সরকারি শ্রমের বেআইনি ও অনৈতিক ব্যবহার
- ইকতেদার আহমেদ
- ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৪৪
সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চার ধরনের কর্মচারী রয়েছে। যথা প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। চারটি শ্রেণীর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর মধ্যে যারা অন্তর্ভুক্ত তাদের কর্মকর্তা বলা হয়। অন্য দিকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্তদের কর্মচারী বলা হয়। প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাপর্যায়ে যারা কর্মরত তারা তাদের কার্যালয়ে কাজে সহায়তায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর সুবিধা ভোগ করে থাকেন। একজন কর্মকর্তা কাজের গুরুত্বভেদে দাফতরিক কাজ সুচারুভাবে সম্পন্নে সর্বাধিক এক থেকে পাঁচজন তৃতীয় শ্রেণীর এবং এক থেকে তিনজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর সহায়তা পেয়ে থাকেন।
প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা সার্বক্ষণিক বা দাফতরিক কাজে ব্যবহারে গাড়ির সুবিধাপ্রাপ্ত তাদের অধীনে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে একজন গাড়িচালক নিয়োজিত থাকেন। সাধারণত দেখা যায়, প্রথম শ্রেণীর পদস্থ কর্মকর্তা তার কার্যালয়ে অফিস সহায়ক (এমএলএসএস) হিসেবে দু’জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর সেবা পেয়ে থাকেন। কর্মকর্তার অফিস কক্ষে অভ্যাগত হিসেবে যারা আসেন, এ দু’জন তাদের চা-নাশতা দেয়ার আবশ্যকতা দেখা দিলে তা পরিবেশনের দায়িত্ব পালন করেন। তা ছাড়া একজন কর্মকর্তার দুপুরের খাবার পরিবেশন ও খাওয়া-পরবর্তী প্লেট, বাটি প্রভৃতি ধোয়ার কাজ অফিস সহায়ক করেন। অফিসে কর্মরত থাকাকালীন একজন কর্মকর্তা চা, পান বা অন্য কোনো খাবার খেতে চাইলে তা পরিবেশেনের ব্যবস্থাও অফিস সহায়ক করে থাকেন। প্রথম শ্রেণীর মধ্যম ও নিম্নপর্যায়ের কর্মকর্তারা একজন অফিস সহায়কের সেবা পেয়ে থাকেন। এ অফিস সহায়ক কার্যালয়ের অন্যান্য কাজসহ কর্মকর্তাদের খাবার পরিবেশনের কাজ করে থাকেন।
সরকারি যেকোনো কার্যালয়ের বিভিন্ন শাখায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা ও কর্মচারী হিসেবে যারা নিয়োজিত থাকেন, এমন প্রতিটি শাখায় কাজের সহায়তায় এক বা একাধিক অফিস সহায়ক নিয়োজিত থাকেন। এরূপ অফিস সহায়ক শাখার দাফতরিক কাজের সহায়তার বাইরে শাখায় কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চা-পান ও অন্যান্য খাবার পরিবেশনেও সহায়তা করেন।
সরকারের বিভিন্ন কার্যালয়ের গাড়িচালক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী (সুইপার/ঝাড়ুদার), নিরাপত্তাকর্মী (নৈশপ্রহরী) ও মালীÑ এ পদগুলোতে যারা কর্মরত তারা সবাই চতুর্থ শ্রেণীর অন্তর্ভ্ক্তু।
রাজধানী, বিভাগীয় বা জেলাপর্যায়ে এমন কিছু পদস্থ কর্মকর্তা রয়েছেন যাদের বসবাসে সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ ভবনের ব্যবস্থা রয়েছে। এসব ভবনকে বাংলো বলা হয়। এ ধরনের একটি বাংলো একজন কর্মকর্তার পরিবারসমেত বসবাসে নির্দিষ্ট করে দেয়া থাকে। কিছু কর্মকর্তার বেলায় বাংলোর অভ্যন্তরে বাগানে কাজ করতে মালীর ব্যবস্থা থাকে।
পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে অফিস সহায়ক হিসেবে যারা ন্যস্ত থাকেন তাদের দাফতরিক কাজের যে পরিধি, তার মধ্যে কর্মকর্তাদের বাসভবনে যেকোনো ধরনের ব্যক্তিগত কাজ অন্তর্ভুক্ত না হলেও কিছু ব্যক্তিগত কাজ করা অফিস সহায়কদের জন্য প্রথা হিসেবে চলে আসছে। এ কাজগুলোর অন্যতম হলো কর্মকর্তার বাসার বাজার করার দায়িত্ব পালন, সন্তানদের স্কুলে আনা-নেয়া, কাপড়-চোপড় ইস্ত্রি করে দেয়া প্রভৃতি।
অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পেতে বর্তমানে যে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে, তা হলো মাধ্যমিক অথবা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। আগে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ। অতীতে যেমন মাধ্যমিক অথবা তদূর্ধ্ব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ব্যক্তিরা অফিস সহায়ক হিসেবে চাকরি নিয়েছেন বর্তমানেও সে ধারা অব্যাহত আছে। বর্তমানে বিভিন্ন কার্যালয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী অসংখ্য অফিস সহায়ক কর্মরত রয়েছেন। ন্যূনতম যোগ্যতার উচ্চতর ডিগ্রিধারীদের অফিস সহায়ক পদে যোগদানের পেছনে যে কারণ রয়েছে তার মূলে হলো চাকরির দুষ্প্রাপ্যতা। বিগত দুই যুগ ধরে সরকারের বিভিন্ন কার্যালয়ে অফিস সহায়কসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর বিভিন্ন পদে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশকে সোনার হরিণ নামের চাকরিটি পেতে নিয়োগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবৈধ অর্থ দিয়ে সন্তুষ্ট করতে হয়েছে। জেলা, বিভাগীয় ও রাজধানী পর্যায়ে সরকারের বিভিন্ন কার্যালয়ে অফিস প্রধান হিসেবে যিনি কর্মরত সাধারণত তিনিই নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হয়ে থাকেন।
অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরতদের একজন কর্মকর্তার গৃহে ব্যক্তিগত কার্যসম্পাদন বারিত হলেও এমন অনেক পদস্থ কর্মকর্তা রয়েছেন যাদের বাসায় এক বা একাধিক অফিস সহায়ক সার্বক্ষণিক গৃহস্থালির কাজে নিয়োজিত। এসব গৃহস্থালি কাজের মধ্যে রয়েছে রান্নাবান্না করা, কাপড়-চোপড় ধোয়া, হাঁড়ি-পাতিল মাজা, ঘর ঝাড়ু দেয়া ও মোছা, বাসার আঙিনায় সবজি ও ফসল আবাদ, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি লালনপালন, গরুর দুধ ও হাঁস-মুরগির ডিম বিক্রি, পুকুর থেকে মাছ ধরা প্রভৃতি।
পদস্থ যেসব কর্মকর্তা সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত থাকাকালীন বাড়ি নির্মাণের কাজ শেষ করেছেন এমন কর্মকর্তাদের খতিয়ান খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, নির্মাণকাজ তদারকিতে সার্বক্ষণিকভাবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর একাধিক কর্মচারীর সহায়তা নেয়া হয়েছে। এ ধরনের সহায়তা নেয়া শুধু বেআইনিই নয়, অনৈতিকও বটে। কিন্তু পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে তিনি এদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ। চাকরি যেমন দিতে পারেন, আবার তেমনি চাকরিচ্যুতও করতে পারেন। তাই চাকরি খোয়ানোর ভয়ে ভুক্তভোগীদের এ ধরনের অন্যায় আচরণ মেনে নেয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকে না।
অফিস সহায়কদের কাছ থেকে বেআইনি ও অনৈতিক সুবিধা নেয়ায় এমন কিছু কর্মকর্তার হদিস পাওয়া যায়, যারা এত বেপরোয়া যে, কোনো কিছুর তোয়াক্কা করেন না। এরূপ এক কর্মকর্তার গ্রামের খামারবাড়িতে তার দফতরে কর্মরত আটজন অফিস সহায়কের কৃষিকাজ এবং গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগি লালনপালনে নিয়োজিত থাকার এক অবিশ্বাস্য ও চাঞ্চল্যকর কাহিনী দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়েছে। সম্প্রচারিত ওই কাহিনী থেকে জানা যায়, সরকারের একটি অধিদফতরে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী থেকে প্রেষণে নিয়োজিত ডক্টরেট ডিগ্রিধারী এ কর্মকর্তা তার আয়-ব্যয়ের সাথে সামঞ্জস্যহীন এমন একটি বিশাল আয়তনের খামারবাড়িতে তার দফতরের অফিস সহায়কদের কাজ করতে বাধ্য করছেন। টিভি চ্যানেলের যে সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহে ওই কর্মকর্তার খামারবাড়িতে গিয়েছিলেন, কর্মকর্তাটি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীভুক্ত হওয়ায় তাকে কৌশল অবলম্বন করতে হয়। সাংবাদিক লুঙ্গি পরে কৃষকের ছদ্মবেশে খামারবাড়িতে কর্মরত অফিস সহায়কদের সাথে আলাপচারিতায় জেনে নেন দাফতরিক কর্মপরিধির সাথে সামঞ্জস্যহীন তাদের কাজের করুণ কাহিনী। বর্তমানে মোবাইল ফোনে কথোপকথন ধারণ ও ছবি তোলার সুযোগ থাকায় সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে ভুক্তভোগীদের ছবি প্রদর্শন ও ধারণকৃত কপোথপকথন শুনানো সম্ভব হয়।
ডক্টরেট ডিগ্রিধারী যেকোনো বিষয়ের শিক্ষায় সর্বোচ্চ ডিগ্রি। এ ধরনের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারীদের নীতিজ্ঞান ও নৈতিকতার মান খুব উন্নততর হওয়ার কথা; কিন্তু সম্প্রচারিত কাহিনীর মাধ্যমে যেসব ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে তা নিম্নতর নীতিজ্ঞান ও নৈতিক মানের পরিচায়ক। এ ধরনের নিম্নতর নীতিজ্ঞান ও নৈতিকমান কোনোভাবে ডক্টরেট ডিগ্রির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তা ছাড়া নিজ কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের কাছ থেকে তাদের কর্মস্থল থেকে সুদূরে অবস্থিত কর্মকর্তার খামারবাড়িতে সার্বক্ষণিক কাজে নিয়োজিত রেখে মাসান্তে কার্যালয় থেকে বেতনভাতাদি উত্তোলন নিকৃষ্ট পর্যায়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের দুর্নীতির সাথে যেসব কর্মকর্তা সম্পৃক্ত, এমন হীন কাজ নেই যা তাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশে পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন এমন অনেক কর্মকর্তা অফিস সহায়কদের দিয়ে গৃহস্থালির কর্ম করানোর অভিযোগ থেকে অবমুক্ত নন। এমনও শোনা যায়, পদস্থ কর্মকর্তার ঢাকার বাসগৃহে গৃহকার্যসম্পাদনে নিয়োজিত ব্যক্তিটি কোনো এক জেলা শহরে তার অধীনস্থ কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত। অনেকসময় দেখা যায়, মাসান্তে কর্মস্থলে গিয়ে ভাগ্যাহত অফিস সহায়ক বেতনভাতাদি নিয়ে পুনঃপদস্থ কর্মকর্তার গৃহে কার্যসম্পাদনে যোগ দিচ্ছেন। আবার এমনও দেখা যায়, পদস্থ কর্মকর্তার ক্ষমতার ব্যাপকতায় তার গৃহে কর্মরত অফিস সহায়কের বেতনভাতা মাসান্তে তার কাছ থেকে সুবিধাভোগী কর্মকর্তার ব্যবস্থাপনায় তার গৃহে পৌঁছে যাচ্ছে।
সরকারের পদস্থ পদে কর্মরত রয়েছেন এমন অনেক কর্মকর্তার খামারবাড়ি রয়েছে। এসব খামারবাড়িতে শাকসবজি ও ফসল-ফলাদি উৎপাদন ছাড়াও গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগি লালনপালন এবং ক্ষেত্রবিশেষে মাছ চাষের ব্যবস্থা রয়েছে। এরূপ বেশির ভাগ খামারে পদস্থ কর্মকর্তার দফতরের অথবা তার অধীনস্থ কার্যালয়ের একাধিক তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সার্বক্ষণিক দাফতরিক কাজের সাথে সঙ্ঘাতপূর্ণ কর্মকর্তার একান্ত ব্যক্তিগত পারিবারিক কৃষিকাজে নিয়োজিত।
বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত ঘটনাটি প্রকাশিত হওয়ায় দেশবাসী একটি ঘটনার পূর্বাপর অবহিত হয়েছেন। এরূপ আরো অনেক ঘটনার বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের অধস্তনরা অবহিত থাকলেও দেশবাসী সম্যকভাবে অবহিত নয়। বেসরকারি টিভি চ্যানেলের যে সাংবাদিক ঘটনাটি উদঘাটন করে দেশবাসীকে সরকারের একজন কর্মকর্তার অন্যায়, অনৈতিক ও নীতিজ্ঞানবহির্ভূত কাজ সম্পর্কে অবহিত করেছেন, তার জন্য তিনি ধন্যবাদ প্রাপ্য। আলোচ্য ঘটনার পদস্থ কর্মকর্তার মতো সরকারের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত পদস্থ কর্মকর্তারা যদি নীতি ও আদর্শচ্যুত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারে নিজ খামারবাড়িতে এবং নিজ গৃহে দাফতরিক কাজের সাথে সম্পর্কিত নয় এমন কাজে অফিস সহায়কদের নিয়োজিত করেন, সে ক্ষেত্রে ওই কর্মকর্তার পক্ষে কখনো তার নিজ দফতরের কাজ সুচারুরূপে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না।
সরকারের নানা পদে বিভিন্ন পর্যায়ের যেসব কর্মকর্তা নিয়োজিত রয়েছেন তারা মাসান্তে সরকারের কাছ থেকে তাদের দেয়া সেবার বিনিময়ে যে বেতনভাতাদি প্রাপ্ত হয়ে থাকেন তা তাদের নিজ নিজ জীবনযাপন ব্যয় নির্বাহে অপ্রতুল, এমনটি দাবি করার অবকাশ বোধকরি নেই। সরকারের কোন ধরনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী সরকারকে কোন ধরনের সেবা দেবেন তা বিভিন্ন ধরনের আইন ও বিধিবিধানে নির্ধারিত। এর বাইরে একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর কাছ থেকে সরকারের পদস্থ কোনো কর্মকর্তার ভিন্নতর সেবা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। যেসব পদস্থ কর্মকর্তা ক্ষমতার দাপটে নীতিজ্ঞান শূন্য হয়ে ভিন্নতর সুবিধা নিচ্ছেন তারা দেশের অপূরণীয় ক্ষতি করে চলেছেন। এ ধরনের কর্মকর্তা যতদিন সরকারের উচ্চতর পদে বহাল থাকবেন ততদিন এরূপ কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছেন এমন দফতরে সরকারের কাজ সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে সম্পন্ন হবে না।
পৃথিবীর কোনো সভ্য ও উন্নত দেশে অফিস সহায়কদের অনুরূপ কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের দিয়ে তাদের কার্যপরিধিবহির্ভূত কাজ করার নজির নেই। তাই আমরা যদি প্রকৃতই মনে করে থাকি, আমরা গণতান্ত্রিকভাবে বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়ে উন্নত দেশ গড়ার দিকে এগিয়ে যাবো, তবে দ্রুত আমাদের পদস্থ কর্মকর্তাদের অফিস সহায়কদের দিয়ে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কাজ করানোর মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
E-mail: [email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা