১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩০, ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

স্বল্পোন্নত থেকে উত্তরণে অর্থনৈতিক প্রভাব

- প্রতীকী ছবি

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হলো জাতিসঙ্ঘের তালিকাভুক্ত উন্নয়নশীল দেশ যা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সর্বনিম্ন সূচক প্রদর্শন করে। স্বল্পোন্নত দেশ শ্রেণীবদ্ধ করা হয় তিনটি মানদণ্ডে, প্রথমত, দারিদ্র্য যা মাথাপিছু জিএনআই-এর ভিত্তিতে সামঞ্জস্যযোগ্যতা। দ্বিতীয়ত, মানবসম্পদের দুর্বলতা যা পুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষরতার সূচকের ভিত্তিতে। তৃতীয়ত, অর্থনৈতিক দুর্বলতা যা কৃষি উৎপাদনের অস্থিতিশীলতা পণ্য ও সেবার রফতানির অস্থিতিশীলতা, অপ্রথাগত কার্যক্রমের অর্থনৈতিক গুরুত্ব, পণ্য রফতানির ঘনত্ব এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত জনসংখ্যার শতাংশের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। এই মানদণ্ডে ২০২৩ সালের হিসেবে বিশ্বের ৪৫টি দেশ এলডিসি হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ এবং সাতটি দেশ ১৯৯৪ থেকে ২০২৩ এর মধ্যে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশসহ আরো ছয়টি দেশ পাইপ লাইনে রয়েছে।

এলডিসি থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের সম্ভাবনা
বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালে জাতিসঙ্ঘের এলডিসি তালিকাভুক্ত হয়। ২০১৫ সালে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের অবস্থানে পৌঁছে। ২০১৮ সালে জাতিসঙ্ঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) ২০তম অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এলডিসি থেকে উত্তরণের মাপকাঠির তিনটি সূচকেই উত্তীর্ণ হয়। এরপর ২০২১ সালের ২৩তম এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের ২৬তম অধিবেশনে ত্রিবার্ষিক মূল্যায়নে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের তিনটি সূচকেই উত্তীর্ণ হয়। বর্তমানে অর্থনীতি, জাতীয় উৎপাদন ও জনজীবনের যে গতিপ্রকৃতি, তা অব্যাহত থাকলে এলডিসি পরিবারে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পাঁচ দশক পর, ২০২৬ সালের নভেম্বরে এলডিসি তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে বাংলাদেশ; ঢুকবে উন্নয়নশীল দেশের গোত্রে।

এলডিসি তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল বাংলাদেশের সদস্য হলে দেশের জন্য চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা দুটোই অপেক্ষা করছে। সম্ভাবনার কথা বলতে গেলে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের অবস্থান শক্তিশালী হবে। উন্মুক্ত হবে অপার সম্ভাবনার দ্বার। আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের কদর বাড়বে ও উন্নয়নশীল দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের মর্যাদা বাড়বে। বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমর্যাদার ইতিবাচক পরিবর্তন হবে। মিলবে উন্নয়নের বৈশ্বিক স্বীকৃতি। দেশের অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতার সূচকে উত্তীর্ণ হওয়ার স্বীকৃতির ফলে প্রমাণ হবে যে বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলক কম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, যা বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের অন্যতম অনুষঙ্গ।

দেশের ক্রেডিট রেটিং বাড়বে। বড় ধরনের ব্র্যান্ডিং হবে। দেশের অর্থনীতি উদীয়মান এবং বড় বাজার সৃষ্টি হচ্ছে এমন বার্তা বিশ্ববাসী পাবে। প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে এবং ব্যাপক শিল্পায়ন হবে। অধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। অনেক দেশের সাথে নতুন ব্যবসা-বাণিজ্যের দরজাও উন্মুক্ত হবে। এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।

অর্থনীতির নানা চ্যালেঞ্জ
জাতিসঙ্ঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) মতে, বাংলাদেশসহ যে ছয়টি দেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের পথে রয়েছে, তাদের সবার সামনেই বৈশ্বিক সঙ্কট; ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা; জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি; বিদেশী সহযোগিতা বাড়ানো এই চারটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশের জন্য রয়েছে আলাদা কিছু চ্যালেঞ্জ।

বাংলাদেশের মহামারীপরবর্তী পুনরুদ্ধারের মুখগুলো ক্রমেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। এডিবি পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ১ শতাংশ। বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে দেশীয় টাকার মান ৪০ শতাংশ কমেছে যা বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ নেতিবাচক করেছে, আর্থিক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে। মূল্যস্ফীতি ১১ শতাংশের আশপাশে আছে এবং থাকবে। অনেক ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম।

পুঁজিবাজার ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। আমদানি নিয়ন্ত্রণের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রেশনিং ব্যবস্থা প্রয়োগের ফলে মূলধনী পণ্য, গ্যাস এবং শক্তির ঘাটতি দেখা দেয়। ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতি এবং ক্রমবর্ধমান সুদের হার ও আর্থিক খাতের দুর্বলতার সাথে মিলিত শক্তির ঘাটতি এবং আমদানি করা ইনপুট বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে।

উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠলে বাংলাদেশ সহজ শর্তে ঋণ এবং রফতানিতে বিভিন্ন সুবিধা হারাবে। ওষুধ শিল্পে মেধাস্বত্বের আন্তর্জাতিক আইনকানুনের অব্যাহতিও থাকবে না। বাণিজ্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। বিশ্ববাজারে বিপণন ও বিনিয়োগ আকর্ষণে চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে। একমাত্র ভুটান ছাড়া আর কোনো দেশের সাথে বাংলাদেশের আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাগুলোর মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্যচুক্তি বা প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (পিটিএ) নেই। উন্নত দেশগুলো ছাড়াও ভারত ও চীনের মতো বড় উন্নয়নশীল দেশের সাথে এফটিএ বা পিটিএ করতে হবে। বৈদেশিক অনুদান ও কম সুদের ঋণ কমে আসবে। এতে বৈদেশিক ঋণের ব্যয় বেড়ে যাবে। সহজ শর্তে বৈদেশিক ঋণ না পাওয়ায় বৈদেশিক অনুদাননির্ভর এনজিওগুলোর অর্থ-সঙ্কট দেখা দিতে পারে।

এলডিসি থেকে বের হলে সবচেয়ে সমস্যায় পড়বে রফতানি খাত। কারণ, এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) আওতায় শুল্কমুক্ত বাণিজ্যসুবিধা পায়। ইইউ ও আঞ্চলিক বা দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে ভারত, চীন থেকে এক ধরনের শুল্ক সুবিধা মিলছে। বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী ২০২৬ সালে এসব সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে। এতে ইইউ ও যুক্তরাজ্য ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্যসুবিধা অব্যাহত রাখলেও অন্যরা সেটা প্রত্যাহার করবে। স্থানীয় রফতানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বিশ্ববাজারে তীব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হবে। ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে প্রাপ্ত শুল্ক সুবিধাও হারাতে হবে, যা ওষুধ রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য গঠিত ফান্ড থেকেও বাংলাদেশ সহায়তা পাবে না। আরো কিছু বাণিজ্য ও অন্যান্য সুবিধা বাতিল হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে পণ্যের ওপর নিয়মিত হারে শুল্ক বসবে।

ডব্লিউটিও এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাড়তি শুল্কের কারণে বাংলাদেশের রফতানি বছরে ৫৩৭ কোটি ডলার কমতে পারে। স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা বিদেশী ফেলোশিপ, স্কলারশিপ, প্রশিক্ষণের ফি প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়সহ নানা সুবিধা পেয়ে থাকে, যা উন্নয়নশীল দেশ হলে প্রাথমিক পর্যায়ে কিছুটা বাধার মুখে পড়তে পারে।

চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয়
উন্নয়ন অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে আরএমজি সেক্টরের বাইরে রফতানি বহুমুখীকরণ; আর্থিক খাতের দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা; নগরায়ণ আরো টেকসই করা এবং অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণে রাজস্ব কাঠামো সংস্কারসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা। অবকাঠামোগত ঘাটতি পূরণ হলে প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সাহায্য করবে। সবুজ বৃদ্ধির দিকে অগ্রসরমান পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উন্নয়ন ফলাফলের স্থায়িত্ব সমর্থন করবে।

বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) আওতায় এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে প্রাপ্ত শুল্কমুক্ত সুবিধাগুলো এলডিসি থেকে চূড়ান্ত উত্তরণের পর আর থাকবে না। অবশ্য এরই মধ্যে ডব্লিউটিও এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে শুল্কমুক্ত বাণিজ্যসুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২৯ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের শুল্কমুক্ত সুবিধা বলবৎ থাকবে। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অতি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর রফতানি পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হলে বাংলাদেশের রফতানি সাড়ে ৫ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সুতরাং ইইউর জিএসপি সুবিধা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করতে হবে। জিএসপি সুবিধা পাওয়া কঠিন হলে বা পাওয়া না গেলে এর বিকল্প পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এজন্য সুরক্ষাগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করতে হবে।

বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তির প্রক্রিয়া শুরুর পাশাপাশি দেশের ভেতরেও প্রতিযোগিতা বাড়াতে হবে। পরিবহন, বন্দর, আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে আমদানি-রফতানিতে ব্যয় কমানো প্রয়োজন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সক্ষমতা বাড়াতে এবং মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। ব্যাংকিংসহ পুরো আর্থিক খাতে পূর্ণ শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং খেলাপি ঋণ কমাতে হবে। দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা জোরদার করতে হবে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এতে ভবিষ্যতে কখনো রফতানিতে সাময়িক সমস্যা দেখা দিলেও বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহ ধরে রাখা যাবে। যেহেতু বাংলাদেশ ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডে’ অত্যন্ত সুবিধাজনক অবস্থানে, তাই খুব সহজেই দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা সম্ভব। এক কথায়, ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে, বাংলাদেশের একটি প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়িক পরিবেশের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। মানব পুঁজি বাড়াতে হবে, একটি দক্ষ শ্রমশক্তি গড়া, দক্ষ অবকাঠামো তৈরি এবং একটি পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হয়।

একটি কথা না বললে নয়, যে তথ্য বা মানদণ্ডে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সুযোগ দেয়া হয় তাতে অনেক ভুল থাকার কথা বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। জিডিপি, রিজার্ভ, মাথাপিছু আয় ক্যালকুলেশনে রয়েছে ভুল তথ্যের ব্যবহার। ১১ থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলারের রফতানি আয়ের হিসেবে গরমিল রয়েছে। এসব তথ্য থেকে ধারণা করা হয়, প্রকৃত যোগ্যতা অর্জন ছাড়াই, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে গিয়ে হয়তো এলডিসির অনেক সুযোগ সুবিধা হারাবে। অন্যদিকে যোগ্যতা ছাড়াই উন্নয়নশীল দেশের সাথে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে হবে। তবে আশার কথা, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরসহ অনেক প্রতিথযশা অর্থনীতিবিদ রয়েছেন। অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আশ্বাস দিচ্ছে। সরকার অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। গ্র্যাজুয়েশনের জন্য আরো দু’বছর সময় আছে। এর মধ্যে অর্থনীতির ঘাটতিগুলো মেরামত করে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা আসবে এমন আশা করা যায়। তবে প্রস্তুতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে এলডিসিভুক্ত দেশের সুবিধাগুলো অব্যাহত রাখার চেষ্টা চালাতে হবে; প্রয়োজনে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রস্তুতির জন্য আরো সময় চাওয়া যেতে পারে।

লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট
Mizan12bd@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement