শেখ হাসিনার গণহত্যার বিশ্বস্বীকৃতি
- রিন্টু আনোয়ার
- ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৪০
যেকোনোভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নৃশংস গণহত্যার হেন পদক্ষেপ নেই যা শেখ হাসিনা নেননি। সেসবের কিছু ফ্যাক্ট অ্যান্ড ফাইন্ডিং উঠে এসেছে জাতিসঙ্ঘের তদন্তেও। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জনগণের বিরোধিতার মুখেও ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিলেন সাবেক সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। আর সে লক্ষ্য পূরণে বিক্ষোভ দমন করার অপকৌশল নেয়া হয়েছিল। এর অংশ হিসেবে শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্বিচার গ্রেফতার-আটক ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্কের এ-সংক্রান্ত বক্তব্য ঘুরছে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কার্যালয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে।
জেনেভায় বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সম্প্রতি তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রতিবেদনের নানা তথ্য তুলে ধরেন জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক। জাতিসঙ্ঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সময় আওয়ামী লীগের সহিংস কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বাংলাদেশের সাবেক সরকার এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ঠাণ্ডামাথায় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত ছিল। বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত মৃত্যুর তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনে এসেছে ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে এক হাজার ৪০০ জনের মতো মানুষকে হত্যার কথা। প্রতিবেদন অনুযায়ী নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ ছিল শিশু। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনীর ছোড়া গুলিতে বিদ্ধ হয়েছেন। যখন সাবেক সরকার দেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করেছিল, তখন সংঘটিত প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড এবং আওয়ামী লীগ কর্মী ও সমর্থক, পুলিশ, গণমাধ্যম কর্মীদের লক্ষ্য করে অন্যান্য গুরুতর প্রতিশোধমূলক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সেগুলোও এ প্রতিবেদনে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ও নানা চিত্র আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর কাছেও ছিল গুরুত্বপূর্ণ খবর। বিবিসি খবরে বলেছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পরিকল্পিত ও প্রাণঘাতী সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছিল। আলজাজিরার শিরোনাম, ‘বাংলাদেশের বিগত সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী হতে পারে, এমনটি বলছে জাতিসঙ্ঘ।’
জাতিসঙ্ঘের তথ্যানুসন্ধান দল শেখ হাসিনার সরকার নিরাপত্তাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং দল ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে যুক্ত করে শুধু চরম বলপ্রয়োগেই নয়, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্বিচার মারণাস্ত্র দিয়ে গুলি, গ্রেফতার, নির্যাতন, এমনকি চিকিৎসা পেতে পর্যন্ত বাধা দিয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে আন্দোলনকারীদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত কোর কমিটিকে নিয়ে বৈঠকে নিয়মিতভাবে সভাপতিত্ব করতেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কোর কমিটির বৈঠকে সামগ্রিক পদক্ষেপের কৌশলগত নির্দেশনার পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে বাহিনী মোতায়েন ও সুনির্দিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অভিযান নিয়ে আলোচনা হতো। এর পাশাপাশি সমন্বিতভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমন্বয় প্রক্রিয়ার সম্পূরক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও এ প্রক্রিয়ায় সরাসরি যুক্ত ছিল। জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এসবি, ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের প্রধানদের কাছ থেকে নিয়মিতভাবে সরাসরি প্রতিবেদন পেতেন।
এ ধরনের গোয়েন্দা প্রতিবেদনের মধ্যে ২১ জুলাইয়ের একটি প্রতিবেদনে আন্দোলনকারীদের ওপর নিরাপত্তাবাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগের বিষয়ে শেখ হাসিনাকে সতর্ক করা হয়েছিল। একই ধরনের উদ্বেগ আগস্টের শুরুতেও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়। ২৯ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে আন্দোলনসংক্রান্ত বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন। আর আন্দোলনের সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও তার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টারা সরাসরি ও টেলিফোনে নিরাপত্তাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের আদেশ দিতেন ও সার্বিক অপারেশন পর্যবেক্ষণ করতেন। পুলিশসহ অন্যান্য নিরাপত্তাবাহিনী শিশুদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ‘টার্গেট কিলিং’, ইচ্ছাকৃতভাবে পঙ্গু করা, নির্বিচার গ্রেফতার, অমানুষিক নির্যাতনের কথাও রয়েছে প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট সংঘটিত ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদনটি বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ঘটনা। গত মাসের শেষ সপ্তাহে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রতিবেদনের খসড়া দিয়েছিল। কোনো মতামত থাকলে তাতে যুক্ত করতে সময়সীমা দেয় ওএইচসিএইচআর। জাতিসঙ্ঘের তথ্যানুসন্ধানী দল প্রতিবেদনটি তৈরিতে ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বগুড়া, সিলেট ও গাজীপুর এই আট শহরে অনুসন্ধান চালায়। মূলত যে শহরগুলোতে বেশিমাত্রায় বিক্ষোভ হয়েছিল, সেসব স্থানে গিয়ে সরেজমিন কাজ করে জাতিসঙ্ঘের দলটি। প্রতিবেদন তৈরিতে অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঘটনাপ্রবাহের সাক্ষী ব্যক্তিদের নিয়ে ২৩০টির বেশি সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। এ ছাড়া সরকার, নিরাপত্তাবাহিনী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আরো ৩৬টি সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। এই ৩৬ জনের মধ্যে সরকারের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারাও আছেন, যারা ওই সময়ের ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে অবগত ছিলেন।
তথ্যের পাশাপাশি জাতিসঙ্ঘের অর্ধশত সুপারিশও একটি দলিল হয়ে থাকবে। বলা হয়েছে, নিরপেক্ষভাবে কার্যকর, পক্ষপাতহীনভাবে সব বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের ঘটনার তদন্ত করতে হবে। র্যাব বিলুপ্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। রয়েছে এনটিএমসিকে বিলুপ্ত করার সুপারিশও। অন্য সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে বাহিনীর কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকলে নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো; বিজিবি, ডিজিএফআইসহ গোয়েন্দা সংস্থার আইনি ক্ষমতার লাগাম টেনে ধরা; আনসার, বিজিবিকে সামরিক বাহিনী থেকে মুক্ত রাখা; অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সামরিক বাহিনী অভ্যন্তরীণ যেকোনো পরিস্থিতিতে কতটা সময় কাজ করবে এবং মাঠে থাকবে, তা নিশ্চিত করা। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে, এমন সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী তদন্ত করা।
রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হলে সত্যিকার বহুদলীয় গণতন্ত্রে ফেরার পথ রুদ্ধ হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক ভোটারকে ভোটাধিকার চর্চা থেকে বঞ্চিত করা হবে, যা চলমান সময়ের সাথে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
জুলাই-আগস্ট হত্যাযজ্ঞের বিচার, সংস্কার, নির্বাচন কোনোটিই কোনোটির সাথে সাংঘর্ষিক নয়। একটি বাদ দিয়েও আরেকটি নয়। এর পরও সাম্প্রতিক অতিকথন, অতিরাজনীতির পরিণতিতে গত মাসকয়েকে বিচার এবং সংস্কার হয়ে পড়ছে সেকেন্ডারি। আহতদের চিকিৎসা দিনকে দিন প্রসঙ্গ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। গণ-আন্দোলনে নিহতদের পরিবারে চলছে আহাজারি। আহতরা কাতরাচ্ছে হাসপাতালের বেডে। হত্যাকারীদের বিচারপ্রক্রিয়া সবে শুরু হয়েছে। সংস্কারের কিছু আয়োজন চলছে। নির্বাচনের ঘণ্টাও বেজেছে। এর মাঝেই এমন পরিস্থিতি কারোর কাম্য ছিল না। ধারণাও ছিল না অনেকের। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছয় মাস পার হলেও সব নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে এবং আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা দিতে না পারার ঘটনা সামগ্রিকভাবে অত্যন্ত বেদনাদায়ক। গণ-অভ্যুত্থানে নিহত অনেককে ‘বেওয়ারিশ’ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। হত্যাযজ্ঞ ও বর্বরতার তথ্য সংরক্ষণেও দুর্বলতা লক্ষণীয়। গণমাধ্যমে সব তথ্য নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে অনেক ভিডিওফুটেজসহ নানা তথ্য। কোনো কোনো ভিডিওতে এমন নিষ্ঠুরতার দৃশ্য ভাসছে, যা সহ্য করা যায় না। এসব ভিডিও দেখার সময় চোখ ঢেকে ফেলতে হয়। কোথাও কোথাও পুলিশের পাশাপাশি তখনকার ক্ষমতাসীন দলীয় ক্যাডারদেরও দেখা যায়।
গণ-অভ্যুত্থানের সময় পুলিশের বর্বরতার একটি প্রামাণ্যচিত্র সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ট্রুথ অ্যান্ড জাস্টিস নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্যোগে ছবিটি তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যমেও ছবিটি দেখানো হচ্ছে। শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার ঠিক আগে আগে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে ঘণ্টাদেড়েক সময়ের মধ্যে কী ঘটেছিল, তার প্রামাণ্য দলিল এই ছবি। বলা হচ্ছে, বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে সংগ্রহ করা ফুটেজগুলো দীর্ঘ সময় ধরে বিচার-বিশ্লেষণের পর ছবিটি তৈরি করেছেন তারা। ছবিতে দেখা গেছে, কিভাবে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়েছে পুলিশ। দেশের আরো অনেক জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছে। সেসব ঘটনার ভিডিও সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই জরুরি।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভুল, অপকর্ম বা অন্যায়ের জন্য ক্ষমা চাওয়ার নজির নেই। আছে অন্যের ওপর দোষ চাপানো এবং নিজেদের সহি-শুদ্ধ প্রচারের চেষ্টা, যা এর মধ্যে পুরোদমে চলছে। এটি পতিত-বিতাড়িতদের জন্য আশীর্বাদের মতো। আর রাজনীতির নামে পেশাদার দুর্বৃত্তদের জন্য গোল্ডেন চান্স। এই চান্স নিতে একটুও কমতি করছে না তারা। চাঁদাবাজি, দখলদারিতে নেমে পড়েছে মহলটি। চাঁদাবাজ বদলেছে, চাঁদাবাজি বদলায়নি। একইভাবে দখলবাজ বদলেছে, দখলবাজি কমেনি। এদের অপতৎপরতায় গণ-অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশা ফিকে হয়ে আসছে। এসব বিপ্লবের চেতনাকে ম্লান করছে। মানুষের গণতন্ত্রের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ভয়ের রাজত্ব সাধারণ মানুষের পিছু ছাড়ছে না। তাদের আবার মাঠে নামতে হবে? মাঠে নামা আর রক্ত দেয়াই এ দেশের সাধারণ মানুষের নিয়তি?
জুলাইয়ে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, যা বিগত সরকারের মদদে দেশব্যাপী নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশের নৃশংস আক্রমণে বিক্ষোভে রূপ নেয়। আট দফা, ৯ দফাসহ বিভিন্ন দফা পেরিয়ে ৩ আগস্ট ছাত্র-জনতা শহীদ মিনারে ঘোষণা করেন এক দফা শেখ হাসিনার পদত্যাগ। এর এক দিন পর ৫ আগস্টে সেই আন্দোলনের সাফল্য। ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ও দেশ ছেড়ে পলায়ন।
গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকেন্দ্রিক ভবিষ্যতের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ভালো কিছু উদ্যোগের প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ- এইচআরডব্লিউ। প্রশংসার সাথে ‘কিন্তু’ যোগ করে বলেছে, ব্যাপক প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ছাড়া ঐক্যের অগ্রগতি ম্লান হয়ে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থাটি ২০২৪ সালের ৫৪৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অংশে বলেছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুযায়ী দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করা উচিত। বিশ্বস্বীকৃতির তাগিদও দেয়া হয়েছে। এ পর্যায়ে এসে জাতিসঙ্ঘের তদন্ত শেখ হাসিনার গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে অরেক মাত্রা যোগ করে দিলো, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
[email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা