৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৫
`

সমৃদ্ধি অর্জনে পুবে তাকাও নীতি

-

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের যুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের সাথে ৭ দফা মৈত্রী চুক্তির ভিত্তিতে ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে সমর্থন দেয় এবং স্বাধীন হওয়ার মাত্র ১৩ দিন আগে বাংলাদেশের পক্ষে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। মৈত্রী চুক্তির নামে ওই গোলামি চুক্তির ছয় নম্বর দফাটি ছিল ‘বিদেশ বিষয়ে ভারত যা বলবে, তাই মেনে চলতে হবে; সাউথ ব্লকের কেবল একটি এনেক্স হবে সেগুনবাগিচা। বলা চলে, উল্লিখিত চুক্তির বলে ভারত বাংলাদেশের সামরিক ও পররাষ্ট্র বিষয়ের কর্তৃত্ব পেয়ে যায়। এর ভিত্তিতে ভারত স্বাধীন বাংলাদেশে কর্তৃত্ব করতে থাকে। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে ওই পররাষ্ট্রনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে চেষ্টা হিসাবে প্রথমেই দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন।

সার্ক প্রতিষ্ঠা ও সফলতা

ভারতের গোলামির জিঞ্জির ভেঙে বহিঃবিশ্বের সাথে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ার প্রত্যয়ে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের কূটনৈতিক নীতিমালায় বিশেষ পরিবর্তন আনেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন কূটনৈতিক অবস্থানের কারণে সৃষ্ট ভারত ও সোভিয়েত ব্লক থেকে সরে এসে মুসলিম বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেন। পারমাণবিক শক্তিধর দেশ চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আরব বিশ্বের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের উদ্যোগ নেন। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক অনেকটা অর্থনৈতিক হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সামরিক ও নিরাপত্তা ইস্যুগুলোও প্রাসঙ্গিক ছিল।

এসব সংস্কার বৃহত্তর প্রতিবেশী ভারতের সাথে সামান্য দূরত্ব সৃষ্টির ইঙ্গিত বহন করলেও জিয়াউর রহমান যে আঞ্চলিক সহায়তাকে গুরুত্ব দিতেন সেই সত্যের প্রতিফলন ঘটে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহায়তা সংস্থা (সার্ক) গঠনে তার উদ্যোগে। জিয়াউর রহমান উপলব্ধি করেন যে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা স্থাপিত হলে বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতিতে দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্ব বাড়বে এবং বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের দেশগুলো উপকৃত হবে। এই লক্ষ্যে তিনি সার্কের রূপরেখা রচনা করেন এবং তা ১৯৮৫ সালে বাস্তবে রূপ নেয়। প্রতিষ্ঠিত হয় সার্ক।

সংস্থার সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হলেও দীর্ঘকালের সঙ্কট ও পারস্পরিক টানাপড়েনের কারণে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সার্কের অগ্রগতি ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। নেপালের কাঠমান্ডুতে সার্কের সর্বশেষ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রায় দশ বছর পেরিয়ে গেলেও কার্যত আর কোনো সফলতা পায়নি সংস্থাটি। সার্কের এ অচলাবস্থার অন্যতম কারণ ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব এবং সার্কভুক্ত অঞ্চলে ভারতের ‘বিগ ব্রাদার’সুলভ মনোভাব। সার্কের ধারণাটি হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো একটি একীভূত বাজারব্যবস্থা। দুর্ভাগ্যবশত, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক পরিপূরকতার তীব্র অভাব রয়েছে। এ অঞ্চলের আন্তঃবাণিজ্য খুবই নগণ্য, যা দেশগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে একত্রিত হওয়ার পথে বাধার সৃষ্টি করছে।

কিছু হতাশাজনক কারণ সত্ত্বেও আঞ্চলিক সংহতি বৃদ্ধিতে সার্কের সাফল্যের সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। নোবেলবিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে সেই সম্ভাবনা আবার নতুন করে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ সার্ক বিষয়ে সবসময়ই চিন্তাশীল এবং সার্ককে একটি বিকশিত আঞ্চলিক সংগঠন হিসেবে দেখতে চায়।

পুবে তাকাও নীতি (লুক ইস্ট পলিসি)

পুবে তাকাও নীতি বলতে বোঝায় পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, প্রতিরক্ষা, সাংস্কৃতিক সম্পর্কের উন্নয়ন। অর্থনৈতিক সহযোগিতা গড়ে তুলতে দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য সম্প্রসারণ; বাংলাদেশে বিদেশী বেসরকারি বিনিয়োগের সম্প্রসারণ; আঞ্চলিক সংযোগ এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত সংযোগ; এবং বাংলাদেশের অবকাঠামোর আধুনিকীকরণের বিষয় সামনে রাখা হয়।

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের পূর্বমুখী পররাষ্ট্রনীতিতে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ ‘প্রেসিডেন্ট জিয়ার অন্তর্দৃষ্টি ও বাংলাদেশের পূর্বমুখী নীতি’ শীর্ষক প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, জনসমষ্টির সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য, বাংলাদেশের পশ্চিম, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত রাষ্ট্রগুলোর বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থা, জাতীয় নিরাপত্তার দাবি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জরুরি চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের পূর্বমুখী নীতি স্বাভাবিক এবং কাক্সিক্ষতও বটে।’

১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে বেগম খালেদা জিয়া পুবে তাকাও নীতির ওপর সমধিক গুরুত্ব দেন। তার সরকারের অর্থমন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমান প্রথম ‘পূর্বমুখী অর্থনৈতিক-কূটনীতি’ প্রসারে মনোযোগী হন। পরে ২০০১ সালেও খালেদা জিয়ার সরকার ‘পুবের দিকে তাকাও’ নীতি গ্রহণ করে। এই পলিসি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত উদ্যোগের সূত্রপাত করে। কিন্তু বিগত তাঁবেদার সরকার ভারতের সাথে একমুখী পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণের কারণে বৈদেশিক সম্পর্ক বিস্তারে পুবের দিকে তাকানোর নীতি চাপা পড়ে যায়। ফলে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ অন্যান্য দেশ ও জোটের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য মুসলিম দেশের সাথেও কার্যকর সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি মূলত বিগত সরকারের ইসলামবিদ্বেষী ও ভারতমুখী পররাষ্ট্রনীতির কারণে। জাপান, কোরিয়ার মতো উন্নত অর্থনীতির দেশের সাথেও তেমন কার্যকরী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি।

ভূ-কৌশলগত সুবিধা, পর্যটন, নিরাপত্তাসহ বহুমুখী গুরুত্ব বিবেচনায় এবং ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও ভূরাজনৈতিক দিক থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আবার লুক ইস্ট নীতি গ্রহণ করে। এরপর দেড় দশকেরও বেশি সময় পেরুলেও প্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক কাক্সিক্ষত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। বরং দেশকে একচেটিয়া ভারতের বাজারে পরিণত করে শেখ হাসিনার সরকার।

আওয়ামী সরকারের একতরফা ভারততোষণ নীতির বিপরীতে ইউরোপ-আমেরিকাসহ পশ্চিমা এবং বিশেষ করে পূর্ব-এশিয়ার দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ও স্বার্থের বিনিময় গৌণ ও চরম উপেক্ষিত হয়ে পড়ে। রুদ্ধ হয় দেশের অর্থনীতির বিকাশ।
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতি এবং পররাষ্ট্রনীতিতে ভারতনির্ভরতা কমিয়ে পূর্ব এশিয়ার ২৭টি দেশ নিয়ে শক্তিশালী আসিয়ান জোটের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়টি আবার আলোচনায় এসেছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদন মতে, ‘বাংলাদেশের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর রফতানি প্রসারের জন্য প্রয়োজন আন্তঃএশীয় সরবরাহ চেইনের মাধ্যমে ব্যাপক সংযোগ ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধি। এর জন্য বাংলাদেশকে তার ‘পূর্বদিকে’র প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরালো করা অপরিহার্য’। ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনসের (আসিয়ান) পরবর্তী মেয়াদের সভাপতি পদে মালয়েশিয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি ২০২৫ সালে আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে সংস্থায় বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির জন্য মালয়েশিয়ার সক্রিয় ভূমিকা কামনা করেন। বাংলাদেশের জনগণ প্রফেসর ডক্টর ইউনূসের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। অর্থনীতিবিদদের অভিমত, পুবের সাথে সম্পর্ক ও যোগাযোগ বৃদ্ধির মাঝে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি বিকাশের সুযোগ রয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, যে ১০টি অর্থনীতি বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে তাদের সাতটিই এশিয়ার এবং ছয়টির অবস্থান বাংলাদেশের পূর্বদিক ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে। চীন, জাপান, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ এশীয় প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও বাণিজ্যিক যোগাযোগের রয়েছে ঐতিহাসিক ধারা। এসব দেশে বাংলাদেশের জন্য রয়েছে অবারিত আমদানি ও রফতানি বাজার সম্ভাবনা। সুতরাং, অন্যদিকে দৃষ্টি না দিয়ে শুধু অর্থনৈতিক অগ্রগতির এই মহাসমারোহে শামিল হওয়ার তাগিদেই বাংলাদেশের মুখ পূর্বে ও দক্ষিণ-পূর্বে ফেরাতে হবে।

এ মুহূর্তে বিশ্বের বৃহৎ শক্তিগুলোর প্রতিযোগিতা ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শনের ক্ষেত্র হয়ে উঠছে ভারত মহাসাগর ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা। বাংলাদেশের অবস্থান ভারত মহাসাগর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের উপকূলে। এই অঞ্চলে মিয়ানমারকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের দ্বন্দ্ব আছে। চীন চায় রোহিঙ্গাদের রাখাইন থেকে সরিয়ে দিয়ে বঙ্গোপসাগরের সাথে অর্থনৈতিক করিডোর সহজ করতে। আমেরিকা চায় চীনকে চাপে রাখতে মিয়ানমারে প্রভাব বিস্তার করতে। ওই দুই দেশের দ্বন্দ্বে বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান দিনে দিনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ সময় দেশের অবস্থান কী হওয়া উচিত সে বিষয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তাবিশারদ ও অর্থনীতিবিদদের বিচার বিশ্লেষণ করতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়বে বা প্রাসঙ্গিকতা হারাবে।

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের এই কৌশলগত অবস্থান সম্পর্কে সচকিত হয়ে ‘আমাদের পথ’ শীর্ষক এক নিবন্ধে নিজেই লিখেছিলেন, উপমহাদেশ ও এই অঞ্চলের মানচিত্রের দিকে তাকালে এটা স্পষ্টতই বোঝা যায় যে ভৌগোলিক অবস্থানের দিক দিয়ে বাংলাদেশের বিশেষ একটা গুরুত্ব রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে পশ্চিম এশিয়ার যোগসূত্র স্থাপন করে রেখেছে বাংলাদেশ তার ভূখণ্ডের বৈচিত্র্য দিয়ে। এই যোগসূত্রের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হলে বাংলাদেশের বৈপ্লবিক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। বাংলাদেশ পূর্বমুখী হলে বাংলাদেশ অগ্রসর হতে পারবে উন্নয়নের সোপানে। সাথে মিয়ানমার এবং ভারতের উত্তর-পূর্বের সাতটি প্রদেশের সাথে সংশ্লিষ্ট হলে সম্ভাবনার দ্বার আরও উন্মুক্ত হবে। এই এলাকায় বিনিয়োগ ও যোগাযোগব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হতে পারে। অর্থনৈতিক অগ্রগতির তীর ঘেঁষে রাজনৈতিক শ্রেষ্ঠত্বের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেতে পারে বাংলাদেশ।

পুবের দিকে তাকানোর নীতির বিষয়ে সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পিস স্টাডিজের (সিএসপিএস) গোলটেবিল বৈঠকে দেশের শিক্ষাবিদ, সামরিক এবং সিভিল প্রশাসনের গবেষকবৃন্দ অভিমত জানান যে, আমাদের দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একতরফা ভারতমুখী পররাষ্ট্রনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সার্ক-এর সম্ভাবনা কাজে লাগানোর পাশাপাশি পুবের দেশের সাথে ব্যবসায়িক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি বা কূটনীতি প্রো-অ্যাকটিভ হতে হবে।

সবদিক বিবেচনা করে প্রথমে অর্থনৈতিক অ্যাজেন্ডা নিয়ে অগ্রসর হয়ে পরে আস্থার ভিত্তিতে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তার বিষয়কে সামনে আনা হলে বাংলাদেশের পূর্বমুখী অভিযান সফল হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের সাথে পুবের যোগাযোগ-সম্পর্ক বৃদ্ধির। ভারত-নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে এসে নিজের দৃষ্টির সীমানা সম্প্রসারণের। প্রধান উপদেষ্টা পশ্চিমা বিশ্বের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি পুবের দেশগুলোর সাথে সম্পর্কের সেতুবন্ধ সুদৃঢ় করার দিকে এগুচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে কার্যকর, দ্রুততর এবং বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেয়া দরকার।

লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট
[email protected]


আরো সংবাদ



premium cement