সামাজিক শক্তিগুলোর সম্পৃক্ততা প্রয়োজন
- সালাহউদ্দিন বাবর
- ০৫ আগস্ট ২০১৮, ১৯:২৫
জাতীয় কল্যাণে অরাজনৈতিক সামাজিক শক্তিগুলোর আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত। রাজনীতিতে সরাসরি সম্পৃক্ত না হয়েও নিজ বলয়ে থেকেই রাষ্ট্রব্যবস্থায় শুদ্ধাচার আন্দোলনে শরিক হয়ে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে যে অবদান এখন তারা রাখছেন, তাতে আরো গতিপ্রবাহ সৃষ্টির অবকাশ রয়েছে। শুধু রাজনৈতিক শক্তির একার পক্ষে জনগণের কল্যাণ ও অধিকার সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। তবে এ কথা বাংলাদেশের জন্য সত্য, এখানে সামাজিক শক্তিগুলোর পক্ষে রাজনৈতিক শক্তির মোকাবেলা করে কিছু করা কঠিন।
সামাজিক শক্তির সক্রিয়তায় রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে। ক্ষমতাসীনদের বিপক্ষে গেলে তারা অসহিষ্ণু হয়ে ওঠেন। সরকারি মহল সবসময় এই আশাই করে যে, এসব সংগঠন তাদের লেজুড়বৃত্তি করুক। আর এটা ঠিক, সামাজিক শক্তিগুলো যদি নিজেদের বিবেককে রুদ্ধ করে সব বোধ-চিন্তাকে জলাঞ্জলি দিয়ে নীতি-আদর্শের বিপরীতে অবস্থান গ্রহণ করে, তাহলে তাদের পক্ষে শুদ্ধাচারের আন্দোলনে থাকা সম্ভব নয়। স্মরণ রাখতে হবে, রাজনীতিবিদেরাই শুধু দেশে কল্যাণে কাজ করেন, এটা ঠিক নয়। সব অবস্থানে থেকেই দেশের জন্য কাজ করতে হবে। নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সচেতনভাবে দায়িত্ব পালন করলেই রাষ্ট্র এর সুফল পাবে। এখন সবার এই সম্মিলনটা প্রয়োজন। রাজনীতিবিদদের এই চেতনা জাগ্রত করতে হবে এবং রাষ্ট্র যাতে সবার সেবা পেতে পারে তার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। একাই সব করা হবে, কারোই এই মানসিকতা ভোগা উচিত নয়। আমরা অনেক সময় নষ্ট করেছি, সময়ক্ষেপণের এখন আর কোনো অবকাশ নেই।
বুদ্ধিজীবীরা দেশের বাতিঘর, তারা শুদ্ধাচারের আলো জ্বালবেন। সে আলোয় স্নাত হয়ে মানুষ সামগ্রিক শুদ্ধাচারের আন্দোলনে শরিক হবে। ন্যায়-অন্যায় এবং ভালো-মন্দের পার্থক্য উপলব্ধি করবে; যেখানে অন্যায়, যেখানে কালিমা সে বিষয়ে সমাজকে সচেতন এবং তা প্রতিরোধে উদ্বুদ্ধ করবে। বুদ্ধিজীবীরা যেহেতু সমাজের সবচেয়ে সচেতন অংশ, তাই রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠেই তাদের প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে হবে। রাজনীতি কোনো নিষিদ্ধ বস্তু বা মন্দ জিনিস নয়। তবে এতে দলীয় দৃষ্টিকে সামনে নিয়ে এতে তা বহু ক্ষেত্রে মানুষকে সঙ্কীর্ণতায় আচ্ছন্ন করে ফেলে। তখন রাজনীতিকেরা সত্য ও শুদ্ধতাকে গ্রহণ করতে পিছপা হন। সমাজের এই বদ্ধতা দূরীভূত করে জাতির জন্য একটি স্বচ্ছ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবীরা অবদান রাখবেন বলে আশা করা হয়। তারা তাদের এই দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উদাসীন, আমরা এ কথা বলছি না।
কিন্তু এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, আমাদের সম্মানিত বুদ্ধিজীবীরা ঐক্যবদ্ধ নন। জাতি যেমন বিভিন্ন মৌলিক বিষয়ে মতপার্থক্য নিয়ে আছে, তা দূর করার ক্ষেত্রে এই আলোকিত সমাজকে নিরাসক্ত বলে মনে হয়। তাই তাদের কাছে দেশবাসীর প্রত্যাশা, তারা শুদ্ধাচারের প্রদীপ হাতে এগিয়ে যাবেন আর সব শ্রেণী-পেশার মানুষ তাদের সেই মিছিলে যোগ দেবে। আর সেদিনই দেশ তার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে।
সাংবাদিক সমাজও দেশের ‘ওয়াচডগ’। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে লুকিয়ে থাকা অন্যায়-অনিয়মকে খুঁজে বের করে তাকে প্রকাশ্যে আলোর ছোঁয়ায় নিয়ে আসার মহান ব্রত নিয়ে ছুটে বেড়ান সাংবাদিকেরা। রাষ্ট্রের ‘চোখ-কান’ হিসেবে সাংবাদিকেরা কাজ করে থাকেন। সরকারের ভুলভ্রান্তি আর জনগণের অধিকার নিয়ে লিখে থাকেন। সমাজের দুষ্টচক্রের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী কাজ করেন বিধায় অনেক ক্ষেত্রে তাদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। স্বার্থান্বেষী মহলের এবং সরকারের অগ্নিচক্ষুর মুখোমুখিও সাংবাদিকদের হতে হয়। নানা ঝুঁকির মধ্যে কাজ করে সাংবাদিক সমাজ।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবশ্য তারা মুদ্রার এক পিঠ দেখেন। তারা অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে সমাজের কোনো কোনো ক্ষেত্রের কালিমা কলমের ডগায় তুলে ধরেন না। রাজনীতির ক্ষেত্রেও তাদের এই একচোখা নীতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে সেখানে সমাধানে পৌঁছাতে বহু অনিয়ম বিরাজ করছে। এ দেশে যে সঙ্কট চলছে গণতন্ত্রের, তাকে একটি সাংবাদিক সমাজকে সম্মিলিতভাবে কলম ধরতে হবে। দেশে আজ মানুষের ভোটাধিকার সঙ্কটের মুখে। পেশিশক্তির কালো হাত সুষ্ঠু নির্বাচনব্যবস্থাকে তছনছ করে দিচ্ছে। এ জন্য জনগণকে প্রতিবাদী করে তোলার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের কাজ করতে হবে। রাষ্ট্রাচারে যে অনিয়ম-অব্যবস্থা আছে, তা দূর করতে না পারলে সামনে সমূহ বিপদ ঘটবে জাতির জীবনে।
সমাজের অগ্রসর অংশ হিসেবে এই বিপদ থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে হবে তাদের। এসব সমস্যা থেকে দূরে থাকার ব্যবস্থাগুলোকে সাংবাদিকদের সুস্পষ্ট করে সঙ্কটের প্রতিকার পন্থা বাতলে দিতে হবে। আর এসব কাজ করার জন্য সাংবাদিকদের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এ পেশার যে বৃহত্তর দাবি, তা পূরণ করে এই পেশায় আসতে হবে। এই আত্মোৎসর্গকারী পেশায় যে সাংবাদিক সমাজ নিবেদিত, তাদের প্রতি রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্ব রয়েছে। তারা যাতে তাদের পেশায় একাগ্র হতে পারেন সে জন্য তাদের আয়-রোজগারের বিষয়টি রাষ্ট্র ও সমাজকে দেখতে হবে। সাংবাদিকদের বিপদ-আপদের সময় সমাজকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এটাই সাংবাদিক সমাজকে জাতীয় কল্যাণে অবদান রাখার ব্যাপারে একাগ্র করবে।
‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’ কথাটি শুনতে সবারই ভালো লাগে। সমাজের সবাই তাদের উন্নয়ন অবশ্যই চেয়ে আসছেন। সেই সাথে সামাজিক অগ্রগতিও সবার আকাক্সক্ষার বিষয়। আর সামাজিক উৎকর্ষের ক্ষেত্রে সংস্কৃতির প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। দেশের উন্নয়নে বড় বাধা হচ্ছে শাসনব্যবস্থার সাথে যারা জড়িত, তারা রাজনীতিক, প্রশাসনিক ও আমলা শ্রেণী। তারাই মূলত দেশ পরিচালনা করেন। এদের যদি ন্যায়নীতি ও শুদ্ধ সংস্কৃতির সাথে পরিচয় না থাকে; তবে তাদের আচরণে সততা বা বিশুদ্ধতা আসবে না। তারা নিছক দেশ শাসন করবেন নিজেদের ভাগ্য গড়ার জন্য, তাদের অনেকের ফন্দি-ফিকির হবে কোনো শুদ্ধতার বিবেচনা নয়, কেবলই নিজেদের স্বার্থকে সংরক্ষিত করা। মানুষের জীবনাচরণে নৈতিক ভিত্তি থাকতে হবে। তা না হলে কেবল স্বার্থের পেছনেই সবাই ছুটবে। আর নৈতিকতার ভিত্তি রচনা করে ধর্ম। অথচ এখন সমাজে একশ্রেণীর মানুষ ধর্মাচরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখছে। তাই এসব মানুষকে সংস্কৃতিবান বলা দুষ্কর। আর এদের একটা অংশ চালকের আসনে বসে সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করছে। সে কারণে বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক সঙ্কট।
সব দেশেই সুশীলসমাজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশে সুশীলসমাজের অবস্থান আছে বটে, কিন্তু আরো সংগঠিত হওয়া এবং তাদের কার্যক্রম ব্যাপকভিত্তিক করে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গের ওপর চাপ সৃষ্টির দরকার রয়েছে। মোট কথা, রাষ্ট্রাচারে শুদ্ধতার আন্দোলন সংগঠিত হওয়া উচিত। দেশে আইনকানুন সব আছে, কিন্তু তা প্রয়োগ করে সমাজকে কাক্সিক্ষত মাত্রায় এগিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেই। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে এ ক্ষেত্রে রয়েছে চরম দুর্বলতা। কেননা, দেশে জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা অনুপস্থিত। তাই কে কার গাফিলতি নিয়ে মাথা ঘামাবে? রাষ্ট্রের যে বিভাগটি জবাবদিহিতার অনুশীলন করবে, খোদ তাদের গঠনপ্রক্রিয়ায় রয়েছে গলদ। তারা হয়ে থাকেন জনপ্রতিনিধি। কিন্তু এখন যারা এই জবাবদিহি নেয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট, তারা কেউই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের বর্তমান আসনে বসেননি। তাই দেশে এখন সুশীলসমাজের গুরুত্ব ও ভূমিকাই সর্বাধিক। যেহেতু এ দেশে গণতন্ত্র তেমন শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে নেই, তাই এখানে গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার ও স্বাধীন মত প্রকাশ করা সহজ নয়। সুশীলসমাজের পক্ষেও এসব নিয়ে কথা বলা সহজ হচ্ছে না। তার পরও তাদের দিকে তাকিয়ে আছে মানুষ। যদি কেউই জবাবদিহি করার জন্য না থাকেন, তবে দেশের শাসকদের ভুলভ্রান্তির কথা সাহস করে বলবেন কে?
দেশ এখন অনিয়ম-দুর্নীতিতে সয়লাব। এ ক্ষেত্রে লাগামহীন অবস্থা চলছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে চারি দিক থেকে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করা হচ্ছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন নাজুক অবস্থায় যে, জাতীয় অর্থনীতি ভেঙে পড়তে পারে। ব্যাপক উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে সরকারি মহল থেকে, কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি কেমন, তার যে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ মূল্যায়ন সেটা গৎবাঁধা সরকারি বক্তব্যকে সমর্থন করে না। দেশের অর্থনীতিবিদ যারা অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করেন, তাদের এ ব্যাপারে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। বাংলাদেশে দুর্নীতি এতটা বিপর্যয়কর যে, বিশ্বের যে কয়টি দেশ মারাত্মক দুর্নীতিগ্রস্ত, তাদের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে। দ্রব্যমূল্য আকাশ ছোঁয়া হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষ তাদের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের দুর্বলতাগুলো তুলে ধরে তা প্রতিকারের বিষয়ে পরামর্শ দিতে হবে অর্থনীতিবিদদের। রাষ্ট্রাচারের যেসব গলদের কারণে অর্থনীতিতে অব্যবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, সে ব্যাপারে প্রশাসনের ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করা রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের দায়িত্ব।
মাদকবিরোধী অভিযান চলছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দুর্বলতার কারণে দেশে মাদক ব্যবসার জাল বিস্তার লাভ করেছে। মাদকের নীল দংশনে লাখ লাখ যুবক আসক্ত হয়ে পড়েছে। এতে যুবসমাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুরব্বিরা চিন্তিত। মাদকবিরোধী অভিযান সশস্ত্র রূপ নিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন- এই মাফিয়া চক্রের বিরুদ্ধে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ চালাতে হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই চক্র কিভাবে প্রশাসনের চোখের সামনে এত শক্তি অর্জন করল যে তাদের দমনে বন্দুকযুদ্ধ চালানোর মতো অবস্থা হয়ে গেছে। এর জবাব মেলেনি। যে অভিযান চলছে তা মাদক নিয়ন্ত্রণের একটি অংশ। মাদকসেবীরা সমাজে রয়ে গেছে? এর প্রতিকার কিভাবে? মাদক দুষ্পাপ্য করে তোলার পাশাপাশি সবাইকে এই পথ থেকে ফেরানোর জন্য সরকারকে মনোবিজ্ঞানীদের পরামর্শ নিয়ে সে অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। মনোবিজ্ঞানীদের সে ভূমিকা রাখা এখন জরুরি।
সব মানুষের জন্য এখনো চিকিৎসাসেবা আর সহজলভ্য নয়। বাংলাদেশে চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। অথচ চিকিৎসা লাভ করা নাগরিকদের অন্যতম মৌলিক অধিকার। দেশে যে চিকিৎসাব্যবস্থা রয়েছে, তার সর্বোচ্চ সুবিধা লাভ করতে পারেন বিত্তবানেরা। এমনকি প্রয়োজনে তারা বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার সামর্থ্য রাখেন। বিত্তবানেরা বহু সুযোগ-সুবিধার অধিকারী। কিন্তু নিম্নবিত্তের মানুষ অন্য সব ক্ষেত্রসহ চিকিৎসা নিতেও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এর সাথে অর্থনীতির সম্পর্ক রয়েছে বটে। কিন্তু সেই সাথে দেশের চিকিৎসক সমাজ ভেবে দেখা উচিত, তারা এজন্য কতটা এগিয়ে আসতে পারেন। সব শ্রেণীর মানুষের শিক্ষা লাভ করা তার সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু রাষ্ট্র তার সামর্থ্যরে অভাবে ও ব্যবস্থাপনার কিছু দুর্বলতার কারণে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারছে না আজো। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানগুলো বিরাট অবদান রাখতে পারে। এ কথা স্মরণ করা যেতে পারে যে, একশ্রেণীর মানুষ শিক্ষাকে ব্যবসায়ী দৃষ্টিতে দেখায়, তা সাধারণের জন্য দুর্লভ হয়ে উঠেছে। সরকারকে দেখতে হবে যে, অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনগুলোর কাছ থেকে কিভাবে আরো সাহায্য নেয়া যায়। প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে বিধিবিধানের জালে আটকে না পড়ে, তাও দেখার বিষয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা