বিপ্লবের তত্ত্ব, উপসংহারের দায়
- মুসা আল হাফিজ
- ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:০৭
নিকোলো মেকিয়াভেলি (১৪৬৯-১৫২৭) রাষ্ট্রকে এমনভাবে গঠন করতে চান, যা বিপ্লবের হুমকি সহ্য করতে পারে। তার রাষ্ট্রের চাই ক্ষমতা। তিনি সরকারের কাঠামোগত পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন বটে, কিন্তু তা ক্ষমতার জন্য, বিপ্লব মোকাবেলার পথ ধরে।
তবে জন মিল্টন (১৬০৮-১৬৭৪) রাষ্ট্রের চরিত্রের চেয়ে সমাজের সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়েছেন বেশি। একটি সমাজ তার সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে রাষ্ট্রকে বিপ্লবের মাধ্যমে সাহায্য করবে, তিনি এর পক্ষে ছিলেন। অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্য বিপ্লব হলো সমাজের অধিকার, যা জনগণের চাহিদাকে প্রতিফলিত করার জন্য নতুন আদেশ তৈরি করে। ফলে বিপ্লবই স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যম। জার্মান দার্শনিক ইমানুয়েল কান্টের (১৭২৪-১৮০৪) বিচারে বিপ্লব হচ্ছে অগ্রগতির শক্তি। সমাজের জন্য একটি উচ্চতর নৈতিক ভিত্তির উপলব্ধির জন্য বিপ্লব একটি ‘প্রাকৃতিক’ পদক্ষেপ। এ কোনো অস্বাভাবিকতা নয়; বরং স্বাভাবিকতার চাহিদা। কান্টের এই তত্ত্ব ভূমিকা রাখে আমেরিকান ও ফরাসি বিপ্লবের প্রেরণা গঠনে।
বিশ শতকের বিপ্লবী চিন্তার গঠনে জার্মান দার্শনিক হেগেল (১৭৭০-১৮৩১) ও কার্ল মার্কসের (১৮১৮-১৮৮৩) প্রভাব ছিল প্রখর। হেগেলের কাছে বিপ্লব ছিল মানুষের ভাগ্যের পরিপূর্ণতা। তার তত্ত্বের বিমূর্ততাকে শ্রেণিসংগ্রামের রূপকল্পে খাড়া করেন মার্কস। এখানে লড়াইটা মূলত সমাজের অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণ ঘিরে। মার্কস প্রস্তাব করেন, মানব ইতিহাসের প্রগতিশীল পর্যায়ের কথা। যার পরিণতি নিশ্চিত হবে শ্রমজীবী মানুষের হাত দিয়ে। সর্বহারাদের দ্বারা উৎপাদনের উপায় দখলের মধ্য দিয়ে, সম্পত্তি-মালিকানাধীন শ্রেণীর উৎখাতের মধ্য দিয়ে। মার্কসের বিচারে এটি হচ্ছে স্বাধীনতার জন্য মানব সংগ্রামের উপসংহার।
পশ্চিমা চিন্তারাজ্য বিপ্লব নিয়ে বিস্তর ভাষ্য নির্মাণ করেছে। বিপ্লবপূর্ব একটি সমাজ কিভাবে বিপ্লবের জন্য তৈরি হতে থাকে, এর ওপর আলোকপাত করেছেন আমেরিকান ইতিহাসবিদ ক্রেন ব্রিনটন (১৮৯৮-১৯৬৮)। সামাজিক ও রাজনৈতিক উত্তেজনার সংমিশ্রণ কিভাবে সমাজের মূল্যবোধের ক্রমবর্ধমান ভাঙনের হাত ধরে এগিয়ে যায় এবং তা কিভাবে রাজনৈতিক কর্তৃত্বের ভাঙন অবধারিত করে, তার ব্যাখ্যা হয়েছে বিস্তর। কিন্তু একটি সাধারণ ব্যাপার প্রতিটি বিপ্লবেই চোখে পড়ে। তা হলো, শাসক শ্রেণীর ক্ষমতাচর্চার প্রতি ক্রমবর্ধমান গণনারাজি আর বিপরীতে ক্ষমতা জারি রাখার জন্য শাসকদের ক্রমবর্ধমান জবরদস্তি। জবরদস্তির ওপর সে অব্যাহতভাবে নির্ভরশীল হতে থাকার ফলে বিচ্ছিন্ন, নিঃসঙ্গ ও আতঙ্কিত শাসক শ্রেণী পতন ও বিনাশের দুঃস্বপ্নে অস্থির থাকে। যতই ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত হয়, ততই সে হিংস্র হয়ে ওঠে।
সে চায় না বিপ্লব হোক। কিন্তু বিপ্লবের আয়োজনকে সে নিজেই আমন্ত্রণ করতে থাকে। রাজনৈতিক কর্তৃত্বের দুর্নীতি জোরদার হয় এবং বিপরীতে বিপ্লবের উপাদানগুলোর উত্থান হতে থাকে।
বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিজের কদাকার চিত্র ও চেহারাকে একসময় আর গোপন রাখতে পারে না। তখন তার বিপরীতে সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা গতি লাভ করে। এই গতি ঝড়ের তীব্রতা লাভ করে।
কর্তৃত্ববাদী অসহিষ্ণুতাও চরমে পৌঁছে। বিপ্লব তখন তার শক্তি প্রদর্শন করে। সরকারের পতন ঘটে। তারপর কী ঘটে?
শুরুতে সাধারণত আশাবাদী আদর্শবাদের একটি সময়কাল থাকে। স্বপ্ন, উচ্চাশা ও পরিপূর্ণতাবাদী বাগ্মিতায় পূর্ণ এই সময়কাল। কিন্তু কালটি হয় সংক্ষিপ্ত। অচিরেই বিপ্লবীদেরকে শাসনের ব্যবহারিক কাজগুলোর মুখোমুখি হতে হয়। তখন তাদের মধ্যে মধ্যপন্থী ও র্যাডিকেল ধারার বিভক্তি তৈরি হয়। সাধারণত এ সময় মধ্যপন্থীদের পরাজয় ঘটে। যে সমাজে ঘটনাটি ঘটে, সেখানকার প্রবণতাগুলোর ভেতর থেকে উত্থিত র্যাডিকেলাইজেশনের প্রতি তখন ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ করা যায়। তৃতীয় বিশ্বে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবগুলোও এই বাস্তবতার মধ্য দিয়ে গেছে। বিপ্লবের লক্ষ্যগুলো তখন নিখোঁজ প্রতিশ্রুতিতে পরিণত হয় এবং একটি সর্বগ্রাসী ক্ষমতা নতুন অবয়বে দৃশ্যমান হয়।
কিন্তু এর মোকাবেলা করতে পারে সেই বিপ্লব, যা সামাজিক বীজতলার প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়। প্রকৃতপক্ষে জৈবনিক বাস্তবতার প্রতিটি জরুরি জমিতে সেই বিপ্লবের শর্ত নির্মাণ করতে হয় আগ থেকেই। তাহলেই পরিবর্তনটি বিপ্লবাত্মক রূপান্তরের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রের পরিগঠন করতে সক্ষম হয়। সামাজিক এই তৈয়ারি যখন ঘটে না, তখন পরিবর্তনটা ঝড়ের বেগে এলেও বিপ্লবের ফলাফল নতুন সঙ্ঘাতের চোরাবালিতে হারিয়ে যায়। ফলে যে বিপ্লব সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রস্তুতি ও রূপান্তর দ্বারা চালিত নয়, তার মাধ্যমে রাজনৈতিক কর্তৃত্বের পরিবর্তন ঘটলেও তাকে বোধ হয় অভ্যুত্থান বলা সঙ্গত। তবে সে যদি ক্ষমতাকাঠামোর বিস্তৃত রূপান্তর নিয়ে আসে, তাহলে বিপ্লব অভিধা থেকে সে বঞ্চিত হবে না। আমেরিকা ও মেক্সিকোর বিপ্লব এ কারণেই বিপ্লব।
বাংলাদেশে জুলাইয়ে সংগঠিত লাল বিপ্লবের প্রাথমিক পরিণতি ছিল ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান। দ্বিতীয় ধাপে সে সংস্কারের দিকে এগোতে গিয়ে বিচিত্র সঙ্কটের মধ্যে খাবি খাচ্ছে। আমি যদি তার তৃতীয় ধাপের কথা বলি, সেটি হলো রিকনসিলিয়েশন, যা দ্বিতীয় ধাপের যথার্থ, দক্ষ ও ইনসাফপূর্ণ বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করছে। কিন্তু এই ধাপে সে নিজের দুর্বলতার মুখোমুখি হয়েছে, হচ্ছে। কারণ এই দুর্বলতা আমাদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক বাস্তবতা, অপ্রস্তুতি বা অসম্পন্নতার সাথে সম্পর্কিত। কোনো অলৌকিক জাদুবলে রাতারাতি এর প্রতিবিধানের পথ দেখি না। এর মানে হলো সামাজিক-সাংস্কৃতিক তৈয়ারির জায়গায় অপরিণত বিপ্লবকে পরিণত হতে হবে। যার অর্থ হলো, এটি একটি অসমাপ্ত বিপ্লব। তথা বিপ্লবটি এখনো বিপ্লবীদের সেবা চায়। সে চলমান।
এই জায়গায় একটি প্রশ্নের মীমাংসা জরুরি। এই বিপ্লবকে আমরা কোন দার্শনিক পটভ‚মিতে দেখব? বিপ্লবের দার্শনিক দিক মূলত সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। এটি এমন এক প্রক্রিয়া, যা একটি বিদ্যমান ব্যবস্থা বা কাঠামোকে উৎখাত করে নতুন কাঠামো কায়েম করতে চায়। বিপ্লব সমাজের প্রাকৃতিক অগ্রগতির অংশ হয়েও নতুন ধারার সূচনা করে। তাকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত নিশ্চিত করতে হয়। কিন্তু কিসের ওপর ভিত্তি করে তা করবে জুলাই বিপ্লব? অবশ্যই সেই ভিত্তির নাম বৈষম্যহীনতা। যাকে ইনসাফ বলাটাই ন্যায্য। জুলাই বিপ্লবের মূলীভূত স্লোগানের সার কথায় নিহিত ছিল তার দর্শন ও প্রতিশ্রুতি।
কিন্তু এই ইনসাফ ও বৈষম্যহীনতা জটিল এক প্রক্রিয়া। কারণ তা নিছক জনগণ বনাম জনগণের মধ্যে নয়; বরং রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যেও। ফলে বিপ্লবকে রাষ্ট্র ও জনগণের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে হবে। তা করার জন্য আমরা কোনো জটিল তত্ত্বের জোড়াতালির পক্ষে নই; বরং আমাদের মতে, বিপ্লবের কারণের মধ্যেই সেই সম্পর্কসূত্র বিদ্যমান। বিপ্লব কখন নৈতিক কর্তব্যে পরিণত হয়? যখন রাষ্ট্র বা সরকার জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ণ করে। এর মানে হলো- বিপ্লব চায় নাগরিক ও রাষ্ট্রের এমন সম্পর্ক, যেখানে রাষ্ট্র নাগরিকদের ওপর জবরদস্তি করবে না, অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করবে না।
কিন্তু আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার চরিত্রের মধ্যে শক্তিবাজি ও হস্তক্ষেপের প্রবণতা প্রশস্ত। ক্ষমতাকাঠামোকে সে এমনভাবে উৎপাদিত করে, যা নানাভাবে ব্যক্তির স্বাধীনতা খর্ব করে। অধিকারের ওপর জবরদস্তি কায়েম করে। স্বাধীনতা দেয়ার নামে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। ফলে বিপ্লবের প্রকৃত উপসংহার হবে নিপীড়নের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি।
তাহলে বিপ্লবের অর্থ কী দাঁড়াবে? তখন তার অর্থ হলো ব্যক্তি বা জনগণের অস্তিত্বের সত্যিকার অর্থ খুঁজে পাওয়ার একটি প্রক্রিয়া। বিপ্লবের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের এমন চেহারা দাঁড়াবে, যার আকাক্সক্ষা মূলত শাসন নয়, সালাহ। সালাহ কথাটির মানে হলো- বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ কল্যাণকারিতার সব মাত্রাকে আলিঙ্গন করে বিকাশ ও অগ্রগতির প্রক্রিয়া অবলম্বন করা। সালাহর দাবি হলো, অংশগ্রহণমূলক সহযোগী সমাজ। জুলাই বিপ্লবের কেন্দ্রে ছিল অন্তর্ভুক্তির গরিমা। এই অন্তর্ভুক্তি বিপ্লবে যেমন, বিপ্লব-পরবর্তী গঠনেও তেমন। সেই গঠন যেমন দৃষ্টির, তেমনি কৃষ্টির। তা কেবল আত্মিক বা নৈতিক নয়; বরং সৃজনশীলতারও। অতএব সালাহ বলবে বিপ্লব শুধু রক্তাক্ত পরিবর্তন নয়; বরং সে প্রযুক্তি, জ্ঞান ও চিন্তার ক্রমোন্নতি এবং শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনের উন্মুক্ত সম্ভাবনাও। আবার নৈতিক বা আধ্যাত্মিক পুনর্জাগরণের পথপরিক্রমাও।
সালাহ-তত্ত্বে বিচারে বিপ্লব একটি সমাজের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ, বিশ্বাস এবং সামাজিক আচার-আচরণের গভীর রূপান্তরের সাথে সম্পর্কিত। ফলে তার দাবি হলো সংস্কৃতির নতুন বন্দোবস্ত, যা সমাজের উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য। এই বন্দোবস্ত শিক্ষায়ও ঘটবে। যা সমাজে বিদ্যমান শাসক শ্রেণীর সাংস্কৃতিক আধিপত্যকে ভেঙে আবার গড়বে। সাম্রাজ্যবাদ-আধিপত্যবাদ ও শাসক শ্রেণী সংস্কৃতিকে ক্ষমতার গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ারে পরিণত করে। তারা নিজেদের আদর্শ এবং সংস্কৃতিকে প্রকৃত-ন্যায্য ও যথার্থ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। যা শোষণকে করে সহজতর। বাংলাদেশে এই ব্যাপার ঘটেছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ইত্যাদির উদ্দেশ্যমূলক প্রয়োগের আশ্রয়ে। বিপ্লব সফল হতে পারবে না এই দখলদারি ও কালচারাল ফ্যাসিবাদকে পরাজিত না করলে।
সংস্কৃতির বন্দোবস্তের কথা যখন বলছি, তখন আধুনিকতার অভিপ্রায়ের আলোকে বলছি না। কারণ আধুনিকতা প্রাচীনতাকে পরিহারের যে উদ্দীপনায় তাড়িত, সালাহদর্শন একে কবুল করে না; বরং তার বিচারে কল্যাণকর পুরনো এবং কল্যাণকর বর্তমানের সাযুজ্য স্থাপন জরুরি। পরিবর্তনই তার আসল চাহিদা নয়; বরং তাকে সহজাত স্বাভাবিকতা তথা ফিতরাতের আলোকে প্রতিস্থাপন হবে তার অন্বেষা।
বিপ্লব জানে, সমাজের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক উপরিকাঠামো সর্বদা আর্থিক কাঠামোর দ্বারা প্রভাবিত হয়। সে সমাজের উপরিভাগের বন্দোবস্তের সাথে নতুন অর্থনৈতিক কাঠামোর পথ তৈরি করে।
বিপ্লবের গোটা পরিক্রমার সেনাপতি হচ্ছে শিক্ষা। যা মানুষের চিন্তাভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গিকে গঠন করে, আকার দেয়, প্রভাবিত করে। ফলে শিক্ষাব্যবস্থাকে সে বিপ্লবের আকাক্সক্ষার আলোকে গড়ে নেয়। সমাজে কল্যাণী ও অগ্রসর চেতনা এবং মূল্যবোধের বিস্তার ও প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত হয়।
বিপ্লবের এই কর্মযজ্ঞ একটি বিকল্প রাজনৈতিক দর্শনের আশ্রয়ে নিজেকে এগিয়ে নেবে। এই দর্শন সালাহের পথ ধরে জনগণের সমবেত আকাক্সক্ষা ও সাধারণ অভিপ্রায়কে বহন করবে। ইরানের বিপ্লবে ধর্ম ছিল প্রতিবাদ প্রকাশের মাধ্যম, সে মানুষকে সামষ্টিকতা দিয়েছে। বলিয়েছে, শুনিয়েছে।
মিশেল ফুকো (১৯২৬-১৯৮৪) ইরানের বিপ্লবে মানুষের সমবেত ইচ্ছা প্রকাশের মাত্রা ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিবাদে অংশ নেয়ার সক্ষমতা অধ্যয়ন করেছেন। সেখানে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় দেখেছেন ‘শিয়া-ইসলাম’কে। তিনি একে বলেছেন রাজনৈতিক রুহানিয়াত।
বাংলাদেশের অসমাপ্ত জুলাই বিপ্লবে মুসলিম তরুণদের প্রেরণা, শহীদ হওয়ার শপথ, যৌথতা ও আত্মপ্রকাশের মাত্রায় ইসলামের ভ‚মিকা ছিল। রাজনৈতিক রুহানিয়াত এখানেও ছিল। কিন্তু বিপ্লবের প্রশ্নে সালাহদর্শন তথা বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ কল্যাণকারিতা ও যথার্থতার যে সমন্বয়, তা ঘটেছে বলা যাচ্ছে না। বিপ্লব তার দার্শনিক হাকিকতকে স্পর্শ করেনি। অপরিণত ও অসমাপ্ত বিপ্লব তাই এখনো অন্বেষণ করছে নিজের প্রকৃত উপসংহার। ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে সমাজ-সংস্কৃতির পরিগঠনের প্রক্রিয়ায় বিপ্লবের সেই চূড়া স্পর্শের দায় ইতিহাস আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে।
লেখক : কবি, গবেষক
[email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা