১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ৯ রজব ১৪৪৬
`

আর কতকাল ফেলানীরা সীমান্তে লাশ হবে

-

পৃথিবী একটি রাষ্ট্র নয়। রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে বিভক্ত এই ভূগোলক। জাতিসঙ্ঘ সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা ১৯৫। এ ছাড়া রাষ্ট্রের আরো কিছু আকার-প্রকার রয়েছে। প্রতিটি রাষ্ট্র একটি সীমারেখা দ্বারা চিহ্নিত। তা হোক স্থলবেষ্টিত অথবা পানিবেষ্টিত সাগর-মহাসাগরে। সেখানে সীমান্ত যেমন আছে, আছে সীমান্ত প্রহরী। সীমান্ত প্রহরীরা শুধুমাত্র ভূখণ্ডের নিরাপত্তা রক্ষার জন্যই কাজ করেন না। তাদের মূল দায়িত্ব নাগরিকদের জীবন, সম্মান ও সম্পদ রক্ষা করা। অন্য রাষ্ট্রের লোকেরা বা সীমান্তরক্ষীরা যাতে কোনো দেশের ক্ষতি সাধন না করতে পারে তা নিশ্চিত করাই সীমান্ত প্রহরীর কাজ। এভাবে পৃথিবীর অধিকাংশ রাষ্ট্রের অধিকাংশ সীমান্তই সুরক্ষিত। তবে অরক্ষিত সীমান্তও আছে, অশান্তময় সীমান্তও আছে। আরো আছে বিরোধপূর্ণ সীমান্ত সমস্যা।

জমির আইল নিয়ে যেমন ঝগড়া-ঝাটি আছে, খুন-জখম আছে তেমনি পৃথিবীর কয়েকটি সীমান্ত নিয়ে যুদ্ধ অথবা যুদ্ধাবস্থা আছে। যেমন ফিলিস্তিন-ইসরাইল সীমান্ত, চীন-ভারত সীমান্ত ও মরোক্ক-মৌরিতানিয়া সীমান্ত ইত্যাদি। এরকম সীমান্তে মালিকানার দ্বন্দ্বই মুখ্য। সার্বভৌমত্বের দাবিদার দু’টি রাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবেই বাদ-প্রতিবাদ করে, দাবি ও প্রতি দাবি পেশ করে। সেখানে সাধারণ মানুষ নিরাপদ। অসাধারণ মানুষ-সামরিক বাহিনী বনাম সামরিক বাহিনী যুদ্ধ কিংবা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব হয়তো চালাতেই থাকবে। উভয়পক্ষই সাধারণ মানুষের জীবনকে বিপণ্ন করে না। নাগরিক হত্যার তেমন কোনো ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নাগরিক হত্যা যেন প্রতিদিনের বিষয়। বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরে রেকর্ডসংখ্যক বাংলাদেশী নাগরিককে ভারত কারণে-অকারণে হত্যা করেছে। ১৯৭১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত যত নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে, তার চেয়েও বেশি নাগরিককে প্রাণ দিতে হয়েছে গেল ১৫ বছরে।

সমসাময়িককালে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সীমান্ত। পৃথিবীর ওইসব বিরোধীয় অঞ্চলের হিসাব নিলে এত মৃত্যু, এত হত্যার পরিসংখ্যান কোথাও মিলবে না। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রদত্ত তথ্য মোতাবেক, গত ১৫ বছরে ৫৮৮ বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। এ ছাড়া আহত করেছে ৭৭৩ জন। আরো একটি অপ্রিয় সত্য এই যে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সম্ভবত পৃথিবীতে সবচেয়ে অসঙ্গত, অযৌক্তিক ভূমি বিভাজন সীমান্ত। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরা যখন ভারত বিভাগের সাথে সাথে বঙ্গ বিভাগও করে, তখন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্তকে বলা হয় ‘মথ ইটেন’ বা পোকায় খাওয়া পূর্ব পাকিস্তান। ব্রিটিশরা হিন্দুদের প্রতি অন্যায় সুবিধা দিতে গিয়ে এমনটি করে। যে সাগরের নাম বঙ্গোপসাগর সেখানে একরকম লোকালয়শূন্য আন্দামান ও নিকোবর দীপপুঞ্জ কিভাবে ভারতের হয়? আন্দামান ছিল কালা পানির দেশ। এ দেশের যাদের যাবজ্জীবন বা দীর্ঘকাল কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে তাদেরকে কালাপানি নামের আন্দামানে নির্বাসিত জীবন যাপন করতে হতো। সে সময়ে তাদেরই চেষ্টায় সেখানে কিছু কিছু লোকালয় গড়ে ওঠে। এ দেশের মানুষের শ্রমে যে জনপদ গড়ে উঠেছে আজ তা আমাদের নয়। আমাদের বাড়ির কাছে আরশিনগর। সেখানে যে পড়শিরা বসত করে তারা মুসলমান নয়। তারা হিন্দুও নয় তারা হলো সপ্তকন্যার সপ্ত বা ততোধিক উপজাতি।

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগ আইন অনুযায়ী পড়শি হিসেবে পূর্ব পাকিস্তানের অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রাপ্য অঞ্চল ছিল সেটি। আবারো সেই কথা, ভারতকে তথা হিন্দুদেরকে অন্যায়ভাবে ওই অঞ্চলগুলো দেয়া হয়েছে। আর ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, সেখানে এখন মুসলমানরা ভিনদেশী বলে কথিত। হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার এমন ২০ লাখ মানুষকে চিহ্নিত করেছে ভিনদেশী হিসেবে যাদেরকে তারা বাংলাদেশে ঠেলে দিতে চায়। বিগত আওয়ামী লীগ আমলে বাঙালি খেদাও ষড়যন্ত্র তীব্রতা লাভ করলেও বশংবদ হাসিনা সরকার টুঁ শব্দ করেনি। সে সময় বাংলাদেশ নামকাওয়াস্তে স্বাধীন ছিল। ভারতের একান্ত অনুগত আওয়ামী লীগ সরকার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের কারণে বাংলাদেশের নাগরিকদের পাইকারি হত্যার বিরুদ্ধে কখনো প্রকৃত প্রতিবাদ করেনি। একবার আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফকে কলকাতায় জিজ্ঞাসা করেছিল এক প্রতিবাদী সাংবাদিক : ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এত হত্যা কেন? শুনলে অবাক হতে হয়, তিনি বাংলাদেশের দীর্ঘ সীমান্তের দোহাই দিয়ে ওই হত্যাকাণ্ডকে বলেছিলেন বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ১৫ বছরে অন্তত ১৫ বার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হত্যা নিয়ে মিটিং-সিটিং-ইটিং হয়েছে। কিন্তু অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। বলা হয়েছে জিরো টলারেন্সের কথা আর কাজ হয়েছে তার বিপরীত। এই সরকারের শুরুতে কিছুটা হুঙ্কারের আওয়াজ পাওয়া গিয়েছিল। গত পাঁচ মাসে দেখা গেল তা ফাঁকা আওয়াজ। বিজিবি এই পাঁচ মাসে এমন কোনো প্রমাণ রাখতে পারেনি যে, তারা আওয়ামী আমলের চেয়ে ভালো কিছু। তবে একটি বড় আওয়াজের কথা আমাদের মনে আছে বিএনপি আমলে তখনকার বিডিআর প্রধান লে. জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কঠিন জবাব দেয়া হয়েছিল। অবশ্য এই জেনারেলকে আমরা ধন্যবাদ দিয়েছিলাম নানা ধরনের অপমান-অপদস্থ করে। সে আরেক আত্মশ্লাঘার কাহিনী।

শেখ হাসিনার ভারতে পলায়নের পর সীমান্ত হয়েছে আরো উত্তেজনাপূর্ণ। ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করত অধীনস্থ দাস হিসেবে। তারা জানত বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যা করলে তাদের কোনো শাস্তি হবে না। বাংলাদেশ সরকার স্বয়ং দিল্লির সেবাদাস। সুতরাং ঢাকা সরকারের তাদের বিরুদ্ধে করার কিছু নেই। এখন পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশের বিজিবি এখন সক্রিয়। প্রতিবাদী। এখন বাংলাদেশ আর ভারতের অধীনস্থ নয়; বরং বিক্ষুব্ধ। সে কারণে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স-বিএসএফ ক্ষুব্ধ। বিএসএফ এখন আরো ক্ষুব্ধ হয়ে কারণে এবং অকারণে বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করছে। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় স্বর্ণা দাস।

১ সেপ্টেম্বর রাতে মায়ের সাথে ভারতের ত্রিপুরায় থাকা ভাইকে দেখতে যাওয়ার সময় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে কিশোরী স্বর্ণা দাস (১৪) নিহত হয়।

নিহত স্বর্ণা মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামের বাসিন্দা পরেন্দ্র দাসের মেয়ে। সে স্থানীয় নিরোদ বিহারী উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ত।

প্রকাশিত সংবাদের তথ্য অনুসারে, ১ সেপ্টেম্বর রাতে স্বর্ণা ও তার মা সঞ্জিতা রানী দাস ত্রিপুরায় বসবাসরত স্বর্ণার ভাইকে দেখতে স্থানীয় দুই দালালের সহযোগিতায় লালারচক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাদের সাথে আরো ছিলেন চট্টগ্রামের এক দম্পতি। রাত ৯টার দিকে তারা ভারতীয় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে গেলে বিএসএফ সদস্যরা গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই স্বর্ণা নিহত হয় এবং সাথে থাকা দম্পতি আহত হন।

এর পরে আরেকটি সীমান্ত হত্যার ঘটনা ঘটে কুমিল্লায়। ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা ইউনিয়নের পাহাড়পুরের কাছে সীমান্তে কামাল হোসেনকে (৩২) গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। ওই ঘটনার পর বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে বিএসএফ ওই যুবকের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যায়।

সর্বশেষ সীমান্ত হত্যা হয় ৭ জানুয়ারি ২০২৪ মাত্র তিন দিন আগে। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বড়কেয়ারা সীমান্ত এলাকায় জহুর আলী (৫৫) নামের এক বাংলাদেশী ব্যক্তিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও সীমান্তের ওপারের ভারতীয় লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে হবিগঞ্জের স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে। ওই ব্যক্তির লাশ ভারতীয় পুলিশ ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেছে। প্রকাশিত সূত্রে জানা গেছে, নিহত জহুর আলী হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার পশ্চিম ডুলনা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে চাকরি করতেন। এভাবে কত যে জহুর আলী ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের হাতে নিহত হয়েছেন, তা আজ এক মর্মান্তিক কাহিনী হিসেবে গোটা জাতির সামনে উপস্থিত।

স্মরণ করা যেতে পারে গত ৭ জানুয়ারি ছিল ফেলানী হত্যার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, সেই একই দিনে জহুর আলী হত্যার ঘটনা ঘটল। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কিশোরী ফেলানীকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ফেলানীর বাবার সাথে সীমান্ত অতিক্রমের সময় ফেলানীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। এরপর কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলতে থাকে ফেলানীর লাশ। ফেলানী হত্যার এই নির্মম দৃশ্য বিশ্ববিবেককে ক্ষুব্ধ করে। বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিণ কলোনিটারি গ্রামের এই কিশোরীকে হত্যার ১৪ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। অথচ তার ন্যায়বিচার বাংলাদেশ কিংবা ভারতে আজো অনুষ্ঠিত হয়নি। মেয়ে হত্যার ন্যায়বিচারের আশায় ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালত ও ব্যক্তির দ্বারে-দ্বারে ঘুরে-ঘুরে ক্লান্ত কিশোরী ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম। গত ৭ জানুয়ারি ফেলানীর বাবা কুড়িগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তার বক্তব্য আশ্বাস দিয়েও গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার ফেলানী হত্যার বিচার করেনি। তার আবেদন এখন নতুন বাংলাদেশ, নতুন সরকারের কাছে ফেলানী হত্যার বিচার হোক। তিনি আরো জানান, ফেলানীর হত্যাকারী অমিও ঘোষ নিজের স্বীকারোক্তি সত্ত্বেও আদালতে খালাস পেয়েছেন। এই রায় প্রত্যাখ্যান করে পশ্চিম বাংলার একটি মানবাধিকার সংগঠনের সহযোগিতায় ফেলানীর পরিবার ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদন করেছে। এখনো তা সেখানে ঝুলে আছে। ফেলানীর বাবা বাংলাদেশ কিংবা ভারতের ন্যায়বিচার না পাওয়ায় এবার আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করেছেন। ফেলানীর পরিবারের দাবি বাংলাদেশের সীমান্তে যেন হত্যা বন্ধ হয়। ফেলানী হত্যার বিচার হলে সীমান্তে এভাবে পাখির মতো গুলি করে মারতে পারবে না ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

রাষ্ট্র যেমন একটি বাস্তবতা, তেমনি বাস্তবতা তার সীমান্ত। রাষ্ট্রিক জটিলতায় পৃথিবীর দু-একটি প্রান্তে উত্তেজনা আছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের মতো যখন তখন মৃত্যুর ঘটনা ঘটে না। বাংলাদেশের ভারত সীমান্তের দৈর্ঘ্য চার হাজার ৯৬ কিলোমিটার। এই সীমান্ত জটিল ও কুটিল। সীমান্তে রয়েছে নানা সমস্যা। চোরাচালানি, মাদক ব্যবসায়, সম্পদ পাচার ও মানবপাচারের মতো বিপজ্জনক বিষয়াদি দ্বারা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত আকীর্ণ। এসব অবৈধ কার্যাবলি বন্ধের জন্য দুই প্রতিবেশীর শক্ত অবস্থান কাম্য। কিন্তু কোনো মতেই হত্যার মতো জঘন্য ও নির্মম ঘটনার অনুমোদন দেয়া যায় না। ভারতের সব সরকারই মুখে মুখে বাংলাদেশের মিত্রতার কথা বলে। অথচ তারাই বাংলাদেশের সীমান্তে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়, দেয়াল তৈরি করে এবং মানুষ হত্যা করে। বিশেষ করে মোদি আমলে বন্ধুত্বের যত উচ্চতার কথা আমরা শুনেছি, নাগরিক হত্যার পরিসংখ্যানও তেমনই উচ্চতায় বৃদ্ধি পেয়েছে। সুসমা সরাজ বলতেন ‘পরসি পহেলে, লেকেন বাংলাদেশ সাবচে পহেলে’। সুতরাং মানুষ হত্যার ওই পরিসংখ্যান দিয়ে জিজ্ঞাসা করা যায় : ‘বাংলাদেশ সাবচে পহেলে, ইয়ে ঠিকহে। লেকেন লোগোকো গুলি দেনে কেলিয়ে!’

লেখক : অধ্যাপক (অব:), সরকার ও
রাজনীতি বিভাগ,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]

 


আরো সংবাদ



premium cement