বড্ড বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে
- মিনা ফারাহ
- ১৩ জুন ২০১৮, ১৬:২৪, আপডেট: ১৪ জুন ২০১৮, ১৫:৪১
ক্ষুধার্ত পুঁজিবাদীদের সঙ্গে দেনা-পাওনার ষড়যন্ত্র করায় গণতন্ত্রের নামে এই মিলেনিয়ামে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। দুর্বৃত্তদের কারণেই এ অঞ্চলের বিখ্যাত ব্রিটিশবিরোধী ‘সত্যগ্রহ’ এখন ‘অস্ত্রগ্রহ’ ও ‘ব্যক্তিগ্রহ।’ বিডিআর দুর্ঘটনার সঙ্গে ৫ জানুয়ারি যুক্ত। ১৫তম সংশোধনীর সঙ্গে জিয়া পরিবারকে নির্বংশ করার হিসাব যুক্ত। দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার সঙ্গে রোহিঙ্গা ক্রাইসিস যুক্ত। মেগাবাজেটের চমকের সঙ্গে তারল্য সঙ্কট, খেলাপি ঋণের রমরমা ব্যবসা এবং অফ শোরে সহজ মুদ্রাপাচার যুক্ত। কোয়ালিশনে যুক্ত হয়ে ইয়েমেনে গণহত্যা সমর্থনের সঙ্গে বাদশাহ’র যৌথ মহড়ার দাওয়াতকে যুক্ত করে দেখছেন অনেকে। দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার সঙ্গে সপরিবারে ক্ষমতা দখলের হিসাব যুক্ত। গণভবনকে পিপলস হাউজ থেকে পারিবারিক বাড়ি বানানোর সঙ্গে গণতন্ত্রমুক্ত বাংলাদেশ যুক্ত। ভয়ঙ্কর আমিত্ববাদের সঙ্গে একনায়কতন্ত্রবাদের লীলাখেলা যুক্ত থাকে বৈকি।
মার্কিন সমর্থিত বিদ্রোহীদের ‘গাদ্দাফি’ হত্যার লাইসেন্স দেয়ার আগে হোয়াইট হাউজে নাকি ওবামার সঙ্গে হিলারির বচসা হয়েছিল। ওবামা বলেছিলেন- না, হিলারি- হ্যাঁ। এরপরই কুকুরের মতো গুলি করে কর্নেল গাদ্দাফিকে যেভাবে হত্যা করা হলো, সমগ্র পৃথিবী লাইভ দেখেছে। একইভাবে গণতন্ত্রমুক্ত বাংলাদেশের চক্রান্তকারীদের আন্তরিকতা ছাড়া ৯ বছর ধরে ক্রমাগত বিরোধী নেতাকর্মীদের গুম-খুন-নির্যাতন সম্ভব ছিল না। সুনির্দিষ্টভাবে মাদকহত্যা অভিযানের জন্য ধর্মীয় মাসকে বেছে নেয়ার রহস্য কী? এরপর নির্বাচন নিয়ে ফখরুলদের বাগাড়ম্বর, আর খুকুমণির ললিপপ খাওয়া এক। বাংলাদেশকে তাঁবেদার বানানোর বিরুদ্ধে ধৈর্যচ্যুতির সময় বহু আগেই এসে চলে গেছে।
২.
রূপকথার গল্প শুনুন। মাদকবিরোধী অভিযানে প্রায় শতাধিক মানুষ মরল, কিন্তু একজন পুলিশেরও আঁচড় লাগল না? ‘অভিযানে দু-একটা ভুল হতেই পারে’ বলে যাদের মন্তব্য, তারা যে ‘গিল্টি অব ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডার’ হতে পারেন, সে কথা কি উপলব্ধি করছেন? জুরিসপ্র“ডেন্সে এর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এই মাপের মহাজ্ঞানী মহাসচিব শুধু আওয়ামী লীগ কেন, পৃথিবীর ইতিহাসে নেই। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, বাচনভঙ্গি, দাঁতের ভঙ্গি, চোখের ভঙ্গি, বচন ডেলিভারি, সানগ্লাসের প্যাঁচ- সব কিছুতেই দক্ষিণ ভারতের সুপারস্টার রজনীকান্ত। মহাজ্ঞানী সক্রেটিসের ২৪০০ বছর পর এমন সক্রেটিসের অভ্যুত্থান দেখলাম, মনে হয়- যিনি জানেন না বলে এমন কোনো বিষয় সভ্যতার ইতিহাসে নেই।
এতকাল জানতাম একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই সর্ববিষয়ে জ্ঞানী। কোনো কোনো নেতাকে দেখলাম, মানুষের মনও পড়তে পারেন। বললেন, ‘নির্বাচন নিয়ে মোদি একটি কথাও বলেননি।’ আদালতের আগেই ভাষণ দেন, রায় কী হবে। কার অধীনে নির্বাচন হবে, ওয়েস্টমিনিস্টার গণতন্ত্র মুখস্থ। অর্থশাস্ত্রে চাণক্যও পরাজিত। উনি জানেন, বাজেটে সবাই নাকি খুশি। ভারতের সংবিধানের চিফ আর্কিটেক্ট সর্বজনশ্রদ্ধেয় ড. বি আর আম্বেদকরকে পর্যন্ত ল্যাং মেরে প্রতিদিনই ক্যামেরায় সংবিধানের ওয়াজ করেন। সিআইএ না জানলেও তারেকের কতিথ সন্ত্রাসের সব খবর জানেন। আমেরিকার চেয়ে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা নাকি ভালো, অর্থাৎ আন্তর্জাতিক ল মিনিস্টারও তিনি। শুধু উন্নতিতে বাংলাদেশ কেন সব দেশকে ছাড়িয়ে যাবে, বাজেটেও পিএইচডি। বেশি গণতন্ত্র থাকলে হজমের সমস্যা জানানোর মতো চিকিৎসাবিশেষজ্ঞও। ড. ইউনূসসহ অগণিত জ্ঞানীগুণীর অফশোর অ্যাকাউন্টের খবর জানেন (শুধু লীগেরটা বাদে)। বিএনপি নির্বাচনে না এলেও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানানো নেতাজি সত্যিই এক বিস্ময়।
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর তাদের যে ক্ষমতায় থাকার অধিকার শেষ, সেটা বাদে জ্ঞানের পরিধি এত বিশাল যে, আমার মতো মূর্খের সংশ্লিষ্ট গবেষণা এখানেই শেষ।
৩.
হঠাৎ হঠাৎ মনে কিছু উদয় হয়। পয়েন্ট ব্ল্যাংকে গুলি করার আগে মুখরোচক চানাচুরের মতো নামও দেয়া হয়। এই রমজানে হঠাৎ মনে হলো, মাদক মেরে সাফ করতে হবে। তাহলেই উন্নয়নের স্যাটেলাইটটি যেন আকাশ থেকে সবাইকে ‘হাই-হ্যালো’ বলতে বলতে দেশের ভাবমূর্তি সুইডেনের চেয়েও উজ্জ্বল করে ফেলবে।
যে কথা সেই কাজ। ২০১৮-এর নির্বাচনের আগে লাশ দেখা যাচ্ছে। এখনো অবাক, হই যখন দেখি, ধর্মীয় মাসটাকে বেছে নেয়ার বিরুদ্ধে সামাজিক ও ধর্মীয় বিবেকবানদের বিবেক পর্যন্ত উধাও। এখন হুজুরদের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টে আঘাত লাগে না। শুধু ব্লগাররা বললেই লাগে।
সোস্যাল মিডিয়ায় একটি হৃদয়বিদারক ভিডিও ক্লিপ। ২৩-২৪ বছরের যুবকের রক্তাক্ত দেহ মাটিতে পড়ে আছে। নিহতের পিতা ‘হায় আল্লাহ, হায় আল্লাহ’ বলে আকাশের দিকে দুই হাত তুলে আহাজারি করছেন। সচেতন লেখক লিখেছেন- ‘অডিও ক্লিপ না, এটি সরাসরি হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ক্লিপ।’ তখন সুশীল মিডিয়ারা আলু পোড়া খাচ্ছিল। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বলেই চালিয়ে দেয়া হয়। এভাবেই জঘন্য অপরাধকে সহনীয় করে তোলার চেষ্টা।
নব্য সক্রেটিস এর নাম দিয়েছেন মহৎ কাজে- ‘দু-একটা ভুল।’ আসলে মানুষের একান্ত বিশ্ব- পয়েন্ট ব্ল্যাংকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন। গড়ে প্রতিদিন প্রায় এক বিলিয়ন পশু হত্যা করলেও সেটা ক্রাইম নয়। কিন্তু জেনেশুনে একজন মানুষকেও খুন করলে, সেটা ক্রাইম। বড্ড বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। দয়া করে পত্রিকা পড়–ন, টেলিভিশন দেখুন, নিজেদের জানুন। সরকার বদলের ন্যূনতম সুযোগ থাকলে ‘দু-একটা ভুল’ করা ব্যক্তিদের বিচার কোত্থেকে শুরু করবে, হদিস করতেই এক টার্ম পার হয়ে যাবে আওয়ামীমুক্ত সরকারের।
৪.
জানা গেছে, একরাম হত্যার সঙ্গে ইয়াবা-সম্রাট জড়িত থাকায় চরম বেকায়দায় মহাসচিব। এ জন্যই মোক্ষম সময় বেছে নেয়ার অভিযোগ। অডিও ক্লিপটি ভাইরাল হতেই ধর্ম-চেতনা তুঙ্গে উঠল। ইয়াবা-সম্রাট নাকি আরো পশ্চিমে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেটা হলে প্রশ্ন উঠবে, দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
ভারত থেকে বিতাড়িত হয়ে দুবাইতে বসে নিরাপদে নেটওয়ার্ক চালাচ্ছেন দাউদ ইব্রাহিম। তার শক্তির কাছে পদদলিত বড় বড় দেশের প্রশাসন। কেউই তাকে গ্রেফতারের সাহস করে না। উল্টো, প্রশাসনের কর্মকর্তারাই ‘নিরাপদে’ রাখেন। বিনিময়ে দাউদও তাদেরকে ‘দেখেশুনেই রাখেন’। শত্র“র চেয়ে তার ভক্তের সংখ্যা নাকি বেশি। বঙ্গদেশী ইয়াবা-সম্রাটেরও দাবি, তিনি মহান এবং জনপ্রিয় সংসদ সদস্য হওয়ায় শত্র“রা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। প্রশাসনের মুখেও একই বুলি। তার ডিফেন্সে আদালতে এবং রাস্তায় সক্রিয় প্রশাসন। ২০১৫ সাল থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবিÑ ‘বদি নির্দোষ।’ (নেটে দেখুন, বদির ২৩টি মামলা এবং প্রাসঙ্গিক আলোচনা)।
৫.
‘দু-একটা ভুলের’ নামে ৯ বছরে বিরোধীশিবিরে কয়টি হত্যাকাণ্ড, ‘দম’ দেয়ার সময় বহু আগেই শেষ হয়েছে। জিরো টলারেন্স, ফেক ট্রাইব্যুনাল, সন্ত্রাস, মাদক... মুক্তি পাচ্ছে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান।
৫ জুনে মহাসচিব এবং হাইকমান্ডের কণ্ঠে এক বার্তা- ‘মাদকবিরোধী অভিযান চলবে। বিএনপিতে ছোট-বড় মাদক ব্যবসায়ী খোঁজা হচ্ছে’ (যুগান্তর ৫ জুন)। সোস্যাল মিডিয়ায় একজনের মন্তব্য, পুলিশ তাকে থামিয়ে ব্যাগ সার্চ করার পর ছেড়ে দিলে কিছু দূরে গিয়ে ব্যাগ খুলে দেখে, একমুঠ ইয়াবা। সেটা ফেলে দিয়ে আবারো রওনা দিলে আরেক পুলিশ বলল, ব্যাগ দেখান। ভদ্রলোকের উপদেশ, পুলিশ থামালে নিজের ব্যাগটি চেক করুন।’ আমি বলব, ২০ দলীয় জোটের কর্মীরা নিয়মিত ব্যাগ চেক করুন।
এবার দেখুন খুনির ডিফেন্সে কারা।
- সাংবাদিকদেরকে ক্ষুব্ধ প্রশ্ন, শুধু বদি বদি করেন কেন, আরো কত বদি আছে...। বদি মাদকের গডফাদার, এটা আপনি সরাসরি বলতে পারেন, প্রমাণ কী?
- বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, প্রমাণ নেই। বলেছেন আরেক সক্রেটিস মন্ত্রী।
ইয়াবা-সম্রাটের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ ‘মিথ্যা’, কিন্তু দেখামাত্রই ২০ দলের পাবলিককে এয়ারপোর্টে আটকে দিয়ে সন্ত্রাসী কানেকশন লাগায় কারা? জানা গেছে, মাদকবিরোধী অভিযানের জন্য এয়ারপোর্টে একটি তালিকাও পাঠানো হয়েছে। তাহলে সম্রাট ফসকে গেলেন কার ইশারায়?
৬.
আসুন, অর্থ খুঁজি।
৩৭ বছর প্রবাসে থাকার সুবাদে বহু গডফাদারের গল্প জানি। অবশ্যই সেটা অসৎ উদ্দেশ্যে নয়, বরং সব ধরনের মানুষের জীবনের গান শুনতে ভালোবাসি। ’৮০-এর দশকে মারিও পুজোর বিখ্যাত উপন্যাস থেকে ‘গডফাদার’ ছবি তৈরি করেছিল হলিউড। পরবর্তীকালে কালজয়ী হয়েছে। অপরাধ-সম্রাট ভিটো কারলোন হোমড়াচোমড়া রাজনীতিবিদদের কিনে পকেটে রাখতেন। রাজনীতিবিদেরাও তার টাকার লোভে কুকুরের মতো পিছে পিছে ঘুরতেন।
ইয়াবা-সম্রাটের বেলায় চমৎকার। তিনি আইন মানেন না, কিন্তু আইন বানান। কারলোনের মতো টাকা দিয়ে রাজনীতিবিদ কেনার প্রয়োজন তার নেই। উনি নিজেই রাজনীতিবিদ, আইনপ্রণেতা এবং সম্রাট খেতাবপ্রাপ্ত। উল্টো নেতারা তাকে কুর্নিশ করেন বলেই বর্তমানে তিনি বাংলাদেশে অনুপস্থিত। তবে অলৌকিক তুফান উঠলে, ধরে যদি একবার রিমান্ডে নেয় ভিন্ন কোনো সরকার, বড় বড় রাঘব বোয়ালদের নাম প্রকাশে বাধ্য হবেন। ফলে যারাই তার মাল্টিবিলিয়ন ডলারের ড্রাগ সাম্রাজ্যের অংশীদার, যুবসমাজের হাতে অস্ত্র-ড্রাগ-নারী ব্যবসা ইত্যাদি সহজলভ্য করেছে; খুব সম্ভবত এরাই নিরাপদে এয়ারপোর্ট পার করে দিয়েছে। যে কারণে ডিফেন্সে ভিআইপিদেরও লাইন লেগেছে। মন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘অভিযোগ আছে, কিন্তু প্রমাণ কোথায়?’ রাজনীতিবিদ মান্নার পাল্টা প্রশ্নÑ প্রমাণ ছাড়া ৮৬ জনকে হত্যা করা যায়, কিন্তু প্রমাণ ছাড়া বদির চুল ধরতে সমস্যা?
৭.
পত্রিকা থেকে : ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পদের পরিমাণ নির্বাচন কমিশনের কাছে গোপন করল; ইয়াবা-সম্রাটের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে ২৩টি মামলা হয়েছিল। এত টাকা কোথায় পেল? অ্যাম্বানি বা মার্ক জাকারবার্গ কোনোটাই নয়। আদালত তিন বছরের শাস্তি দিলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবির মুখে ২০ দিন পরই ছয় মাসের অশেষ জামিন এখনো চলছে (শুধু জামিন পান না খালেদা)। জামিন পাওয়ার আনন্দে টেকনাফে প্রায় ২৫০টি গেট। ২০১৫ থেকে ২০১৮, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবির এক চুল পরিবর্তন হয়নি। ‘বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা’ (প্রথম আলো, ৩-৯-১৫)। মন্ত্রণালয়ের পলিটিক্যালি মোটিভেটেড কেস বিভাগের দাপটে ২৩টির মধ্যে দু’টি বাদে সব খারিজ। ইয়াবা-সম্রাটের জন্য প্রমাণ বা ডিফেন্সÑ দুটোই অপ্রয়োজনীয়। প্রয়োজনীয় শুধুই খালেদা জিয়ার বেলায়। সম্রাট এখন নিরাপদে, কিন্তু মরার পথে খালেদা।
৩-৬-১৮ তারিখে ডেইলি স্টারসহ মিডিয়া যা লিখেছে, কিছুটা সারমর্ম। উখিয়া-টেকনাফের আনাচে-কানাচে ড্রাগ। একরাম হত্যার পরই টেকনাফে নাকি সম্রাট পরিবারের প্রত্যেকে অদৃশ্য। দুই ড্রাগ পরিবারের বাজার দখল নিয়েই নাকি হত্যাকাণ্ড।
টেকনাফের ১২ শীর্ষ ক্রিমিন্যালের অন্যতম মংমং সেন গরু বোঝাই ট্রাকের মধ্যে ঢুকে মিয়ানমারে পালিয়েছে। বদির বহুবিবাহকারী পিতার এক স্ত্রী আরাকানী। সেই সুবাদে মংমং সেন তার আত্মীয় এবং নেটওয়ার্কের অন্যতম হোতা। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, বদিকে পালাতে সাহায্য করেছেন সরকারের একজন শীর্ষব্যক্তি।
৬ জুন ‘আমাদের সময়’- দুদকের তালিকায় বদি ও তার পাঁচ ভাই। আর কী প্রমাণ চায় প্রশাসন? ‘প্রথম আলো’ ও ‘ডেইলি স্টার’-এর ওপর চটার কারণ- ভয়। (গণভবন থেকে বিতাড়িত দুই পত্রিকা মাঝে মাঝে হলেও সবুজ সাংবাদিকতা করায় ধন্যবাদ।)
সক্রেটিস প্রমাণ চেয়েছেন। প্রমাণ পাবলিক দিয়েছে। এর বেশি প্রয়োজন নেই। সুতরাং ওমরাহ শেষে ফেরত এনে দ্রুত ইয়াবা-সম্রাটকে পাবলিকের অভিযোগগুলো মিথ্যা প্রমাণ করতে হবে। দ্রুত বিচার আদালতে ক্ষমতাধর ক্রিমিন্যালদের বিচার দাবি করছি।
‘মাদক অভিযানে গেলে ফায়ারিং হবেই’, ‘মাদক অভিযানে দু-একটা মরতেই পারে’- ৯ জুন বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পাবলিকের প্রশ্নÑ এ দেশে মাদক কি রমজান মাসের ২৪ ঘণ্টা আগে ঢুকেছে?
ই-মেইল : farahmina@gmail.com
ফেসবুক : minafarahfacebook
ওয়েবসাইট :www.minafarah.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা