বিপ্লবোত্তর কূটনীতি : সার্বভৌমত্বের স্বাদ
- ড. এ কে এম মাকসুদুল হক
- ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:২২
এক এগার সরকারের শেষভাগ অর্থাৎ ২০০৮ সাল থেকেই বাংলাদেশের কূটনীতি ভারতের কব্জাবন্দী হয়ে পড়েছিল। ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত জেনারেল মইন ইউ আহমেদের অঘোষিত সামরিক সরকার ২০০৭ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে। জেনারেল মইন ‘মাইনাস টু’ ফরমুলা ব্যর্থ হচ্ছে বুঝতে পেরে ভারতের সহযোগিতায় ‘নিরাপদ প্রস্থানের’ পথ খুঁজতে থাকে। ভারত সুযোগ লুফে নেয়। তারা মইনকে ভারতে ডেকে নিয়ে ছয়টি ঘোড়া উপহার দেয়। সেই সাথে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার বিনিময়ে তার চাকরি ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়। সেই দিন থেকেই বাংলাদেশের কূটনীতি ভারতনির্ভর হয়ে পড়েছিল। ভারতের সহযোগিতায় এবং জেনারেল মইনের কারসাজিতে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসে। নির্বাচন দৃষ্টিগ্রাহ্যভাবে সুষ্ঠু হলেও নীরব কারচুপির মাধ্যমে ‘বিএনপি-জামায়াত’ তথা ভারত বিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় না আসার সব ব্যবস্থাই পাকাপোক্ত করা হয়েছিল। এর মাধ্যমেই পরবর্তী দীর্ঘ ১৫ বছরের জন্য বাংলাদেশের কূটনীতি এবং ভারতের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রাহুগ্রাসের কবলে পড়েছিল।
পরবর্তীতে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের তিন তিনটি নির্বাচনেই ভারত সরাসরি হস্তক্ষেপ করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখে। বিনিময়ে আওয়ামী লীগ এবং পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব উজাড় করে ভারতকে দিতে থাকেন। দেশের এবং দেশের মানুষের সব ধরনের স্বার্থ নিঃশেষ করে তারা ভারতের সব চাহিদাই পূরণ করে দেয়। আর এই অসম অবৈধ সম্পর্ককে আওয়ামী নেতা-নেত্রীরা ‘রক্তের রাখি’ বন্ধনের সম্পর্ক বলে দেশবাসীকে বুঝ দিতে থাকে। এ দিকে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে হাসিনা দানব হয়ে ওঠেন। তার কথাই দেশের আইন এবং সংবিধান হয়ে ওঠে। এমন বাস্তবতায় গত ৫ আগস্ট অনন্য এক ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে হাসিনা সরকারের অপমানকর পতন ঘটে এবং হাসিনা পালিয়ে তার ও তার দলের বন্ধুদেশ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে। হাসিনার এই অপমানজনক পতনকে ভারত বাংলাদেশে নিজেদের পতন ও পরাজয় হিসেবেই গণ্য করে। তারা কোনোভাবেই বাংলাদেশের এই জনরায়কে মেনে নিতে পারেনি। এই পতনের মাধ্যমে যেন ভারত নিজেদের বাগে আসা সোনার হরিণ হারিয়ে ফেলে। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের সব ধরনের সামরিক-অসামরিক উপাদানের অবাধ চলাচলের জন্য সবেমাত্র উন্মুক্ত হওয়া রেল ট্রানজিট বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের মংলা বন্দর তাদের হাত থেকে ফসকে যায়। বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্প হাত ছাড়া হয়ে যায়। অর্থাৎ বাংলাদেশ ভারতের ভার্চুয়াল করদরাজ্য হওয়ার সব আয়োজন নস্যাৎ হয়ে যায়। কাজেই ৫ আগস্টের বিপ্লব ভারতের ‘পাকা ধানে মই’ দিয়ে দেয়। সুতরাং ভারতের হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী ‘গুজরাটের কসাই’ খ্যাত নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিপুল বিক্রমে কূটনৈতিক যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হিন্দু নির্যাতনের কল্পকাহিনী দিয়ে নালিশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পূর্বে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য প্রদানে প্রভাবিত করেন। একই সাথে ভারতের জাতীয়, স্থানীয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী মিথ্যা কল্প-কাহিনী দিয়ে গুজব রটনা করতে থাকে। কিন্তু বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট চেকার সংস্থা ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণার অধিকাংশকেই মিথ্যা প্রমাণিত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এসব করেই ভারত ক্ষান্ত হয়নি। মোদি নিজে এবং অন্যান্য ‘বিজেপি’ নেতারা সরাসরি বাংলাদেশকে হুমকি দিতে থাকেন। ‘বিজেপি’র নেতৃত্বে কলকাতা এবং আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে আক্রমণ চালানো হয়। অন্য দিকে ভারতের উসকানিতে বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠী রাজপথে নামে। ‘ইসকন’ চট্টগ্রামে ব্যাপক সন্ত্রাস সৃষ্টি করে এবং একজন মুসলমান আইনজীবীকে প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে আদালত প্রাঙ্গণে।
এমতাবস্থায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পতিত আওয়ামী সরকারের সৃষ্টি করা কূটনৈতিক খোলস থেকে দ্রুতই বেরিয়ে আসতে থাকে। অভ্যুত্থানের পরপরই ভারতের ইচ্ছাকৃত অসহযোগিতার জন্য আমাদের ফেনী ও নোয়াখালী অঞ্চলে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ভারত আমাদেরকে না জানিয়েই তাদের বাঁধ খুলে দিলে বন্যার পানি উজান থেকে ধেয়ে আসে। প্রতিক্রিয়ায় আমাদের একজন তরুণ উপদেষ্টা সরাসরি ভারতকে এই ক্ষয়ক্ষতির জন্য সমালোচনা করেন। এ সময় আমাদের সীমান্তে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী নাগরিককে ‘বিএসএফ’ হত্যা করে। একজন অভিজ্ঞ সামরিক ব্যক্তিত্ব ও উপদেষ্টা এর সমালোচনা করেন এবং প্রতিরোধের কথা বলেন। এগুলো ছিল অতীতের একমাত্র ভারতমুখী কূটনীতি থেকে বের হয়ে আসার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত। এরপর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কূটনীতি বিভিন্নমুখী হতে থাকে। চীন-পাকিস্তানসহ পশ্চিমা বিশ্বের সাথে স্বাধীনভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠতে থাকে। এতে ভারত আরো পাগল হয়ে যায়। মোদি এক প্রকার কূটনৈতিক অপরিপক্বতার পরিচয় দেন। কূটনীতির পরিবর্তে বড়ত্ব এবং শক্তির প্রভাব খাটাতে চেষ্টা করতে থাকেন। বাংলাদেশের কূটনীতি তাদের আশীর্বাদ ছাড়া স্বাধীনভাবে চলবে এটা তারা কল্পনাও করতে পারেনি! আওয়ামী সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা যেখানে ভারতকে স্বামী হিসেবে মেনে নিয়েছিল সেখানে বর্তমান সরকারের আচরণ তাদের কাছে ঔদ্ধত্যপূর্ণ মনে হতে থাকে। চীনের সাথে কথা বলার আগে যেখানে হাসিনা ভারতের অনুমোদন নিয়ে নিতো সেখানে চীন-পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার! কিভাবে ভারত এটা মানবে? যেখানে হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য ভারতকে সব কিছুই করার অনুরোধ করেছিলেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন, সেখানে এখন ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করা হচ্ছে! এসবই ছিল মোদি সরকারের কল্পনারও বাইরে।
একটি দেশের কূটনীতি হয় সে দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য। কিন্তু আমাদের কূটনীতি হয়ে পড়েছিল ভারতের স্বার্থ রক্ষার জন্য। চীন, পাকিস্তান, রাশিয়া এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্কের পারদ ওঠানামা করেছে ভারতের স্বার্থেই। পাকিস্তানের দিকে তো আমাদের তাকানোই নিষেধ ছিল ভারতের পক্ষ থেকে। চীনের সাথে সম্পর্ক রক্ষায় আমরা কতটুকু কী করব তাও নির্ধারিত হতো ভারতের ইশারায়। আখেরি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভ্রমণপিয়াসী হাসিনা কোনো সফরে বের হননি। তিনি ভারতের নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। ভারতের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে সাক্ষাতের পর চীন সফরে যান। ভারতেরই প্রেসক্রিপশনে চীনের সাথে কথা দেয়া তিস্তা প্রকল্পের কাজ স্থগিত করে আসেন এবং তা ভারতকে দেয়ার ঘোষণা দেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিরাগভাজন হওয়া সত্ত্বেও রাশিয়ার সাথে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেন শেখ হাসিনা। এই প্রকল্পের বড় উদ্দেশ্য ছিল বিপুল উৎকোচ আদায় রাশিয়া থেকে। সুতরাং ভারতের আনকূল্যেই রাশিয়ার সাথে লেনদেনে যান তিনি। অন্য দিকে গত বছর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক চাপ দিলে হাসিনা ভারতের মাধ্যমেই সেই চাপমুক্ত হয়েছিলেন। এভাবে আওয়ামী সরকারের কূটনীতি ১৫ বছরজুড়েই ছিল ভারতকেন্দ্রিক। অর্থাৎ সেই সময়টায় বাংলাদেশের কূটনীতি ছিল ভারতকে ‘অষষ-মরারহম’ বা ‘সব দেওয়ার’ কূটনীতি।
তবে বর্তমানে আমাদের কূটনীতি সার্বভৌমত্বের জায়গায় ফিরে এসেছি বলে দৃশ্যমান হচ্ছে। আগে আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রী এবং মন্ত্রীরা বিএসএফের সীমান্ত হত্যার জন্য আমাদের নিহত নাগরিকদের অভিযুক্ত করতেন। তারা হত্যার নিন্দা তো দূরের কথা বরং বলতেন হত্যার শিকার ব্যক্তি অবৈধ চোরাকারবারি বলেই ‘বিএসএফ’ গুলি ছুড়েছে। কিন্তু এখন প্রতিটি হত্যার জন্য কূটনৈতিক চ্যানেলে প্রতিবাদ করা হচ্ছে। সরকারের কর্তাব্যক্তিরা প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করছেন। গত কিছু দিন পূর্বে দেখা গেছে ভারত বাংলাদেশের সাথে দুই দেশে আটক ৬২ জন জেলের বিনিময় করেছে। এরকম সমান সমান বন্দী বিনিময়ের ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতি বাংলাদেশবাসী দীর্ঘদিন পর দেখতে পেয়েছে। কলকাতা ও ত্রিপুরা বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের বাংলাদেশস্থ হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছে। এটা একসময় ছিল কল্পনারও অতীত!
এই কূটনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী ‘বিজিবি’র ওপর। তারা এখন ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীকে আটক করার সাহস সঞ্চয় করেছে। একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায় আমাদের ‘বিজিবি’র একজন অফিসার ‘বিএসএফের’ দু’জন অফিসারের সামনে তর্জুনী উঁচিয়ে কথা বলছেন। গত ১৫ বছর এ ধরনের দৃশ্য বিরল ছিল। পূর্বে তারা শুধুমাত্র ‘বিএসএফ’এর হাতে নিহত বাংলাদেশী নাগরিকের লাশ গ্রহণ করতো পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে। গত ১০ জানুয়ারি ‘বিএসএফ’ লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে শূন্যরেখার ৬০ গজের মধ্যে একটি ল্যাম্পপোস্ট নির্মাণের চেষ্টা করলে ‘বিজিবি’ তাতে বাধা দেয়। ফলে ভারতের এই অবৈধ নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এবং ৮ জানুয়ারি নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্তে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করেছিল বিএসএফ। কিন্তু বিজিবির প্রতিরোধে ‘বিএসএফ’ তা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। বিজিবি সদস্যদের সাহসিকতার প্রভাব স্থানীয় সীমান্তবাসীর ওপরও পরিলক্ষিত হয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তে ‘বিএসএফ’ শূন্যরেখা বরাবর কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করতে গেলে বিজিবি বাধা দেয়। বিএসএফ বাধা উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে গেলে স্থানীয় সীমান্তবর্তী বাংলাদেশী জনতা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তারা মিছিল করে ভারতের এই অবৈধ নির্মাণ কাজের প্রতিবাদ জানায়। ফলে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয় ‘বিএসএফ’। গত ১২ জানুয়ারি ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে বিএসএফের এহেন অবৈধ কর্মকাণ্ডের কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। ভারতের কাছে এসব দুঃস্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে! তারা বাংলাদেশের এ ধরনের স্বাধীন কূটনীতির সাথে অভ্যস্ত নয় দীর্ঘদিন।
মূলত স্বৈরাচার হাসিনা এই সমস্যাগুলো তৈরি করে গেছেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব:) মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জনান, ‘২০১০ সালে শেখ হাসিনার সম্মতি নিয়ে ভারত সব নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে ৩২৭১ কিমি. সীমান্ত বরাবর কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে। এখনো বাকি আছে ৮৮৫ কিমি. সীমান্ত’ (দৈনিক আমার দেশ : ১৩/০১/২০২৫)। দুই দেশের মধ্যে ১৯৭৪, ১৯৭৫, ২০১০ এবং ২০১১ সালে করা মোট চারটি সীমান্ত সমঝোতা স্মারক রয়েছে। এর মধ্যে দুটোতেই শূন্যরেখার ১৫০ গজের মধ্যে দুই পক্ষের সম্মতি ছাড়া কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত রয়েছে (ডেইলি স্টার : ১৩/০১/২০২৫)। তবে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন শেখ হাসিনা ভারতের সাথে বেশ কিছু অসম চুক্তি করে ভারতকে সুবিধা দিয়েছিলেন। তারই ফলে ভারত এ ধরনের অন্যায্য কাজ করার চেষ্টা করছে। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সীমান্তসংক্রান্ত এসব ‘অসম চুক্তি’ বাতিলের পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।
ভারত আমাদের প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র। তারা কোনোভাবেই আমাদের শত্রু নয়। তবে তাদের বৈরিতা আমরা কিছুতেই বিনা প্রশ্নে হজম করতে পারি না। কূটনৈতিক বৈরিতা কূটনীতি দিয়েই সমাধান করতে হবে। তবে বিগত সরকার যে নতজানু-সেবাদাসসুলভ সম্পর্ক ভারত সরকারের সাথে রক্ষা করে ক্ষমতায় টিকে থেকেছে তা কোনো স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র ও জাতি মেনে নিতে পারে না। আমরা ভারতের সরকার ও জনগণের বন্ধুত্ব চাই, তবে তা হতে হবে পারস্পরিক সম্মান, স্বার্থ, সার্বভৌম এবং সমতার ভিত্তিতে।
লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
Email : [email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা