ইসরাইলের ‘ট্রোজান হর্স’ ও লেবানন
- মো: বজলুর রশীদ
- ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:২২
‘ইসরাইলের ট্রোজান হর্স’ শব্দগুলো এক গোপন অভিযানের প্রতারণামূলক প্রকৃতিকে যথাযথভাবে ধারণ করে। পেজার ও ওয়াকিটকি দিয়ে প্রাচীন গ্রিক যুদ্ধ কৌশলের অনুকরণে একটি সমান্তরাল কৌশল দিয়ে ভেতর থেকে ধ্বংস করার মোসাদের গোপন কার্যক্রম এটি। বলতে গেলে এই ঘটনাটি আধুনিক গুপ্তচরবৃত্তি এবং তথাকথিত সন্ত্রাসবাদ বিরোধী প্রচেষ্টার চলমান নৃশংসতা।
বিএসি কনসাল্টিং এবং হিজবুল্লাহর সাথে জড়িত এ ঘটনা। আধুনিক গোয়েন্দা কার্যক্রমের বিস্তৃতি কতদূর যেতে পারে তার একটি স্পষ্ট অনুস্মারক এই অমানবিক ঘটনা। ইসরাইলি গোয়েন্দাদের তৈরি শেল কোম্পানি বিএসি কনসাল্টিং বিস্ফোরক যৌগ পিইটিএন মেশানো ব্যাটারি দিয়ে পেজার তৈরি করে ব্যবহার, যুদ্ধ কৌশলে নতুন বলা যায়। এই ডিভাইসগুলো হিজবুল্লাহ সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল, যার ফলে লেবাননজুড়ে বেশ কয়েকটি মারাত্মক বিস্ফোরণ ঘটে। জটিল ও দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই অভিযানের ফলে উল্লেখযোগ্য হতাহতের ঘটনা ঘটে এবং ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আহতদের অনেকেই চোখ ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হারিয়েছে। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ লেবাননের হিজবুল্লাহ এই বিস্ফোরণের জন্য ইসরাইলকে দায়ী করে। ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর লেবাননে হাজার হাজার কমিউনিকেশন ডিভাইস-পেজার এবং ওয়াকিটকিতে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কমপক্ষে ৩৯ জন নিহত এবং তিন হাজার ৪০০ জন আহত হন। প্রায় দুই মাস পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন যে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে লেবাননে পেজার এবং ওয়াকিটকি বিস্ফোরণের মাধ্যমে হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তেল আবিব মনে করে এই ঘটনা হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরাইলের গোয়েন্দা সক্ষমতাকে প্রমাণ করল। এটি একটি সাধারণ বিষয় যে সেলফোন ইসরাইলিরা সহজে ট্র্যাক করতে পারে। তাই সেলফোনের পরিবর্তে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য লেবাননে হিজবুল্লাহরা এবং ইরানের কমান্ডাররা পেজার ও ওয়াকিটকি ব্যবহার শুরু করে।
এই পেজারগুলো ‘গোল্ড অ্যাপোলো’ নামে এক তাইওয়ানের হাঙ্গেরিভিত্তিক সংস্থা তৈরি করেছিল। মধ্যস্থতাকারী একটি জটিল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এসব ডিভাইস হিজবুল্লাহর কাছে বিক্রি করা হয়। জানা যায়, বুলগেরিয়াভিত্তিক একটি কোম্পানি তাইওয়ান থেকে পেজারগুলো কিনে হিজবুল্লাহর কাছে বিক্রি করে দেয়। পেজারগুলোর বিস্ফোরক প্রকৃতি তাইওয়ানি প্রস্তুতকারকের কাছে জানা ছিল না, কারণ বুলগেরিয়ায় ডিভাইসগুলোতে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ নির্দিষ্ট পরিমাণ বিস্ফোরক ঢুকিয়ে দেয় মর্মে ধারণা করা হয়। এই গোপন অভিযানটি হিজবুল্লাহ সদস্যদের লক্ষ্যবস্তু করে এবং তাদের কার্যক্রম ব্যাহত করার জন্য ডিজাইন করা হয়। লেবাননে এসব পেজার নিয়ে আসা হয় এবং হিজবুল্লাহ সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়, একটি মেসেজ পাঠানোর মাধ্যমে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। অনেক পেজার ইরানের হাতেও পড়ে। বিস্ফোরণে হতাহতের পর ইরান ও হিজবুল্লাহ সব ধরনের পেজার ব্যবহার বন্ধ করে দেয়।
একাধিক প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ অপারেটরদের বিরুদ্ধে অত্যাধুনিক কৌশল অবলম্বন করেছে ইসরাইল। হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ প্রকাশ্যে মোবাইল ফোনকে নিরাপত্তা ঝুঁকি বলে নিন্দা জানানোর পর এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ইসরাইলি হ্যাকিং ও লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের ঝুঁকিপূর্ণ বিশ্বাস করে নাসরুল্লাহ তার অনুসারীদের স্মার্টফোন পরিত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে নাসরুল্লাহ বলেন, ‘কবর দাও। লোহার বাক্সে ঢুকিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখো।’ এর জবাবে ইসরাইলি গোয়েন্দারা বিএসি কনসাল্টিং নামে একটি ফ্রন্ট কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে। যা গোল্ড অ্যাপোলো নামে তাইওয়ানের একটি কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় হাঙ্গেরিভিত্তিক ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। ব্যবসায়ী সেজে অপারেশনে নামে, যারা ইসরাইলি গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে। তাইওয়ানের কোম্পানিটি পেজার তৈরির বিষয়টি অস্বীকার করেছে। হাঙ্গেরি সরকারও বলেছে, পেজারগুলো তাদের দেশের মধ্য দিয়ে যাননি।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিরুদ্ধে নাসরুল্লাহর প্রকাশ্য বিবৃতির পরে ২০২২ সালের গ্রীষ্ম থেকে পেজার উৎপাদন দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং ডিভাইসগুলো লেবাননে প্রেরণ করা হয়েছিল। হিজবুল্লাহর ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের কাছ থেকে আসা আরবিতে একটি বার্তা পাঠিয়ে পেজারগুলো সক্রিয় করা হয়। কয়েক সেকেন্ড পরে, ডিভাইসগুলো বিস্ফোরিত হয়, লেবাননজুড়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও হত্যাযজ্ঞ সৃষ্টি করে। প্রকাশ্য স্থান, বাজার, দোকানপাট এবং বাড়িঘরে এই বিস্ফোরণ ঘটে। একইভাবে কারচুপি করা ওয়াকিটকিগুলোও বিস্ফোরিত হয়। বেসামরিক এলাকাগুলো লক্ষ্যবস্তু করায় সমালোচকরা ইসরাইলি অভিযানকে সন্ত্রাসী হামলা বলে অভিহিত করে।
এই ঘটনাটি এ ধরনের গোপন অভিযানের নৈতিকতা এবং নিরীহ পথচারীদের ওপর তাদের প্রভাব সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। আন্তর্জাতিক আইন বুবি ট্র্যাপ ব্যবহার স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং পাবলিক স্পেসগুলোতে নির্বিচারে লক্ষ্যবস্তু করাও নিষিদ্ধ। এই আধুনিক দিনের ট্রোজান ঘোড়া-যার সম্পূর্ণ প্রভাব এখনো পুরোপুরি বোঝা যায়নি ও প্রকাশিত হয়নি। তবে এটা পরিষ্কার যে, সামরিক কৌশল এবং বেসামরিক নিরাপত্তার মধ্যে যে সীমারেখা রয়েছে, ইসরাইল সে সীমারেখাকে বিপজ্জনকভাবে ঝাপসা করে দিয়েছে। কেননা ডিভাইস বহনকারী যে কেউ প্রাণের ঝুঁকিতে থাকবে।
পেজার ও ওয়াকিটকি হামলার মাস হলো সেপ্টেম্বর। সে থেকে অধ্যাবধি ইসরাইল দফায় দফায় লেবাননে স্থল ও বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। লেবাননে ক্রমবর্ধমান হামলার কারণে দেশটির কৃষি থেকে পর্যটন খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে অর্থনীতি ১০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত সঙ্কুচিত হয়েছে। বিশ্লেষক ক্যারেন উজিয়েলের মতে, ‘প্রায় এক বছর ধরে ইসরাইল-হিজবুল্লাহর সংঘর্ষ ও রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে চলতি ২০২৫ সালের শুরুর দিকে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি হবে।’
এতে লেবাননের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসার সম্ভাবনাও পিছিয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক সঙ্কট, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে লেবাননের অর্থনীতি ও অবকাঠামো আগেই বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। বর্তমানে স্বল্পস্থায়ী সামরিক অভিযানও মোকাবেলা করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।’ ক্যারেন উজিয়েল আরো জানান, হামলার কারণে সরবরাহ চেইনে সঙ্কট আরো বেড়েছে। লেবানিজ ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের বিনিময় হারেও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় কমতে থাকা মূল্যস্ফীতি আবারো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
যুদ্ধ পরিস্থিতি লেবাননের অর্থনৈতিক দুরবস্থাকে আরো তীব্র করে তুলছে। এ অবস্থায় অর্থনীতিবিদরা চলতি বছরের জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছেন। বৈরুতের বাইব্লোস ব্যাংক গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও গবেষণা প্রধান নাসিব ঘোবরিল বলেন, ‘ইসরাইল লেবাননের ওপর হামলা শুরু করায় সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে চলতি বছর লেবাননের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ৬ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত সঙ্কুচিত হতে পারে। সংকোচনের মাত্রা নির্ভর করছে যুদ্ধের স্থায়িত্ব ও পরিসরের ওপর।’ ঘোবরিল আরো বলেন, ‘যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে কেনাকাটা শুধু অতিপ্রয়োজনীয় সামগ্রীতে সীমাবদ্ধ থাকবে। ভ্রমণের হার ব্যাপকভাবে কমে যাবে, ফলে পর্যটন খাতে প্রভাব পড়বে, বিনিয়োগ আরো কমে যাবে। আমদানির পরিমাণ এক হাজার ২০০ কোটি ডলারের চেয়ে কম হবে।’
স্থল আক্রমণের কারণে জিডিপি, রফতানি, রেমিট্যান্স, সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগপ্রবাহ এবং অভিবাসনের মতো খাতে বিধ্বংসী প্রভাব পড়েছে। রেমিট্যান্স লেবাননের জিডিপির প্রায় ৩০ শতাংশ এবং আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার উৎস। নগদ অর্থে আসা রেমিট্যান্স দরিদ্র জনগণের আয়েরও প্রধান উৎস। যুদ্ধের ফলে এর প্রবাহেও বিঘ্ন ঘটেছে। প্রধান অর্থনীতিবিদ মারওয়ান বারাকাত বলেন, ‘দেশের জিডিপি পাঁচ বছরে পাঁচ হাজার কোটি থেকে দুই হাজার কোটি ডলারে নেমে এসেছে।’ যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি হলে প্রবৃদ্ধি কমপক্ষে ২০ শতাংশ কমে যাবে।
লেবাননে পেজার হামলাকে সন্ত্রাসবাদ ও গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করা যায়। যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মার্কো লঙ্গোবার্দো বলেন যে, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন বেসামরিক জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো হামলা নিষিদ্ধ করেছে। হিজবুল্লাহর নতুন অর্ডার করা পেজার ও ওয়াকিটকির পাঁচ হাজার পেজারে বিস্ফোরক ঢুকিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এটি বুবি ট্র্যাপ ব্যবহার হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে, যা আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী এটা বেআইনি। হামলাকারীর এমন অস্ত্র ব্যবহার করা উচিত ছিল, যা বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে না।
পেজার আক্রমণে কয়েকটি মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং বিশেষজ্ঞরা এটি যুদ্ধাপরাধ বলে উপসংহারে পৌঁছেছেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক আয়া মাজজুব বলেন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী নির্বিচারে যেকোনো হামলাই বেআইনি। আমরা যে প্রমাণ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছি তা এটাই প্রমাণ করে যে, যারা এই হামলার পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেছে তারা যাচাই করতে পারেনি যে ডিভাইসগুলোর আশপাশে কারা ছিল এবং বিস্ফোরণে কার ক্ষতি হয়েছে, তাই এ হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে তদন্ত করা উচিত। অপ্রয়োজনীয় দুর্ভোগ এড়াতে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া উচিত। লেবানন রোম সংবিধি অনুমোদন করলে আইসিসি লেবাননের ভূখণ্ডে সঙ্ঘটিত যুদ্ধাপরাধ তদন্তের এখতিয়ার পাবে। জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভোলকার টুর্ক বলেছেন যে, এই হামলার জন্য দায়ীদের ‘জবাবদিহি করা হবে’। এই হামলাকে কোনো আইনি নিন্দার মুখোমুখি না করেই ইসরাইল যে যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তার দীর্ঘ তালিকায় যুক্ত করা যায়। যদিও কোনো পশ্চিমা দেশ ঘটনার যথাযথ নিন্দা করেনি। এতে লেবানিজরা নিজেদের অপাঙক্তেয় ও পরিত্যক্ত বোধ করছে, অনেকে ভয় পাচ্ছেন যে তারা গাজার মতো একই পরিণতি ভোগ করবে।
লেবাননের জটিল এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, বেশ কয়েকটি সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে যা লেবাননের সরকার এবং হিজবুল্লাহ উভয়ই সুরক্ষা এবং স্থিতিশীলতা বাড়ানোর জন্য বিবেচনা করতে পারে, যেমন : লেবাননের সশস্ত্রবাহিনী (এলএএফ) শক্তিশালীকরণ, এর ফলে পুরো অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ সুসংহত করার জন্য কর্মী নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি করতে হবে। এলএএফের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আর্থিক ও সামরিক উভয়ই আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের জন্য চেষ্টা করতে হবে। এর মধ্যে উন্নত প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম এবং গোয়েন্দা তথ্য ভাগ করে নেয়ার বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। অরাষ্ট্রীয় বিভিন্ন মিলিশিয়াকে নিরস্ত্র করা গেলে আন্তর্জাতিক সাহায্য সহায়তা ও মধ্যস্থতা দ্রুত আসতে পারে। অস্ত্র ও অন্যান্য নিষিদ্ধ দ্রব্যের চোরাচালান রোধে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা গুরুত্বপূর্ণ। ইসরাইল ও অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তির সাথে উত্তেজনা প্রশমনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় সম্পৃক্ত হওয়াও একটি বড় পদক্ষেপ; অভিযোগ মোকাবেলা করতে এবং চরমপন্থা প্রতিরোধে সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা এবং সংলাপকে উৎসাহিত করে কমিউনিটি এনগেজমেন্ট বাড়ানো অন্যতম কৌশল হতে পারে। এতে স্থানীয় নেতা, নাগরিক সমাজ সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের জড়িত করা যেতে পারে। এসব পদক্ষেপ কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হলে তা লেবাননকে স্থিতিশীল করতে পারে।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব ও গ্রন্থকার
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা