শহীদ আবদুল মালেক : প্রজ্ঞাঋদ্ধ জীবনদৃষ্টি
- মুসা আল হাফিজ
- ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:২৪
শিক্ষা নিয়ে কথা হচ্ছিল। যে শিক্ষার মধ্য দিয়ে আমরা বেড়ে উঠছি, তা কি আমাদের মানবিক বিকাশের সব মাত্রা স্পর্শ করে? সেটি কি আমাদের সম্ভাবনার সব উর্বর ভূমি চেনে?
স্বাধীনতার আগ থেকেই শিক্ষাব্যবস্থা নতুন আলোয় ঢেলে সাজাবার আওয়াজ এই ভূমিতে উচ্চারিত হচ্ছে। সেজন্য ঘটেছে জীবনদানের ঘটনাও। তরুণরা আবদুল মালেকের শাহাদতের প্রসঙ্গ তুলল। সারা দেশ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ঘটনা। তারপর থেকে আবদুল মালেক শিক্ষার বিউপনিবেশায়ন ও ইসলামাইজেশন অব নলেজের আকুতির সাথে একাকার হয়ে আছেন এই বাংলায়। তার শাহাদত ছিল গভীর চিন্তা, অনুধ্যান ও বিশ্ববীক্ষার মর্মমূলে।
সময়টা ১৯৬৯ সাল। জেনারেল আইয়ুবের স্বৈরশাসনের পতন হয়েছে। ক্ষমতায় জেনারেল ইয়াহিয়া খান। জেনারেলরা সবকিছুর চালক। তারা স্থির করছে শিক্ষাব্যবস্থা কেমন হবে। এয়ার মার্শাল নূর খান শিক্ষামন্ত্রী। তার নেতৃত্বে দেশের শিক্ষাধারা সংস্কার ও নবায়নের কাজ হাতে নেয়া হলো। শিক্ষাকে সেকুলার ভাবধারায় পুনর্গঠনের চেষ্টা জোরালো হলো। যেখানে থাকবে না সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের বিশ্বাস, প্রত্যাশা ও জীবনবোধের প্রতিফলন। যে জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষাব্যবস্থা সাজানো হচ্ছে, সেই জনগোষ্ঠীর জীবনের প্রতিফলন যদি শিক্ষায় না থাকে, সেই শিক্ষাব্যবস্থা বৃহত্তর কল্যাণকে আমন্ত্রণ করবে না, এটাই স্বাভাবিক।
এ পরিস্থিতিতে নাগরিক সমাজ তো বটেই, সচেতন শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ছিল উদ্বেগ। ১৯৬৯ সালে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এয়ার মার্শাল নূর খানের সাথে সাক্ষাৎ করে দেশে সর্বজনীন ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা চালুর দাবি করেন। এ প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য ছিলেন আবদুল মালেক।
শিক্ষানীতির আদর্শিক ভিত্তি কী হবে, এ নিয়ে জনমত যাচাই চলছিল। এর অংশ হিসেবে সরকারি উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তখনকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ভবনে অনুষ্ঠিত হয় শিক্ষার আদর্শিক ভিত্তি শীর্ষক এক আলোচনা সভা (১৯৬৯ এর ২ আগস্ট)। এতে সেকুলার ও ইসলামপন্থীরা প্রচণ্ড বিতর্কে অবতীর্ণ হন। আবদুল মালেক জোরালোভাবে উপস্থাপন করেন সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সাধারণ শৃঙ্খলার (Common set of cultural values) ধারণা।
মাত্র ৫ মিনিট আলোচনার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সংক্ষিপ্ত আলোচনায় তিনি দেখান, কমিউনিস্ট রাশিয়ার মতো একটি মাত্র সাংস্কৃতিক শৃঙ্খলা সবার ওপর চাপিয়ে দিয়ে সাংস্কৃতিক বিভিন্নতাকে হত্যার চেষ্টা বড় ধরনের বিপদ তৈরি করবে।
১২ আগস্ট ডাকসুর ব্যানারে আরেকটি আয়োজন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে। আবদুল মালেক সেখানে আলোচনার সুযোগ চান। দেওয়া হয়নি সুযোগ। সেখানে হয় বিতণ্ডা। টিএসসিতে তার ওপর সশস্ত্র হামলা করে প্রতিক্রিয়াশীল বামরা। তখনকার রেসকোর্স ময়দানে তাকে ইট ও রড দিয়ে মাথায় অনবরত আঘাত করে। পরে অর্ধমৃত অবস্থায় ফেলে চলে যায়। সেই আঘাতেই ১৯৬৯ এর ১৫ আগস্ট ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আবদুল মালেকের মৃত্যু হয়। তিনি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
আবদুল মালেক জানতেন, ‘শিক্ষা হচ্ছে মানুষের আত্মসত্তাকে উন্নত করার প্রচেষ্টার নাম।’ যেমনটি বলেছিলেন আল্লামা ইকবাল। শিক্ষার মাধ্যমে বিকশিত হবে মানুষের ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা গুণাবলি ও সুন্দরতা। শিক্ষা আলো হয়ে খুলে দেবে দৃষ্টি, যার ফলে মানুষ জানবে নিজেকে, নিজের জগতকে। পার্থিব জীবন ও আত্মিক জীবন হাত ধরাধরি করে অগ্রসর হবে। সুন্দর ও পবিত্র জীবনের আকাক্সক্ষা সামনে রেখে মানুষ হিসেবে প্রগতি অর্জিত হবে মানুষের। মানুষের যে প্রগতি ঘটে মানুষ হিসেবে, সেখানে নিয়ন্ত্রিত থাকে পশুর পিপাসা, অবদমিত থাকে লোভ, শঠতা, নিষ্ঠুরতা, প্রবৃত্তির উসকানি, বরং বিকশিত ও উজ্জীবিত হয় মানব প্রকৃতির দাবি ও চাহিদা। এটি হয় দেহ, আত্মা ও মনের যৌথ বিকাশের মধ্য দিয়ে। এতে ভারসাম্য থাকবে যতটা, বিকাশ টেকসই হবে ততটা।
জন মিল্টন এ বাস্তবতার কারণেই বলেছিলেন Education is the harmonious development of body, mind and soul অর্থাৎ ‘দেহ, মন ও আত্মার সমন্বিত ভারসাম্যপূর্ণ উন্নতির নামই শিক্ষা।’ শহীদ আবদুল মালেক চাইতেন শরীর, মন ও আত্মার সুষম বিকাশের জন্য যে আদর্শ জরুরি, সেই আদর্শের অঙ্গীকারকে শিক্ষায় প্রতিস্থাপন। সন্দেহ নেই, সেই আদর্শ ইসলাম।
আবদুল মালেক যে চিন্তাসম্পদ রেখে গেছেন, তার কি মৃত্যু হয়েছে, হতে পারে? তার মৃত্যুর ছয় দিন পরে দৈনিক আজাদে (২২ আগস্ট, ১৯৬৯) প্রকাশিত হয় তার একটি রচনা। দীর্ঘ এই রচনা-শিরোনাম প্রত্যয়ের আলোকে আমাদের জীবন। সেখানে দেখা যায় তরুণ এক ভাবুককে, চিন্তককে। যার রচনায় বাঙময় হচ্ছে বিকাশমান এক দার্শনিক কণ্ঠস্বর। আবদুল মালেকের অন্যান্য রচনায়ও সজাগ ভাবুকের সাক্ষাৎ মেলে। যা তিনি বিশ্বপরিস্থিতি শিরোনামে লিখেছেন মাসিক পৃথিবীর বিভিন্ন সংখ্যায়।
তবে আবদুল মালেকের জীবনের শেষ লেখা হলো ‘আদর্শ জীবন’। যা প্রকাশিত হয় ঢাবির জৈব-রসায়ন বিভাগের মাসিকপত্র করেন্ট-এ।
আদর্শ জীবন ছিল ধর্ম ও আধুনিক চিন্তা-দর্শনজাত রচনা। ভাব ও ভাষা ছিল স্পষ্ট। গভীর জীবনদৃষ্টি ছিল তার। সাথে ছিল প্রকাশের ঋজুতা। তার বয়ান ও বয়নে ছিল লড়াকু আমেজ। তার একটি দার্শনিক অভিমুখ ছিল। জীবন সম্পর্কে দৃষ্টির প্রসার ছিল এবং ছিল স্বচ্ছ অবলোকন।
আবদুল মালেকের আদর্শ জীবন-ভাবনার বুনিয়াদে আছে ঈমান-বিশ্বাস। তিনি এর আলোকে বিশ্লেষণ করতে চান জীবনকে। স্রষ্টায় সমর্পণ তার নিছক আধ্যাত্মিক অবস্থান নয়, এতে তার বৌদ্ধিক প্রতীতিও স্বচ্ছ। আবদুল মালেক এই আলোচনা বিস্তারের মধ্য দিয়ে যে সিদ্ধান্তে কায়েম হন, তা হলো (ক) সৃষ্টি প্রকৃতির দিক দিয়ে মানুষ নিরঙ্কুশভাবে স্বাধীন নয়। (খ) কোনো না কোনো সত্তার আনুগত্য মানুষের জন্মগত বৈশিষ্ট্য।
এ বৈশিষ্ট্যের কারণেই বোধ হয় আধা নাস্তিক এক দার্শনিক বলেছিলেন ঈশ্বর যদি না-ও থাকে, তবুও নিজের প্রয়োজনে একজন ঈশ্বর সৃষ্টি করে নাও।
ঠিক প্রত্যয়ের এই জায়গায় দৃষ্টি দেন আবদুল মালেক। দেখান ইন্দ্রিয়জ বিষয়বলিকে ট্রুথ ও রিয়েলিটি বিবেচনা করার সমস্যা। এই বিবেচনা মানুষের সব লক্ষ্য ও সাধনাকে সীমাবদ্ধ করে দেয় বস্তু ও বস্তুজগতের উন্নতির মধ্যে। মানবসত্তাকে করে দেয় অন্য বস্তুদের মতো, যা কতক অজৈব পদার্থের সমন্বয় মাত্র। মানুষের উন্নত মূল্যমান ও মানব প্রকৃতির উত্তম দিকগুলোকে করা হয় অস্বীকার। ফলে বস্তুবাদ মানবজীবনকে একটি প্রহসনে পরিণত করে।
আবদুল মালেক লেখেন : ‘পশ্চিমের সভ্যতায় আমরা পেয়েছি অনেক, হারিয়েছি তারও বেশি। মানবজীবনের গোটা কাঠামোকে ধ্বংস করেই এই সভ্যতা গড়ে তুলেছে এর সৌধ। বস্তুর উন্নতি জীবনের স্থায়িত্ব, শক্তি ও নিরাপত্তা আনতে পারেনি। প্রকৃতি জয়ের সংকল্প নিয়ে যে যান্ত্রিক সভ্যতার সৃষ্টি করেছিলাম- তা এখন আমাদেরই জীবনকে সংশয়ের আবর্তে নিক্ষেপ করেছে, বিঘ্নিত করেছে আমাদের গোটা অস্তিত্বকে, আমরা প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। আমাদের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি আমাদের জন্যই ধ্বংসযজ্ঞের আয়োজন করছে। প্রকৃতিবিজ্ঞান মানুষের জ্ঞানের সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে সত্য, কিন্তু তার বিবেক জাগিয়ে তুলতে পারেনি।’
আবদুল মালেক দেখান আধুনিক জীবন-দর্শনে পরম সত্য (Absolute truth) বলতে কিছু নেই। পুরাতন সত্যের সাথে নবাগত সত্যের সংঘর্ষের ফলে দুটোই বিলুপ্ত হচ্ছে আর সেখানে Synthesis হচ্ছে নতুন আর একটি সত্যের। তাও আবার আপেক্ষিক; ক্ষণকাল পরেই মিলিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক যুগ সভ্যতা জীবনের নৈতিক ও আর্থিক দিক অস্বীকার করে কেবল দৈহিক সত্তারই পুষ্টি সাধন করে যাচ্ছে। অখণ্ড জীবনকে খণ্ড খণ্ড ভাগে ভাগ করে ভিন্ন ভিন্ন Water tight compartment গড়ে তুলেছে। ...
পরম সত্যের অনুপস্থিতি কেবল ব্যক্তিকে আত্মারিক্ত করছে, তা নয়। মানবজাতির অতীতের সব শাশ্বত প্রতীতি ও অর্জনকেও করছে সংশয়ের শিকার। আবদুল মালেকের দৃষ্টি এ বাস্তবতাকে লক্ষ্য না করে পারেনি। এর ফলে সত্যবোধের যে দারিদ্র্য, তাকে তিনি খোলাসা করছেন এভাবে
‘জীবনের পরম সত্যগুলোর ক্ষেত্রেও আপেক্ষিকতাবাদের প্রয়োগের ফলে সৃজনশীল-মানুষের কর্মপ্রেরণা অনেকখানি কমে এসেছে। কারণ আমি আজ সে সত্যের সৃষ্টি করব তা আগামী প্রভাতের সূর্যোদয়ের আগেই বিলীন হয়ে যাবে। ক্ষণিকের স্থায়িত্বের জন্য নিশ্চয়ই আমার মনে কোনো বৃহৎ সৃষ্টির প্রেরণা জাগতে পারে না।’
আধুনিক সভ্যতা মানববিশ্বের বেঁচে থাকাকে ভীতির প্রান্তদেশে উপনীত করেছে। আণবিক শক্তির অপব্যবহার জীবনকে করে তুলেছে সন্ত্রস্ত। ব্যক্তিমন যেভাবে সত্যরিক্ততার ফলে সংশয়ে নিমজ্জিত, তেমনি সমষ্টি-মানুষও নিরাপত্তার অনুপস্থিতিতে বৃহত্তর সংশয়ে কাতর। এখানে বল যার, টিকে থাকার অধিকার তার, এমন তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
এই যখন বাস্তবতা, তখন আবদুল মালেক স্পষ্ট বলে দিচ্ছেন ‘বিজ্ঞানের জয়যাত্রা তাই সামগ্রিকভাবে মানুষের জীবনের কোনো সমৃদ্ধি আনতে পারেনি। সঙ্ঘাতের মুখে পড়ে পড়ে কেবল মানুষ মার খাচ্ছে জীবনে সৃষ্টি হয়েছে এক গভীর শূন্যতা।’
আল্লাহর থেকে পলায়ন করে নিশ্চিত বিশ্বাসের প্রত্যয় হারিয়েছে আধুনিক মন। মানবজাতিকে পরিচালনার আইন প্রণয়ন করছে কিছু মানুষ। কিন্তু মানুষ কিভাবে হতে পারে মানুষের জীবনবিধানের নিয়ন্তা, যেখানে মানবজাতির জন্য সুষ্ঠু বিধান দিতে হলে বিধানদাতার মধ্যে চারটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য থাকতেই হবে! আবদুল মালেক জানাচ্ছেন, বৈশিষ্ট্যগুলো :
‘প্রথমত, তাকে হতে হবে গোটা মানবজাতির ওপর ন্যায়পরায়ণ, যাতে কোনো মানুষের ওপর পক্ষপাতিত্ব না হয়।
দ্বিতীয়ত, তাকে মানুষের দৃশ্য-অদৃশ্য, অনুভূত-অননুভূত সব প্রকৃতির সাথেই হতে হবে পরিচিত।
তৃতীয়ত, তাকে একই সাথে হতে হবে সব মানুষের জন্যই কল্যাণকামী ও মঙ্গলময়।
চতুর্থত, মানুষের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের দ্রষ্টা হতে হবে।’
এটি তো স্পষ্ট সত্য যে, এই চার মৌলিক ও জরুরি গুণ কোনো মানুষের মধ্যে নেই। ফলে জীবন পরিচালনার জন্য যে বিধানই মানুষ দিচ্ছে, তা কল্যাণ সাধনে ব্যর্থ হচ্ছে। ‘একটি সমস্যার সমাধান দিতে গিয়ে হাজারো সমস্যার সৃষ্টি করেছে।’ ফলে এসব বিকলাঙ্গ আইন ও বিধানের হাতে মানুষের জীবনের শান্তি, মুক্তি ও প্রগতির সম্ভাবনা নেই। বরং বিপদের আশঙ্কা প্রতিনিয়ত।
জীবনবিধানদাতার চারটি মৌলিক বৈশিষ্ট্যের বিচারে সার্বভৌমত্ব ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতা কেবল আল্লাহরই হাতে অর্পণ করতে হয়। কেননা তিনি গোটা মানবজাতির জন্যই নিরপেক্ষ ও ন্যায়বিচারক। তিনিই কেবল মানুষের দৃশ্য ও অদৃশ্য প্রকৃতি নির্ণয়ের জ্ঞান রাখেন এবং অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সম্যক দ্রষ্টাও তিনিই। অতএব, আবদুল মালেক তার জীবন দর্শনের সত্যসন্ধানকে মোহনায় উপনীত করেন। কারণ পরম নিশ্চয়তার প্রতীতি তার হয়ে গেছে।
তিনি জানতেন তার উদ্দেশ্য। তার ভাষায়, ‘সৎগুণ ও সৎবৃত্তির বিকাশে মানুষের জীবন মনুষ্যত্বে ও মহত্বে পূর্ণ করে জীবন ও জগতের কল্যাণ সাধনই আদর্শ জীবনের চরম লক্ষ্য, পরম উদ্দেশ্য।’
যে তরুণরা চেয়েছিলেন আবদুল মালেককে নিয়ে লিখি, তারা ঠিকই একটি দৃষ্টান্ত সামনে আনতে চেয়েছেন। তরুণদের জন্য জ্ঞানে, দার্শনিক মননে, সামাজিক ও বৃহত্তর দায়িত্ববোধে, মানবকল্যাণের অঙ্গীকারে, আত্মদানের নিষ্ঠায় আবদুল মালেক এমন এক নজির, যার আবেদন ও আয়তন ক্রমপ্রসারমান।
লেখক : কবি, গবেষক
72.alhafij@gmail
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা