০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪২৩১, ৬ শাবান ১৪৪৬
`

ছাত্রদের যৌক্তিক অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া

-

নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী, ‘ Every Action has its equal and opposite reaction’। বিজ্ঞানের সূত্র কেমন করে জুতসই হয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিচারে! যেহেতু রাষ্ট্রবিজ্ঞান ‘বিজ্ঞান পদবাচ্য’ সেহেতু বিজ্ঞানের সূত্রগুলো কখনো কখনো সামাজিক বিজ্ঞান তথা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয়-আশয় বিশ্লেষণে যৌক্তিক হয়ে যায়। এখন গোটা বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া প্রত্যক্ষ করা যায়। প্রতিটি বিপ্লব, যুদ্ধ এবং গণ-অভ্যুত্থান অবশেষে ভালোর সাথে কিছু মন্দও স্বাভাবিকভাবে আসে। প্লাবন যখন আসে তখন বিশুদ্ধ পানির সাথে দূষিত পানিও আসে। যাযাবর সে কথাটি সুন্দর করে বলেছেন, এভাবে, ‘বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ’। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের দিয়েছে স্বাধীনতা। সেই সাথে অনিবার্য অপভ্রংশ হিসাবে এসেছে অস্ত্রের ঝংকার। আমাদের রাজনীতিতে কখনো অস্ত্র শেষ কথা বলেনি। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ সাংবিধানিক পথ অনুসরণ করেছে। অসাংবিধানিক হয়েছে তারা তখনই যখন সাংবিধানিক পথে ও প্রক্রিয়ায় জন আকাক্সক্ষা পূরণ হয়নি। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা যদি সাংবিধানিকভাবে আন্দোলনের মোকাবেলা করতেন তাহলে জনগণের এই অভ্যুত্থান ও রক্তপাত প্রয়োজন হতো না।

একটি রাষ্ট্র ও সমাজের পরিবর্তনে খুব স্বাভাবিকভাবেই ছাত্রসমাজ তথা যুবসমাজ মূল ভূমিকা পালন করে থাকে। বিপ্লবী কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের আহ্বান ‘যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময় তার’। পৃথিবীর ইতিহাসে এর প্রমাণ আছে। তৃতীয় বিশ্বের উপনিবেশবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রসমাজ স্বাধীনতা তথা মুক্তির আন্দোলনে নিয়ামকের ভূমিকা পালন করেছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এদেরকে বলা হয় Anomic Group বা আকস্মিক গোষ্ঠী। এর সংজ্ঞাটি এরকম : Anomic Groups are spontaneously formed groups that emerge in response to a specific frustration, grievance, or crisis. They typically lack formal organization, leadership, and long-term structure. Their actions are often impulsive and driven by immediate dissatisfaction, making them highly unstable and temporary. These groups are usually a result of social, political, or economic distress, where individuals collectively express their discontent without an established framework or coordination.

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে এই Anomic Group বা আকস্মিক গোষ্ঠীর ভূমিকা প্রবলভাবেই লক্ষ করা যায়। ছাত্ররা যেহেতু একত্রে বসবাস করে, শ্রেণিগতভাবে একই পরিচয় বহন করে এবং যেহেতু তাদের রয়েছে একটি সতত প্রতিবাদী বৈশিষ্ট্য, সুতরাং জাতির সঙ্কট সন্ধিক্ষণে তারা যে ভূমিকা পালন করতে পারে রাজনৈতিক দলগুলো তা পারে না। ২০২৪ সালের বিপ্লব বিশ্লেষণে একই সত্য বেরিয়ে আসবে। আমরা যা পারিনি তা তারা পেরেছে। মাত্র কয়েক মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। ছাত্রসমাজের শেষ সময়ের চেতনা ও আদর্শ বহমান রয়েছে। তবে যেমনটি আমরা দেখলাম Anomic Group বা আকস্মিক গোষ্ঠীর সংজ্ঞায় যত দ্রুত তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলনে এগিয়ে যায় আশাহত হলে তারা সমান আবেগেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। তারা স্বাভাবিকভাবেই সেই সাংগঠনিক ভিত হারিয়ে ফেলে, তাদের হতাশা অসন্তোষের রূপ ধারণ করে। অনেক সময় ইতিবাচক কার্যক্রমের পরিবর্তে নেতিবাচক কার্যক্রমে তারা জড়িয়ে পড়ে। অনিশ্চয়তা তাদেরকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেয়। এই অস্থিরতা অরাজকতার রূপ নিতে পারে। অরাজকতা দেশ জাতি ও রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। বিপ্লব-পরবর্তী ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ায় সাধারণভাবে এরা সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। ব্যক্তি বা গোষ্ঠী উদ্দেশ্যমূলকভাবে অথবা কোনো উদ্দেশ্য ছাড়াই অস্থিরতার শিকার হয়। এ ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট আদর্শ উদ্দেশ্য ও নীতিমালার বালাই থাকে না।

গৌরবময় জুলাই বিপ্লবের পরবর্তী কার্যক্রম ও ঘটনাবলি ব্যাখ্যা করলে ওইসব প্রবণতা লক্ষ করা যায়। জুলাই বিপ্লবে ছাত্রদের অংশগ্রহণ আকস্মিক ও আন্তরিক ছিল। যারা বিপ্লবে আদৌ অংশগ্রহণ করেনি, সেসব আলালের ঘরের দুলালদেরও দেখা যায় উৎসাহের সাথে ট্রাফিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে। তার মানে হচ্ছে গোটা ছাত্রসমাজ সর্বাত্মকভাবে বিপ্লবের অংশীদার হয়েছে। এটি রীতিমতো প্রাতিষ্ঠানিকতা অর্জন করেছে। সেটিই প্লাস পয়েন্ট। আবার সেটিই মাইনাস পয়েন্ট। ছাত্রসমাজ যে চিন্তা ও চেতনায় বিভোর ছিল, তাদেরকে কাজ দিতে হতো। না হলে তারা আরব্য রজনীর গল্পের মতো প্রভুর মসনদ উলট পালট করে দিতো। এ প্রসঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সচিবালয় ঘেরাও এবং বিনা পরীক্ষায় পাস করানোর দাবির কথা উল্লেখ করা যায়। শক্ত অবস্থান নিলে শীর্ষ ছাত্র নেতৃত্বের সহায়তায় একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্তে আসা যেত। এর ফলে ছাত্ররা বুঝে নিয়েছে যে, চাপের কাছে নতি শিকার করবে প্রশাসন। ছাত্রদের একটি অংশ এতটাই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ল যে, তৃণমূল থেকে রাজধানী পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সাথে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অশোভন আচরণ করল। তাদের কথামতো প্রতিষ্ঠানের প্রধান অপসারিত হলো। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্রই একই অবস্থা দৃশ্যমান হলো। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রশাসন আত্মসমর্পণ করেছে, এসব যৌক্তিক অথবা অযৌক্তিক দাবি-দাওয়ার কাছে। অতীতের স্বৈরাচারের আমলে অন্যায় অপকর্মের প্রতিবিধান প্রয়োজন ছিল। কিন্তু প্রক্রিয়াটি সঠিক ছিল না। এসব নিয়ে পত্র-পত্রিকায় চাঁদাবাজি ও ডাণ্ডাবাজির অনেক ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে। বহু শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদীদের পক্ষে কাজ করার প্রমাণ ছিল। ছাত্ররা নিজের শক্তিতে এদের শায়েস্তা করতে চেয়েছে।

তারুণ্যের শক্তি অনতিক্রম্য। এই শক্তি স্বাভাবিকভাবে ব্যবহৃত না হয়ে অস্বাভাবিকভাবে ব্যবহৃত হলো। আগেকার দিনে আমরা স্কুল বনাম স্কুল, কলেজ বনাম কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতার কথা শুনেছি। শুধু খেলাধুলা নয় এই প্রতিযোগিতা পরিব্যপ্ত ছিল বক্তৃতা, বিতর্ক ও আবৃত্তি তথা সাহিত্য সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে। এবার আমরা দেখলাম পানি পথের বদলে স্থলপথের অনেক যুদ্ধ-ঢাকা কলেজ বনাম আইডিয়াল কলেজ, আইডিয়াল কলেজ বনাম সিটি কলেজ ইত্যাদি আকারে। পুরান ঢাকায় এই যুদ্ধ দেখলাম সোহরাওয়ার্দী কলেজ বনাম কবি নজরুল কলেজ। এই যুদ্ধ বিস্তৃত হয়েছে সর্বত্র। ভাবতেও লজ্জা করে যে এদের একটা অংশ গ্রামের অশিক্ষিত ও অমার্জিত লোকদের মতো রীতিমতো তারিখ দিয়ে যুদ্ধ করেছে। এদের বিবেক বুদ্ধি কতটা লোপ পেয়েছে তা এদের আচরণ দেখলেই বোঝা যায়।

ঘটনার আরেকটি ঘনঘোর আন্দোলন লক্ষ্য করা যায় সাত কলেজ আন্দোলন নিয়ে। এটি মূলত ছিল শেখ হাসিনা স্বৈরাচারের একক সিদ্ধান্তের কুফল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অস্বাভাবিক অপগতিতে সাত কলেজ তথা সব কলেজের শিক্ষা চলছিল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সরব ও কার্যকর করার পরিবর্তে কোনো ধরনের চিন্তাভাবনা না করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্থাপন করলেন এই কলেজগুলোকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশাল প্রতিষ্ঠান যেখানে নিজ ভারে ন্যুব্জ, সেখানে সাত কলেজ হলো বোঝার ওপর শাকের আঁটি। সুতরাং যে সর্বনাশ হওয়ার তাই হলো। জুলাই অভ্যুত্থানের পর সাত কলেজের ছাত্ররা তাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে অযৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে গেল। সিদ্ধান্ত দেবে প্রশাসন কিন্তু ছাত্ররাই সিদ্ধান্ত দিলো। সব সমস্যার সমাধান পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় গঠন। ছাত্র আন্দোলনের তোড়ের মুখে আবারো আত্মসমর্পণ শিক্ষা প্রশাসনের।

সাত কলেজের যৌক্তিক আন্দোলন যখন একটি সমাপনী পর্যায়ে তখন আবার আরেক দাবি উঠল-তিতুমীর কলেজকে ‘জাতীয়করণ করিতে হইবে’। ছাত্ররা রাজপথ বন্ধ করে এমন এক ভোগান্তির সৃষ্টি করল যে, ঢাকা শহর অনির্দিষ্ট যানজটের কবলে নিপতিত হলো। তারা এখন রেলপথ অবরোধ করার মতো অযৌক্তিক কাণ্ড করে ফেলল। এটিরও যৌক্তিক সমাধানের পরিবর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দ্বৈত অবস্থান লক্ষ করা গেল। একদিকে মন্ত্রণালয় তাদের আশ্বাস দিয়েছে দাবি মেনে নেয়ার। অপর দিকে শিক্ষা উপদেষ্টা তার অমত প্রকাশ করেছেন। এর আগেও শিক্ষা উপদেষ্টা এইচএসসি ছাত্রদের দাবি মেনে নেয়ায় দ্বিমত পোষণ করেছিলেন। কিন্তু অবশেষে মেনে নিয়েছেন। অথবা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন। এবার তিতুমীর কলেজের বিষয়ও প্রশাসনের পরাজয় ঘটবে এমন আশঙ্কা সুধীজনের।
শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশ জাতি রাষ্ট্রের যে সর্বনাশ ঘটিয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা খাত। তারা শুধু ছাত্রলীগের দ্বারা এর দুর্বৃত্তায়ন করেই সন্তুষ্ট হননি বরং শিক্ষাসূচি, শিক্ষকতা ও শিক্ষার পরিবেশের মতো বিষয়ে সর্বনাশ সাধন করেছেন। এই সর্বনাশের পরিণতি আগামী ২৫ বছরেও পুনর্নির্মাণযোগ্য নয়। একটা দালান ভেঙে গেলে, টাকা থাকলে আরেকটা দালান গড়া যায় কিন্তু পাঠ্যসূচি ও চরিত্রে যে ধস তারা নামিয়ে দিয়েছেন তা সহজে শোধনযোগ্য নয়। আমার কাছে অবাক বিস্ময় লাগে যে বিগত বছরগুলোতে আওয়ামীকরণের তথা মগজ ধোলাইয়ের যে অপচেষ্টা তারা করেছে তা অতিক্রম করে কিভাবে স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়েছে সাধারণ ছাত্ররা। তা হলে বোঝা যায় সত্য ও মিথ্যার বিভেদ প্রচারণা দিয়ে মিটিয়ে দেয়া যায় না। মিথ্যাচার, প্রতারণা সবাইকে বোকা বানাতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে আব্রাহাম লিঙ্কনের সেই বহুল উচ্চারিত উক্তিটি উচ্চারণ করা যায় ‘You can fool some people all the time, and all people some of the time, but you cannot fool all the people all the time.’

কথা বলা সহজ কিন্তু বাস্তবায়ন সহজ নয়। এই সময় এই পরিস্থিতিতে ছাত্রসমাজ রাষ্ট্রব্যবস্থায় পরিবর্তন সাধন করে আমাদের ঋণী করে রেখেছে। সে জন্য তাদের মনে কষ্ট পায় এমন কথা আমরা-নাগরিক সাধারণরা বলতে চাই না। সব অভ্যুত্থান বা বিপ্লব অবশেষে অস্থিরতার ইতিহাস রয়েছে। বাংলাদেশও সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে না। অতীত নিয়ে আক্ষেপ করে লাভ নেই পারস্পরিক দোষারোপেও ফলোদয় হবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে ছাত্রদের যৌক্তিক ও অযৌক্তিক দাবির সীমা-পরিসীমা বুঝতে হবে। যৌক্তিক ক্ষেত্রে নমনীয় ও অযৌক্তিক ক্ষেত্রে অনমনীয় হওয়া ছাড়া উপায় নেই। নির্দিষ্ট কোনো নীতি বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তা বাস্তবায়নে কঠিন ও কঠোর হতে হবে। ছাত্রদের মনে রাখতে হবে স্বাধীনতা মানে অবাধ স্বাধীনতা নয়। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা রুশোর ভাষায় নিয়ম-কানুন-শৃঙ্খলে আবদ্ধ। আমরা আশা করতে চাই ছাত্ররা আবেগ নয় বাস্তবতা দ্বারা দাবি-দাওয়ার যৌক্তিকতা অথবা অযৌক্তিকতার সীমারেখা অনুধাবন করতে সক্ষম হবে। শিক্ষা যদি জাতির মেরুদণ্ড হয় সেই মেরুদণ্ডকে শক্তপোক্ত রাখতে ছাত্রসমাজ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেবে এই আশা শিক্ষানুরাগী মানুষের।

লেখক : অধ্যাপক (অব:), সরকার ও রাজনীতি বিভাগ,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]


আরো সংবাদ



premium cement
প্রশাসনে অতি উৎসাহীদের বিদায় করা হবে : সিনিয়র সচিব ‘দেশের ক্রান্তিলগ্নে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় কাজ করেছে ছাত্রশিবির’ রিপোর্টে নারী ফুটবলারদের শৃঙ্খলা ভঙ্গই উঠে এসেছে কৃষকের ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করবে বিএনপি : শহিদুল ইসলাম বাবুল আইসিটি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে পঙ্গু করে রেখেছিল : ড. মাসুদ সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্রের বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ৩ পল্লী উন্নয়ন অ্যাকাডেমি থেকে বাদ গেল শেখ পরিবারের নাম বইমেলায় ৮ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি সময় পরিবর্তন হচ্ছে, থাকছে না শিশুপ্রহর রাখাইন স্টেট : ঘুমধুমে স্থলবন্দর করার চিন্তা করছে সরকার ফ্যাসিবাদ উৎখাত করেছে ছাত্ররা আর তাদের সাহস জুগিয়েছেন শিক্ষকরা

সকল