অর্থনৈতিক উন্নয়নে দুর্নীতি দমন
- ড. মো: মিজানুর রহমান
- ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৩
দুর্নীতি একটি ফৌজদারি অপরাধ। মূলত অবৈধ সুবিধা অর্জন বা ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য ব্যক্তি বা সংস্থা দুর্নীতির আশ্রয় নেয়। ঘুষ, প্রভাব বিস্তার, অবৈধ লেনদেন এবং আত্মসাতের মতো কার্যকলাপ দুর্নীতির অংশ এবং সেই সাথে অনেক দেশে আইনি অভ্যাস যেমন- লবিংও জড়িত। রাজনৈতিক দুর্নীতি ঘটে যখন অফিস-হোল্ডার বা কর্মচারী ব্যক্তিগত লাভের জন্য অফিসিয়াল ক্ষমতার ব্যবহার করে। তেমনি রাষ্ট্রীয় ছত্রচ্ছায়ায়ও দুর্নীতি সম্পাদিত হয়। দুর্নীতিকে অলিগার্কি, নারকো-স্টেট এবং মাফিয়া রাষ্ট্রে সবচেয়ে সাধারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে দুর্নীতি ধনী পুঁজিবাদী অর্থনীতিতেও বিদ্যমান যা যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাধা, উন্নয়ন ব্যাহত, সরকারকে অস্থিতিশীল ও গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত করে।
বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে দুর্নীতি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) ২০২৩ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, দুর্নীতির সূচকে বিশ্বের ১৮০ দেশের মধ্যে অধঃক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান ১০তম। দুর্নীতির পরিস্থিতি উন্নয়ন-সংক্রান্ত স্কোরে ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ২৪। সূচকের ঊর্ধ্বক্রম অনুযায়ী, বাংলাদেশ ১৪৯-এ নেমেছে। ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের গবেষণা অনুযায়ী, দুর্নীতি মূল্যায়নের তিনটি সূচক যেমন- বিশ্বে পূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশের সম্মিলিত স্কোর ৭৩, ত্রুটিপূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশের স্কোর ৪৮, হাইব্রিড দেশের স্কোর ৩৬ এবং কর্তৃত্ববাদী দেশের স্কোর ২৯। অথচ বাংলাদেশের স্কোর ২৪; এর মানে হলো কর্তৃত্ববাদী দেশের চেয়েও বাংলাদেশের অবস্থান খারাপ। তাদের মতে, বাংলাদেশে দুর্নীতি ও অবিচার পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশ থেকে মোট কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে তা সুনির্দিষ্ট করে জানা সম্ভব না হলেও বিভিন্ন ঘটনার ভিত্তিতে ধারণা করা যায়, বছরে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। এই দুর্নীতি ও অর্থ পাচারে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সহায়ক ভ‚মিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটও একই কাজে ব্যবহার হয়েছে। পাচারের প্রধান দুই মাধ্যম ব্যাংকিং এবং আমদানি-রফতানিতে মিথ্যা তথ্য। বিদেশী নাগরিকদের আয়করের মাধ্যমে, ভিসা কিংবা ওয়ার্ক পারমিট, হুন্ডি, স্বাস্থ্যসেবা ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে পাচার হয়েছে। জনস্বার্থে নেয়া প্রকল্পগুলোতে রাজনীতিবিদ, আমলা ও ঠিকাদারদের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আঁতাত রয়েছে। একেবারে নিম্নপর্যায় থেকে শুরু করে উচ্চপর্যায় পর্যন্ত এসব দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে।
টিআইবির ২০২১ সালের তথ্য মতে, বাংলাদেশে ৭১ শতাংশ থানা দুর্নীতির শিকার হয়েছে। জরিপে অন্তর্ভুক্ত ১৭টি খাত বিবেচনায় শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা। পরের দু’টি অবস্থানে রয়েছে পাসপোর্ট ও বিআরটিএ। অন্যদিকে, জরিপে অন্তর্ভুক্ত ঘুষদাতার ৭২ শতাংশ ঘুষ দেয়ার কারণ, ‘ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায় না’। অর্থাৎ ঘুষ আদায়ের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে প্রাক্কলিত মোট ঘুষের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কার্যক্রম
বাংলাদেশে দুর্নীতি দমনে প্রধান সংস্থা হলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এটি একটি স্বাধীন কমিশন যার নিরপেক্ষভাবে কার্যপরিচালনা করার স্পষ্ট বিধান রয়েছে। রাষ্ট্রপতির পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে কমিশনের বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা রয়েছে। তদন্তের সহায়তাকল্পে কমিশন সরকারসহ সরকারি যেকোনো কর্তৃপক্ষ থেকে যেকোনো তথ্য সংগ্রহে ক্ষমতাবান। যেহেতু দেশে দুর্নীতি ও দুর্নীতিমূলক কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে একমাত্র স্বীকৃত সংস্থা এটি।
তবে বিগত আওয়ামী সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেই স্বাধীন কমিশনটির ক্ষমতা, দক্ষতা ও কার্যকারিতা বাড়াতে বেশ কিছু কৌশলগত উদ্যোগ নেয়। ডিজিটাল কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রবর্তন, অ্যান্টি-মানিলন্ডারিং ইউনিট প্রতিষ্ঠা এবং সচেতনতামূলক কর্মসূচি প্রসারিত করা ইত্যাদি তার অন্যতম। তবে এ সময়ে দলীয় মতের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে পুরো ব্যবস্থাকে দলীয় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় এবং দুদকের সব ক্ষমতা ও সামর্থ্য মূলত সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনের জন্যই ব্যবহার করা হয়।
বাংলাদেশে দুর্নীতির ধারাবাহিক বিস্তার
স্বাধীনতার পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশের খারাপ পারফরম্যান্স অব্যাহত রয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি হিসেবে তার অবস্থান প্রতিফলিত করে। রাজনীতিবিদ, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও আইন প্রয়োগকারী পর্যন্ত দুর্নীতি বিস্তৃত। বিগত সরকারের ১৫ বছর এর পরিধি ও স্কেল উভয়ই তীব্র হয়েছে, এর মোকাবেলার জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
বাংলাদেশের এই দুর্নীতির শিকার হয়, সাধারণ নাগরিক, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীরা। ঘুষ ছাড়া সরকারি পরিষেবাগুলো দুর্লভ হয়ে উঠেছে, ফলে সরকারি অফিসে পরিষেবা ও কাজ বিলম্বিত হয়। আন্ডার দ্যা টেবিল লেনদেন বাংলাদেশে সরকারি পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। এই অভ্যাস শুধু সৎ নাগরিকদেরই ভোগায় না, অসৎ ব্যক্তিদের জন্য তা সুযোগও তৈরি করে। ফলস্বরূপ, প্রায়ই অযোগ্য সংস্থাগুলো পরিষেবার সুযোগ পায় এবং সব ক্ষেত্রে পরিষেবা দুর্বলতর হয়ে পড়ে। এর ফলে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রীর কারণে সেতু বা ভবন ধসে পড়ার ফলে অর্থনৈতিক এবং মানুষের জীবনের মর্মান্তিক ক্ষতি উভয়ই ঘটে। একইভাবে, প্রকল্পের খরচ প্রাথমিক অনুমানের বাইরে বেড়ে যায়। নাগরিকরা বর্ধিত টোল এবং করের মাধ্যমে আর্থিক বোঝা বহন করে। পদ্মা সেতু, পায়রা বন্দর, মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ঢাকা মেট্রোরেলসহ মেগাপ্রকল্পগুলো অন্তর্র্বর্তী সরকারের পর্যালোচনায় অতিরিক্ত ব্যয়ের একটি বড় উৎস হয়ে উঠেছে।
দুর্নীতি অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে এবং পরিচালন ব্যয় বাড়িয়ে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করে। দুর্নীতিবাজরা কম দামে জমি অধিগ্রহণ, ইউটিলিটি গ্রহণ, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগের ফলে বাজারের প্রকৃত ব্যবসার তুলনায় প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা ভোগ করে। এতে উদ্ভাবন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উৎপাদনশীলতাকে নিরুৎসাহিত করে। দুর্নীতি উল্লেখযোগ্য সামাজিক এবং পরিবেশগত খরচ তৈরি করে। সরকার যখন করের মাধ্যমে পর্যাপ্ত রাজস্ব বাড়াতে ব্যর্থ হয়, তখন দুর্বল সম্প্রদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অর্থায়নের জন্য সংস্থানের অভাব থাকে। পরিবেশের অবনতি ঘটে যখন দুর্নীতি চর্চা নদী ও বনের অবৈধ দখলের অনুমতি দেয়। ঘুষের মাধ্যমে রাস্তায় অযোগ্য যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয় এবং মারাত্মক দূষণে অবদান রাখে, জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করে এবং শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা হ্রাস করে। এই শর্তগুলো জনসাধারণের ব্যয় বৃদ্ধি করে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
সর্বোপরি দুর্নীতি গভীর চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে যা নৈতিক বিপদ। দুর্নীতি অনিয়ন্ত্রিত থাকলে আরো বেশি ব্যক্তি এতে জড়িত হতে উৎসাহিত হয়, তখন অন্যরা হতাশ ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দুর্নীতির মাধ্যমে সঞ্চিত সম্পদ ক্ষমতার উৎস হয়ে উঠলে জনসাধারণের ধারণা বদলে যায়, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা উচ্চ-প্রোফাইল ইভেন্টে যোগ দেয় এবং সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে।
বিপ্লবোত্তর সংস্কার কমিশন গঠন ও কমিশনের ভাবনা
দুর্নীতি সংস্কারের জন্য টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠিত হয়। কমিশনের প্রাথমিক ধারণায় দুদক সংস্কারের বিষয়ে বলা হয়, দুদক অনাকাক্সিক্ষতভাবে আমলাতন্ত্রের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। দুদকের বেশ কিছু দক্ষ এবং সৎসাহসী কর্মীকে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে; যাদের অনেকেই ভিক্টিমাইজড। দুদকের বেশির ভাগ কমিশনার ও শীর্ষ পদাধিকারীকে দলীয় রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ফলে, দুদকের আনুগত্য নিজস্ব ম্যান্ডেটের পরিবর্তে সরকারি আমলাতন্ত্র এবং তাদের রাজনৈতিক প্রভুদের সাথেই রয়ে গেছে, যার ফলে ক্ষমতায় থাকা লোকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। দুদকের আইন ও বিধিমালায় বেশ কিছু সংশোধনী এনে দুদককে অকার্যকর করা হয় এবং ক্ষমতা খর্ব করা হয়। এ ছাড়াও কালো টাকা বৈধ করার অনুমতি, সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি বাধ্যতামূলক করাসহ দুদকের কর্তৃত্ব খর্ব করতে অর্থপাচারবিরোধী আইন সংশোধন করা হয়।
মানিলন্ডারিং দুর্নীতির একটি বড় বহিঃপ্রকাশ যা রোধ করতে দুদককে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, অপরাধ তদন্ত বিভাগ এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়সহ বেশ কয়েকটি সংস্থার সাথে কাজ করার কথা ছিল যা করা হচ্ছে না। কারণ যারা এর সাথে জড়িত তারা প্রভাবশালী ছিল। দুদক সংস্কারের অংশ হিসেবে এই সংস্থাগুলোর দিকে নজর দিতে হবে। ক্ষমতার ক্ষুধার্ত রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও দলীয় আমলাতন্ত্র অব্যাহত থাকলে দুদক একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হলেও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। দলগত আমলাতন্ত্র রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহারের সাথে যোগসাজশে দুর্নীতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য কর্তৃত্ববাদের উপরিকাঠামো তৈরি করতে দেখা যায়।
এর জন্য করণীয়
অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে হলে দুর্নীতি-বিষয়ক আইনের সংস্কারের এখনই সময়। রাজনৈতিক সরকার এলে সে সুযোগ নাও পাওয়া যেতে পারে। এই সংস্কারের জন্য অন্যতম সুপারিশ হলো- দুর্নীতি দমন কমিশনকে রাষ্ট্রপতির অধীনে নিয়ে যাওয়া যেন সরকার অন্তত সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে না পারে। দুর্নীতি তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম সময়ভিত্তিক করা এবং ডিজিটালকরণের মাধ্যমে এর প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা। এর জন্য দুর্নীতি দমনের দুই-তৃতীয়াংশ জনবল সরাসরি পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ করা যেন এর কার্যক্রমে আমলাতন্ত্রের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ কমে।
দুদকের কার্যক্রম, দুদকের বাইরের কোনো পোশাদার সংস্থা দিয়ে বছরভিত্তিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা। দুদকের কোনো মামলার তদন্তে সরকারি কোনো সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন হলে তা দেয়ার ব্যাপারে সময়ভিত্তিক বাধ্যবাধকতা আরোপ করা। কেনাকাটা বা দরপত্রের মতো যেকোনো ক্ষেত্রে দায়মুক্তি দেয়া কঠিনতর করা। বড় দুর্নীতির ঘটনায় দুদকের পাশাপাশি স্বাধীন কোনো বেসরকারি সংস্থার সমান্তরাল তদন্তের অবকাশ রাখা। এ ধরনের কিছু যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করা যেতে পারে।
দুদকের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিয়োগে বয়সসীমা নির্ধারণ করে অর্থপাচার সাইবার দুর্নীতির অপরাধের অনুসন্ধানে দক্ষ জনবল থাকা প্রয়োজন। যাতে এ বিষয়ে সরকারি সংস্থার ওপর নির্ভরশীল হতে না হয়। দুদকের আইন সংস্কার করে যেকোনো প্রকল্প বা কর্মসূচি গ্রহণ এবং যেকোনো সরকারি ক্রয়ের পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়ন পর্যন্ত নিরীক্ষা ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের এখতিয়ার দেয়া উচিত। দুদকের বর্তমান সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করে করপোরেট তথা চুক্তিভিত্তিক করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ দেশী-বিদেশী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে যেকোনো সময়ে নিযুক্ত করার বিধান করা। দুদকের ভেতরে শুদ্ধাচার এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ডিজিটাল সার্ভিলেন্স ও দ্রুত অভিযোগ নিষ্পত্তি করার প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করা দরকার।
লেখক : অর্থনীতিবিদ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা