বিচারকদের স্বাধীনতা নিষ্প্রভ কেন
- ইকতেদার আহমেদ
- ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২১:১২, আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২১:৪৮
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের অন্যতম একটি। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ উচ্চ আদালত ও অধস্তন আদালত সমন্বয়ে গঠিত। বাংলাদেশের উচ্চ আদালতকে সুপ্রিম কোর্ট বলা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ নামের পৃথক দু’টি বিভাগ রয়েছে। আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ কয়জন বিচারক সমন্বয়ে গঠিত হবে সে বিষয়ে সংবিধানে সুস্পষ্টরূপে কোনো কিছু উল্লেখ নেই। আপিল বিভাগ একক বেঞ্চ সমন্বয়ে গঠিত হলে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ওই বেঞ্চ পরিচালিত হয়। আপিল বিভাগে একের বেশি বেঞ্চ গঠনে আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারকের মধ্যে যিনি কর্মে প্রবীণতম তার নেতৃত্বে বেঞ্চ পরিচালিত হয়। হাইকোর্ট বিভাগ একাধিক বেঞ্চ সমন্বয়ে গঠিত। এর কোনো কোনোটি দ্বৈত বেঞ্চ এবং কোনো কোনোটি একক বেঞ্চ। দ্বৈত বেঞ্চ দু’জন বিচারক সমন্বয়ে গঠিত এবং এ দু’জনের যিনি কর্মে প্রবীণতম তিনি বেঞ্চ পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন। বিশেষ মামলা পরিচালনায় সময় সময়ে তিনজন বিচারক সমন্বয়ে হাইকোর্ট বিভাগে বেঞ্চ গঠন করা হয়। এ ধরনের বেঞ্চকে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বলা হয়। পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের ক্ষেত্রেও যিনি কর্মে প্রবীণতম তার নেতৃত্বে বেঞ্চ পরিচালিত হয়।
প্রধান বিচারপতিসহ উচ্চ আদালতের বিচারকদের রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন। প্রধান বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি তার একক সিদ্ধান্তে নিয়োগকার্য সমাধা করতে সাংবিধানিকভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত। তবে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের নিয়োগে রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য সমাধা করতে হয়।
প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগের বিচারক, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক এবং হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ-পরবর্তী শপথ পাঠ ছাড়া একজন বিচারক পদে আসীন হন না। উপর্যুক্ত প্রতিটি নিয়োগে পৃথকভাবে শপথ পাঠ করতে হয়। প্রধান বিচারপতির শপথ পাঠ রাষ্ট্রপতি পরিচালনা করেন। অন্যদিকে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের শপথ পাঠ প্রধান বিচারপতি পরিচালনা করেন। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নিয়োগে দেখা যায় প্রথমত দু’বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এই দু’বছরের সম্পাদিত কাজ সন্তোষজনক হলে প্রধান বিচারপতি একজন বিচারককে স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করে থাকেন; তবে সবসময় এ ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির সুপারিশ যে মেনে চলা হয়; এমন দাবি সঠিক নয়। সংবিধানে প্রধান বিচারপতি এবং আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের নির্ধারিত শপথের বিষয় উল্লেখ থাকলেও হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারকের শপথের বিষয়টি অনুল্লিখিত যদিও হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারকরা নিয়োগ-পরবর্তী সংবিধানের ৯৪ অনুচ্ছেদের বিধানাবলির আলোকে শপথ পাঠ করেন।
প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নামে অভিহিত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ বিষয়ে সংবিধানে যে যোগ্যতার বিষয় উল্লেখ রয়েছে প্রধান বিচারপতি বা আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগে এর অতিরিক্ত কোনো যোগ্যতার বিষয় উল্লেখ নেই। একজন ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হলে এবং সুপ্রিম কোর্টে অন্যূন ১০ বছর তার ওকালতির অভিজ্ঞতা থাকলে অথবা অধস্তন বিচার বিভাগের কোনো পদে অন্যূন ১০ বছর অধিষ্ঠিত থাকলে তাকে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া যায়।
সংবিধানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারক পদে নিয়োগ লাভে আইনের দ্বারা নির্ধারিত অপরাপর যোগ্যতার বিষয় উল্লেখ থাকলেও অদ্যাবধি আইনের দ্বারা এরূপ কোনো যোগ্যতা নির্ধারিত না হওয়ায় নিয়োগ দেয়ার সময় উপরোল্লিখিত অনুচ্ছেদে বর্ণিত যোগ্যতা ছাড়া অপরাপর যোগ্যতা বিশেষত শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনায় নেয়া হয় না।
বিচার বিভাগের নিম্নতম পদ হলো অধস্তন বিচার বিভাগের সহকারী জজের পদ। ম্যাজিস্ট্্েরট নামক স্বতন্ত্র অস্তিত্ব বিশিষ্ট কোনো পদ নেই। বর্তমানে প্রারম্ভিক পর্যায়ে যারা বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরূপে কর্মরত তাদের প্রকৃত পদ হলো সহকারী জজ। ১ নভেম্বর ২০০৭ সাল পূর্ববর্তী বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের সহকারী কমিশনার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রারম্ভিক ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিয়োগ দেয়া হতো। সহকারী জজ ও সহকারী কমিশনার পদে নিয়োগ লাভে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হলে একজন প্রার্থীকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক তিনটি পরীক্ষার প্রতিটিতে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণীর ডিগ্রিধারী হতে হয়। যদিও সহকারী জজ পদে নিয়োগে আইনে স্নাতক, আইনে সম্মান অথবা এলএলএম ডিগ্রিধারী হতে হয়।
বিচার বিভাগের নিম্নতম পদে প্রবেশে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে ন্যূনতম যোগ্যতার বিষয় উল্লেখ থাকায় এর নিম্নের যোগ্যতাসম্পন্ন একজন ব্যক্তিকে কোনোভাবে উচ্চ আদালতের বিচারক পদে নিয়োগ দেয়া সমীচীন নয়, যদিও দীর্ঘদিন ধরে কারো কারো ক্ষেত্রে বিষয়টি উপেক্ষিত হয়ে আসছে। স্মরণযোগ্য যে, সংবিধানে উচ্চ আদালতের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের অধস্তন সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের ওপর তত্ত্বাবধান এবং নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত যে নিয়ম তা হলো- উচ্চতর যোগ্যতাসম্পন্নরা নিম্নতর যোগ্যতাসম্পন্নদের তত্ত¡াবধান ও নিয়ন্ত্রণ করবেন।
অধস্তন বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পদ হলো জেলা জজ। জেনারেল ক্লজেজ অ্যাক্টে জেলা জজের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে- জেলা জজ আদি অধিক্ষেত্রের মুখ্য দেওয়ানি বিচারক। একজন জেলা জজকে দায়রা জজের ক্ষমতা অর্পণ করা হলে তিনি জেলা ও দায়রা জজ নামে অভিহিত হন।
জেলা জজের অব্যবহিত ননিম্নের পদটি হলো অতিরিক্ত জেলা জজ। জেলা জজ ও অতিরিক্ত জেলা জজের বিচারিক এখতিয়ার সম হলেও জেলার দায়িত্বে নিয়োজিত জেলা জজের ওপর প্রশাসনিক দায়িত্ব ন্যস্ত থাকে। এ প্রশাসনিক দায়িত্বের মধ্যে জেলায় জেলা জজের নি¤œতর পদে কর্মরতদের ওপর তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে প্রতিটি জেলায় জেলার দায়িত্বে নিয়োজিত জেলা জজ পদধারী একাধিক বিচারক বিশেষ আদালতে জেলা জজ নামে অভিহিত পদে কর্মরত রয়েছেন, যদিও জেনারেল ক্লজেজ অ্যাক্টের সংজ্ঞানুযায়ী একটি জেলায় একের বেশি ব্যক্তিকে জেলা জজ পদে পদায়নের সুযোগ অনুপস্থিত। জেলা জজ ও অতিরিক্ত জেলা জজের বিচারিক ক্ষমতা সম হওয়ায় এ ধরনের বিশেষ আদালতে পদায়নে অতিরিক্ত জেলা জজ পদধারীদের বিবেচনা করা হলে আইনগত জটিলতা পরিহার সম্ভব।
অতিরিক্ত জেলা জজদের দায়রা জজের ক্ষমতা অর্পণ করা হলে তারা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নামে অভিহিত হন। অতিরিক্ত জেলা জজের অব্যবহিত নিম্নের পদ হলো যুগ্ম জেলা জজ। যুগ্ম জেলা জজদের দায়রা ক্ষমতা অর্পণ করা হলে তারা যুগ্ম জেলা ও যুগ্ম দায়রা জজ নামে অভিহিত হন। যুগ্ম জেলা জজের অব্যবহিত নিম্নের পদ হলো সিনিয়র সহকারী জজ এবং সিনিয়র সহকারী জজের নিম্নের পদ হলো সহকারী জজ যেটি অধস্তন বিচার বিভাগের প্রারম্ভিক পদ।
প্রতিটি মেট্রোপলিটন শহরে মেট্রোপলিটন দায়রা জজের পদ রয়েছে। মেট্রোপলিটন দায়রা জজের অব্যবহিত নিম্নের পদগুলো হলো মেট্রোপলিটন অতিরিক্ত দায়রা জজ ও মেট্রোপলিটন যুগ্ম দায়রা জজ। তাছাড়া মেট্রোপলিটন শহরে মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত রয়েছে। অতিরিক্ত জেলা জজ পদধারীদের মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পদে পদায়ন করা হয়। মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অব্যবহিত নিম্নের পদ হলো অতিরিক্ত মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। যুগ্ম জেলা জজ পদধারীদের অতিরিক্ত মুখ্য ম্যাজিস্ট্রেট পদে পদায়ন করা হয়। অতিরিক্ত মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের নিম্নের পদ হলো মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত। সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজদের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পদে পদায়ন করা হয়।
প্রতিটি জেলা শহরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পদ রয়েছে। এ সব ম্যাজিস্ট্রেট মেট্রোপলিটন এলাকাবহিভর্‚ত অঞ্চল থেকে উদ্ভ‚ত মামলার বিচার করে থাকেন। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও এর অব্যবহিত নিম্নের পদগুলোতে নিয়োগে অনুসৃত বিধান চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও তদ অব্যবহিত নিম্নতর ম্যাজিস্ট্রেটের পদে নিয়োগের বিধানের অনুরূপ।
উচ্চ আদালতের বিচারকদের স্বাধীনতা বিষয়ে সংবিধানে সুস্পষ্টরূপে উল্লেখ রয়েছে- সংবিধানের বিধানাবলি সাপেক্ষে প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারক বিচারকার্য পালনে স্বাধীন থাকবেন। সংবিধান প্রণয়নকালীন সংবিধানে বিধানটি সন্নিবেশিত হয়। এটি কখনো কোনো ধরনের সংশোধনের আওতায় আসেনি। উচ্চ আদালতের বিচারকদের মতো অধস্তন আদালতের বিচারকাজে নিয়োজিত বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেটদের বিষয়ে সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে- সংবিধানের বিধানাবলি সাপেক্ষে বিচারকাজ বিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তি ও ম্যাজিস্ট্রেটরা বিচারকাজ পালনে স্বাধীন থাকবেন। বিচারকাজ বিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারকাজে নিয়োজিতকালীন স্বাধীনতার বিষয়টি সংবিধান প্রণয়নকালীন সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এটি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হওয়া পরবর্তী অদ্যাবধি অক্ষুণ্ন রয়েছে।
আমাদের সংবিধানে উচ্চ আদালত ও অধস্তন আদালতের বিচারকদের বিচারকাজ পরিচালনায় স্পষ্টভাবে স্বাধীন থাকার বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও প্রকৃত অর্থে উভয় ধরনের আদালতে নিয়োজিত বিচারকরা সব ধরনের মামলার বিচারকাজ পরিচালনায় স্বাধীনতা ভোগ করেন কি না প্রশ্নটি বিভিন্ন সময়ে উত্থাপিত হতে দেখা গেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন থাকাবস্থায় দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট মামলায় তাদের আকাক্সক্ষার বিপরীতে সঠিক ও ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত দিতে গিয়ে বিচারকরা বিভিন্নভাবে হয়রানি, নাজেহাল ও নিপীড়নের সম্মুখীনসহ পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন, অন্যদিকে ক্ষমতাসীনদের আস্থাভাজন হয়ে যে সব বিচারক তাদের আকাক্সক্ষা অনুযায়ী বিচারকাজ করেছেন তাদের বেলায় জ্যেষ্ঠদের লঙ্ঘন করে অতিমূল্যায়নের ঘটনা প্রত্যক্ষ করা গেছে। এরূপ হয়রানি, নাজেহাল, নিপীড়ন ও পদোন্নতি বঞ্চনা থেকে প্রধান বিচারপতিসহ উচ্চ ও অধস্তন আদালতের অনেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারেননি।
যে অর্থে সংবিধানে উচ্চ আদালত ও অধস্তন আদালতের বিচারকদের বিচারকাজ পরিচালনায় স্বাধীন থাকার কথা বলা হয়েছে, তার পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে যে বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ তা হলো- উচ্চ ও অধস্তন আদালতে বিচারক নিয়োগে স্বচ্ছ নিয়োগপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকৃত মেধাবী ও যোগ্যতাসম্পন্নদের নিয়োগ দান। অতীতে প্রতিটি ক্ষমতাসীন সরকার বেশির ভাগ নিয়োগ দানে একজন প্রার্থীর যোগ্যতার চেয়ে তার দলীয় রাজনীতির প্রতি আনুগত্যের বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। ফলে প্রধান বিচারপতিসহ উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগে একাধিকবার জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের ঘটনা পরিলক্ষিত হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক, স্থায়ী বিচারক ও জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধস্তন আদালতে বিচারক নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, পক্ষপাতদুষ্টতা, স্বেচ্ছাচারিতা প্রাধান্য পেয়েছে। এতে করে বিভিন্ন সময়ে প্রকৃত মেধাবী এবং যোগ্যতাসম্পন্নরা বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্যের প্রকাশ ঘটেছে। ধারাটি অব্যাহত থাকলে বিচারকদের বিচারকাজ পরিচালনায় স্বাধীন থাকার বিষয়টি নিছক পুস্তকে আবদ্ধ বাণী হিসেবে ন্যায়কে সমুন্নত করার পথে অন্তরায় হিসেবে হৃদয়ের রক্তক্ষরণে নিষ্প্রভ হয়ে থাকবে।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
E-mail: [email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা