২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮ মাঘ ১৪৩১, ২১ রজব ১৪৪৬
`

গাজায় ইসরাইলের ব্যর্থতার পর

-

সম্ভবত ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর থেকে আঞ্চলিক ধাঁধাটি এত দ্রুত এবং সম্পূর্ণরূপে রূপান্তরিত হয়নি। ওই যুদ্ধের ছয় দিনে ইসরাইল পূর্ব জেরুসালেম, পশ্চিমতীর, গাজা, সিরিয়ার গোলান হাইটস এবং মিসরের সিনাই উপদ্বীপ জয় করে আরবের স্বপ্নগুলো ভেঙে চুরমার করে দেয়, আমেরিকার ভূমিকা প্রসারিত করে এবং ইহুদি রাষ্ট্রকে একটি দখলকারী শক্তিতে পরিণত করে। একই সাথে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে একধরনের স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে পরিণত করা হয়।

এর বিপরীতে গাজা সঙ্কট আগের যেকোনো আরব-ইসরাইল সংঘর্ষের চেয়ে অনেক বেশি দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। জীবনহানির দিক থেকে এর শিকারও অনেক বেশি হয়েছে। ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানসেটে এই মাসে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার গাজাবাসীকে হত্যা করা হয়েছে। সংখ্যাটি ভয়াবহ যা মোট ইসরাইলি, সামরিক ও বেসামরিক নিহতের সংখ্যার চেয়ে বহুগুণ বেশি। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরাইল যেসব যুদ্ধ ও সন্ত্রাসী হামলার সম্মুখীন হয়েছে তার মধ্যে ৭ অক্টোবর এক দিনে এক হাজার ২০০ জন ইসরাইলির প্রাণ হারানোর ঘটনা ইহুদি রাষ্ট্রের জন্য একটি নজিরবিহীন ধাক্কা।

অনেকে বিশ্বাস করেন, ইসরাইল গাজায় একটি অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছে এবং ফিলিস্তিনিরা অন্তত কৌশলগতভাবে হেরে না গিয়ে জিতেছে। কেউ কেউ নিশ্চিত যে, ইসরাইলের অপরাধপ্রবণতা ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার দিকে বিশ্বের চোখ খুলে দিয়েছে। তবে, অন্যরা শোকাচ্ছন্ন এবং তারা তাদের চার পাশে যা দেখতে পাচ্ছে তা হলো শুধুই এতিম শিশুর দল এবং ছিন্নভিন্ন জীবন।

অবসরপ্রাপ্ত ইসরাইলি জেনারেল জিওরা আইল্যান্ড মারিভ পত্রিকাকে বলেছেন, ‘এই যুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের একটি ধ্বংসাত্মক ব্যর্থতা ছিল। এই যুদ্ধ খুব সাধারণ কারণে একটি ব্যর্থতা ছিল এ কারণে যে, হামাস কেবল ইসরাইলকে তার লক্ষ্য অর্জনে বাধা দিতেই সফল হয়নি, বরং ক্ষমতায়ও রয়েছে।’

তবে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা বর্ণনা করার মতো নয়। এর মধ্যেও তারা স্বপ্ন দেখছে। যা কিছু আছে তা নিয়েই নিজের বাড়িতে ছুটে চলেছে, হেঁটে, লরিতে, যা পাচ্ছে তাতে করে।

ধ্বংসের ওপর দাঁড়িয়ে স্বপ্ন
১৯ জানুয়ারি রোববার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরে, নুর গাজা শহরে তার আংশিক ধ্বংস হওয়া বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য তার তাঁবু গোছাতে শুরু করবে। ‘সব যন্ত্রণা এবং ধ্বংস সত্ত্বে, আমরা এখনো দাঁড়িয়ে আছি’, তিনি বলেছিলেন।

তিনি আশাবাদী থাকেন, নিশ্চিত হন যে সবকিছু হারিয়ে যায় না। তার দৃষ্টিতে, ইসরাইল তার যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে, বিশেষ করে গাজাবাসীকে এলাকা ছেড়ে মিসরে চলে যেতে বাধ্য করার লক্ষ্য।

৭ অক্টোবর, ২০২৩-এ বোমা হামলা শুরু হলে, ইসরাইল গাজাবাসীকে দক্ষিণে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এই আদেশে সন্দেহও দেখা দেয় যে, ইসরাইল গাজার জনসংখ্যাকে উপত্যকা থেকে জোর করে বের করে দিতে চেয়েছিল। ৭৬ বছর আগে নাকবার বিপর্যয়ের সময় তাদের পূর্বপুরুষের সাথে যা করা হয়েছিল তাই করতে চাইছে। ইসরাইলি সরকার প্রাথমিকভাবে এটি অস্বীকার করেছিল, অনেকটা যেমন বেন-গুরিয়ন প্ল্যান ডালেট (ডি) এর অস্তিত্ব অস্বীকার করেছিলেন, যে প্ল্যান অনুযায়ী ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনের জাতিগত নির্মূলের আয়োজন করা হয়। অস্বীকার করলেও সেটি বাস্তবে ঘটেছিল।

যখন সমগ্র জনসংখ্যাকে গাজা থেকে বহিষ্কার করার চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং মিসর তার সীমানা সিল করে দেয়, তখন তেল আবিব জাবালিয়া থেকে শুরু করে উত্তর গাজাকে আংশিকভাবে পরিষ্কার করার কৌশলে চলে যায়। তথাকথিত জেনারেলদের পরিকল্পনার সাফল্য অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এবং জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করে উত্তর গাজাকে সংযুক্ত করা এবং বসতি পুনর্গঠন সক্ষম করার কাজ শুরু করে।

কিন্তু ধ্বংসের বিস্ময়কর স্তর সত্ত্বেও, প্রতিরোধ অব্যাহত ছিল এবং বেশির ভাগ বেসামরিক লোক ইসরাইলি সেনাবাহিনীর আদেশ অনুসারে দক্ষিণে যাওয়ার পরিবর্তে তাদের বাড়িতে আটকে ছিল। যারা ধরা পড়েছিল তাদের আশপাশের এলাকা থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল বা ট্যাংকের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছিল।

একজন শোকাহত পিতা এবং জাবালিয়ার একজন সাবেক শিক্ষক মুরাদ এখন দেইর আল-বালাহ শহরে একটি তাঁবুতে বসবাস করছেন। তিনি বলেন যে, ‘যুদ্ধের সমাপ্তি ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধের আরো প্রমাণ সংগ্রহের জন্য জায়গা ছেড়ে দেবে।’

তিনি মনে করিয়ে দেন যে, ‘একসময়, ইহুদিদের ভেড়ার মতো তাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল, অসহায় অবস্থায় এবং নাৎসি গ্যাস চেম্বারে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল, তখন অনেকেই ভাবেননি যে দুই দশকেরও কম সময় পরে মোসাদ বিশ্বজুড়ে নাৎসি যুদ্ধাপরাধীদের শিকার করবে। ইতিহাস কখনোই একরৈখিক হয় না এবং আমাদের পালা আসবে। ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধীরা আর অস্পৃশ্য নয় এবং আমরা তাদের অনুসরণ করছি।’

বেশির ভাগ গাজাবাসীর মতো মুরাদও সামনের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি উদ্বিগ্ন যে একবার ধ্বংসস্তূপ সরানো হলে, অনেক ভয়াবহতা দেখা দেবে। হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ, গাজা উপত্যকাজুড়ে মিলিয়ন টনের বেশি ধ্বংসস্তূপের নিচে তারা চাপা পড়ে আছে বলে মনে করা হচ্ছে।

গাজাবাসীও তাদের বিশ্বাসে দৃঢ় যে, ইসরাইলের চুক্তি লঙ্ঘনের ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে, নেতানিয়াহু তিন-পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়টি পূরণ করতে পারে; কিন্তু পরে আবার যুদ্ধ শুরু করতে পারে। তার রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকা চিরস্থায়ী যুদ্ধের ওপর নির্ভরশীল। অবশ্যই ইসরাইলের সমাজের অংশগুলো এই চুক্তিটিকে হামাসের কাছে আত্মসমর্পণ হিসেবে দেখে।

এমনকি যদি ইসরাইল প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়গুলো পূরণ করে এবং সব ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তি দেয়া হয় এবং যুদ্ধ শেষ ঘোষণা করা হয়, তবুও ইসরাইলের কাছে ফিলিস্তিনিদের চাপ দেয়ার জন্য পুনর্গঠনের কার্ড রয়ে গেছে যেটি তিন পর্বে শুরু হবে। গাজার ৭০% আবাসন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়, গুরুতর আন্তর্জাতিক তহবিলসহ পুনর্গঠন দীর্ঘমেয়াদে গাজার বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা দেবে। তবে এটি ইসরাইলের জন্য একটি খোলা সুযোগ হতে পারে, যাতে সামরিক চাপ ব্যর্থ হওয়ার পরে ফিলিস্তিনিদের নরমভাবে বহিষ্কার করা যায়।

নেতানিয়াহুর লক্ষ্য অনর্জিত
সার্বিক মূল্যায়নে যুদ্ধবিরতি নেতানিয়াহুর হামাসকে নির্মূল করা, হামাসের শাসনের অবসান ঘটানো এবং সব বন্দীকে পুনরুদ্ধার করার মতো যুদ্ধের ঘোষিত উদ্দেশ্যগুলোর ব্যর্থতা তুলে ধরে। জুলাই ২০২৪ সালে মার্কিন কংগ্রেসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়েছিলেন, ‘হামাস যদি আত্মসমর্পণ করে, নিজেদের নিরস্ত্র করে এবং সব জিম্মিকে ফিরিয়ে দেয় তাহলে আগামীকাল গাজার যুদ্ধ শেষ হতে পারে।’

নেতানিয়াহু ‘সম্পূর্ণ বিজয়’ ধারণাটি প্রচার করেছিলেন। ২০২৪ সালের মে মাসে, নেতানিয়াহু যুদ্ধের পরে হামাসের জায়গায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ধারণা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। একইভাবে, নেতানিয়াহু গাজার কিছু অংশে অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকার তার অভিপ্রায়ও গোপন করেননি। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ এবং উত্তর গাজাকে আলাদা করা নেটজারিম করিডোর। এতে তার উদ্দেশ্য ছিল ফিলিস্তিনিদের উত্তরে ফিরে আসা বন্ধ করা। অন্যটি হলো মিসর-গাজা সীমান্তের ফিলাডেলফিয়া করিডোর, যার ওপর নিয়ন্ত্রণ ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়। এর কোনোটিই অর্জিত হয়নি।
ইসরাইল হামাসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে, কিন্তু ইসরাইলের তীব্র সামরিক চাপ সত্তে¡ও এটি পরাজয় থেকে অনেক দূরে। আন্দোলনটি তার কৌশল পরিবর্তন করে সেনাবাহিনীর ওপর ছোট কিন্তু সুনির্দিষ্ট আক্রমণে ইসরাইলকে বিপর্যস্ত করেছে। উত্তর গাজা- বিশেষ করে জাবালিয়া ও বেইত হানুন-এ যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে, ১৬ ইসরাইলি সৈন্য নিহত হয়েছিল। বিগত সপ্তাহগুলোতে আক্রমণের ফ্রিকোয়েন্সি আপাতদৃষ্টিতে যুদ্ধের শুরুর মতোই তীব্র।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন স্বীকার করেছেন যে, হামাস যত যোদ্ধা হারিয়েছে তত বেশি যোদ্ধা নিয়োগ করেছে। তার কাছে এটি ‘একটি স্থায়ী বিদ্রোহ এবং চিরস্থায়ী যুদ্ধের রেসিপি।’

এর অর্থ হলো ইসরাইল তার সব সামরিক বিকল্প শেষ করে দিয়েছে। আর গাজাকে শোকাহত ও এতিমদের একটি সমাজে পরিণত করে, এটি আরো বিদ্রোহের সূত্রপাত করেছে। যেহেতু হামাস ছিল এবং এখনো সক্রিয় আছে, তাই ইসরাইলের বন্দীদের পুনরুদ্ধার একটি ব্যর্থতা ছিল। সামরিক চাপ সৃষ্টি করতে না পেরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকের পাশাপাশি ইসরাইলি বন্দীকেও হত্যা করে।

উপরন্তু, ইসরাইল মূল্যায়ন করেছে যে, নেটজারিমে স্থায়ী উপস্থিতি রাখা ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতিকে স্থায়ী করবে, যখন বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী যুদ্ধবিরতির শর্তানুযায়ী উত্তর গাজায় তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে শুরু করে, তখনই প্রথমবারের মতো ইসরাইলের দ্বারা ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি হামাসকে শুরুতে যা চেয়েছিল তাই দিয়েছে : বন্দীদের বিনিময়, গাজা থেকে ইসরাইলি প্রত্যাহার এবং উত্তর গাজায় বাস্তুচ্যুতদের তাদের বাড়িতে ফিরে আসা। আরো গুরুত্বপূর্ণ, হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চুক্তিটি আরো প্রমাণ হিসেবে এসেছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি গাজা হত্যা বন্ধ করতে চায় তবে এটি প্রথম দিনেই করত। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফের মাধ্যমে নেতানিয়াহুকে যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে চাপ দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে, বাইডেন প্রশাসন যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে কেবল মৌখিক পরিষেবা প্রদান করেছিল; কিন্তু নেতানিয়াহুকে প্রভাবিত করতে খুব কমই ভূমিকা রাখে। পরিবর্তে, এটি ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সাল থেকে ইসরাইলকে ৬০০টিরও বেশি বিমান, সমুদ্রের অস্ত্রের চালান এবং প্রতিদিন গড়ে ১৫০ টন সরঞ্জাম পাঠায়, যা ইউরোপের কিছু দেশের বার্ষিক সামরিক বাজেটের চেয়েও বেশি। ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত, তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক দিন আগে, বাইডেন ইসরাইলে আট বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রের চালান স্বাক্ষর করেছিলেন।
ফিলিস্তিনিরা এই সত্যে সান্ত্বনা পায় যে, অকল্পনীয় ক্ষতি সত্ত্বেও, ইসরাইলের লাগামহীন বর্বরতা ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমতকে একত্রিত করেছে। এই হত্যাকাণ্ডটি নেতানিয়াহু এবং তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টসহ ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য একটি আন্তর্জাতিক আন্দোলন শুরু করে।

গাজার গর্বিত বীর
ইতিহাস লিপিবদ্ধ করবে যা আমরা ইতোমধ্যে প্রত্যক্ষ করেছি, গাজাবাসীর কিংবদন্তি প্রতিরোধ, বীরত্ব ও ধৈর্য। তাদের মায়েরা যারা তাদের সন্তানদের হারিয়েছিলেন তারা আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেন এবং তার সাহায্য চেয়েছিলেন আর অন্য দিকে, ইসরাইল সব অকল্পনীয় অপরাধ ও গণহত্যা করেছে।

আগামীকাল, উভয় জাতি পৃথিবীতে হাঁটবে। মানবতা গাজাবাসীর বীরত্ব, যুদ্ধের আইন মেনে চলা, নৈতিক সততা এবং তাদের ভ‚মি রক্ষায় চূড়ান্ত আত্মত্যাগের জন্য স্মরণ করবে। গাজাবাসী তাদের চুক্তির প্রতি অনুগত ছিল এবং আল-আকসা মসজিদের পতাকাবাহী হয়ে ওঠে।

গণহত্যাকারী জায়নবাদীরা তাদের নৃশংসতা ভুলবে না। তারা গণহত্যার কথা ভুলবে না, ভুলবে না কিভাবে তারা শিশুদের হত্যা করেছে এবং শিশুদের গলা কেটেছে। বিশ্বব্যাপী ইহুদিরা, ইসরাইলি সৈন্য ও শাসকরা তাদের পুরো ভবিষ্যৎ জীবনে আঘাত পাবে। তারা যেখানেই যাবে, এই লজ্জা তাদের ভ‚তের মতো অনুসরণ করবে।
বসনিয়া-হার্জেগোভিনা যুদ্ধ শেষ হলে, আলিয়া ইজেতবেগোভিচের সহযোদ্ধাদের একজন এক বিবৃতি দিয়েছিলেন : ‘বসনিয়া যুদ্ধ শেষ। বসনিয়ানরা প্রায় চার লাখ জীবন হারিয়েছিল; কিন্তু আজ, তারা বিশ্বের চোখে সম্মানিত মানুষ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। অন্য দিকে, সার্বদের গণহত্যা এবং গণহত্যার অপরাধী হিসেবে স্মরণ করা হয়- যারা তাদের প্রতিবেশীদের আক্রমণ করেছিল, যারা ৪০ বছর ধরে একই বিল্ডিংয়ে পাশাপাশি বসবাস করেছিল, এমনকি তারা সেই প্রতিবেশীদের সন্তানদেরও হত্যা করেছিল। তারা এখন গভীর ট্রমায় বাস করে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই নিজেরা আত্মহত্যা করেছে।’

ফিলিস্তিনিরা পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত এবং নৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। অন্য দিকে, ইহুদিবাদীরা তাদের রাষ্ট্র ও সেনাবাহিনীর সাথে গণহত্যাকারী এবং সবচেয়ে অনৈতিক লোকদের মধ্যে গণ্য হতে থাকবে।
[email protected]


আরো সংবাদ



premium cement
ইউক্রেন চুক্তি না হলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে : ট্রাম্প জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন সারজিস ডার্কওয়েব সিল্ক রোডের উদ্ভাবক রস উলব্রিক্টকে ক্ষমা ট্রাম্পের বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, নিরাপদে অবতরণ লন্ডন ক্লিনিকে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিসে’ চলবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ট্রাম্পের শুল্কারোপের জবাব দেবে কানাডা ৫ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়ায়-আরিচায় নৌযান চালাচল শুরু ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম জয় মঠবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু সিলেট মহানগর বিএনপি সভাপতি ও সম্পাদককে শোকজ চ্যাম্পিয়নস লিগে অবিশ্বাস্য রাত, মহানাটকীয় ম্যাচে বার্সার জয়

সকল