২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আইন আছে তার প্রয়োগ নেই

আইন আছে তার প্রয়োগ নেই - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে আইনের কোনো কমতি নেই। কিন্তু সেসব বিধিবিধান অনুযায়ী সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকারাবদ্ধ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অভাব প্রকট। জাতীয় নেতৃবৃন্দ একটি কল্যাণমূলক আদর্শের অনুসারী হয়ে এগিয়ে যাবেন, এ আশা সব জনগণের। কিন্তু রাজনীতিবিদদের বক্তব্য-বিবৃতিতে ক্ষমতা কব্জা করার কলাকৌশলই কেবল থাকে। এ ছাড়া জনগণের জীবনমান, জীবনযাপনের উন্নতির বিষয়টি তাদের ভাবনায় নেই। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, দেশে আইনের সংখ্যা বেশুমার; কিন্তু সেই অনুসারে সমাজে শৃঙ্খলা বিধানের নজির নেই। সংবাদপত্রে প্রতিদিন যে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয় তার বেশির ভাগই অনিয়ম আর অব্যবস্থার। ওপর থেকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং কাজ করা যেখানে কর্তব্য, সেখানে বাস্তবে এর অনুশীলন নেই। ওপর থেকে সমাজের নেতৃত্বের আদর্শ অনুসরণের চর্চা নিচের দিকে দৃষ্টান্ত হিসেবে নেমে আসবে। সমাজ তাতে আলোকিত হবে। সমাজ-রাষ্ট্র তাতে পূর্ণাঙ্গতা লাভ করবে। যে সমাজে নৈতিকতার অভাব রয়েছে, সে সমাজে অপরাধের বিস্তার ঘটবে অনবরত। অশ্রদ্ধা, অনিয়ম, দুর্নীতি সবকিছুকে বিষিয়ে তুলবে। রাষ্ট্রযন্ত্র খুঁড়িয়ে চলবে।

এখন প্রতিনিয়ত উন্নয়নের কথা শুনি, এই উন্নয়ন শুধু বৈষয়িক উন্নতির বিষয়ে ইঙ্গিত করে। সামগ্রিক উন্নয়নের অঙ্গীকার তাতে থাকে না। তাই প্রথাগত এই ধারণা পাল্টাতে হবে। রাষ্ট্রের কাছে জনগণের যে সার্বিক চাওয়া, তার উন্নতি ঘটলেই প্রকৃত উন্নয়ন হবে। সর্বত্র প্রথাগত ধারণা এখন পাল্টে যাচ্ছে। মানুষের ভোগের সামগ্রী প্রাপ্যতার পাশাপাশি রাষ্ট্রের কাছ থেকে যে শান্তি, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে চায়। মানুষ যন্ত্র বা জন্তুও নয়; তাই তার চাহিদা বহু কিছুর। এখন উন্নয়নের সাথে এসব বিষয় সম্পৃক্ত হচ্ছে। সমাজের নেতা ও রাজনীতিবিদদের এসব ধারণার সাথে পরিচিত হতে হবে এবং তাদের কর্মধারা সেভাবে বিন্যস্ত করতে হবে। মানুষের জন্য একটি সমাজ নির্মাণে তাদের এগিয়ে আসতে হবে। যেসব উপাত্ত মানুষের জীবনকে সুন্দর ও মাধুর্যমণ্ডিত করে তোলে, সেই ধারণাগুলোর অনুশীলন করতে হবে। অস্বীকার করার উপায় নেই, বৈষয়িক উন্নতির কিছু বিষয় লক্ষ করা যাচ্ছে। কিন্তু এই প্রাপ্তির জন্য যে বাড়তি শ্রম ব্যয় করতে হচ্ছে, এর পুরো প্রতিদান কিন্তু আসছে না। আর এই উন্নয়নের ধারণা শুধু অর্থনীতিবিদদের থেকে আসবে না সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানীসহ ধর্মীয় নেতাদেরও এ আলোচনায় শরিক হতে হবে।

আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যা থাকে তা ভেজাল বা বিষতুল্য কি না, আমরা সে কথা জানি না। এ থেকে মুক্তি পেতে হলে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নই সব কিছু নয়; এর প্রতিবিধানের জন্য যে বিধিবিধান রয়েছে তা প্রয়োগের সময় এসেছে। আমরা এখন দেখছি প্রচুর ফলফলাদি বিষ মেশানোর জন্য ধ্বংস করা হয়েছে। সমস্যার এটি একটি প্রতিকার বটে; কিন্তু মূল প্রতিকার নয়। অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার জন্য এসব অন্যায় করছেন। আসলে এই অপরাধ বন্ধ করার জন্য নৈতিক মূল্যবোধ মানুষের মধ্যে জাগাতে হবে। এসব ব্যবসায়ীকে এটা বোঝাতে হবে, তাদের এই অন্যায় অপকর্ম গোটা সমাজের বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ। নাগরিকদের মানসম্পন্ন খাদ্য পাওয়া শুধু অধিকারই নয়, নাগরিক জীবন-মান উন্নয়নের অপরিহার্য অংশ। নাগরিকদের জন্য বিষমুক্ত খাদ্য সরবরাহ করা, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার একটি শর্তও বটে। দেশে এখন মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ চলছে। এই অভিযান চলা মন্দ নয়। কিন্তু এখন এই অভিযান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। সরকারি অভিযান নিয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ও তাদের অ্যাকশন দেখে মনে হয়, এই যুদ্ধের প্রতিপক্ষ সমাজবিরোধী মাদক ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত শক্তিশালী সশস্ত্র এবং দেশব্যাপী তাদের বিস্তার ঘটেছে। কিন্তু কথা হচ্ছে এতদিন এদের বিস্তার, মাদকের মজুদ গড়ে তোলা এবং অস্ত্র সংগ্রহের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কোথায় ছিল। এদের সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ করার মতো শক্তি অর্জন করতে দেয়া হলো কেন? নাকি যাদের দায়িত্ব ছিল মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার, তারা ব্যবস্থা না নিয়ে বরং সহযোগিতা করেছেন। এরও অনুসন্ধান হওয়া উচিত। এর বিস্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকেরাও দায়ী বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তাদের কেন ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখা হয়েছে? মাদক ব্যবসায়ীরা না হয় ‘যুদ্ধে’ নিহত হচ্ছে; কিন্তু এর অন্যান্য পাত্রমিত্র থেকেই যাচ্ছে। এই ব্যবসায়ের ‘বীজ’ থেকে গেলে সেখান থেকে আবার দ্রুত চারা গজাবে এবং বিস্তার ঘটবে।

মাদক ব্যবসায়ী ও সব সহযোগীকে আসলে বিচারে সোপর্দ করা উচিত ছিল। তাহলে আদালতে গেলে এদের সব রন্ধ্রগুলো জনগণ জানতে পারত। এখন যে মাদকবিরোধী অভিযান চলছে, তা দিয়ে এই মারাত্মক ব্যাধির উপশম হবে না। বাজারে এর চাহিদা তো থেকেই যাচ্ছে; সাময়িক সরবরাহ হয়তো কমবে। কিন্তু চাহিদা থাকলে ব্যবসায় এক সময় জমবেই। শক্তির অভিযানের পাশাপাশি দীর্ঘ দিনব্যাপী নৈতিক অভিযান চালাতে হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য আইনকানুন, বিচার, শাস্তির সব ব্যবস্থাই দেশে রয়েছে, কিন্তু এর প্রয়োগ নেই।

সংবিধানসহ অন্যান্য বিধিবিধানে নাগরিকদের যে মর্যাদা ও অধিকার সন্নিবেশিত রয়েছে, তা নিশ্চিত করা সুশাসনের অংশ। সংবিধান সব নাগরিককে আইনের দৃষ্টিতে সমান বলে ঘোষণা করেছে। রাষ্ট্রের এই অঙ্গীকার সরকারকে অনুধাবন করতে হবে। এটাই আইনের শাসন আর এর মাধ্যমেই সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। কিন্তু এখন প্রশাসনের কাছ থেকে সব শ্রেণীর মানুষ সম-আচারণ পেয়ে থাকেন না। অধিকারবঞ্চিত হয়ে আছে নি¤œবিত্তের জনগণ আর প্রভাবশালীরা সমাজের সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে।

আইনের শাসনের লক্ষ্য হচ্ছে মত ও পথের ভিন্নতা সত্ত্বের সবাই সম-অধিকার পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে ক্ষমতাসীন আর তাদের প্রতিপক্ষরা সম-অধিকার পাওয়া থেকে বঞ্চিত। যেসব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিরপেক্ষ থাকার কথা ছিল, কিন্তু এখন লক্ষ করা যাচ্ছে, এই বিধানে ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিছু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সরকারের প্রতি আজ্ঞাবহ হয়ে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান এখন সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা পক্ষপাতদুষ্ট। খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন যে ভূমিকা পালন করেছে, তা ক্ষমতাসীন দলের প্রতি অনেকটাই পক্ষপাতদুষ্ট বলে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এখন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে এমন আদেশ কমিশন জারি করেছে, যার ফলে এমপিরা গাজীপুরের নির্বাচনে সরকারি দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাতে পারবেন। এই আদেশে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অবস্থানকে সরকারি দলের প্রার্থীর অনুকূলে নিয়ে যাওয়া হলো।
এটা ক্ষমতাসীনদের আইন ও ক্ষমতার অপপ্রয়োগের সুযোগ করে দেবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীনদের প্রভাব সৃষ্টির সুযোগ করে দেয়া হলো। নিরপেক্ষ নির্বাচন করার যে আদর্শিক চেতনা তা ভেস্তে গেল। জাতীয় নির্বাচনের আগে কমিশনের এমন সিদ্ধান্তে এটাই প্রমাণ করছে যে, তারা আগামীতে সাধারণ নির্বাচনে কী ভূমিকা রাখবে। এখন আরো খবর পাওয়া যাচ্ছে, সরকার নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের চিন্তাভাবনা করছে। অথচ ত্রুটিপূর্ণ এই পদ্ধতি পরীক্ষায় সফল হয়নি। তা ছাড়া, এ দেশের কোটি কোটি ভোটার এই উন্নত প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন না। আর অনেক উন্নত দেশেও এই পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় তা পরিত্যক্ত হয়। এ পদ্ধতির মাধ্যমে ভোট জালিয়াতির সুযোগ থাকে। তাই এখন বাংলাদেশের সর্বত্র এ পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের ব্যাপারে সরকার উৎসাহী হচ্ছে কেন, তা বিরাট এক প্রশ্ন বটে। ভোট গ্রহণ পদ্ধতি অধিকতর সহজ করার যে জাতীয় আকাক্সক্ষা, সরকারের ইভিএম ভাবনা তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

নির্বাচনের সম্প্রতি যে অগ্রগতি ঘটছে, তাতে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কাই কেবল বাড়বে। একটি দেশের উন্নয়নের সাথে গণতন্ত্রকে উন্নত হতে হবে। বৈষয়িক উন্নতির সাথে যদি গণতান্ত্রিক বিধি-ব্যবস্থার উন্নতি না ঘটে, তবে সেটি প্রকৃত উন্নয়ন নয়। একটি উন্নত সমাজ তখনই গঠিত হবে যখন সব কিছু পূর্ণতা লাভ করবে। শুধু খাদ্য বস্ত্র সংস্থান করার মধ্যে যে উন্নয়ন সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, তা বর্তমানে ভেঙে পড়া সমাজতান্ত্রিক ধারণার সাথে সম্পর্কযুক্ত। মুক্ত গণতান্ত্রিক সমাজের সাথে তা সঙ্গতিপূর্ণ নয়। গণতান্ত্রিক সমাজে খাদ্য-বস্ত্রের নিশ্চয়তার পাশাপাশি গণতান্ত্রিক ধারণার সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। মানবিকতা চর্চার পূর্ণ সুযোগ সেখানে থাকতে হবে। বাংলাদেশে উন্নয়নের যে কিঞ্চিত সম্ভাবনা এখন দেখা দিয়েছে, তার সাথে গণতান্ত্রিক চেতনার নৈকট্য ক্ষীণ।

সামনে জাতীয় নির্বাচন, তার জন্য রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রস্তুতি লক্ষ করা যাচ্ছে। ক্ষমতাসীনেরা নির্বাচনে ক্ষমতা ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা-তদবির করছে। এ ক্ষেত্রে তারা বিধিবিধানের গণ্ডি অবলীলায় অতিক্রম করছে। তাই আগামী নির্বাচন কতটা স্বচ্ছ ও প্রশ্নমুক্ত হবে, সেই ভরসা নেই। নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এ জন্য পরিবেশ সৃষ্টি ও জাতীয় আস্থা তৈরির কোনো প্রয়াসের দেখা নেই। ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে জাতির যে শ্লাঘা থাকা উচিত এবং তা শুধরে নেয়ার মানসিকতা রাষ্ট্রীয় আচারে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতির যে হাল, তাতে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা ভিন্ন অন্য ভালো কিছু ভাবার সুযোগ নেই। এ পরিস্থিতিতে না ঘটবে গণতন্ত্রের বিকাশ, না তৈরি হবে সার্বিক উন্নতির সম্ভাবনা। আগামী নির্বাচন যদি প্রশ্নমুক্ত করা না যায়, তবে দেশ বহু সমস্যার আবর্তে পড়বে। রাজনীতির ক্ষেত্রেও সমাজে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। এমন নির্বাচনে ক্ষমতাসীনেরা যদি আবারো ক্ষমতায় আসে তবে তাদের আচার-আচরণে দেখা দেবে চরম কর্তৃত্ববাদিতা। ক্ষমতার দম্ভে সাধারণের প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মানবোধ তারা দেখাবে না। সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের অস্তিত্ব বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। এতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাট শূন্যতা দেখা দেবে।

সমাজের এ অবস্থায় মানুষ হতাশ হবে, নিজেদের আগামী দিনগুলোর কথা ভেবে উদ্বিগ্ন হবে। দেশের মানুষ আশাহত হলে জাতির কোনো কল্যাণ হবে না, বরং সব কিছু পিছিয়ে যাবে। সবে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছে; কিন্তু তা স্থায়ী করতে হলে এবং আরো এগিয়ে যাওয়ার জন্য দেশের জনগণের সম্মিলিত উদ্যমের প্রয়োজন রয়েছে। একটি উদ্যমী জাতি গঠন করতে অবশ্য মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী করতে হবে। কিন্তু এই আশাবাদ তৈরির জন্য জাতীয় নেতৃত্বের প্রয়োজন। তেমন নেতৃত্বের দেশে অভাব রয়েছে।

নির্বাচন আসছে, সব দল নির্বাচনের আগে জনগণকে তুষ্ট করার জন্য তারা বিজয়ী হলে কী করবে তা ইশতেহার আকারে এক লম্বা ফিরিস্তি প্রকাশ করবে। তাদের সেই ইশতেহারে তাবৎ বিষয় করে ফেলার প্রতিশ্রুতি থাকবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ক্ষমতায় যাওয়ার পর এসব অঙ্গীকারের আর কোনো হদিস থাকে না। এসব ইশতেহারকে সামনে রেখে কাজ করার নজির অতীতে দেখা যায়নি। তখন যারা ক্ষমতাসীন হন তাদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে থাকে নিজেদের ভাগ্য আরো কতটা ভালো করা যায়। প্রায়ই হিসাব প্রকাশিত হয়ে থাকে, বিশ্বের বিভিন্ন ব্যাংকে বেনামে বাংলাদেশীরা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। রাজনৈতিক আনুকূল্যভিন্ন এমন টাকা পাচার করা সম্ভব হয় না। কিন্তু প্রশাসন এই অর্থ পাচারকারীদের অনুসন্ধান করে বের করার কোনো প্রয়াসই নেয় না। এ দিকে দেশের অর্থ পাচার হচ্ছে, কিন্তু দেশে কোনো দেশী বিনিয়োগ নেই।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল