২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ক্রান্তিকালে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক সদস্যদের ভূমিকা

-

১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর থেকে শুনছিলাম, ‘স্বাধীনতা অর্জন সহজ কিন্তু রক্ষা করা কঠিন’। আমাদের বর্তমানে চলমান অভিজ্ঞতায় অনেকেই হয়তো তা অনুধাবন করতে পারছেন। তাদের মতে, গত ৫ আগস্ট আমরা সেই হারানো স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি। গত ১৫ বছর ক্ষমতায় এবং ক্ষমতার আশপাশে যারা ছিলেন তারা বাদে সবাই মনে হয় এটিকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা ভাবছেন। সেই সাথে এটিও ভাবতে হবে যে, এই সদ্যপ্রাপ্ত স্বাধীনতাও ধরে রাখা খুবই কঠিন হবে। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই শুরু হয়েছে সেই বিপ্লবের ওপর নানা ধরনের হুমকি। পতিত সরকারের বশংবদরা বিচার বিভাগ, পুলিশ বাহিনী, প্রশাসন, আনসার বাহিনী, তৈরি পোশাক শিল্প ইত্যাদি সব সেক্টরে চালাচ্ছে পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা। সংখ্যালঘুদের মুখোশ পরিয়ে ভুয়া সংখ্যালঘু হামলার প্রতিবাদে রাজপথে নামিয়েছে হাওয়ায় মিলিয়ে যাওয়া আওয়ামী প্রেতাত্মাদের। আর পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মোদি সরকারের কূটনৈতিক পাগলামিসহ সব ধরনের অপচেষ্টাই চালিয়েছে আমাদের দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির। মনে হচ্ছে, শেখ হাসিনার পরাজয়ে ভারতই পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার কাছে। পার্বত্য চট্টগ্রামেও সমস্যা তৈরির উসকানি আছে। দেশের এমন অবস্থায় পুলিশ বাহিনী, প্রশাসন, বিভিন্ন সংস্থা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নাজুক অবস্থায় রয়েছে।

প্রশাসন ও পুলিশ হলো একটি আধুনিক সভ্য রাষ্ট্রের প্রাণভোমরা। এগুলো প্রাণবন্ত থাকলে বাকি সবগুলো সেক্টরে প্রাণচাঞ্চল্য থাকে। কিন্তু বাস্তবতা হলো- গত ১৫ বছরে এ সবের বুনিয়াদ নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং দলপ্রীতির মাধ্যমে পুলিশ, বিভিন্ন সংস্থা ও প্রশাসনের পুরো বুননশৈলিকেই তছনছ করে ফেলা হয়েছে। ২০০৯ সালে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ঢালাওভাবে সৎ ও দক্ষ অফিসারদের বঞ্চিত করে রেখেছে। জ্যেষ্ঠ অফিসারদের ‘ওএসডি’ অথবা বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়েছে। আর কনিষ্ঠ অফিসার যারা আওয়ামী লীগার বলে প্রমাণিত নয় তাদের বিনা পদোন্নতিতে একই পদে ফেলে রেখে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। সেই সাথে বেছে বেছে ছাত্রলীগ, আওয়ামী পরিবার এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করানোর ‘যোগ্যতাসম্পন্নদের’ ঢালাওভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এতে বর্তমানে এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে, প্রশাসন ও পুলিশের কয়েক স্তর পর্যন্ত গভীরে প্রবেশ করে রয়েছে আওয়ামী লীগের বশংবদরা। এদের মধ্যে একটি অংশ আওয়ামী সুবিধাভোগী আর একটি অংশ মনেপ্রাণেই আওয়ামী লীগার। ফলে আগস্ট বিপ্লব-পরবর্তী জাতি গঠনে এই বিপ্লবের আকাক্সক্ষাধারী লোকজন খুঁজে পাওয়া দুরূহ হয়ে উঠেছে। কিছু উচ্চপদস্ত কর্মকর্তার উচ্চাকাক্সক্ষা এবং তৃণমূল অফিসারদের আওয়ামী লাঠিয়াল বাহিনী হয়ে কাজ করার কারণে আজ পুলিশের এই দুরবস্থা হচ্ছে। কিন্তু এই অবস্থা থেকে দ্রুত আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। নইলে মাত্র দেড় মাসে দেড় হাজার ছাত্র-জনতার প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা বা বিপ্লব বা অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। ব্যর্থ হতে পারে গত ১৫ বছরে অগণিত আওয়ামী সরকারবিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের আত্মদান।

এমতাবস্থায় অভ্যুত্থানোত্তর রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন সেক্টরে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার জন্য ‘স্বল্পমেয়াদি’ পদক্ষেপ হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত যোগ্য ব্যক্তিদের কাজে লাগানো যেতে পারে। সামরিক বাহিনীতে অবসরের বসয়সীমা অন্যান্য সরকারি চাকরি থেকে ভিন্ন হওয়ায় অল্প বয়সেই বিভিন্ন পদবি থেকে অফিসাররা অবসরে গিয়ে থাকেন। ফলে তাদের সার্বিক যোগ্যতা অটুট থাকা সত্ত্বেও তাদের অবসরে যেতে হয়। কিন্তু তারা তাদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও দেশপ্রেম দিয়ে দেশ ও জাতির জন্য আরো দীর্ঘদিন ইতিবাচক অবদান রাখার সক্ষমতা রাখেন। বর্তমানেও অসংখ্য অবসরপ্রাপ্ত সামরিক অফিসার দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় প্রশংসনীয় অবদান রেখে কাজ করে যাচ্ছেন।

২০০৯ থেকে গত ১৫ বছরে অনেক সামরিক কর্মকর্তা বিভিন্ন কারণে এ ধরনের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অবসরে গিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেক বঞ্চিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত কর্মকর্তাও রয়েছেন। প্রায় ৩০০ সামরিক অফিসারকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত করে তাদের অবসরে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে অবসরে গেছেন। কেউ পুরোপুরি যোগ্য থাকা সত্ত্বেও অজানা কারণে পদোন্নতি না পাওয়ায় চাকরির বয়সসীমা শেষ হয়ে গেছে। কেউবা অন্যায়ভাবে বাধ্যতামূলক অবসরে গেছেন বা বরখাস্ত হয়েছেন। এই বঞ্চিত বা ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ অফিসারের মধ্যে নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রায় ১০০ এবং বাকিরা সেনাবাহিনীর। তারা তাদের অবসর বা বরখাস্ত প্রক্রিয়াকে অন্যায় দাবি করে অভিযোগ করছেন। এগুলো সহজেই পুনরায় যাচাই করা সম্ভব। সামরিক বাহিনীর নথি সংরক্ষণ পদ্ধতি অত্যন্ত সুশৃঙ্খল। কাজেই আবেদনকারী অফিসারদের নথিপত্র পর্যালোচনা করে সত্যিকারার্থে ক্ষতিগ্রস্ত অফিসারদের যথাযথ মর্যাদা ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়া যেতে পারে। এই সব বঞ্চিত সামরিক অফিসারকে দেশের বর্তমান সঙ্কটকালে উপযুক্তভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে। দেশের এই প্রয়োজনের সময় ‘স্বল্পমেয়াদি’ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে দুই বা তিন বছরের জন্য তাদের বিভিন্ন সংস্থায় প্রশাসনিক, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা এবং প্রশিক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত করা যেতে পারে। যেকোনো বড় তদন্তসংক্রান্ত কাজেও তারা সফল ভূমিকা রাখতে পারেন। অবশ্য তাদের অনেকেই হয়তো বা বর্তমানে কোনো নিয়োগে নিয়োজিত হতে চাইবেন না। তবে তাদের পদ-পদবি বা লোভ-লালসা নয়; বরং দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান জানালে তারা অবশ্যই ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইবেন। এই সব বঞ্চিত অফিসার ছাড়াও প্রচুর কর্মক্ষম বিভিন্ন উচ্চ ও মধ্যপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা রয়েছেন যাদের সেবা দেশ ও জাতি এই সময়টায় নিলে তা দেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক হতে পারে।

প্রশ্ন আসতে পারে ইন্টারমিডিয়েট পাস করা এসব অবসরপ্রাপ্ত সামরিক ব্যক্তি কিই-বা দেবেন দেশকে? প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বাভাবিক। কথা সত্য, মেইনস্ট্রিম সামরিক বাহিনীতে ‘এইচএসসি’ উত্তীর্ণ হওয়ার যোগ্যতায় ভর্তি করা হয়। তবে কারা এসব ভর্তি হওয়া ‘এইচএসসি’ পাস তরুণ? প্রতিটি ব্যাচে দেশের কয়েক লাখ ‘এইচএসসি’ পাস তরুণ থেকে দুই থেকে আড়াই শ’ চাকরিপ্রার্থীকে বাছাই করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষায় ধাপে ধাপে এই বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ দুই-আড়াই লাখ প্রার্থীর মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ দুই-আড়াই শ’ তরুণকে সামরিক বাহিনীতে চাকরির সুযোগ দেয়া হয়ে থাকে। তবে বর্তমান সময়ে অবসরে এসেছেন এবং গত ১৫ বছরে যাদের অন্যায়ভাবে অবসর দেয়া হয়েছে তাদের একটি বড় অংশ ’৮০-’৯০ দশকে যোগদান করেছিলেন। মনে রাখতে হবে, ওই সময়টায় সামরিক বাহিনীর প্রতি মানুষের বিশেষ আকর্ষণ ছিল। সেই সময়কার সশস্ত্রবাহিনী তরুণ-যুবকদের বিভিন্ন কারণে আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় রক্ষীবাহিনী অত্যন্ত দাপটের সাথে তৎপর ছিল, আর সশস্ত্রবাহিনী ছিল ম্র্রিয়মান। কিন্তু ৭ নভেম্বরের সিপাহি বিপ্লবের মাধ্যমে সেনাবাহিনী এ দেশের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শুরু করে। এরপর একজন সেনানায়কের (জেনারেল জিয়াউর রহমান) দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালনে কঠোর পরিশ্রম এবং জাতিকে নতুন স্বপ্ন দেখানোর প্রক্রিয়ায় দেশের সেনাবাহিনীর প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও আস্থা বাড়তে থাকে। এরপর জেনারেল এরশাদের ক্ষমতা দখল ও সামরিক শাসনের মাধ্যমে সশস্ত্রবাহিনীর দাপুটে পদভার দেশে পরিলক্ষিত হয়েছিল। সশস্ত্রবাহিনী খোলস থেকে বেরিয়ে সেনানিবাসের বাইরে জনগণের সাথে সরাসরি যোগাযোগ সৃষ্টি করে। এতে অফিসারদের প্রদর্শিত স্মার্টনেস, সাবলীল তৎপরতা, ভদ্রতা, ন্যায়পরায়ণতা এবং আত্মপ্রত্যয়ী স্বভাব তরুণদের সশস্ত্রবাহিনীর প্রতি ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট করে। মেধাবী তরুণরা দলে দলে সশস্ত্রবাহিনীতে যোগদান করতে লাইন ধরে। সে সময় বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডে ‘এসএসসি’ ও ‘এইচএসসি’তে মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া তরুণরা সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে যোগদান করে। তারা দীর্ঘ দুই বছর সামরিক একাডেমিতে শারীরিক, সামরিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং একাডেমিক ডিগ্রি অর্জন করে একেকজন চৌকস অফিসার হয়ে বের হয়েছেন। পরবর্তীতে দেশ-বিদেশে আরো উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন, বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করেছেন। অনেকে দেশের বাইরে বিভিন্ন দেশে এবং জাতিসঙ্ঘে কাজ করে বিশাল অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।

এ অফিসাররা মূল যেসব গুণাবলির জন্য যোগ্য হয়ে থাকেন সেগুলো হলো-নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে সুনিপুণ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা। তাদের পরিকল্পনা গ্রহণ ও সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পারঙ্গমতা ও দক্ষতা তাদের যেকোনো পরিবেশে অনন্য করে তুলতে পারে। সেই সাথে দেশপ্রেম, ন্যায়পরায়ণতা ও সততা তাদের অতিরিক্ত যোগ্য করে গড়ে তুলেছে। তবে মনে রাখতে হবে, মানুষ হিসেবে কারো কারো মধ্যে সব গুণাবলির সমন্বয় নাও ঘটতে পারে। অবশ্য যাদের মধ্যে ব্যত্যয় ঘটে থাকে তারা চাকরিকালীন সময়েই চিহ্নিত হয়ে যান এবং শাস্তিও পেয়ে থাকেন। কিন্তু সাধারণভাবে সশস্ত্রবাহিনীর অফিসাররা যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে কাজ করেন এবং সৎ জীবনযাপন করে থাকেন।

গত ৫০ বছর সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিকালে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বন্যা, সাইক্লোন, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, দুর্ঘটনা ইত্যাদিতে সবসময়ই তারা জনগণের পাশে ছিলেন এবং দক্ষতা ও দেশপ্রেম দিয়েই সব সামলানোর চেষ্টা করেছেন। বিশেষ করে ১৯৯০ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে জনগণের বিপরীতে দাঁড়াতে অস্বীকার করা এবং ২০২৪ সালের ফ্যাসিবাদের দোসর হয়ে ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালাতে রাজি না হওয়াটা ছিল তাদের বিশাল অর্জন। এভাবেই বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী এবং এর সদস্যদের প্রতি জাতির আস্থা এবং শ্রদ্ধা দিন দিনই বৃদ্ধি পেয়েছে।

জাতির এই বর্তমান প্রয়োজনের সময় সেই সব অবসরপ্রাপ্ত যোগ্য অফিসারকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজে লাগাতে পারলে তারা অবশ্যই দেশ গঠনের বলিষ্ঠ অংশীদার হবেন। তাদের অনেকেই জাতির প্রয়োজনে তাদের যোগ্যতা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা ঢেলে দেবেন বলে আস্থা রাখা যায়। সেই সাথে যে সমস্ত অফিসার (প্রায় তিন শ’) নিজেদের প্রতি পতিত সরকার অন্যায় করেছেন বলে দাবি করেছেন তাদের অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই করে সত্য প্রমাণিত হলে তাদের প্রাপ্য সম্মান ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিলে দেশেরই সম্মান বাড়বে বলে অনেকেই মনে করেন। তাদের সেবা নিয়ে বর্তমানে দেশ গড়ার মতো অনেক ক্ষেত্র প্রস্তুত রয়েছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, নিরাপত্তা সংস্থা, অসামরিক প্রশাসন, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তদন্ত সংস্থা, থিংক ট্যাংক ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রে এ সমস্ত অবসরপ্রাপ্ত অফিসার প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। তাদের ‘স্বল্পমেয়াদি’ পদক্ষেপ হিসেবে দুই-তিন বছরের চুক্তিতে যথোপযুক্ত ক্ষেত্রে আত্মীকরণ করা যেতে পারে। এ সময় তারা দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নতুনদেরকে প্রশিক্ষিত করে পরবর্তীতে দায়িত্ব পালনে যোগ্য করে গড়ে তুলবেন। এ সমস্ত অফিসার বিপ্লব-পরবর্তী দেশ গড়ার সাথে সাথে যেকোনো ধরনের প্রতিবিপ্লব বা বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করার জন্য বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। অর্থাৎ এই দুই-তিন বছরের জন্য তারা হয়ে উঠতে পারেন দেশের অতি মূল্যবান সম্পদ।

লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক
Email : [email protected]


আরো সংবাদ



premium cement