২৫ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১, ২১ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

সাংবিধানিক রাজনীতি ও জামায়াতে ইসলামী

-

তৃতীয় কিস্তি
১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান রচনা ও ১৯৭৫ সালে চতুর্থ সংশোধনীর সময় আওয়ামী লীগের একচ্ছত্র ভূমিকা ছিল। তখন জাতীয়তাবাদী দল ও জাতীয় পার্টির জন্ম হয়নি। জামায়াতে ইসলামীসহ সব ইসলামী দল ছিল নিষিদ্ধ। সংবিধানের পঞ্চম ও পরবর্তী সংশোধনীগুলোতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী পার্লামেন্টে সরাসরি ভূমিকা পালন করে। জামায়াতে ইসলামী সরাসরি সংবিধান রচনা বা সংশোধনীর সাথে জড়িত ছিল না। জামায়াত এককভাবে সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা কখনো পায়নি এবং তাদের সংসদীয় আসনসংখ্যা কখনো ২০ অতিক্রম করেনি। তবে দলটি ২০০১ সালে বিজয়ী বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের অংশীদার হিসেবে সরকারে অংশ নেয়। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল হিসেবে জামায়াতের সরকারে অংশগ্রহণ ও মন্ত্রিত্ব নেয়া ছিল চমকপ্রদ ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ ও সেক্যুলার এবং বাম ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলো বিষয়টিকে তীব্র বিরূপ দৃষ্টিতে দেখতে থাকে।

১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন সংবিধানে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল গঠন নিষিদ্ধ করা হয়। এর ফলে বিপাকে পড়ে ইসলামী দলগুলো। ইসলামী দলগুলোর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ছাড়া অন্যান্য দলের সাংগঠনিক ও জনভিত্তি উল্লেখ করার মতো ছিল না। তারা অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। জামায়াত গোপনে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে। দলের নেতাদের অনেকেই আত্মগোপনে বা দেশের বাইরে চলে যান। বিশেষ করে অধ্যাপক গোলাম আযমের নাগরিকত্ব বাতিল করা হলে তিনি বিভিন্ন দেশে অবস্থান করেন। দলের অন্যতম নেতা মাওলানা আবদুর রহীম সবার আগে নেপাল থেকে দেশে ফিরতে সক্ষম হন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিব নিহত হওয়ার পর আরেকটি সামরিক বিপ্লবের মাধ্যমে সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী এনে শুরুতে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ বাদ দিয়ে ‘আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও অবিচল আস্থা’ প্রতিস্থাপন করেন। জিয়া একদলীয় বাকশাল পদ্ধতি ও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল গঠন নিষিদ্ধের আইন বাতিল করেন। বহুদলীয় রাজনীতি ফিরিয়ে আনেন। তিনি গণভোটের মাধ্যমে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী ও তার ক্ষমতার বৈধতা গ্রহণ করেন। এর ফলে ইসলামী দলগুলো আবার পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সুযোগ পায়। জামায়াতে ইসলামী জেনারেল জিয়ার সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগকে স্বাগত জানায় এবং গণভোটেও সমর্থন জানায়।

জামায়াতে ইসলামী ‘ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক লীগ’ নামে নতুন দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও তারা অনানুষ্ঠানিকভাবে ‘জামায়াতে ইসলামী’ নামেই কাজ চালাতে থাকে। ইতোমধ্যে জিয়াউর রহমানের উদারনীতির কারণে জামায়াত নেতা অধ্যাপক গোলাম আযম দেশে ফিরে আসতে সক্ষম হন। কয়েক বছরের ব্যবধানে একদিকে ‘ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক লীগ’-এর শরিক দলগুলোর সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিরোধ দেখা দেয়। অন্যদিকে, জামায়াত নেতারা উপলব্ধি করেন, তারা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছেন। এমতাবস্থায় তারা মূল ‘জামায়াতে ইসলামী’ নামে দল পুনরুজ্জীবনের সিদ্ধান্ত নেন। এ সিদ্ধান্তের সাথে একমত হতে না পেরে দলের অন্যতম নেতা মাওলানা আবদুর রহীম জামায়াতে ইসলামীতে যোগ না দিয়ে ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক লীগে থেকে যান। তার সাথে জামায়াতের একটি ক্ষুদ্র অংশ রয়ে যায়। এদিকে সাবেক ইসলামী ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা মিলে ১৯৭৭ সালে গঠন করেন ইসলামী ছাত্রশিবির। নতুন উদ্যম ও উৎসাহ নিয়ে জামায়াত ও ছাত্রশিবির তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে। জামায়াতে ইসলামী ও অপর কয়েকটি দল মিলে ‘ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক লীগ’ নামে একটি নতুন দল গঠন করে ১৯৭৯ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়ে ১৮টি আসন লাভ করে।

১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করে সামরিক আইন জারি করেন। এরপর দীর্ঘ ৯ বছর এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন চলে তাতে জামায়াত ও ছাত্রশিবির সক্রিয় অংশগ্রহণ করে। এরশাদ সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে ‘রাষ্ট্রধর্ম’ ঘোষণা করলে জামায়াত তাকে সমর্থন দেয়নি। জামায়াতের মতে, এটি ছিল জেনারেল এরশাদের একটি রাজনৈতিক কৌশল।

জামায়াত ১৯৮৩ সালে জাতীয় নির্বাচন একটি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের ফর্মুলা পেশ করে। ১৯৯৬ সালে জামায়াতের ওই ফর্মুলার সাথে একাত্মতা পোষণ করে আওয়ামী লীগ গণ-আন্দোলনে সক্রিয় হয়। বিরোধী দলের দাবির মুখে বিএনপি সরকার কেয়ারটেকার সরকারের বিধান সংবলিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী সংসদে পাস করে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, সরকারে না থেকেও সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনীর বিষয়ে জামায়াতের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।

এরপর জামায়াত অনেকগুলো জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ১৮টি ও মহিলা আসন দু’টি নিয়ে মোট ২০টি, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে তিনটি, ২০০১ সালের নির্বাচনে ১৮টি এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে মাত্র তিনটি আসন লাভ করে। ইসলামী দলগুলোর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ছাড়া অন্য দলগুলোর সাংগঠনিক ও জনভিত্তি উল্লেখ করার মতো নয়। কিন্তু সবচেয়ে পুরোনো রাজনৈতিক দল হওয়া সত্ত্বেও জামায়াত নির্বাচনী দৌড়ে বেশ পিছিয়ে আছে। ২০০১ সালে তারা বিএনপির সাথে চারদলীয় জোট গঠন করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং বিএনপির সাথে সরকার গঠন করে। জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ মন্ত্রিসভায় যোগদান করেন। তারা সরকারে থাকাকালে সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন এবং তা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

জামায়াতে ইসলামী-বিএনপি-আওয়ামী লীগের জটিল সম্পর্ক : ১৯৭২ সালের সংবিধানে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করায় জামায়াতসহ ইসলামপন্থী দলগুলো মাথা তুলতে পারেনি। আওয়ামী লীগও বিষয়টিকে আর গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজনবোধ করেনি। তারা হয়তো ভেবেছিল, জামায়াত নামের দলটি ইতিহাস থেকে মুছে গেছে। অবশ্য স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী মুসলিম লীগ, পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি), নেজামী ইসলামীর মতো কিছু দল প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কিন্তু জামায়াত যে এভাবে আবার মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারবে তা অনেকেরই ধারণার বাইরে ছিল। জেনারেল জিয়ার নতুন রাজনৈতিক দর্শনের সুবাদে সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে জামায়াতসহ ইসলামপন্থী দলগুলো আবার সংগঠিত হতে শুরু করে। ১৯৭৯ সালে সংসদ নির্বাচনে জামায়াত নেতৃত্বাধীন ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক লীগ (আইডিএল) অংশ নেয়। তখন মুসলিম লীগের সবুর খানের মতো জাঁদরেল নেতাসহ অনেক ‘স্বাধীনতাবিরোধী’ বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে পার্লামেন্টে এসেছিলেন। জামায়াত নেতা মাওলানা আবদুর রহীমও পিরোজপুর থেকে নির্বাচিত হন। সেদিন কিন্তু পার্লামেন্টে তাদেরকে কেউ ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলেনি। এ শব্দটি তখন রাজনৈতিক ময়দানে চালু ছিল না।

জেনালের জিয়ার নতুন রাজনৈতিক দর্শনের সুবাদে জামায়াত লাভবান হলেও জামায়াতের কোনো লোক বিএনপিতে যোগ দেয়নি বা জিয়ার সরকারে কেউ মন্ত্রিত্বও নেয়নি। তবে জিয়া তার ক্ষমতার বৈধতার ব্যাপারে যে গণভোটের আয়োজন করেছিলেন তাতে জামায়াত সমর্থন দিয়েছিল।

নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচারী এরশাদবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১১ দলীয় জোট ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন সাত দলীয় জোটের পাশাপাশি জামায়াতও সমান্তরালভাবে আন্দোলনে যথেষ্ট সক্রিয় ছিল। এমনকি তখন বঙ্গভবন থেকে শুরু করে বহু জায়গাতেই আওয়ামী লীগ ও বাম নেতাদের পাশে জামায়াত নেতাদের দেখা যেত। এ সময়ও তাদেরকে কেউ যুদ্ধাপরাধী বলেনি। এরশাদের পাতানো নির্বাচনে ১৯৮৬ সালে জামায়াত ও আওয়ামী লীগ অংশ নেয়। সেদিন কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

জামায়াত যখন ১৯৯১ সালে বিএনপিকে নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে (যদিও ক্ষমতায় যাওয়ার মতো নয়) আবির্র্ভূত হলো তখনই দলটির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা বেশ সোচ্চার হয়ে ওঠে। গঠন করা হয় ‘গণ-আদালত’, যেখানে গোলাম আযমকে ফাঁসি দেয়ার রায় ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য, মুজিব সরকার ১৯৭২ সালে জামায়াত নেতা অধ্যাপক গোলাম আযমের নাগরিকত্ব বাতিল করেছিল। বিএনপি সরকারের উপর ১৯৯২ সাল থেকে এমন চাপ সৃষ্টি করা হলো যার ফলে যিনি বিএনপিকে সরকার গঠনে সহায়তা করলেন তাকেই তারা জেলে পাঠায়। অবশ্য তাতে হিতে-বিপরীত হয়। আদালত তাকে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয় এবং তিনি যুদ্ধাপরাধের মতো কোনো গুরুতর অপরাধ করেছেন বলে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

১৯৯১ সালের পার্লামেন্টে ঘটে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। জাতীয় সংসদে পার্লামেন্টারি পদ্ধতি পুনর্বহাল করে বিল পাস করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সংসদ। বিএনপি নিজ দলের গঠনতন্ত্রে প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতির ধারণা বহাল রেখেই পার্লামেন্টারি পদ্ধতি পুনঃপ্রবর্তন করতে সম্মত হয়। শোনা যায়, বিএনপিকে রাজি করাতে সেদিন জামায়াতের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। সেদিনের পার্লামেন্টে দর্শক হিসেবে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা দেখেছিলেন জাতীয় নেতারা দলমত নির্বিশেষে কিভাবে একে অপরকে আলিঙ্গন করেছিলেন। একটি বিরাট রাজনৈতিক সাফল্যের জন্য তারা কিভাবে উদ্বেলিত-উৎফুল্ল হয়েছিলেন। জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর সাথে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দলের নেতারা আলিঙ্গন করতে দ্বিধাবোধ করেননি। সেদিন মনে হয়েছে, দেশে বোধ হয় রাজনীতির সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। সেবারের পার্লামেন্টে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনোনয়ন দেয় বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরীকে। তিনি অধ্যাপক গোলাম আযমের বাসায় গিয়ে সাক্ষাৎ করে তার দোয়া চেয়েছিলেন। এ নিয়ে তখন তেমন হইচইও হয়নি। অনেকেই সেদিন এটিকে সাধারণ সৌজন্য হিসেবে দেখেছিলেন।

এরপর ১৯৯৬ সালে কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। ততদিনে জামায়াতের সাথে বিএনপির সুসম্পর্কে ভাটা পড়েছে। আওয়ামী লীগ কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে মাঠ গরম করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। জামায়াতও একই দাবিতে মাঠে। বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা করার জন্য আওয়ামী লীগ নেতারা জামায়াতকে কাছে টেনে নেয়। জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ঘন ঘন শেখ হাসিনার সাথে দেখা করেন। এ আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ নেতাদের কেউই জামায়াতের বিরুদ্ধে ‘টুঁ’ শব্দটি পর্যন্ত করেনি। ‘স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী ও সাম্প্রদায়িক শক্তি’ বলে জামায়াতকে কেউ আখ্যায়িত করেনি। তখন আওয়ামী লীগ নেতারা জামায়াতের সাথে যুগপৎ আন্দোলনকে ‘কৌশলগত সম্পর্ক’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগ বেশ দক্ষতার সাথে ‘জনতার মঞ্চ’ বানিয়ে সিভিল সার্ভিস ক্যু করে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসে। তারা ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে তথাকথিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আওয়ামী লীগের ১৯৯৬-২০০১ সালের পাঁচ বছরের দুঃশাসনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি-জামায়াত যখন চারদলীয় জোট গঠন করে তখন থেকে জামায়াত আওয়ামী লীগের স্থায়ী রোষানলে পড়ে যায়।

লেখক : গবেষক ও সাবেক সচিব
ayubmiah@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement