তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থায় স্থায়িত্ব দেবে
- ড. আবদুল লতিফ মাসুম
- ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:২৩
নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রাণ। গণতন্ত্র একটি বিশ্বাস, একটি আদর্শ। সবাইকে নিয়ে চলা গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত। ‘সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’ এটি গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র। ব্যক্তির বিশ্বাস, জীবনবোধ ও আচরণের উপর গণতন্ত্রের স্বার্থকতা নির্ভর করে। গণতন্ত্র এখনো পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় শাসনব্যবস্থা। সে গণতন্ত্র সংসদীয় হোক কিংবা রাষ্ট্রপতি শাসিত হোক, ব্যবস্থা হিসেবে পৃথিবীময় সমাদৃত।
যেকোনো ব্যবস্থা একটি নৈর্ব্যত্তিক বিষয়। ব্যবস্থাটির কার্যকারিতা নির্ভর করে সেসব মানুষের ওপর যারা ব্যবস্থাটি নিয়ে কাজ করে। ব্যক্তির মধ্যে যদি গণতান্ত্রিক জীবনবোধ না থাকে তাহলে বিধিব্যবস্থায় এটি প্রতিফলিত হওয়া কঠিন। ব্যক্তি ও ব্যবস্থার কার্যকারিতা নির্ভর করে সমন্বয়ের ওপর। কোনো কোনো দেশ ও সমাজে মূল্যবোধ হিসেবে এটি এতটাই প্রতিষ্ঠিত যে, শত শত বছর অতিক্রান্ত হলেও এর ব্যতিক্রম ঘটে না। আমরা ব্রিটেনকে গণতন্ত্রের দোলনা (Cradle of Democracy) বলি। সে দেশের সংবিধান একরকম অলিখিত। লিখিত যে অংশটুকু আছে তা নির্ভর করে শত শত বছর ধরে প্রচলিত বিধি-ব্যবস্থা, নিয়ম-কানুন ও রীতি-রেওয়াজের মাধ্যমে। গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিকতা অর্জন করেছে। সেখানে গায়ের জোর থাকলেও কেউ সংবিধান বদলায় না; বরং যত্ন ও আস্থার সাথে সেই চিরায়ত বিধিব্যবস্থা অনুসরণ করে। আমরা এতদঞ্চলের মানুষেরা ব্রিটিশের গোলাম থাকায় সংসদীয় ব্যবস্থাকেই শ্রেয়তর মনে করেছি। দীর্ঘ ঔপনিবেশিক শাসনামলে সংসদীয় ব্যবস্থার সাথে আমরা পরিচিত হয়েছি। তাই বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই সংসদীয় রাজনীতির ভিত্তিতে একটি সংবিধান রচিত হয়। সেখানে অনেক শক্ত কথা ও অনেক ভালো অধ্যায় সংযোজিত হয়।
বলা হয়ে থাকে, সমসাময়িক বিশ্বের লিখিত সংবিধানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধান উৎকৃষ্ট। বিশেষ করে মানবিক মৌলিক অধিকার সংরক্ষণে সংযোজিত অধ্যায়গুলো অত্যন্ত স্পষ্ট ও জোরালো। কিন্তু আমরা আগেই বলেছি, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটি ব্যক্তি তথা রাজনৈতিক নেতৃত্বের স্বভাব চরিত্র ও জীবনাচারের সাথে ঘনিষ্ঠ। ১৯৭২ সালে যে সংবিধানটি রচিত হলো তা যখন ব্যবহারিক পর্যায়ে যাত্রা শুরু করে তখন দেখা যায় শাসক দলের আসল চেহারা। তারা ভালো কথা দিয়ে পথ চলা শুরু করলেও কিছু দিনের মধ্যেই তারা নিজেরাই গণতন্ত্রের চেতনার বিপরীত কার্যক্রম শুরু করে। দ্বিতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে তারা জরুরি ব্যবস্থা আরোপ করে। এর পরপরই দুটো কালাকানুন ঘোষিত হয়। বিশেষ ক্ষমতা আইন বলে যেকোনো ব্যক্তিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক রাখার বিধান ঘোষিত হয়। অথচ এটি ছিল সংবিধানের ৩৩/১ ও ৩৩/২-এর সরাসরি লঙ্ঘন। তারা এখানেই সীমাবদ্ধ থাকেনি অত্যাচার-নিপীড়নকে ক্ষমতায় থাকার রীতিমতো নীতি হিসেবে গ্রহণ করে। শেখ সাহেব ১৯৭৪ সালের ৭ মার্চ লাল ঘোড়া দাবড়িয়ে দিয়ে প্রকাশ্যেই অন্যায়-অত্যাচারের নমুনা স্থাপন করেন। ১৯৭৫ সালে বাকশাল ঘোষণার মাধ্যমে একদলীয় শাসন কায়েম করেন। বহুদলীয় নির্বাচন ব্যবস্থা চিরকালের জন্য পরিত্যক্ত ঘোষিত হয়। সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে তারা এই ‘সাংবিধানিক ক্যু’ সম্পন্ন করেন।
এর আগে ১৯৭৩ সালে একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে বিরোধী দলকে মাত্র সাতটি আসন দেয়া হয়। ভোটডাকাতি, ব্যালট ছিনতাই, প্রার্থী হাইজ্যাক এবং ফলাফল ঘোষণায় ওলটপালট করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে নির্বাসনে দেয়া হয়। ১৯৭৩ সাল থেকে যে প্র্যাক্টিসের শুরু দীর্ঘকাল পরও সেই রীতি অব্যাহত থাকে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় তারা নিরঙ্কুশ আধিপত্য কায়েম করে। নির্বাচন ব্যবস্থা ব্যতীতই তারা ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার নীতি অনুসরণ করতে থাকে।
১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের বিজয়ের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বিএনপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। পরে জামায়াতের সহযোগিতায় সরকার গঠন করে। সরকারি দলের অধীনে নির্বাচন কখনোই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় না এই বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতে ইসলামী সর্বপ্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পেশ করে। তখন প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগ প্রস্তাবটি রীতিমতো হাইজ্যাক করে। ক্ষমতাসীন বিএনপি সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মেনে নেয়। ১৯৯৬ সালে একটি সাংবিধানিক নির্বাচনের পর বিএনপি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রণয়ন করে। সে সময়ে প্রণীত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রতি সব দল ও মতের সমর্থন লক্ষ করা যায়। বলা যায়, জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু ২০০১ সালে প্রণীত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনে বিএনপি জয়লাভ করলে আওয়ামী লীগ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। তারা নির্বাচন কমিশনার আবু সাইদ এবং রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিনকে বিশ্বাসঘাতক বলে অভিহিত করে। বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের মতো বিরল ব্যক্তিত্বও অপ্রিয় সত্য কথা বলতে গিয়ে বিব্রত হন।
২০০৬ সালের দিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আবারো রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর নেতৃত্ব নিয়ে উত্থিত রাজনৈতিক বিরোধ রক্তাক্ত অধ্যায়ের সূচনা করে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডব ঘটিয়ে আওয়ামী লীগ দেশে ওয়ান-ইলেভেনের নামে কথিত সেনাশাসন অনিবার্য করে তোলে। ২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সাজানো নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে। আওয়ামী লীগ নিশ্চিত হয়, যেকোনো ধরনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনে তাদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। তাই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপের সিদ্ধান্ত নেয় ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনী আইনে ২০ ও ২১ ধারার মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ৫৪টি ক্ষেত্রে সংযোজন, পরিমার্জন ও প্রতিস্থাপন আনা হয়েছিল।
গত ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়ে বলা হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তি সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী ২০ ও ২১ অনুচ্ছেদ সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক, এ ব্যবস্থা জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী সংবিধানে অন্তর্র্ভুক্ত হয়েছিল এবং এটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশে পরিণত হয়েছে। তবে পঞ্চদশ সংশোধনীর অন্যান্য বিষয় যেমন জাতির পিতার স্বীকৃতি, ৭ মার্চের ভাষণ ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণাসহ বাকি অনুচ্ছেদের বিষয় আগামী সংসদের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন উচ্চ আদালত। ফলে দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বানের যে বিধান করা হয়েছিল তা বাতিল হয়ে গেল। এর পরিবর্তে ভবিষ্যৎ নির্বাচন ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে এলো। রায়ে আদালত আরো বলেছেন, পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হয়েছে আর সেটি হচ্ছে গণতন্ত্র। তবে আইনজ্ঞরা বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফিরে এসেছে এখনই এটি বলা যাবে না। এ বিষয়ে আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন রয়েছে সেটি আবেদনকারীদের পক্ষে নিষ্পত্তি হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান মোতাবেক কার্যকর হতে পারবে।
আগেই বলা হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে আওয়ামী লীগের নেতিবাচক মনোভাব ছিল, অথচ তারাই জামায়াতকে সাথে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য প্রবল আন্দোলন সৃষ্টি করেছিল। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর তারাই আবার ১৩ বছর আগে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই বিধান বাতিল করে।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকেন্দ্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত থাকে। এ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপি-জামায়াতসহ সব বিরোধী রাজনৈতিক দল আন্দোলন-সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তা প্রতিহত করে। ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতের রায়টি ঐতিহাসিক এবং অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ রায় বলে প্রশংসিত হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা ছাড়া আরোপিত অন্যান্য বিষয়ে রাজনীতিকদের ওপর ছেড়ে দিয়ে আদালত প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন বলে মনে করেন আইনজীবী, বিরোধী দল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করে, যেহেতু আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সংবিধানের মূল কাঠামো বলে উল্লেখ করেছেন এবং আপিল বিভাগে বহাল থাকা যেহেতু অনেকটা নিশ্চিত, সেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ভবিষ্যতে কেউ বাতিল করতে পারবে না। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলে কর্তৃত্ববাদী সরকার ব্যবস্থা কখনো প্রতিষ্ঠিত হবে না। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, আন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাধায়ক সরকারে রূপ দেয়ার প্রক্রিয়া কেমন হবে তা নির্ধারণ করবে সুপ্রিম কোর্ট। সাধারণভাবে বোঝা যায়, আগামী নির্বাচনের আগেই হয়তো সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রায়োগিক দিক নির্ধারণ করবেন।
রাজনৈতিক পর্যক্ষেক মহল মনে করে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র স্থায়িত্বের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন নির্বাচন সমস্যার স্থায়ী সমাধান করবে। এ রায়ের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসার দ্বার উন্মোচিত হলো। তবে প্রাথমিক মন্তব্যে আমরা যে আশা ও আশক্সক্ষা প্রকাশ করেছি সে বাস্তবতা থেকেই যায়। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এই রায় নির্ভর করবে ভবিষ্যতে কিভাবে আচরণ করা হয় তার উপর। গণতন্ত্র ফিরে আসা, গণতান্ত্রিক উত্তরণ মানে একটি পরিবর্তন। সবাই যদি আচরণে পরিবর্তন আনে, রাজনীতিকরা যদি তাদের আচরণে পরিবর্তন আনেন, সবাই নিজেদের করণীয় ঠিক করেন, তাহলে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। আর তা না হলে ফিরবে না।
এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের পাশাপাশি নাগরিকের বাকস্বাধীনতা হরণের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিত হয়। শেখ হাসিনা সরকার দানবে পরিণত হয়।
উন্নত সংসদীয় ব্যবস্থায় জাতীয় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারের অধীনেই অনুসৃত হয়। গ্রেট ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ভারতসহ সংসদীয় বিশ্বে এই ধারাবাহিকতা চলে আসছে। সেই বাস্তবতায় সংসদীয় জাতীয় নির্বাচন ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই হওয়া উচিত। মজার বিষয় হলো বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে প্রথমে বিএনপি এবং পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ একই যুক্তি প্রদর্শন করেছে। তবে বিএনপি সহজেই রাজনৈতিক বাস্তবতা মেনে নিয়েছে। আর আওয়ামী লীগ যখন দেখেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তার জন্য বুমেরাং হওয়ার উপক্রম, তখন লাজলজ্জা, রীতিনীতি ও ভদ্রতা-সভ্যতা কোনো কিছুরই তোয়াক্কা না করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে।
রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রথম থেকেই আওয়ামী লীগ নাজিবাদ তথা ফ্যাসিবাদী প্রবণতায় ভুগছে। ১৯৭০ সালে নির্বাচন থেকে ২০২৪ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে এসেছে তার একটিও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। জাতীয় নির্বাচনে তারা গণতন্ত্রের পরিবর্তে দলতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছে। এমনকি গ্রামীণ নির্বাচনগুলোকেও তারা নিকৃষ্ট দলতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করেছে। উচ্চ আদালতের রায়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনগুলো (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচন বাদে) সবগুলোই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা যায়। উল্লেখ্য, এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার কমিশন অনুরূপ সুপারিশ ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশের জনগণের চরিত্র-বৈশিষ্ট্য ও মনস্তাত্ত্বিক অবস্থান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অনুবর্তী। জনমত নির্বিশেষে সবাই যত শিগগিরই সম্ভব তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মেনে নেবেন ততই দেশ-জাতি-রাষ্ট্রের মঙ্গল।
লেখক : অধ্যাপক (অব:), সরকার ও রাজনীতি বিভাগ,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা