২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

জনপ্রশাসন দলীয়করণ ও সংস্কারের যৌক্তিকতা

-

একটি মজার ঘটনা। শুনেছি এক সাবেক প্রবীণ আমলার কাছ থেকে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ড. কামাল সিদ্দিকী ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের সাবেক গভর্নর আবদুল মোনেম খানকে জুতা ছুড়ে মেরেছিলেন। পরে তিনি সিএসপি হওয়ার পরীক্ষায় টিকে গিয়েছিলেন। নিয়োগের সময় বিষয়টি মোনেম খানের নজরে এলেও তিনি পূর্বপাকিস্তানের স্বার্থের কথা ভেবে কামাল সিদ্দিকীর নিয়োগে বাধা দেননি। ঘটনাটি এ জন্য বলছি যে, আমরা পাকিস্তানিদের দ্বারা নানাভাবে শোষণ ও বৈষম্যের শিকার হলেও সিভিল সার্ভিসে রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার কিছু নমুনা ছিল।

স্বনামধন্য কলামিস্ট ফরহাদ মজহার একবার বলেছিলেন, শেখ হাসিনা তার ভাষা এবং অনেক সময় আচরণের মধ্য দিয়ে নিজেকে যেভাবে উপস্থাপন করেন সেটি একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মর্যাদাসম্পন্ন নয় (৫ মার্চ, ২০০৯, দৈনিক আমার দেশ)। ফরহাদ মজহারের কথাটি বলার কারণ হলো, প্রশাসনে দলীয়করণ বিষয়ে চারদলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদে বলেছিলেন, ‘প্রশাসনে দলীয়করণের কারণে এখন কাজ করাটাই মুশকিল হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্র চালানোই কঠিন হয়ে গেছে। জোট সরকার সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের চাকরি খেয়েছে। তারা সশস্ত্র বাহিনীসহ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে।’ যেসব কর্মকর্তা ১৯৯৬ সালে জনতার মঞ্চে যোগ দিয়েছিল তাদের সাফাই গেয়ে তিনি সেদিন বলেছিলেন, ‘ওরা (বিএনপি) ভোট চুরি করেছিল, এ জন্যই ওদের চুরি করা ভোট রক্ষা করতেই জনতার মঞ্চ হয়েছিল। ...ওই সময় হাওয়া ভবনের তালিকা মতো পদোন্নতি হতো। মেধা যাচাই হতো না। জোট সরকার তাদের পছন্দের চাকরিজীবীদের এক বছরে তিনবার পদোন্নতি দিয়েছে। অপছন্দের চাকরিজীবীরা ওএসডি হয়ে থেকেছেন।’

স্মরণযোগ্য, ২০০৯ সালে বিএনপি সরকারের আমলে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল তাদের বিষয়গুলো রিভিউ করতে তখন ড. আলাউদ্দিন আহমদকে চেয়ারম্যান করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশ মোতাবেক বহু কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ কার্যকরতা দিয়ে পদোন্নতি দেয়া হয়। তখন আওয়ামীপন্থী বলে পরিচিত অনেক অফিসার সচিবের পদমর্যাদা নিয়ে অবসরে যান এবং নানবিধ সুযোগ-সুবিধা লাভ করেন। ‘জনতার মঞ্চ’ মামলার দায় থেকে সাবেক সচিব ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীরসহ সাতজনকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

স্বাধীন বাংলাদেশের জনপ্রশাসনকে একটি সত্যিকার জনমুখী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার যে জন-আকাক্সক্ষা ছিল তা শুরুতে হোঁচট খায়। বস্তুত প্রশাসনে দলীয়করণ বা রাজনীতিকরণের যে অভিযোগ সেদিন শেখ হাসিনা করেছিলেন তা যে কতটা মেকি ছিল তা তার আমলে এবং তার পিতার আমলে সংঘটিত নির্লজ্জ দলীয়করণের উদাহরণ দেখলে সত্যটা জানা যাবে। ইতিহাসের পাতা থেকে জাজ্বল্যমান কয়েকটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরছি :

১. ১৯৭২ সালে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারে রক্ষীবাহিনী গঠন করা হয় এবং এ বাহিনীর নির্যাতনের কাহিনী বামপন্থী ও জাসদ নেতারা সবচেয়ে ভালো জানেন। ১৯৭৫ সালে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় ‘বাকশাল’ প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং সব সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বাকশালে যোগদানে বাধ্য করা হয়। বাকশাল কেন্দ্রীয় কমিটির ১১৫ সদস্যের মধ্যে ২১ জন ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। বাকশাল গঠন করে প্রতিটি জেলায় গভর্নর নিয়োগ দেয়া হয় যাদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিক উভয় ছিলেন। ৬২ জন গভর্নরের মধ্যে ১৪ জন ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। আওয়ামী লীগপন্থী সিএসপি, ইপিসিএস কর্মকর্তাদের কয়েক ধাপ ডিঙিয়ে ১৯৭২ সালে পদোন্নতি দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে সিনিয়রিটির তোয়াক্কা করা হয়নি। এক-দেড় বছরে তিনটি পদোন্নতি দেয়ার ঘটনা ঘটে শেখ মুজিবের আমলে। তখনকার সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সেকশন অফিসার থেকে উপসচিব এবং রাতারাতি যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয় সৈয়দ হোসেনকে। যুগ্মসচিব বানিয়ে তাকে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়। ইনি ছিলেন শেখ মুজিবের আপন ভগ্নিপতি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসে রাশিদুল হাসানকে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ দেন, যিনি ছিলেন শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। আবার ২০০৯ সালেও একইভাবে আলী কবিরকে করা হয় সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব। তিনিও শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। প্রশাসনে আত্মীয়করণের এর চেয়ে বড় দৃষ্টান্ত আর কী হতে পারে। সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে সচিব পদায়নের ঐতিহ্য ও প্রত্যাশা এভাবে বারে বারে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। শেখ মুজিব আমলে প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডার নং-৯ (পিও-৯) আদেশ জারি করে ঊর্ধ্বতন ৫১ জন ও অন্যান্য ৩০০ কর্মকর্তাকে ‘অন্যায়ভাবে’ চাকরিচ্যুত করা হয়। অনেককে ওএসডি করা হয়। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে একজন সিএসপি কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘সকালে পত্রিকা না পড়ে আমরা অফিসে যাই না। আগে নিশ্চিত হয়ে নেই যে, আমাদের চাকরি আছে।’ ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একই উক্তি শোনা গেছে।

২. ১৯৭৩ সালে কয়েক শ’ বিসিএস কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছিল। ‘মুক্তিযোদ্ধা ব্যাচ’ বলে খ্যাত এসব কর্মকর্তার প্রধান যোগ্যতা ছিল রাজনৈতিক পরিচয়। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এক অনুষ্ঠানে নিজে এ ব্যাচের কর্মকর্তাদের ‘তোফায়েল ক্যাডার’ বলে ব্যঙ্গোক্তি করেছিলেন। ১৯৭৩ ব্যাচের কর্মকর্তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে বহু মুখরোচক কাহিনী সিভিল সার্ভিসে প্রচলিত আছে। উল্লেখ্য, এসএসসি মানের প্রশ্নপত্রের ওপর মাত্র ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা নিয়ে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, পিএসসি তাদের নিয়োগে সুপারিশ করেনি। ১৯৭৩ ব্যাচের কর্মকর্তা ১৯৯৬ থেকে ২০০০ সাল মেয়াদে দাপটে প্রশাসন চালিয়েছেন। যারা ১৯৯৬ সালে জনতার মঞ্চে গিয়েছিলেন তাদের ভালো ভালো পোস্টিং দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব সফিউর রহমান জনতার মঞ্চ নেতা হয়েও তিনি নির্বাচন কমিশনের মতো নিরপেক্ষ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৯৬ সালে বিএনপির বিরুদ্ধে সংগঠিত আন্দোলন ও ‘জনতার মঞ্চ’ নামক রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে কয়েকজন সচিবসহ বেশ কয়েকজন আমলার সক্রিয় অংশগ্রহণ আমলাতন্ত্রের রাজনীতি ও দলবাজির চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগে জনতার মঞ্চের সরকারি কর্মকর্তারা সারা দেশ সফর করে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের একটি দলের পক্ষে কাজ করতে প্রভাবিত করেন। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনের আগে একইভাবে সেসব কর্মকর্তা সাবেক কেবিনেট সেক্রেটারি এইচ টি ইমামের নির্দেশনায় বিভিন্ন জেলায় গিয়ে নির্বাচন প্রভাবিত করার কাজ অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় সম্পাদন করেন।

৩. ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পরে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সরকার জনপ্রশাসনকে দলীয়করণের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যায়। বিএনপি-জামায়াতপন্থীর তকমা লাগিয়ে শত শত কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়। এমনকি অনেককে চাকরিচ্যুত করা হয়। অনেকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। এদের অধিকাংশ ছিলেন মেধাবী, সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তা। ২০০৯ সাল থেকে শুরু হওয়ার পর বিগত ১৫ বছরে প্রশাসনের শত শত কর্মকর্তাকে বিভিন্ন উচ্চতর পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। দেখা গেছে, গোয়েন্দা বিভাগের মাধ্যমে প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও নিকট আত্মীয়-স্বজনের রাজনৈতিক পরিচয় চিহ্নিত করে তাদের নিয়োগ বা পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। প্রতিবার অভিযোগ উঠেছিল যে, মেধাবী, দক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে জুনিয়র ও অপেক্ষাকৃত মেধাহীন ও অদক্ষ কর্মকর্তাদের ঢালাওভাবে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। যেমন প্রথমে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৩৭০ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিতে গিয়ে ৫৪৩ জনকে সুপারসিড করা হয়েছিল। তখন গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল যে, সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) একটানা দু’দিন বৈঠক করে তিনটি স্তরে পদোন্নতির যে সুপারিশমালা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছিল, অনুমোদিত পদোন্নতির তালিকার সাথে তার কোনো মিল ছিল না। বিষয়টি নিয়ে সাবেক কেবিনেট সেক্রেটারি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেছিলেন, ‘বিধি লঙ্ঘন করে পদোন্নতি দেয়ার বিষয়টিতে আমার প্রবল আপত্তি রয়েছে। এতে প্রশাসন ও সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিপুলসংখ্যক মেধাবী কর্মকর্তাকে বঞ্চিত করে অপেক্ষাকৃত মেধাহীনদের রাজনৈতিক বিবেচনায় পদোন্নতি দেয়ার ফলে ভবিষ্যতে কর্মকর্তাদের মধ্যে মেধা, দক্ষতা ও সততার প্রতিযোগিতায় ধস নামবে। চাকরিজীবনে একজন কর্মকর্তার পদোন্নতি হচ্ছে তার কাক্সিক্ষত বিষয়। ২৫ বছর কিংবা ৩০ বছর ধরে সততা, আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে দেশসেবার মানসিকতা পুঁজি করে যখন নিরলসভাবে কাজ করে শেষ জীবনে এসে বঞ্চিত হন, তখন হতাশা আর ক্ষোভ তাকে গ্রাস করবে, এটি স্বাভাবিক। মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যাদের সরকার পদোন্নতি দেয়নি, কেন দেয়া হলো না সে কারণটি জানিয়ে দেয়া উচিত।’ তিনি আরো বলেছিলেন, ‘রাজনৈতিক বিবেচনাই যদি পদোন্নতির মাপকাঠি হয়, তাহলে কর্মকর্তাদের মধ্যে রাজনীতিকরণ বাড়বে। প্রশাসন তার নিজস্ব গতি হারাবে। নতুন ও অনভিজ্ঞ রাজনীতিকদের নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা গেলেও মেধাহীন ও অদক্ষ কর্মকর্তাদের দিয়ে কাক্সিক্ষত মানের প্রশাসন কায়েম করা যায় না।’ পদোন্নতি বঞ্চিতদের আপিলের সুযোগ দেয়া উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সাবেক কেবিনেট সচিব ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। পদোন্নতি বঞ্চিতদের প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি নিরপেক্ষ ব্যক্তি ড. আকবর আলি খানের সেদিনের প্রতিক্রিয়া আজকে যেন মূর্ত হয়ে আমাদের সামনে কথা বলছে। জনপ্রশাসনের মান ও ভারসাম্য এখন এক ক্রান্তিকালে উপনীত হয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা ও অধিকার ন্যায্যভাবে প্রতিষ্ঠায় একটি জনমুখী, জবাবদিহিমূলক ও দক্ষ সিভিল প্রশাসন গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।

২০২৪-এর বিপ্লবের পরে অন্তর্বর্তী সরকার ফাসিবাদী সরকারের আমলে জনপ্রশাসনে সংঘটিত বৈষম্য ও অবিচারের প্রতিকারের লক্ষ্যে সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানের নেতৃত্বে একটি কমিটি করে দিয়েছে। ওই কমিটি শত শত কর্মকর্তার আবেদন পায় এবং তা পরীক্ষা করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করেছে বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী ও বঞ্চিত কর্মকর্তারা ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় তাকিয়ে আছেন।

অন্যদিকে, সরকার একটি জনমুখী, নিরপেক্ষ, জবাবদিহি ও দক্ষ জনপ্রশাসন গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংস্কার প্রস্তাব প্রণয়নের দায়িত্ব দিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে। অন্যান্য কয়েকটি কমিটির সাথে ওই কমিটিও ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে আশা করা যায়।

লেখক : গবেষক ও সাবেক সচিব
[email protected]


আরো সংবাদ



premium cement