২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সবার দৃষ্টি রাষ্ট্রপতির দিকে

রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন - ফাইল ছবি

রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনকে অপসারণ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই চলছে আলোচনা। এবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরা হয়, যা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। রাষ্ট্রপতির থাকা না-থাকার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার। মূলত রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুর নিষ্পত্তি চায় অন্তর্বর্তী সরকার। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ ইস্যু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শেষে ব্রিফিংয়ে তা জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর আগে, বিএনপির পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের উদ্দেশে বলা হয়েছে- দেশে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হয় এমন কোনো আন্দোলন যেন তারা না করে। দলটির শঙ্কা, রাষ্ট্রপতির পদে হঠাৎ করে শূন্যতা তৈরি হলে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ বিলম্বিত হবে। মোট কথা, তারা এখন রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ বা তাকে অপসারণ চান না। জবাব দিতে দেরি করেনি ছাত্ররা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেছেন, আগে ছিল শুধু সহমত প্রকাশের অধিকার। এখন ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে।

সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে সংসদ কিন্তু সেটি বাতিল করা হয়েছে। আবার তার পদত্যাগেরও সুযোগ নেই। সে কারণে সংবিধান ও আইনগতভাবে তাকে সরিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। তবে স্বৈরাচারী সরকারের বিদায়ের পর সব কিছু তো সংবিধান অনুযায়ী হচ্ছে না। তাই নিয়ম বা সংবিধানের প্রশ্ন অবান্তর; বরং জনআকাঙ্ক্ষার আলোকে তাকে সরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা সরকার চাইলে করতেই পারে।’

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, ৫২, ৫৩ ও ৫৪ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা পদত্যাগ প্রসঙ্গে বলা আছে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সংসদ কার্যকর থাকতে হবে। সংসদ সদস্যরাই কেবল রাষ্ট্রপতি অপসারণ বা অভিসংশন করার ক্ষমতা রাখেন। আবার রাষ্ট্রপতি স্বেচ্ছায় পদত্যাগও করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে স্পিকার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তিন মাসের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন দিয়ে নতুন রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করতে হবে।

সব মিলিয়ে দৃশ্যত রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়টি আপাতত ঝুলে গেছে। রাষ্ট্রপতির পদটি একটি সাংবিধানিক পদ, একটি প্রতিষ্ঠান, সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ। এই পদে হঠাৎ পদত্যাগের মাধ্যমে শূন্যতা সৃষ্টি হলে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে, রাষ্ট্রীয় সঙ্কটের সৃষ্টি হবে- এ ধরনের দায়িত্ববান কথার আগে-পরে বিএনপির অন্য নেতারা বলেছেন, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে একটুও সময় না দিয়ে দ্রুত অপসারণ এবং জেলে পাঠানো উচিত। এই বৈপরিত্য নিয়ে নানা কথা চাউর হচ্ছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘শিক্ষাজীবনে ছাত্রলীগ করা রাষ্ট্রপতি পলাতক শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করছেন।’ এর বিপরীত অবস্থান বিএনপির স্থায়ী কমিটির কয়েক সদস্যের। তাদেরকে সাবধানে কথা বলা ও এ বিষয়ে গরম মন্তব্য না করতে বলা হয়েছে দলীয় হাইকমান্ড থেকে। বিএনপি মূলত কিছুটা ঘোরে পড়ে গেছে। দলটি বোঝার চেষ্টা করছে, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের নথিপত্র নেই’ মন্তব্যটি রাষ্ট্রপতি সিরিয়াসলি বলেছেন, নাকি হালকা কথার মধ্য দিয়ে সরকারকে কোনো সঙ্কটে ফেলার চিন্তা থেকে বলেছেন। রাষ্ট্রপতির ওই মন্তব্য ‘অন্য কারো প্ররোচনায় হয়েছে কি না’-সেই জিজ্ঞাসাও আছে।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই- রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনের এ মন্তব্য সংবাদ হিসেবে প্রকাশের পরপরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ কয়েকটি সংগঠন তার পদত্যাগ দাবিতে আগোয়ান। কয়েকজন সংবিধান বিশেষজ্ঞও দ্রুত তার বিদায় সম্পন্নের অপেক্ষমাণ। এমন প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বৈঠক করেন বিএনপির তিন নেতা। সেখান থেকে বেরিয়ে তাদের মুখপাত্র হিসেবে সালাহউদ্দীন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, রাষ্ট্রপতির পদ নিয়ে এ মুহূর্তে দেশে সাংবিধানিক, রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হোক, সেটি বিএনপির কাছে কাম্য নয়। রাজনৈতিক দলগুলো যে যেই ভূমিকাই নিক, রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবিতে ক্ষোভ-বিক্ষোভে মত্ত মহলও আছে। বঙ্গভবনের সামনের সড়ক অবরোধকারীরা বেসামাল ছিল। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকেই শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রপতিকে বহাল রাখার বিষয়ে আপত্তি। কিন্তু সাংবিধানিক নানা বাধ্যবাধকতার কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল এ বিষয়ে তাড়াহুড়ো করতে চায় না।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নেই, মন্তব্যে রাষ্ট্রপতি আগুনে ঘি ঢেলেছেন। শিক্ষার্থীরা এতে আরো ক্ষুব্ধ। তাদের সন্দেহ, হঠাৎ রাষ্ট্রপতির এ ধরনের বক্তব্য অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নতুন কোনো ষড়যন্ত্রও হতে পারে। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের মন্তব্য তাদের খুব পছন্দ। তিনি বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি বলা মিথ্যাচারই নয়, শপথ লঙ্ঘনেরও শামিল। আইন উপদেষ্টার পর রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে চরম ক্ষোভ জানিয়েছেন ছাত্রনেতারা। বঙ্গভবনের বিলাসিতা ছেড়ে রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনকে নিজের রাস্তা দেখার কথা বলেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার মনমানসিকতাও প্রায় এমনই। রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দেয়া হবে কি না- বিষয়টি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আনুষ্ঠানিক- অনানুষ্ঠানিকভাবে বহুবার আলোচনা হয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে দেয়া হবে কিংবা হবে না, এমন সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। প্রধান উপদেষ্টা কোনো মত না দিয়ে সবার কথা শুনে আসছেন। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি। অথচ সম্প্রতি মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের সাথে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, পদত্যাগপত্র সংগ্রহ করার বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনের এমন মন্তব্যের পর থেকে তার পদত্যাগের দাবি তোলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সংগঠনে নেতৃত্বদানকারীরা।
বাংলাদেশে খুব কম রাষ্ট্রপতিই সুন্দরভাবে বিদায় নিতে পেরেছেন। কারো প্রাণ গেছে। কেউ ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন, কেউ রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পরে যে প্রবাসী সরকার গঠন করা হয়েছিল সেখানে রাষ্ট্রপতি ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী থাকায় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি করা হয় সৈয়দ নজরুল ইসলামকে। বাহাত্তরের ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরার পর শেখ মুজিব হন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি করা হয় বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে। চরম মনোকষ্টে তাকে বঙ্গভবন ছাড়তে হয় তিয়াত্তরের ২৪ ডিসেম্বর। আবু সাঈদ চৌধুরীর পদত্যাগের পর রাষ্ট্রপতি করা হয় মুহম্মদুল্লাহকে। শেখ মুজিবের একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েমের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতি মুহম্মদুল্লাহর মেয়াদও শেষ হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আসনে বসেন খন্দকার মোশতাক আহমদ। ৮১ দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থানের পর ৫ নভেম্বর তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। খন্দকার মোশতাকের ক্ষমতাচ্যুতির পর পঁচাত্তরের ৬ নভেম্বর রাষ্ট্রতি হন আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি সংসদ ও মন্ত্রিপরিষদ ভেঙে দিয়ে সারা দেশে সামরিক আইন জারি করেন এবং নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করেন। নানা ঘটনা-দুর্ঘটনায় তার বিদায় ঘটে ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল। এরপর অভিষেক তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের। ১৯৮১ সালের ৩০ মে তার বিদায় ঘটে হত্যার মাধ্যমে। জিয়া হত্যাকাণ্ডের পর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন সেনাপ্রধান এইচ এম এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে ঘোষণা করেন। সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন আবদুস সাত্তার। এর তিন দিন পর, ৩০ মার্চ জেনারেল এরশাদ রাষ্ট্রপতি করেন আহসান উদ্দিন চৌধুরীকে। রাষ্ট্রপতি আহসান উদ্দিন চৌধুরীকে অপসারণ করে ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন জেনারেল এরশাদ।

গণ-আন্দোলনে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়েন জেনারেল এরশাদ। এরপর আন্দোলনকারী তিন জোটের অনুরোধে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি। ১৯৯১ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন আব্দুর রহমান বিশ্বাস। অবসর নেন ১৯৯৬ সালের ৮ অক্টোবর। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সাহাবুদ্দীন আহমেদকে আবারো রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয় সে বছরের ৯ অক্টোবর। ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে ছিলেন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ। ২০০১ সালে নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীনের বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসঘাতকতার’ অভিযোগ আনেন। এরপর ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশের ১৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে আসেন প্রফেসর ডা: বদরুদ্দোজা চৌধুরী। মাত্র সাত মাসের মাথায় ২০০২ সালের ২১ জুন বিতাড়িত করা হয় তাকে। বি.চৌধুরীর পদত্যাগের পর ২০০২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি করা হয় অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহমদকে।

ইয়াজউদ্দিন আহমদ বিএনপির মনোনীত রাষ্ট্রপতি হলেও তাকে নিয়ে একপর্যায়ে বিএনপি নেতারাও সমালোচনা করতে থাকেন। তাদের যুক্তি হচ্ছে, ২০০৭ সালে রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ থামাতে তিনি কোনো ভূমিকা রাখেননি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০০৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইয়াজউদ্দিন আহমদ রাষ্ট্রপতির পদ থেকে বিদায় নেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জিল্লুুর রহমান রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। ২০১৩ সালের ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় জিল্লুর রহমানের। জিল্লুর রহমানের অসুস্থতার কারণে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন তৎকালীন স্পিকার আব্দুল হামিদ। তিনি হচ্ছেন একমাত্র ব্যক্তি যিনি পরপর দুই মেয়াদে দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন আর এখন চুপ্পু ডাক নামের সাহাবুদ্দিনের পর্ব কিভাবে শেষ হয়, সেই অপেক্ষা এখন সবার।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
[email protected]


আরো সংবাদ



premium cement