১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১, ১০ রজব ১৪৪৬
`

এস এ খালেক এমপি স্মরণে

-

অবশেষে এসএ খালেকও চলে গেলেন। ঢাকার মিরপুরের সাবেক এমপি এস এ খালেক। এস এ খালেকের রাজনীতি তো এত সহজে মরবে না। তিনি বছরের শুরুতে মারা গেলেন। নয়া পল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে তার জানাজা হয়। এরপর জানাজা হয় মিরপুর বাঙলা কলেজের সামনে। তিনি বিএনপির এমপি ছিলেন। এর আগে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ করেছেন। তিনি বাড়ি করেছিলেন ঢাকার কল্যাণপুরের কাছে। তার রাজনীতির বড় কথা ছিল, ‘আমি সরকারি রাজনৈতিক দল সব সময় করি। সরকার বদলে গেলে আমি কী করব?’ কথা তো ঠিকই। সরকার বদলে গেলে তিনি কী করবেন? তিনি সরকারি দল হিসেবে আওয়ামী লীগ, এরপর বিএনপি করেছেন, এরপর জাতীয় পার্টি। আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনি বলেছেন, ‘সরকার চেইঞ্জ হয়েছে, আমি কী করব?’ তিনি লোক সাপ্লাইয়ের রাজনীতি করতেন। বড় দলের লোকসভাতে তিনি লোক সাপ্লাই দিতেন বলে কথিত আছে। আরো অভিযোগ, তিনি বেকার যুবক, গার্মেন্টকর্মী, বাসার গৃহকর্মী প্রমুখকে নিয়ে আসতেন। তার নাম বেশি প্রচার হয়েছে। কিন্তু তার মতো অনেকেই আছেন, যারা সরকারি দল করেন এবং পার্টির জনসভায় লোক সাপ্লাই দেন। যত দোষ, নন্দ ঘোষ। সব মাছের বদলে পাঙ্গাশ মাছের দোষ হয় কেন? তেমনি এস এ খালেকও দোষী। এস এ খালেককে শেষ দেখি মোহাম্মদপুরে। তিনি একটি স্যুট বানিয়েছিলেন। সে স্যুট পরে গেলেন জাতীয় পার্টির জনসভায়। জাতীয় পার্টির পতনের পর তিনি বিএনপিতে ফেরেন। আমার এক কলিগ এস এ খালেক সম্পর্কে চমৎকার একটি বর্ণনা দিয়েছিলেন। এস এ খালেক তখন তার সিনেমা হলে থাকেন সপরিবারে, গাবতলীতে। সিনেমা হলের জেনারেটরের শব্দের কারণে আমার কলিগের সাক্ষাৎকার নিতে কষ্ট হয়। জেনারেটরের একটানা আওয়াজের মধ্যে তাদের কথাবার্তা শেষ হয়। তার এগুলোর পরোয়া ছিল না। তিনি রাজনৈতিক সাক্ষাৎকার দেয়ার পরে খাস ঢাকাইয়া ভাষায় তার ছেলেদের বললেন, ‘ছাংবাদিক ছাব আইছে; তোরা ছালাম কর!’ সাংবাদিক সাহেব অবাক এটা শুনে। একে একে সব ছেলে সালাম করল। সবশেষে তিনি সাংবাদিক সাহেবকে এক হাজার টাকা দিতে চাইলেন সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য। কারণ এর আগে সব সাংবাদিকরা নিয়েছেন; কেউ আপত্তি করেননি। শুনে আমার কলিগ বললেন, তিনি দরকার হলে বিজ্ঞাপন দেবেন, টাকা দেবেন কেন! টাকা কোনো সাংবাদিকের প্রাপ্য নয়। আমার সহকর্মী তার টাকা নেননি। এস এ খালেক সাহবেও অবাক হয়ে গিয়েছিলেন টাকা না নেয়ায়। কারণ, কলিগ টাকাবাজিতে বিশ্বাস করতেন না। আমাদের পত্রিকা ছোট ছিল, কিন্তু নীতির প্রশ্নে ছিল অটল। এ জন্য টাকা-পয়সার ব্যাপারে সাবধান ছিল সবাই।

১৯৯৪ সালের উপনির্বাচনে তিনি দাঁড়াননি। ছেলে এহসান হককে তিনি দাঁড় করিয়েছিলেন ক্ষমতাসীন বিএনপি থেকে। ওই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলেও আওয়ামী আমলের নির্বাচনের মতো ছিল না। তখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ। তিনি নিয়ম মানার যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলেন। সিলেটী একজন বৃদ্ধ বিচারপতি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার। ইত্তেফাকের রিপোর্টার জনাব আমির খসরু ছিলেন সেখানে। আমির খসরু তার পত্রিকায় লিখেছিলেন মশার কামড়ের উপরে। আমরা শেষ রাত পর্যন্ত ছিলাম সেখানে।


আরো সংবাদ



premium cement
‘পাঠ্যপুস্তকে বিএনপি সম্পর্কে ভুল তথ্য’ সংশোধনের দাবি ৫ মাস পর জুলাই আন্দোলনে আহত মনিরুজ্জামানের মৃত্যু ২৭ হাজার টন চাল নিয়ে ভারত থেকে জাহাজ এলো চট্টগ্রামে আসামি ছিনতাই হওয়ার অভিযোগে শ্রীনগর থানার ওসি ক্লোজড ঐক্যের ফাটল মেরামতের উপায় খুঁজছে বিএনপি ও তার মিত্ররা লালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ইউপি সদস্য নিহত শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি : মাহমুদুর রহমান তারুণ্যের উচ্ছ্বাসকে কুরআনের আলোয় আলোকিত করতে হবে : আজহারী তামিমকে ধন্যবাদ জানাল বিসিবি বান্দরবানে স্থানীয়দের সহায়তায় অনুপ্রবেশকালে ৫৮ রোহিঙ্গা আটক বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠাই কুরআন সুন্নাহর মূল শিক্ষা : মুফতি আমির হামজা

সকল