ট্রাম্পের বিজয়ে ইলন মাস্ক
- মো: বজলুর রশীদ
- ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৫৯
নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপর ইলন মাস্কের প্রভাবের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রে নানা জল্পনার জন্ম দিয়েছে। সময়ের অন্যতম সেরা উদ্ভাবনী উদ্যোক্তা হিসেবে মাস্কের আর্থিক সহায়তা এবং পরামর্শমূলক ভূমিকা ইতোমধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি ও সিদ্ধান্তের আকার দিতে শুরু করেছে।
ইলন মাস্ক বরাবরই অপরিসীম প্রভাবশালী এক উদ্ভাবনী ব্যক্তিত্ব। টেসলা ও স্পেসএক্সের মতো প্রতিষ্ঠানের স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্রষ্টা মাস্ক গত নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারণায় যথেষ্ট আর্থিক অবদান রাখেন। ট্রাম্পের প্রতি তার সমর্থন অনেকের ভ্রু কুঁচকিয়েছে এবং এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে যেহেতু ২০১৬ সালে তিনি হিলারি ক্লিনটনকে সমর্থন দেন। এবার সেখান থেকে সরে এসেছেন।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী, গাড়ি নির্মাতা, সামাজিক মাধ্যম এক্স ও মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স, স্যাটেলাইট যোগাযোগ স্টার লিংকসহ বিশ্বের কয়েকটি বিশিষ্ট প্রযুক্তি সংস্থার মালিক ইলন মাস্ক। ট্রাম্প ধনকুবের মাক্সকে অকৃত্রিম বন্ধু মনে করেন। ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে এক বক্তৃতায় তিনি মাস্ককে ‘বিস্ময়কর’ ব্যক্তি এবং রিপাবলিকান পার্টির ‘নতুন তারকা’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন।
ইলন মাস্ক ২০১৬ সালে বলেছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আদর্শ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নন; বরং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন যোগ্য প্রার্থী। সেই মাস্ক ২০২৪-এর নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারে ১১৯ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন, দ্বিতীয় বৃহত্তম অনুদান জোগাড় করেছেন। ডেমোক্র্যাটদের উপর বিরক্ত হয়ে তিনি ট্রাম্পের দিকে ঝোঁকেন বলে জানা যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত নির্বাচনে ‘আমেরিকা প্যাক’ নামে ট্রাম্প-সমর্থক একটি রাজনৈতিক কার্যক্রম ছিল। এই কমিটি দোদুল্যমান রাজ্য পেনসিলভেনিয়ায় প্রতিদিন একজন করে নিবন্ধিত ভোটারকে ১০ লাখ ডলার দিয়েছে। আমেরিকা প্যাকের সংবিধানপন্থী একটি পিটিশন যারা সই করেছে, তাদের মধ্য থেকে একজনকে বাছাই করে এই অর্থ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। ওই পিটিশনে ‘বাক স্বাধীনতা’ এবং ‘অস্ত্র বহনের অধিকার’ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। বিবিসি বলেছে, মাস্কের এই কার্যক্রম ট্রাম্পের পক্ষে ভোটারের স্রোত সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। মাস্ক জুলাইয়ে ‘আমেরিকা প্যাক’ কার্যক্রম শুরু করেন ও সাত কোটি ডলার দান করেন। ট্রাম্পের জয়ে মাস্কের সম্পদ রাতারাতি ১৫ বিলিয়ন ডলার বেড়ে গেছে। সিএনএন জানায়, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর টেসলার শেয়ারের দামই ৪১১ মিলিয়ন ডলার বেড়ে যায়। মাস্কের ২৫০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ আছে বলে ধারণা করা হয়।
ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিতে মাস্কের প্রভাব বহুমুখী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক নীতির ক্ষেত্রে, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং উদ্ভাবনের জন্য মাস্কের দৃষ্টিভঙ্গি প্রশাসনকে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, মহাকাশ অনুসন্ধান এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো খাতগুলোতে অগ্রাধিকার পাচ্ছে। নবগঠিত ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির (ডিওজিই) প্রধান হিসেবে তার ভূমিকা আমলাতন্ত্র হ্রাস এবং সরকারি কার্যক্রম সুসংহত করার ব্যাপারে ট্রাম্পের অঙ্গীকার উল্লেখযোগ্য। এসব দক্ষতা এবং উদ্ভাবনের দিকে মনোনিবেশ করে সরকার পরিচালনায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসতে পারে। মাস্কের প্রভাব দেশীয় নীতির বাইরেও প্রসারিত হতে বাধ্য। আন্তর্জাতিক মঞ্চে, মাস্কের ব্যবসায়িক স্বার্থ এবং ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি প্রশাসনের বৈদেশিক নীতির আকার দিতে পারে। বাণিজ্য সম্পর্ক থেকে শুরু করে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মাস্কের প্রভাব অনুভূত হবে। টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির উপর তার জোর, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত নীতি সম্পর্কে প্রশাসনের অবস্থানকেও প্রভাবিত করবে।
দুজনের এই উষ্ণ সম্পর্ক কত দিন থাকতে পারে কূটনীতিকরা সেই হিসাবও কষছেন। কেননা, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অনেক বিষয়ে তাদের নীতিগত বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। তা ছাড়া দুজনই কিছুটা অস্থির চিত্তের। মাক্স নিজের কোম্পানিগুলোকে ব্যক্তিগত জমিদারির মতো ব্যবহার করেন, যেখানে তার কর্তৃত্ব কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। তিনি কর্মীদের বিনা নোটিশেই চাকরিচ্যুত করেন এবং সবার সামনে বুদ্ধিমত্তা নিয়ে অপমান করেন। ট্রাম্পও একই কাজ করেন। ট্রাম্প কর্মীদের সম্পূর্ণ আনুগত্য চান। মাস্ক বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ ও আর্থিক সংস্থা ক্যান্টর ফিটজেরাল্ডের প্রধান নির্বাহী হাওয়ার্ড লাটনিককে অর্থমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দিতে সবার সামনেই সুপারিশ করেন। কথামতো লাটনিককে এ পদে মনোনয়ন দিয়েছেন ট্রাম্প। এতে ট্রাম্পের ওপর মাস্কের প্রভাব কতটা গভীর তা স্পষ্ট।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বর্তমানে যতটা সচেতনতা বেড়েছে, ২০০৪ সালে তেমনটি ছিল না। প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০১৭ সালে মাস্ককে নিজের ব্যবসায়-বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদে রেখেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলাবিষয়ক প্যারিস চুক্তি-২০১৫ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয়ার প্রতিবাদে মাস্ক ওই পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এখনো বিশ্ববাসী জলবায়ু নিয়ে সোচ্চার। ট্রাম্প কী ব্যবস্থা নেন এবং মাস্ক কী পরামর্শ দেন সেটিও দেখার বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়টিকে ট্রাম্প ধাপ্পাবাজি মনে করেন!
জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে এসে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে মাস্কের কোম্পানিগুলো নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। নিজের বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি টেসলায় বড় বিনিয়োগ করে তিনি এরই মধ্যে বিপুল অর্থ আয় করেছেন, তবে অনেক গাড়ি অবিক্রীতও রয়ে গেছে। অন্য দিকে তিনি ব্যাটারি প্রযুক্তি ও সৌরবিদ্যুৎ-চালিত ছাদ-টাইলস তৈরিতেও অর্থ বিনিয়োগ করছেন। কিন্তু ট্রাম্পের নীতি এ ক্ষেত্রে উল্টো। নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প নতুন জীবাশ্ম জ্বালানির জন্য তেল ও গ্যাসকূপ খননের ঘোষণা দেন। ট্রাম্প জ্বালানিমন্ত্রী হিসেবে ক্রিস রাইটকে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি রূপান্তরের (এনার্জি ট্রানজিশন) কোনো ভিত্তি নেই।
ট্রাম্প চীনের বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর। এবারো চীনের সাথে বাণিজ্যযুদ্ধের শঙ্কা রয়েছে। চীনের সাথে খারাপ সম্পর্ক, বিশেষ করে বাণিজ্য সম্পর্ক খারাপ হোক মাস্ক তা চান না। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বড় ধরনের টানাপড়েন তৈরি হতে পারে। কারণ, চীন টেসলার একটি বড় বাজার। সে দেশে মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানির ‘গিগাফ্যাক্টরি’ রয়েছে। মাস্ক কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ে কোনো নেতিবাচক কথা বলেননি। কিন্তু ট্রাম্প চীনের বিষয়ে কঠোর মনোভাব পোষণকারী সিনেটর মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করার ঘোষণা দিয়েছেন।
সিলিকন ভ্যালির বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর সাথে কয়েক দশক ধরে মাস্কের দ্বন্দ্ব রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের অংশ হিসেবে তিনি অজস্র স্বার্থের সঙ্ঘাতের মুখোমুখি হবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ট্রাম্প যদি মাইক্রোসফটের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-বিষয়ক কোম্পানি ওপেনএআইকে সহায়তা দেন, মাস্ক তা কখনো মেনে নেবেন না, কেননা, মাস্কের নিজস্ব এআই কোম্পানি রয়েছে। আরো বিষয় হলো, ট্রাম্প যদি ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের কথা শোনেন, মাস্ক তা সহজভাবে নেবেন না। মাস্কের মহাকাশ প্রযুক্তি-বিষয়ক কোম্পানি ‘স্পেসএক্সের’ মতো বেজোসেরও একই ধরনের কোম্পানি রয়েছে। ভবিষ্যতে বেজোসও যদি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হতে থাকেন, সে ক্ষেত্রে মাস্কের স্বার্থের সাথে সঙ্ঘাত দেখা দেবে। সাইবার নীতি বিশেষজ্ঞ শ্যাক বলেন, ‘মাস্কের বিষয়ে কিছু অনুমান করা যায় না; তার অবস্থান রাতারাতি পরিবর্তিত হতে পারে। যখন উল্লেখযোগ্য পণ্য ও পরিকাঠামো নিয়ন্ত্রণকারী কেউ তার মন পরিবর্তন করে, তখন প্রভাবও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হয়।’
ইলন মাস্কের মতো ব্যক্তির রাজনীতিতে প্রভাব রাখার সুযোগের বিষয়টি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছেন অনেক বিশ্লেষক।
নতুন সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধান হিসেবে নিয়োগ মাস্ককে সরকারি নীতির উপর প্রভাব বিস্তার করতে পর্যাপ্ত ক্ষমতার অধিকারী করবে।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাইবার পলিসি সেন্টারের ফেলো শ্যাক আরো বলেন, ‘মাস্কের মালিকানাধীন সংস্থাগুলো অসম্ভবরকম প্রভাবশালী এবং তথ্য ও ভূ-রাজনীতিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।’
নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে নিজের প্রথম সংস্থা প্রতিষ্ঠার পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী মাস্ক বর্তমানে ২২৪ বিলিয়ন ইউরোরও বেশি সম্পদের মালিক। ব্যবসায়িক সাফল্য ধীরে ধীরে রাজনৈতিক বলয়ে তার প্রভাব প্রসারিত করতে শুরু করেছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
বিস্ময়কর বিষয় হলো, মার্কিন মহাকাশ কর্মসূচি উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য মাস্কের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের ওপর নির্ভরশীল। স্পেসএক্সের সহায়ক সংস্থা স্টারলিঙ্ক বিশ্বের কয়েকটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা সরবরাহ করছে। ইউক্রেন থেকে গাজা, ভারতের আসাম ও সঙ্ঘাতপূর্ণ সেভেন সিস্টার্স অঞ্চলে সামরিক বাহিনীর যোগাযোগের জন্য এটি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
ইতোমধ্যে জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত ইরানের দূতের সাথে দেখা করেছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ইরানি সূত্রের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইলন মাস্ক ও ইরানি দূত আমির সায়্যিদ ইরাভানির এই বৈঠককে পজেটিভ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতেই ইলন মাস্ক ইরানি দূতের সাথে দেখা করেছেন। দ্য গার্ডিয়ান বলছে, ট্রাম্প যখন ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচের সঙ্ঘাত মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন ইলন মাস্ক পররাষ্ট্র কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সহায়তা করছিলেন।
এর আগে মার্কিন নির্বাচনের ফলাফলের পরেই ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ফোনালাপ হয়, তাতেও যোগ দেন ইলন মাস্ক। তিনি বলেন যে, ট্রাম্প ও তার দল বর্তমান যুদ্ধক্ষেত্রে এক হাজার ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ অসামরিকীকৃত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইউক্রেন সঙ্ঘাত নিরসনের পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। তবে ওই অঞ্চলে শান্তিরক্ষী পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, ইউক্রেন অন্তত ২০ বছরের জন্য ন্যাটোর সদস্যপদ নেয়া থেকে বিরত থাকতে বাধ্য থাকবে। বিনিময়ে ওয়াশিংটন সম্ভাব্য সঙ্ঘাতের পুনরুত্থান রোধে কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। এসব আচরণ থেকে বোঝা যায়, মার্কিন পররাষ্ট্রবিষয়ক নীতি নির্ধারণে মাস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছেন।
ট্রাম্প চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী থাকলেও মাস্কের প্রভাব প্রশাসনকে আরো আক্রমণাত্মক বাণিজ্যনীতি, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, অভিবাসন ও পরিবেশগত ইস্যুতে উদ্ভাবনী পদ্ধতির দিকে পরিচালিত করবে। বিশ্ব যখন এই গতিশীলতা দেখছে, তখন মাস্কের দৃষ্টিভঙ্গি এবং ট্রাম্পের নীতিগুলো কিভাবে বিশ্বব্যাপী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যতকে রূপ দেবে তা দেখতে আরো আকর্ষণীয় হতে পারে।
ইলন মাক্স নিজের স্বার্থের জন্য বিজ্ঞান ও রাজনীতিকে মিশ্রিত করে বিপজ্জনক খেলা খেলছেন। ইলনের মতো মেধাবী মন, যিনি মানবসভ্যতা ও মনের সত্যিকারের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারতেন, রাজনৈতিক উচ্চাশার জন্য ট্রাম্পিজমে ঢুকে পড়েছেন। যিনি মঙ্গলগ্রহে মানবজাতির স্বপ্ন নিয়ে চিন্তা করেন তিনি আবার বর্ণবাদ ও ঘৃণার রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার জন্য মিলিয়ন ডলার ব্যয় করছেন। টেকনোলজির বিকাশের পরিবর্তে তিনি কি মার্কিন রাজনীতির কর্ণধার হতে চাইছেন?
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার
[email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা