্য দায়ী কি এই মন্ত্রী একা?
৩.
ঘটনাগুলোর ধারাবাহিকতা উদ্বেগজনক। কোন অস্থিরতা ঢাকতে বাস দুর্ঘটনা? ভল্টের লাখ লাখ কোটি টাকার স্বর্ণ চুরির খবর অফসেট করতেই কি মাহমুদুর রহমানকে হত্যার চেষ্টা? সিঁদ এক দিনে কাটেনি এবং ব্যাংক পরিচালকের সেটা জানা। এত স্বর্ণ কেউ এক দিন বা এক মাসে চুরি করতে পারে না। ছাত্রলীগের সন্ত্রাস দেখলে মিডিয়া একটু বেশিই উত্তেজিত হয়। যে কারণে মাহমুদুর রহমান এবং স্বর্ণ চুরির ঘটনা প্রায় সমসাময়িক। সাংবাদিককে হত্যা-প্রয়াসের খবর আন্তর্জাতিক হওয়ার আগেই হুড়মুড় করে ঢুকে গেল ৫০০ কোটি টাকার কয়লা চুরি। সুতরাং মাহমুদুর রহমান ইস্যু ফিনিস।
স্বর্ণের মতোই ৫০০ কোটি টাকার কয়লাও কেউ এক রাতে চুরি করেনি। শিশুও জানে, কয়লার হাত-পা নেই। এটা নিতে লাগে রেল-ট্রাক। এটা স্বর্ণের বার নয় যে, এক ব্যক্তি তিন হাজার স্বর্ণের বিস্কুট গিলে খেয়ে, হোটেল সোনারগাঁওয় গিয়ে পেট খারাপের ওষুধ খেয়ে ‘স্বর্ণের ডিম’ পাড়বে। সুতরাং ‘রাজাকারের বাচ্চা’দের খুঁজতে গিয়ে কয়লা চোরদেরও ধরার কথা র্যাব-পুলিশের। ভবিষ্যতে আর কোনো ক্রাইসিস আড়াল করতে প্রবাসীদের গচ্ছিত বিলিয়ন ডলার গায়েব হওয়ার খবর কোনো দিন প্রকাশ পেলে তখন যেন কেউ অবাক না হয়।
মিডিয়া যখন কয়লা মহাকাব্য নিয়ে মহাব্যস্ত, কেষ্টা বেটা কে! যারা ৫ জানুয়ারির লাইসেন্স দিয়েছে, তারা সুদে-আসলে নিচ্ছে। তারা জানে, অনির্বাচিত সরকারের পর আইনের বালাই ভুলে দালাল হয়ে গেছে বহু মানুষ। অন্যথায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা থেকে ৮০ মিলিয়ন ডলার চুরির পরই নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি হওয়ার কথা। কিন্তু দেখা গেল, এরপরও লাখ লাখ কোটি টাকার স্বর্ণ চুরি। ঘটনাটি এ রকম : কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গচ্ছিত স্বর্ণগুলো কেউ চুরি করে রেখে দিয়েছে ভেজাল বার। এর সাথে মুক্তিযুদ্ধের ক্রেস্টে ভেজাল স্বর্ণের হুবহু মিল। ক্রেস্টের স্বর্ণ চোর ক্ষমতাবানদের নাম মিডিয়ায় এসেছে। রাবিশ খ্যাত মুহিত বললেন, এই ভেজাল কোনো ব্যাপারই নয়। নির্বাচিত সরকারের আমলে দুর্নীতি দেখেছি। কিন্তু চোর-বাটপারদের পক্ষ নিতে দেখিনি।
প্রসঙ্গ, ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ এবং বেপরোয়া গাড়ি। ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় নামার কারণ কি শুধুই দু’টি লাশ? নির্বাচনের ঠিক আগে যেভাবে দালাল শ্রেণী দিয়ে এই আন্দোলন হত্যা করা হলো, বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। উদাহরণস্বরূপ, পাঁচটি বাস পেয়ে শিক্ষকেরা মহাখুশি। নিহতদের পরিবারকে ৪০ লাখ টাকা দিয়ে মুখে সিলগালা। এমনকি মন্ত্রী হওয়ার তালিকায় থাকা এক খেলোয়াড়কেও দালাল বানিয়ে ছাড়ল। নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রশ্ন- এভাবে কয়জনের মুখ বন্ধ করবেন? প্রশ্নটা এখানেই। বেপরোয়াদের বিরুদ্ধে যখনই কোনো আন্দোলন দানা বাঁধে, তখনই দালাল শ্রেণী দিয়ে মুভমেন্ট ধ্বংস করা হচ্ছে। সর্বশেষ দৃষ্টান্ত, কোটার পর শিশু-কিশোরদের সাথেও প্রতারণা। অর্থাৎ সময়ের স্রোতে বিপন্ন ১৬ কোটি মানুষ।
৪.
হোস্টেল ও ভাতের খোঁটার পরই রাস্তার খোঁটার বিষয়টি অত্যধিক স্থূলবুদ্ধির পরিচয়। বলা হলো, ‘পাঁচ টাকায় বাসে চড়ার সুযোগ করে দিয়েছি। তারপরও এত লাফালাফি কিসের? সাধারণ ছাত্ররা এত সুন্দর রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে, এই রাস্তা কে তৈরি করে দিয়েছে? আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। তাহলে বাস ভাড়া ১০০ টাকা করে দেই? ছাত্রদের ভাড়া দ্বিগুণ করে দেই, তেলের দাম বাড়িয়ে দেই। দেই ভর্তুকি বন্ধ করে। নাকি শাজাহান খানকে বলে দেবো, বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। তখন যেন কেউ আন্দোলন করে না এটা বলে, বাস বন্ধ করলেন কেন? ... রিপোর্ট হাতে এলেই বুঝতে পারব যান্ত্রিক ত্র“টি নাকি জামায়াত-বিএনপির লোক ছিল, যারা কি না বাস হাইজ্যাক করে ছাত্রদের গায়ের ওপর উঠিয়ে দিয়েছে।’
লক্ষণীয়, বিএনপি-জামায়াত এখন কারো কারো মাথার কিরিপোকা। নামটি না বললে পেটের ভাত হজম হয় না। প্রসঙ্গ, বেপরোয়া আমিত্ববাদ ও আক্রান্ত মানবতা। সংবিধানে ‘আমি’ বলে কোনো শব্দ নিষিদ্ধ। রাষ্ট্র থাকে, চালক বদল হয়। ‘আমি’ নামের কেউ রাস্তা বানায় না। পাবলিকের টাকায় রাস্তা বানায় রাষ্ট্র, যা তার দায়িত্ব। সিসিমার্কা নির্বাচনের সমালোচনা করলেও যা করে না, আইসিটি আইনে সেটিই হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পক্ষ নেয়ায় ফটোসাংবাদিক ড. শহিদুল আলমকে তুলে নিয়ে গেছে ২০টি গাড়িতে আসা ৩৫ জন সাদা পোশাকধারী। যাওয়ার সময় বাড়ির সিসি ক্যামেরাগুলো খুলে নিয়ে গেছে। এর অর্থ, মানুষ কথা বলতে পারবে না। প্রশ্নÑ তাহলে এরা কারা?
এর জবাব দিতে ব্যর্থ পল্টন। তারা এখন হতাশার দেবতা। নেত্রীকে জেলে রেখেও অনুনয়-বিনয়ে সীমিত। পাবলিককে বৈধ সরকার বলতে শিখিয়েছে ওরাই। ‘প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী’ বলতে বলতে মুখের ফেনা তুলে ফেলছেন ফখরুল। একমাত্র ভরসা যুবসমাজ। দু’টি আন্দোলন প্রমাণ করে দেখাল, বৈধ সিস্টেম তথা বৈধ সরকারের বিকল্প নেই। প্রমাণ করল, বিশেষ বিশেষ বহিঃশক্তিকে কেন ভোটের বাক্স থেকে বহু দূরে রাখতে হবে।
৫.
সংসদে দাঁড়িয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের বলা হলো, ‘আমি আর কোনো কোটা রাখব না, কোটা বাদ।’ আন্দোলন শেষ। এরপর কী? ‘আদালতের রায় থাকায় কোটা বাদ দেয়া যাবে না।’ প্রতিশ্র“তি এসেছে, কিন্তু কোটার পরিবর্তন হয়নি। ছাত্রদের ৯ দফা মেনে নিয়ে নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংস্কারও হয়েছে, কিন্তু এখানেই শেষ। তারপরও এই আন্দোলন সফল এবং আগামী দিনের অনুপ্রেরণা। কারণ ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজের মুখোশ খুলে দিতে পেরেছে এই আন্দোলন।
নির্বাচন সামনে, অন্ধকারের ভুতুড়ে গলি। ‘একজনকে ধরা গেছে’ শিরোনামে প্রথম আলো লিখেছে, যে ছাত্রটি ভিড়ের মধ্যে ঢুকে ছাত্রদের ওপর হামলা করছিল, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সে। এই একটি রিপোর্টই অনির্বাচিতদের অনুপ্রবেশ রাজনীতির গোমর ফাঁস করে দিলো। অর্থাৎ যারা অনুপ্রবেশকারী, তারাই অভিযোগকারী।
ছাত্র আন্দোলন সফল। কারণ তাদের এই কয়দিনের আন্দোলনে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে অনেক জীবন রক্ষা হয়েছে। সড়ক পরিবহন আইন সংস্কার করতে বাধ্য করে প্রমাণ করা হলো, গাড়ির আসল চালক যুবসমাজ। ওরাই দু’টি আন্দোলনের মাধ্যমে প্রমাণ করল, কত বড় প্রতারক এ রাষ্ট্রব্যবস্থা। প্রমাণ করল, বৈধ নির্বাচন সম্ভব।
১ টাকায় ১০ জিবি ইন্টারনেট নয়, চাই গণতান্ত্রিক সরকার।
ই-মেইল : [email protected]
ফেসবুক : minafarahfacebook
ওয়েবসাইট : www.minafarah.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা