ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বিজয় এবং আগামী দিনের বিশ্ব
- ইকতেদার আহমেদ
- ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২১:২৮, আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২১:২৯
গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড জে ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী কমলা হ্যারিসের চেয়ে সাধারণ এবং ইলেকটোরাল ভোট বেশি পাওয়ায় বিজয়ী ঘোষিত হয়েছেন। তিনি হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভসের সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পুনঃনির্বাচিত হওয়া সাপেক্ষে ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ-পরবর্তী দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
য্ক্তুরাষ্ট্রের নির্বাচনী ইতিহাসে ইতঃপূর্বে ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়ে ট্রাম্প প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে সাধারণ ভোট কম পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ইতিহাসে ট্রাম্প দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট যিনি এক মেয়াদের ধারাবাহিকতার ব্যত্যয়ে পুনঃপ্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৫তম ও ৪৭তম উভয় নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বী মহিলা প্রার্থীকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
ট্রাম্পের দাদা-দাদী, নানা-নানী সবাই জন্মগতভাবে ইউরোপের অধিবাসী। ট্রাম্প স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় প্রজন্মের অভিবাসী। যুক্তরাষ্ট্র একটি অভিবাসীদের দেশ। এ দেশে ইউরোপবাসীদের মধ্যে সর্বপ্রথম হিস্পানিকদের প্রবেশ ঘটে। রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প যেসব বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণাকালীন সমরূপ যে অবস্থান গ্রহণ করেন তার অন্যতম- অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সীমিতকরণ, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের বিশেষত হিস্পানিক, ল্যাটিনো ও কালো প্রায় দুই কোটি নাগরিককে বিতাড়ন, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে নির্মিত প্রাচীরের সুরক্ষা সুদৃঢ়করণ, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বিশেষত শেতাঙ্গদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সমলিঙ্গের বিয়ে ও গর্ভপাত আইন বাতিল, রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নীতকরণ ও রাশিয়া-ইউক্রেন বিরোধের অবসানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, মধ্যপ্রাচ্যে আইএস ও সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের অর্থ এবং অস্ত্রসহায়তা বন্ধকরণ, ফিলিস্তিন-ইসরাইল বিরোধের সমাধান, চীনসহ যেসব দেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত করারোপের মাধ্যমে তা হ্রাসকরণ, বিদেশ হতে বিশেষত জাপান ও কোরিয়া থেকে ঘাঁটি প্রত্যাহার, ন্যাটোতে আর্থিক সহায়তা হ্রাস প্রভৃতি। উপরোক্ত প্রতিটি বিষয়ে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর অবস্থান ছিল রিপাবলিকান প্রার্থীর বিপরীত।
নির্বাচনী প্রচারণাকালীন বেশির ভাগ জনমত জরিপে দেখা গেছে, রিপাবলিকানের চেয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অগ্রগামী। নির্বাচনের ফল ঘোষণা পূর্ববর্তী য্ক্তুরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বের মানুষজনের মধ্যে দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, অনায়াসে ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে কর্মরত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের বিজয় ঘটবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প একমাত্র প্রার্থী যিনি আগে কখনো সশস্ত্রবাহিনীর কোনো পদে বা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রেসিডেন্ট ব্যতীত অপর কোনো পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন না। ট্রাম্প একজন আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবে ব্যবসায় প্রবেশ করেন। পরবর্তী সময়ে ভিন্নধর্মী ব্যবসায় সম্পৃক্ত হয়ে তার ভাগ্যের প্রসারে সমর্থ হন। রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ ট্রাম্প যখন প্রথম মেয়াদে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার দৌড়ে অবতীর্ণ হন; তখন অনেকের ধারণা ছিল আনকোরা ও রাজনীতিতে নবীন হিসেবে কিছুতেই দলীয় মনোনয়ন পাবেন না। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে তিনি দলীয় মনোনয়ন পেতে সমর্থ হন। তৃতীয় মেয়াদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির বিষয়টিও তার জন্য মসৃণ ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকানদের বলা হয় রক্ষণশীল এবং বিপরীত ডেমোক্র্যাটদের বলা হয় উদারপন্থী। আমাদের এ উপমহাদেশের জনমানুষের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে একটি ধারণা বিরাজ করছে যে, রিপাবলিকানরা পাকিস্তানের প্রতি সদয়। অন্য দিকে ডেমোক্র্যাটরা ভারতের প্রতি সদয়। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন দেখা গেছে, তৎকালীন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট নিক্সন ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিসিঞ্জারের অবস্থান ছিল পাকিস্তানের সপক্ষে। এ কারণে সঙ্গতভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপক্ষে। সে সময় ডেমোক্র্যাটদের অবস্থান ভারত ও আমাদের স্বাধীনতার সপক্ষে ছিল। তাই দেখা গিয়েছিল ডেমোক্র্যাট সিনেটর অ্যাডওয়ার্ড কেনেডি স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন ভারতে অবস্থানরত শরণার্থীদের অবস্থা স্বচক্ষে দেখতে শরণার্থীশিবির পরিদর্শন করে স্বাধীনতার সপক্ষে তার সহমর্মিতা ব্যক্ত করার প্রয়াস নেন।
আগেকার মতো এবারের নির্বাচনী প্রচারকালে আমাদের উপমহাদেশের রাজনীতি বিষয়ে ট্রাম্প বিভিন্ন সময়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন; তাতে অনুধাবন করা যায়, তিনি ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পছন্দ করেন। একই সাথে হিন্দুত্ববাদের সমর্থক। তার এ মনোভাবে ক্ষমতা গ্রহণ-পরবর্তী উপমহাদেশ বিষয়ে ডেমোক্র্যাট দলের যে দৃষ্টিভঙ্গি ছিল তার কিছুটা পরিবর্তন যদি ঘটে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট একাধারে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক। য্ক্তুরাষ্ট্র পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হওয়ায় এর বোতামের নিয়ন্ত্রণ প্রেসিডেন্টের ওপর ন্যস্ত। বিগত শতকের নব্বই দশকের প্রথম ভাগে ঠাণ্ডা লড়াইয়ের যুগের অবসান হলেও বর্তমান শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকের মধ্যভাগে তার আবার নতুনভাবে বহিঃপ্রকাশ ঘটলে বিশ্বব্যাপী তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোল দেখা দেয়। ট্রাম্প ও রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট পুতিন যে ব্যক্তিগতভাবে একে অন্যকে পছন্দ করেন তা প্রথম দফায় ট্রাম্পের নির্বাচনে বিজয়-পরবর্তী পুতিনের বক্তব্য ‘হিলারি বিজয়ী না হওয়ায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হয়েছে’ থেকে অনেকটা স্পষ্ট। ট্রাম্পের বিজয় পূর্ববর্তী রাশিয়া ও চীন যে সামরিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হয়েছিল তাতে ভাটা যে অত্যাসন্ন সার্বিক পরিস্থিতি অবলোকনে এমন আভাস পাওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান প্রার্থীর বিদায় ঘটলে সাত হাজার রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে নতুনভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। এ সাত হাজার পদের মধ্যে এক হাজার পদে নিয়োগ বিষয়ে সিনেটের অনুমোদনের আবশ্যকতা রয়েছে। সাম্প্রতিক নির্বাচন-পরবর্তী সিনেটে রিপাবলিকানরা অতি স্বল্প ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায় ট্রাম্পের পক্ষে এসব পদে মনোনয়ন দান-পরবর্তী অনুমোদন লাভে খুব একটা অসুবিধা না হলেও পরবর্তী সময়ে সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে এ ধরনের নিয়োগে মনোনয়ন-পরবর্তী অনুমোদনের ক্ষেত্রে যে ব্যাঘাত ঘটবে, সেটি অনেকটা নিশ্চিত বলা যায়।
ট্রাম্প অতীতের নির্বাচনী প্রচারণার মতো এবারো জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের যে ঘাঁটি রয়েছে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের জনসাধারণের করের টাকার সংশ্লেষ রয়েছে বিধায় তাপ্রত্যাহারের সপক্ষে বক্তব্য রেখেছিলেন। ট্রাম্পের বক্তব্য প্রদান-পরবর্তী জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিদেশ মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য থেকে জানা যায়, উভয় দেশের ঘাঁটি রক্ষণাবেক্ষণের সম্পূর্ণ ব্যয়ভার সংশ্লিষ্ট দেশ বহন করে। নির্বাচন-পূর্ববর্তী এ বিষয়ে ট্রাম্পের অজ্ঞতায় ট্রাম্প হয়তো এমন ধরনের বক্তব্য দিয়েছিলেন; কিন্তু তার বিজয়-পরবর্তী ক্ষমতা গ্রহণ অবধি নিয়মিতভাবে তিনি সে দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দ্বারা কৌশলগত বিষয়ে যে ধারণা লাভ করছেন; তাতে সে বিষয়টিসহ অপরাপর আন্তর্জাতিক বিষয়ে তার যে অবস্থানগত পরিবর্তন হবে সে প্রশ্নে দ্বিমতের অবকাশ ক্ষীণ।
মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিসহ উত্তর আফ্রিকার অস্থিতিশীলতা যে যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ ভ‚মিকায় যে ইরাকের সাদ্দাম ও লিবিয়ার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন; তা এখন আর সচেতন বিশ্ববাসী কারো অজানা নয়। এ বিষয়ে ট্রাম্পের অবস্থান তার নিজ দল রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের অনুসৃত পররাষ্ট্রনীতির বিপক্ষে হলেও শেষ অবধি গোয়েন্দা এবং রাজনৈতিক ও সামরিক চাপ উপেক্ষা করে তার অবস্থান যে ধরে রাখতে পারবেন না তা তিনি সম্পূর্ণ অনুধাবন করতে না পারলেও তার দেশবাসী ও বিশ্ববাসী অনুধাবন করতে পারছেন। আফগানিস্তান বিষয়ে ট্রাম্পের কৌশলগত অবস্থানে য্ক্তুরাষ্ট্র দেশটি থেকে তার নিজ দেশ ও সহযোগী দেশগুলোর সেনা প্রত্যাহার করে নেয় যা ধর্মীয় ভাবধারায় উজ্জীবিত গোষ্ঠীকে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীনে সহায়ক হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ও অংশগ্রহণ ছাড়া ইউরোপের সামরিক জোট ন্যাটো যে রাশিয়ার যেকোনো ধরনের আগ্রাসন মোকাবেলায় অক্ষম; তাতে সন্দেহ পোষণের কারণ অনুপস্থিত। ট্রাম্প নানা উছিলায় ন্যাটোর সাথে সম্পর্ক হ্রাসের পক্ষপাতী হলেও তার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক বৈশ্বিক স্বার্থ বিবেচনায় সে পথে হাঁটা যে সম্ভব হবে না তা বোধ করি তার উপলব্ধি হতে বেশি দূরে নয়।
ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে বিজয় পূর্ববর্তী ফিলিস্তিনের সপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী যে স্বতঃস্ফ‚র্ত বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে তা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নজিরবিহীন। ট্রাম্পের ব্যক্তিগত জীবন নানা কারণে বিতর্কিত সত্ত্বেও ইতঃপূর্বে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তা বাধা হয়ে ওঠেনি। ট্রাম্প বর্তমানে তার তৃতীয় স্ত্রীর সাথে বৈবাহিক জীবন অতিবাহিত করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ নাগরিক এক বা দুই সন্তানবিশিষ্ট পরিবারে আগ্রহী হলেও ট্রাম্প ও তার সন্তানদের ক্ষেত্রে দেখা যায় বহু সন্তানবিশিষ্ট পরিবারে আগ্রহী। ট্রাম্পের নিজের সন্তান সংখ্যা পাঁচ। তার বড় ছেলে ও বড় মেয়ের সন্তান সংখ্যা যথাক্রমে পাঁচ ও চারজন। ট্রাম্প জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হলেও তার তিন স্ত্রীর সবাই জন্মসূত্রে বিদেশী। ট্রাম্প সাদা সম্প্রসারণবাদী নীতিতে বিশ্বাসী। এটি অনেকটা উগ্র জাতীয়তাবাদের সমার্থক। য্ক্তুরাষ্ট্রের মতো বহুজাতিভিত্তিক অভিবাসীর দেশে এ ধরনের সাদা সম্প্রসারণবাদী নীতি যে ফলপ্রসূ হবে না তা সময় বলে দেবে।
ট্রাম্পের আচার-আচরণে প্রথমবার ক্ষমতারোহণ-পরবর্তী তার সমর্থনে ভাটা পড়লে দ্বিতীয়বার বিজয়ী হতে ব্যর্থ হন। প্রথম মেয়াদের অবসান-পরবর্তী তার বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মামলা দায়ের হয়েছিল যার একটিতে তিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। সাজা মাথায় নিয়ে তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হন। নির্বাচনী প্রচারণকালে এবং নির্বাচনে বিজয়-পরবর্তী ট্রাম্পকে সার্বক্ষণিক তার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা পরিবেষ্টিত দেখা যায়। ট্রাম্পের মতো পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক অপরাপর সদস্যরা ব্যবসায়ী।
যুক্তরাষ্ট্রের সচেতন নাগরিকদের অনেকে মনে করেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ-পরবর্তী প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প তার ব্যবসায়িক স্বার্থের অনুক‚লে এবং সে দেশের দীর্ঘ দিনের অনুসৃত রাষ্ট্রীয় স্বার্থের প্রতিক‚লে অবস্থানের কারণে অভিসংশনের সম্ভাব্য হুমকির সম্মুখীন হয়েছিলেন। তাই এ বিষয়ে তার অবস্থানগত পরিবর্তন না হলে দ্বিতীয় মেয়াদ যে তার জন্য স্বস্তিদায়ক হবে না তা সহজে অনুমেয়।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতিবিশ্লেষক
E-mail : [email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা