২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৩ রজব ১৪৪৬
`

আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইসলাম দমন

-

১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন হতে ভারত সাহায্য করে। সেটি নিঃস্বার্থভাবে কিংবা পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের ভালোবেসে করেনি। ভারত নিজের স্বার্থেই সমর্থন দিয়েছিল। এই সমর্থন দিতে ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের সাথে সাত দফা মৈত্রী চুক্তি সম্পাদন করে ভারত; যা ছিল এক কথায় গোলামি চুক্তি। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ৩ ডিসেম্বর, যখন মুক্তিবাহিনী প্রায় পুরো দেশই নিয়ন্ত্রণ করছিল তখন মাত্র ১৩ দিন ভারত বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধ করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।

স্বাধীন হওয়ার মাত্র দু’দিন আগে ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের এক হাজার ১১১ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়। মূলত স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশকে করদরাজ্যে পরিণত করার মানসে ভারতই এ কাজ করেছিল এমন ধারণা এরই মধ্যে সামনে আসছে।

স্বাধীনতাযুদ্ধে সমর্থন দেয়াকে পুঁজি করে শুরু থেকেই ভারতের বাংলাদেশবিরোধী আগ্রাসন শুরু হয়। পাকিস্তানি বাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্রশস্ত্র; যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের শিল্প স্থাপনা, কলকারখানা, পুল, ব্রিজ ইত্যাদি ভারতীয় বাহিনী লুটপাট করে নিয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় জেগে ওঠা দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ ভারত একতরফাভাবে দখল করে নেয়। ১৯৭৪ সালের ‘ইন্দিরা-মুজিব সীমান্ত চুক্তি’র মাধ্যমে বাংলাদেশের ছিটমহল বেরুবাড়ির দখল নিয়ে নেয়। আন্তর্জাতিক সব নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি প্রত্যাহার করে বাংলাদেশকে ধ্বংস করছে ভারত। উজানে বাঁধ দিয়ে বর্ষা মৌসুমে পানি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশকে ডুবিয়ে মারছে এবং শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রত্যাহার করে শুকিয়ে মারছে।

বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলি করে অসংখ্য বিডিআর ও বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে, এখনো করছে। প্রায়ই বাংলাদেশীদের বাড়িঘরে চুরি-ডাকাতি নারী ধর্ষণ ও নানা ধরনের অপকর্ম সংঘটিত হয়। বাংলাদেশের বেরুবাড়ি দখলের পর ভারত আরো ৩৬ হাজার একরেরও বেশি জমি দখল করে নিয়েছে। অদ্যাবধি ভারতের ভূমিগ্রাসী লোলুপতা একটুও কমেনি; বরং পুরো দেশটিকেই তাদের ভূমিতে পরিণত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় ধর্মীয় স্বাধীনতায় আঘাত

মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকার দুর্বল হওয়ায় তারা ভারতের কথামতোই বাংলাদেশের সংবিধানে ভারতীয় সংবিধানের মূলনীতি ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র সন্নিবেশিত করার পেছনেও ছিল ভারতের প্রত্যক্ষ ইশারা। এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠী এই দু’টি নীতি তাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং সামাজিক কাঠামোবিনাশী বলে মনে করে। মূলত স্বাধীন হওয়ার শর্ত হিসেবেই ধর্মনিরপেক্ষতা চাপিয়ে দেয়া হয়, যা ছিল এদেশে ইসলাম নিধনের সূত্রপাত। ইসলাম নিধন তথা ধর্মীয় চেতনাসমৃদ্ধ দেশপ্রেমিক মুসলমানদের দমন করতে না পারলে বাংলাদেশকে তারা করদরাজ্যে পরিণত করতে পারবে না। ইসলাম নিধনের লক্ষ্য বাস্তবায়নে ভারত আওয়ামী লীগকে বেছে নেয়।

ভারতের সমর্থনে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী সরকারের আমলে ধর্মীয় কার্যক্রমে নানামুখী বাধা-বিঘ্ন সৃষ্টি করা ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয় আলেম ওলামা, ইমাম-খতিব ও ধর্মপ্রাণ মানুষ। সরকারের অনুমতি ছাড়া সারা দেশে ধর্মীয় সভা-সমাবেশ ওয়াজ-মাহফিল এমনকি ঘরোয়া পরিবেশেও ধর্মীয় বিষয়ে বৈঠক করার সুযোগ ছিল না; অনুষ্ঠানের অনুমতিও মিলত না সহজে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালাতে গিয়ে হামলা-মামলাসহ নানা হয়রানির শিকার হতেন সংশ্লিষ্টরা। রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের মতে, মূলত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতসহ আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন পেতে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের নাটক সাজাত। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশকে অ-সাম্প্রদায়িক বানানোর চেষ্টা করত।

উল্লেখ্য, ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছিল আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্ব। শেখ হাসিনাও জঙ্গি নাটক সাজিয়ে পশ্চিমাদের বোঝানোর চেষ্টা করে যে, সে ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ জঙ্গি রাষ্ট্র হবে; মৌলবাদের উত্থান হবে।

ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি আওড়ানো আওয়ামী সরকারের ধর্মনিরপেক্ষ-তার সংজ্ঞায় সব ধর্মের মানুষ তাদের ধর্ম নিরাপত্তার সঙ্গে পালন করতে পারত। ব্যতিক্রম ছিল শুধু ইসলামী দল ও মুসলমানদের ক্ষেত্রে। জুমার নামাজের সময় খতিবের মাইক কেড়ে নেয়া, ওয়াজ ও তাফসির মাহফিলে স্কলারদের ওপর আঘাত করা, মাইক কেড়ে নিয়ে বক্তাকে টেনে-হিঁচড়ে স্টেজ থেকে নামিয়ে দেয়ার মতো ঘটনা ছিল ফ্যাসিস্ট সরকারের ক্যাডারদের জন্য নিত্যনৈমিত্তিক। দলীয় ক্যাডার ছাড়াও এমন অনেক কাজ পুলিশ, র‌্যাব দিয়ে ঘটিয়েছে ফ্যাসিস্ট সরকার। সব সময় আলেম-ওলামা ও ইসলামপন্থীদের জঙ্গি বানানোর তৎপরতায় ব্যস্ত থাকত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁদ পেতে তরুণদের জঙ্গি নাটকে জড়াত তারা। অনেক আলেম ওলামাকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে তোলা হতো। রিমান্ডের নামে অমানুষিক নির্যাতন করা হতো। কার্যত ফ্যাসিস্ট সরকার মুসলমানদের ওপর একটা ভীতিকর অবস্থা তৈরি করেছিল। পর্দানশিন মহিলা, মাদরাসার ছাত্রদের জঙ্গিবাদের মদদদাতা বলে প্রচার করে সমাজে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করত। অন্য কোনো ধর্মের অনুষ্ঠানে বাধা তো দিতই না; বরং তাদেরকে অনেক বেশি নিরাপত্তা এবং সুযোগ সুবিধা দিত।

উদার গণতন্ত্রের শান্তিপূর্ণ মানুষের দেশে অত্যন্ত উদার ধার্মিক মুসলমানের সংখ্যা অনেক বেশি হলেও অন্যান্য ধর্মের প্রতিও তারা উদার। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকার ধর্মকে ব্যবহার করে ধর্ম পালনে নানা রকমের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক ধুয়া তুলে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যের সম্প্রীতি বিনষ্ট করে।

শেখ হাসিনার শাসনামলজুড়ে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক থেকে ধীরে ধীরে ইসলামের নাম মুছে দিয়ে সেখানে হিন্দু ধর্মের তত্ত্ব ও তথ্য প্রতিস্থাপন করছিল। সেক্যুলার সুশীলতার আবরণে কিছু এনজিও এ দেশে সাম্রাজ্যবাদী অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করেছে। পশ্চিমা প্রভাব ও আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে তারা সাম্রাজ্যবাদীদের ফান্ড পেয়ে থাকে। সে কারণে তারা বিভিন্ন বিতর্কিত পশ্চিমা মূল্যবোধ ঢুকিয়ে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক দূষিত করতে তৎপর। কিন্তু এক্ষেত্রে ইসলামী জনমতকে তাদের জন্য বড় বাধা বলে মনে করত।

আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা

আধিপত্যবাদী ভারত উপমহাদেশের অন্যান্য স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। অখণ্ড ভারত মাতায় বিশ্বাসী ভারতীয় নেতৃত্ব ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগ কখনোই মেনে নেয়নি। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওয়াহেরলাল নেহরু তার গ্রন্থে ‘অখণ্ড ভারত’ এর রূপরেখা প্রণয়ন করেন। বইয়ের মূল কথা হচ্ছে, ‘উপমহাদেশে ভারতই হবে মূল শক্তি, চালক বা নীতিনির্ধারক। ইংরেজরা চলে যাওয়ার পর ভারত শক্তি প্রয়োগ করে স্বাধীন দেশীয় রাজ্য হায়দরাবাদসহ ছোট কিছু দেশ দখল করে নিয়েছে। কাশ্মিরে ভারতীয় দখলদারিত্ব এখনো অব্যাহত। সিকিমকে বিশ্বাসঘাতক নেতৃত্বের সহযোগিতায় গ্রাস করে নিয়েছে। নেপাল ও ভুটানের স্বাধীন অস্তিত্বকে অজগরের মতো গ্রাস করতে চেষ্টা করেছিল। মালদ্বীপের ওপর আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করেছিল। তামিল বিদ্রোহীদের ইন্ধন জুুগিয়ে শ্রীলঙ্কাকে অশান্ত জনপদে পরিণত করেছিল। আজ সব রাষ্ট্র ভারতের থাবামুক্ত। সর্বশেষে ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে বাংলাদেশও ভারতের আধিপত্যবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিতাড়িত করার মধ্য দিয়ে।

বাংলাদেশকে নানান কৌশলে পদানত করতে ভারতের অপতৎপরতা চলছে বহুদিন ধরে। এরই অংশ হিসেবে ভারত ট্রানজিটের জন্য বাংলাদেশের ওপর চাপ শুরু করে নব্বইয়ের দশক থেকে। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী সরকার নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে ভারতকে সড়ক এবং নৌ-ট্রানজিট দেয় বিনা স্বার্থেই। ভারতকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে তার সেনাবাহিনী ও অস্ত্রশস্ত্র আনানেয়া করতে দেয়া হলে বাংলাদেশ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর স্বাধীনতাকামী গেরিলা সংগঠনগুলোর রোষানলে পড়বে। ভারত চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করার সুযোগও পেয়েছে। এই বন্দর দু’টি দিয়ে বাণিজ্যিক পণ্যের পাশাপাশি অস্ত্রশস্ত্র আনানেয়া করতে পারবে। ফলে ভারতের শত্রু ও প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করবে। বাংলাদেশের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যাবে এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে।

ভারত বাংলাদেশের শিক্ষা-সাহিত্য-সংস্কৃতির মেরুদণ্ড প্রায় ভেঙেই দিয়েছে। সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কারণে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর অধিকাংশই অর্থের লোভে লালায়িত হয়ে আত্মবিক্রয় করে বিদেশের দালাল শ্রেণীতে রূপান্তরিত হয়েছে। আগ্রাসী শক্তির স্বার্থে তারা নিজেদের মেধা ও কার্যকলাপ পরিচালনা করছে। এ দেশের সংখ্যাগুরু মুসলিম জনগোষ্ঠীকে তারা ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীতে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছে। একাত্তরের পর তাদের সব প্রচার মিডিয়াকে বাংলাদেশের মুসলমানদের মগজ ধোলাইয়ের কাজে ব্যবহার করে এ দেশের জন্ম ইতিহাস সম্পর্কে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। ভারতীয় স্যাটেলাইটের ৬৭টি চ্যানেল দিয়ে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী প্রচার করা হচ্ছে যৌন অবেদনময় চলচ্চিত্র, নাটক, নাচ ও গান। বাংলাদেশের প্রচারমাধ্যমও তাতে প্রভাবিত। এসবের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুসলিম সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা, আদর্শিক চেতনা, ক্রমাগত ধ্বংস করে দিচ্ছে ভারত। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ তরুণদের জীবনীশক্তি ধ্বংসে তাদের মধ্যে সুপরিকল্পিতভাবে ব্যাপক হারে মাদক ছড়িয়ে দিয়েছে ভারত।

বাংলাদেশের ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য ভারত বাংলাদেশের ও বিদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিপুল অর্থায়ন এবং বিনিয়োগ করে চলেছে। ভারতের বিখ্যাত ‘দ্য রিলায়ান্স গ্রুপে’-এর অর্থায়নে বাংলাদেশে একটি সংবাদপত্রের মাধ্যমে ভারত প্রকাশ্যে ইসলাম, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী, দেশপ্রেমিক ব্যক্তি, দল, সংস্থা ও সংগঠনের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী শক্তির বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে ভারত এ দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় বোমা হামলা ও হত্যাকাণ্ডের পেছনে সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করে চলেছে।

মুসলমানদের হৃদয়ে যে ঈমানের আগুন রয়েছে তা মুছে দেয়ার চেষ্টা শুধু ভারত করছে এমন নয়। যুগে যুগে ইহুদি-খ্রিষ্টানরা পরিকল্পিতভাবে চেষ্টা করেও সফল হয়নি। বাংলাদেশের মুসলমানদের জীবন থাকতে এই দেশ ভারত দখল করতে পারবে না।
সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আরো একবার ভারতের আশা সমূলে বিনাশ হলো। ফ্যাসিস্টদের পতনের মধ্যে দিয়ে দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা আবার ফিরে এসেছে। মুসলমানরা এখন নির্বিঘ্নে তাদের ধর্মীয় কর্মকাণ্ড চালাতে পারছেন। এখন এই স্বাধীনতা ধরে রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সব নাগরিককে যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।

আশার কথা, দেশে যে চেতনার উন্মেষ হয়েছে, আগামীতে যে রাজনৈতিক শক্তি ক্ষমতায় আসুক না কেন এই চেতনার বাইরে যাওয়া তাদের জন্য সহজ হবে না।

লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট
ই-মেল : [email protected]


আরো সংবাদ



premium cement