সীমালঙ্ঘন সম্পর্কে সচেতনা
- ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ
- ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২১:৩২
ইংরেজিতে একটা কথা আছে excess of anything is bad অর্থাৎ কোনো কিছুর বাড়াবাড়িই খারাপ। মাত্রা অতিক্রম করলে অনেক ভালো জিনিস মন্দ রূপ ধারণ করতে পারে। যেমন মাত্রা অতিক্রম করলেই সাহস হঠকারিতায়, আত্মউৎসর্গ আত্মহত্যায়, প্রতিযোগিতা হিংসায়, ধর্মভীরুতা ধর্মান্ধতায় পরিণত হতে পারে। অবস্থা বিশেষে সমালোচনা পরচর্চায়, প্রশংসা চাটুবাদে, তেজ ক্রোধে, দেশপ্রেম দেশদ্রোহিতার স্তরে নেমে আসতে পারে। নাতিশীতোষ্ণ তাপমাত্রা যেমন সবার পছন্দ তেমনি সুরের মধ্যে পঞ্চম স্বরই মিষ্ট ও শ্রেষ্ঠ। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বারবার বলেছে- ‘তোমরা কোনো কিছুতেই সীমালঙ্ঘন করো না। আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীকে ভালোবাসেন না।’ লোকমান হাকিম তার ছেলেকে উপদেশচ্ছলে বলেছেন, ‘মাটিতে হাঁটবে মধ্যম মেজাজে আর তোমার স্বর হওয়া উচিত মোলায়েম। স্বরের মধ্যে গাধার স্বরই নিকৃষ্ট।’
প্রত্যেকের উচিত খাওয়া-দাওয়া, চাওয়া-পাওয়া, চিন্তা-চেতনা, আশা-প্রত্যাশা, আগ্রহ-আকাক্সক্ষার ক্ষেত্রে একটি পরিমিত বোধ মেনে চলা। ক্যানভাসের রঙ ও তুলির সুষম সমন্বয়ে শিল্পের সার্থকতা ফুটে ওঠে। পারিপার্শ্বিক সব কিছুর পরিমিত অবস্থান ও শৃঙ্খলামণ্ডিত উপস্থাপনার মধ্যেই সৌন্দর্যের যথার্থ বিকাশ। নিয়ম-নিষ্ঠা পালন ও সহনশীলতা প্রকাশ যেকোনো পরিবেশ পরিস্থিতিতে দান করে এক অনুপম মর্যাদা। অধিক ভোজনেই অধিকাংশ রোগবালাইয়ের কারণ। পরিমিত আহার শরীর ও মনে জন্য অপরিহার্য। মাত্রাতিরিক্ত চাহিদা সরবরাহে সমস্যা সৃষ্টি করে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। অধিক পরিশ্রম মন ও শরীর ভেঙে পড়ে। অতি কথনে মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। অতিরিক্ত সব কিছু খারাপ। অতিভক্তি চোরের লক্ষণ নামে একটি প্রবাদ চালু আছে।
বাড়াবাড়ি কখনোই সুখকর হয় না। অতি উত্তেজিত ব্যক্তির হার্টবিট ও রক্তের চাপ বাড়ে। অতি দ্রুত চলাচলকারী গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সমূহ বিপদের কারণ ঘটাতে পারে। চলনে বলনে আচার ব্যবহারে কর্মকাণ্ডে মধ্যম পন্থা অবলম্বনই সেরা অভ্যাস বলে বিবেচিত।
আনন্দ-সর্বনাশের অধিক উচ্ছ্বাস কিংবা অতিশোকে কাতর হতে নেই। আনন্দের পরে বিষাদ আসছে আর বিষাদের পর আনন্দ আসবেই এই বোধ ও বিশ্বাসে সব পর্যায়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা বা রাখার উপকারিতা অস্বীকার করা যায় না। ভগবদ গিতার (অধ্যায়-২ শ্লোক-১৫) যেমন বলা হয়েছে, O best (Arjuna), the person who is not disturbed by happiness and distress and is steady in both is certainly eligible for liberation.
প্রত্যেকেরই চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে, আশা-আকাক্সক্ষা ও প্রয়াস প্রচেষ্টার মধ্যে পরিমিত বোধ থাকা চাই। আমি বা আমরা যা পারি যা আমাদের প্রাপ্য তার বেশি করতে যাওয়া ও পাওয়ার আকাক্সক্ষা বা চেষ্টায় বিভিন্ন বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। আহারের ক্ষেত্রে কথাটি আরো বেশি খাটে। অধিক আহার শরীরকে সবল করার পরিবর্তে শরীরেই নানা সমস্যার জন্ম দেয় আবার অতি অল্প আহার শরীরকে দুর্বল করে দেয়। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই আহার করা উচিত। অতি শ্লথগতির গাড়ি গন্তব্যে পৌঁছাতে যেমন বিলম্ব করে তেমনি অতি দ্রুত গতির গাড়ি গন্তব্যে হয়তো আদৌ না পৌঁছাতে পারে। অতি দ্রুতগামী সে খরগোশের কাহিনী আমরা জানি। কচ্ছপের ধীর ও পরিমিত গতির কাছে তার পরাজয় ছিল নিশ্চিত। অতি বর্ষণে বন্যা হয়, অধিক শীতে কাতর হয়, অতি গরমে হাঁসফাঁস করে সবাই। সবাই স্বপ্ন থাকে বসন্তের বাতাস, নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশ, পরিমিত বর্ষা আর মধ্যম বা পঞ্চম সুরের গান।
ইতিহাসের সাক্ষ্য এই- বিধাতা প্রদত্ত প্রাকৃতিক সম্পদ উপভোগে অপব্যবহারের উদগ্র বাসনায়, উদ্ধত আচরণে অমানবিক, অন্যায় অবিচারের দ্বারা, অকৃতজ্ঞতায় সত্য ও সুন্দরের প্রতি বিরূপ আচরণে অতিষ্ঠ হয়েছে প্রকৃতি। যুগে যুগে মহামারী যেমন মানব মূল্যবোধে ও আর্থসামাজিক ভাগ্যে ভোল পাল্টানোর, মনোভঙ্গি পরিবর্তনের সুযোগ এনে দিলেও তা যথাযথ কার্যকর না হওয়ায় গড়পড়তায় ১০০ বছর পরপর মাহামারী (১৭২০ সালে প্লেগ, ১৮২০ সালে কলেরা, ১৯২০ সালে ফ্লু এবং ২০২০ সালে কোভিড-করোনা) নতুন আকারে ও আঙ্গিকে বিশ^জনতাকে প্রচণ্ড ধাক্কা দিয়ে জাগাতে এসেছিল । ২০২০ সালে করোনার অভীষ্ট লক্ষ্য ছিল to shake up the world to remove all the dust of inhumanity, inequality, lust, greed, falsehood and pride that has engulfed the world with evil acts over a period of time.
(মহামারী করোনা যেন যুগ যুগ ধরে মানবতার অবমাননা, বৈষম্য, লোভ, লালসা, মিথ্যাবাদিতা ও অহমিকার যে পাপাচার বিশ্বকে গ্রাস করছিল তার সমুদয় দূর করতে গোটা বিশ্বময় একটি প্রবল ঝাঁকুনি দিতেই)
করোনার কাছ থেকে আত্মশুদ্ধি ও অনুশোচনার শিক্ষা গ্রহণে শুধু দুই হাত নয়, বিবেককে বারবার ধৌত করার তাগিদ ছিল। অথচ করোনাকাল শেষ হওয়ার পরপরই বিগত বছরগুলোতে বিশ^বাসী ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘর্ষ, সুদান, তুরস্ক, জাপান, ইরান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে মানবাধিকার আদায় ও প্রত্যাশা প্রত্যয়ে রক্তক্ষয়ী পটপরিবর্তন প্রত্যক্ষ করে চলেছে। তেমনি ১৫ বছর (১৯৭৫, ১৯৯০, ২০০৬, ২০০৯-২৪) পরপর বাংলাদেশের সব জনগণের কাছে বা মধ্যে মনোভঙ্গি পরিবর্তনের সুযোগগুলো সমুপস্থিত হয়েছে। বহু বছর পরপর সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়ের মধ্যে পটপরিবর্তনের সুযোগ আসে উচিত শিক্ষা দিতে।
মধ্যপন্থা অবলম্বনে ঝুঁকি কম। মধ্যমে অবস্থানে থাকলে উঁচু মাত্রায় উঠতে যেমন সুবিধা হয়, নিচু মাত্রায় নামার ক্ষেত্রেও অসুবিধা হয় না। অথচ অতি নিম্ন মাত্রায় থাকলে তাকে মধ্যপন্থা পেরিয়ে উচ্চপন্থায় যেতে বেশ বেগ পেতে হয়। আবার উচ্চপন্থা থেকে মধ্যপন্থা হয়ে নিম্নপন্থায় নামতেও বেশ বিব্রতকর হতে হয়। বিশ্বাস ও বয়ানে মধ্যপন্থা নিরাপদ ও সুশ্রাব্য। কোকিলের স্বর পঞ্চম ও মধ্যমানের তাই এত মিষ্ট। পক্ষান্তরে, কাকের স¦র সপ্তম, কর্কশ সুশ্রাব্য নয়। মধ্যপন্থার সুর বা স্বর সহজে অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। পক্ষান্তরে, উচ্চ গ্রামের গান বা কথাবার্তা অশ্রাব্য ও ঝগড়া বাদানুবাদের ভাষা। চরম অবস্থান গ্রহণে সহজে সমঝোতা হয় না। সমাধান খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হয়। মিষ্টি সুরের গান বা কথা সব সময়ই মোলায়েম ও কোমল প্রশান্তির পরিচয় তুলে ধরে, আনন্দ ও উপভোগের সুযোগ সৃষ্টি করে।
জীবনযাত্রায় সব পর্যায়ে মধ্যপন্থা অবলম্বনের আবশ্যকতা রয়েছে। সম্পদ সসীম বা সীমিত অথচ চাহিদা অসীম বা অবারিত। সীমিত সম্পদ দিয়ে অসীম চাহিদা মেটাতে সবাইকে পরিমিতিবোধ মেনে চলতেই হয় সময় সীমাবদ্ধ। করণীয় অনেক কিছু। স্বল্প সময়ের সদ্ব্যবহার করতে গিয়ে বিচক্ষণতার বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে অতি ধীরে কিংবা অতি দ্রæততার সাথে কোনো কিছু করতে চাওয়া বা করতে যাওয়া সমস্যা হয়েই থাকে।
যারা প্রকৃত বুদ্ধিমান তারা আজকের ঘটনা নিয়ে আজ ভাবেন না। এটি তারা ভেবেছিলেন বেশ কিছু দিন আগে এবং আজ যা ভাবছেন, তা আজকের জন্য নয়, ভাবছেন বেশ কিছু দিন পরের জন্য। যারা তাৎক্ষণিক ঘটনায় আপ্লুত, বিমোহিত, বিমর্ষ কিংবা উৎফুল্ল হন, তারা অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে খুব একটা স্বচ্ছ ধারণা পোষণ করতে সক্ষম বলে মনে হয় না। সময় যেহেতু দ্রুত পরিবর্তনশীল, সেহেতু তাৎক্ষণিক বলে কিছু নেই এবং তাৎক্ষণিকের ঘটনায় চূড়ান্ত সব কিছু ভাবাও সঠিক নয়। তবে তাৎক্ষণিকের ঘটনা কিন্তু তাৎক্ষণিক নয়, এটি সময়ের ধারাবাহিকতারই একটি অংশ। সে কারণেও তাৎক্ষণিকই চূড়ান্ত নয়। অতীতের অভিজ্ঞতা বর্তমানের কার্যকারণকে এবং ভবিষ্যতের প্রতি দৃষ্টিক্ষেপে প্রভাব ফেলতে বাধ্য। সুতরাং বর্তমানের ঘটনাকে সতর্ক ও সংহত ও সংযমের সাথে গ্রহণ করা উচিত। পরবর্তীতে কী ঘটে তার জন্য। এটি করতে পারলে উত্তেজনা পরিহার করা সম্ভব।
ভোগবাদীরা অবশ্য বলেন, কাল কী হবে, সে চিন্তা পরে হবে আজকেরটি উদযাপন বা উপভোগ করে নাও। এটি তারা বলেন উপভোগ বা আনন্দের জন্য। দুঃখ ভোগের বেলায় নয়। আনন্দ উপভোগের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের উৎকণ্ঠার বাদ সাধা উচিত নয় কিন্তু সময়ের ধারাবাহিকতার প্রশ্নে তা একটি বিভ্রান্তি বিশেষ, সংশয়বাদীরা তাই তাৎক্ষণিকতাকে উপভোগ করতে পারে না।
সংশয় আর সংযম-সুস্থিরতা এক কথা নয়। সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা হলো মধ্যপন্থা। সুতরাং সিদ্ধান্ত হলো- আনন্দের হোক আর দুঃখের তাৎক্ষণিকতায় বিভোর ও বিমর্ষ কোনোটিই কাম্য নয়। সংযত সংহত উপায়ে তা গ্রহণ এবং উদ্বেগ উৎকণ্ঠা রহিত উপায়ে তা গ্রহণ করা উচিত। মধ্যপন্থা অবলম্বনই শ্রেষ্ঠ উপায়।
প্রতিশোধ স্পৃহা থেকে বাড়াবাড়ি ব্যক্তি ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়াসকে অসম্ভব করে তুলতে পারে। কেউ অত্যাচারিত হলে প্রতিশোধ গ্রহণের প্রশ্ন আসে। কিন্তু এই প্রতিশোধ গ্রহণের ক্ষেত্রে সাম্যের সীমা লঙ্ঘিত হলে প্রতিশোধ গ্রহণও অত্যাচারে পর্যবসিত হতে পারে। প্রতিশোধ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সীমা লঙ্ঘিত হলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে বাধ্য এবং যা সামাজিক ভারসাম্য বিনষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আল-কুরআনে ৪২ সংখ্যক সূরা আশ শুরার ৪০ থেকে ৪৩ নং আয়াতে এই প্রসঙ্গে যা ইরশাদ হয়েছে তা বিশেষ প্রণিধানযোগ্য ‘মন্দের প্রতিফল অনুরূপ মন্দ এবং যে ক্ষমা করে দেয় ও আপস-নিস্পত্তি করে তার পুরস্কার আল্লাহর নিকট আছে।
আল্লাহ জালিমদের পছন্দ করেন না। তবে অত্যাচারিত হওয়ার পর যারা প্রতিবিধান করে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না। কেবল তাদের বিরুদ্ধেকোনো ব্যবস্থা অবলম্বন করা হবে যারা মানুষের উপর অত্যাচার করে এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহাচরণ করে বেড়ায়, তাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি। অবশ্য যে ধৈর্যধারণ করে এবং ক্ষমা করে দেয়, তা হবে দৃঢ় সঙ্কল্পেরই কাজ।’
প্রতিশোধ ততটুকু যতটুকু জুলুম করা হয়েছে সীমা লঙ্ঘিত হলে তা আবার অত্যাচারে পর্যবসিত হতে পারে। প্রতিশোধের মাত্রা অতিশয় আপেক্ষিক, সীমালঙ্ঘনের সম্ভাবনা ও সমস্যা থেকেই যায় তাই ক্ষমা ও আপস-মীমাংসার মাধ্যমে প্রতিশোধ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা শ্রেয়। তবে যে ক্ষেত্রে ক্ষমা করার ফলে অত্যাচারীর ধৃষ্টতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, সে ক্ষেত্রে প্রতিশোধ-প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য হয়ে দাঁড়ায়। দোষীকে শাস্তি-উপযুক্ত শিক্ষা দেয়ার মানসিকতার মধ্যে ভারসাম্য রাখা কঠিন এর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণও কঠিন। কিন্তু ক্ষমতা থাকা সত্তে¡ও প্রতিশোধের পন্থাকে স্পৃহাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে সময় তার সুফল বয়ে আনে। গৌতম বুদ্ধের বাণীও তাই- ‘প্রতিশোধের ¯পৃহা পুষে রাখতে নেই, ক্ষমা করে দেয়া বা বিলম্ব করাই প্রতিশোধের উত্তম উপায়। [Do not search for (resentment) a long time: resentment can not be satisfied by resentment, it can only be removed by forgiveness]. বিপদে, অত্যাচারের মুখে, অন্যায়ের সামনে ধৈর্যধারণ কঠিন, প্রতিশোধ স্পৃহাকে সুনিয়ন্ত্রিতভাবে প্রয়োগও তেমন কঠিন। এর বিপরীতে অবস্থান নেয়া নিঃসন্দেহে তাই দৃঢ় সঙ্কল্পের কাজ। ব্যক্তি সমাজ-দেশ ও দুনিয়ায় হানাহানির সর্বনাশা থেকে পরিত্রাণ লাভার্থেই এই the noblest form of courage and resolution এর প্রয়োজন।
লেখক : সাবেক সচিব, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা