৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পৃথিবী, ঘরে ফেরো

লেখক মুসা আল হাফিজ - ছবি : নয়া দিগন্ত

মন্দ বললে তো কম বলা হয়। বিপর্যয় বললেও যথার্থ বলা হয় না, বলতে হয় ধ্বংসযাত্রা। হ্যাঁ, জীবন এখন রিকশা, বাস, ট্রেন থেকে নিয়ে বিমান, বেলুন, রকেটসহ সব বাহনে সওয়ার হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আত্মনাশা পরিণতির দিকে। মানুষের হাত এখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোতামে। যখন তখন আগুনের খাদ্যে পরিণত হবে পৃথিবী।

কিন্তু কেন? কেন মানবতার এ অধিষ্ঠানকে নিরাপদ ভাবা যাচ্ছে না? যাচ্ছে না এ জন্যই যে, পৃথিবী তার বেঁচে থাকার আসল মন্ত্র খুঁজে পাচ্ছে না। যে সত্য পৃথিবীর রক্ত-সঞ্চালন করবে, যে সত্য পৃথিবীর হৃৎপিণ্ডকে স্পন্দমান রাখবে, যে সত্যের অনুবর্তিতার কথা ছিল সর্বত্র, সেটা হচ্ছে না। মানবতাকে যদি পৃথিবীর মেরুদণ্ড বলা হয়, তাহলে মানতেই হবে যে, মেরুদণ্ডের ওপর নির্মম লাঠিচার্জ অব্যাহত।

পৃথিবীকে কেন ধ্বংস হতে দেয়া উচিত নয়? নয় এ জন্যই যে, এই পৃথিবীর সবুজে-শ্যামলে মানুষ সত্যের উপাসনা করবে। শান্তি নামক সুন্দরকে বুকে জড়িয়ে যাপন করবে দিবস-রজনী। হৃদয়ের আঙিনায় আলোর সম্মেলন ঘটিয়ে আঙিনাটাকেই করে তুলবে সূর্যের গোলক। পরিবার থাকবে, থাকবে মানবিক ঐশ্বর্যের পবিত্র বাঁধন। সমাজ থাকবে, পারস্পরিক সহযোগিতা ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন থাকবে। থাকবে যুক্তি, সুবিচার, আইন, অধিকার, সাম্য, সদাচার, নীতিবোধ ও অনুগ্রহ। পশু-পাখি থাকবে, তাদের ওপর জুলুম করা হবে না। গাছগাছালি থাকবে, তাদের জন্য পৃথিবী বিপজ্জনক হবে না। নদীনালা থাকবে, তাদের গতিপথ রুদ্ধ করা হবে না। অরণ্য থাকবে, তাকে কেটে উজাড় করা হবে না। বাতাস থাকবে, তাকে বিষাক্ত করে তোলা হবে না। সমুদ্র থাকবে, তাকে হিংসার লালায় প্লাবিত করা হবে না।

কিন্তু পৃথিবীতে যখন সত্যের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু হয়ে গেল, তখন সে আর কেন বেঁচে থাকতে চাইবে? যখন বিবেককে ধর্ষণ শুরু হলো, যখন প্রেমকে স্বার্থের কিরিচ দিয়ে কর্তন অব্যাহত, যখন নিরাপত্তাকে জীবনের মানচিত্র থেকে বিতাড়নের আয়োজন অব্যাহত, যখন অন্যকে বঞ্চিত করে নিজে সবচেয়ে ভালো জিনিস ভোগ করার সুযোগ নেয়াকে দেখা হচ্ছে প্রজ্ঞারূপে, যখন নিজের সুবিধার জন্য জীবন ও জগৎকে বিপন্ন করার ভয়াল কৌশলকে ভাবা হচ্ছে উন্নতির সিঁড়ি; তখন এই পৃথিবী কেন আর নিরাপদ পৃথিবী থাকবে? কেন সুনামির মতো কিয়ামতের প্রদর্শনীর শুরু হবে না? কেন নতুন নতুন নাম না-জানা রোগের প্রাদুর্ভাবে থর থর করে কেঁপে উঠবে না বিশ্বের জনপদ?
কিন্তু মানুষ তো থামছে না। এই গ্রহকে বিপজ্জনক করে ছেড়েছে। অন্য দিকে মানুষ গ্রহণ করছে পশুত্ব। মানুষের যৌন উন্মাদনা সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণীর চেয়েও ভয়ানক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নির্লজ্জতাকেই সাব্যস্ত করা হচ্ছে সংস্কৃতি বলে। দস্যুতাকে রূপ দেয়া হচ্ছে ব্যবসায়ের। যুদ্ধকে পরিণত করা হচ্ছে শিল্পে। গণহত্যাকে পরিণত করা হয়েছে আইনে। বিজ্ঞানকে পরিণত করা হচ্ছে ধ্বংসের বাহনে। তথ্যপ্রযুক্তিকে রূপ দেয়া হচ্ছে শোষণের উপাদানে। পররাষ্ট্রনীতিকে দাঁড় করানো হচ্ছে অস্ত্রের ডিপোর ওপর।

অন্যকে মেরে ফেলব, এটাকে বলা হচ্ছে অধিকার। অন্যের দেশ দখল করব, এটাকে বলা হচ্ছে শান্তির দাবি। এক দেশ হয়ে আছে অন্য দেশের প্রভু। কয়েকটি দেশের হাতে জিম্মি গোটা বিশ্বব্যবস্থা। সঙ্ঘাত লাভ করেছে ভয়াল আকার। ভাষিক, ভৌগোলিক ও নৃতাত্তি¡ক বিচ্ছিন্নতার বোধ থেকে তৈরি হচ্ছে দেয়ালের পর দেয়াল। ধর্মের নামে অধর্মের চলছে রাজত্ব। ঘৃণার কাছে প্রেরণা খুঁজছে মানুষ। মানুষ হত্যা করা হচ্ছে আগুনে পুড়িয়ে। নারী, শিশু, নিরীহদের হত্যা করা হচ্ছে উৎসব করে। অধিকারকে বিশেষ বিশেষ জাতির জন্য বরাদ্দ করে রাখা হচ্ছে। কোনো জাতির মানুষের জীবনের চেয়ে গরু কিংবা কুকুর যেন অধিক মূল্যবান আর কোনো জাতির যেকোনো একজনের জীবন অপর জাতির হাজার জনের জীবনের চেয়েও যেন দামি। জাতিবাদী ঘৃণা ও বর্ণবাদ নির্দেশিত এই অবিচার বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠা নিয়েই আজ বিদ্যমান। এতকালের চর্চিত আইন-আদালত বলদর্পীদের খাহেশের কাছে অবনত। শিশু হত্যার মওসুম জেঁকে বসেছে মানচিত্রে মানচিত্রে। আগুন জ্বালানো হচ্ছে দিকে দিকে। যারা জ্বালাচ্ছে, তারাই গ্রহণ করছে অগ্নিনির্বাপকের দায়িত্ব। যারা হত্যাকারী তারাই গ্রহণ করছে বিচারকের আসন।

সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য একটি শ্রেণীকে বসিয়ে দিয়েছে বিধাতার আসনে, অপর শ্রেণীকে বানিয়েছে দাসানুদাস। তারা বঞ্চিত খোদাপ্রদত্ত মর্যাদা থেকে, মৌলিক মানবাধিকার থেকে, মাথা তোলার অধিকার থেকে। সর্বত্রই বৈষম্য। শত কোটি মানুষের স্বপ্ন, শ্রম ও সাধনাকে শোষণ করে মুষ্টিমেয় মানুষ পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বে যাবতীয় সুবিধার আকাশে অধিষ্ঠিত। বস্তুবাদ তাদের মাথায় চাপিয়েছে অধিকতর উন্নত বস্তুর কামনা। খোদাবিহীন জীবনভাবনা মানুষকে হৃদয়ের কোনো ঐশ্বর্যলোকের সাথে পরিচিত করে না। ফলে বাইরের জগৎ যত বেশি ঝলমল করতে থাকে, ভেতরের জগৎ অন্ধকার হতে থাকে তত বেশি। এ উন্নয়ন মানুষকে সুখী করে না, করে আরো বেশি অতৃপ্ত। করে আরো বেশি বস্তুর পূজারি। এই যে পরিস্থিতি, একে মনে করা হচ্ছে স্বাভাবিক বাস্তবতা বলে।
এমন বিপন্নদশা পৃথিবী প্রত্যক্ষ করেনি ইতিহাসের কোনো কালেই। এই বিপন্নতা পৃথিবীকে বাসযোগ্য থাকতে দিচ্ছে না। এই বিপন্নতাই ভাঙছে সবকিছু। বিধ্বস্ত করছে জীবনের বসতবাড়ি। লণ্ডভণ্ড করে দিচ্ছে খেত-খামার। কিন্তু এ থেকে কি পৃথিবীর পরিত্রাণ নেই? নেই কি মানবতার মুক্তির কোনো সড়ক?

মানুষের মুক্তির পথ পুঁজিবাদ দেখাতে পারছে না। ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণকারী সোশ্যালিজম পারেনি, অস্ত্রের ঝন ঝন শব্দকারী নাজিজমও ব্যর্থ। দু-দু’টি বিশ্বযুদ্ধের বীজমন্ত্র জাতীয়তাবাদও ব্যর্থ হয়েছে চরমভাবে। বিজ্ঞান ও আধুনিকতার নামে আস্ফালনকারী পাশ্চাত্যের সব ইন্দ্রজালও ব্যর্থ।

মানবজাতি এখন কী করবে? কোথায় দাঁড়াবে? জাতিসঙ্ঘের সদর দফতরে ওঁৎ পেতে আছে পাঁচটি ক্ষুধার্ত রাক্ষস। আন্তর্জাতিক আদালতে ফাঁদ পেতে রাখা হয়েছে। সুবিচারের অধিকার সংরক্ষিত। বিশ্বব্যাংকের ছায়ার নিচে দাঁড়াতে গেলে বড়শি দিয়ে টেনে নেয়া হবে। উপায় নেই। পৃথিবীর সংসদ ভবনগুলো এখন গণতন্ত্র নামক হত্যাকারীদের মন্ত্রের থাবায় রক্তাক্ত, আহত।

কিন্তু এই নিরাশার চাদর বিদীর্ণ করে একটি কণ্ঠস্বর বারবার বেজে ওঠে। মৃত্যু-উপত্যকায় বারবার ছুটে আসে একটি আহ্বান জীবনের আশ্বাস নিয়ে। একটি আহ্বান আকাশে-বাতাসে সুরেলা তরঙ্গের মতো ধ্বংসের বিপরীতে সৃষ্টির আওয়াজ ঘোষণা করছে। একটি আহ্বান গোলাবারুদের রাজত্বে গোলাপের সৌরভ বিতরণ করছে। প্রাণে প্রাণে ছুটে যায় ত্রাণের মতো সেই আহ্বানের ঢেউ, যা কিছু মৃত্যুকাতর, সেখানেই এ আহ্বান জেগে ওঠার। এ আহ্বানে কলকল করে ধ্বনিত হচ্ছে প্রেম, দয়া, অধিকার, আইন, সাম্য, বিবেক ও মানবতার সংলাপ। এ আহ্বান শান্তির প্রচ্ছায়ার মতো নিসর্গের পরতে পরতে ছুটে যাচ্ছে। এ আহ্বান পৃথিবীকে বাঁচিয়েছে বারবার। মানবতাকে বারবার দিয়েছে নিরাপদ ঠিকানা।

আরবের নিভৃত হেরা গুহায় এ আহ্বান প্রথম ধ্বনিত হয়েছিল। পৃথিবীটা তখন ছিল অন্ধকার। সভ্যতা-সংস্কৃতি, সমাজ ও ধর্ম, নৈতিকতা, আইন-বিচার, রাজনীতিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ধ্বংসের উন্মাদ বাজনা বাজছিল। সবকিছু যেন ছুটে চলছিল জাহান্নামের গহ্বরে। থামাথামির কোনো বালাই ছিল না। তখনই কণ্ঠস্বরটি ধ্বনিত হলো। একজন ডাকলেন পৃথিবীকে। থামো পৃথিবী। ধ্বংসযাত্রা থামাও!! তোমার গন্তব্য হলো সোনালি প্রভাত।

কী আশ্চর্য! থেমে গেল পৃথিবী। মানবতার মুক্তিদাতা পৃথিবীকে উপহার দিলেন স্বর্গের গরিমা। তার পেছনে সমুদ্রের ঊর্মিমালার মতো জেগে উঠলেন আলোর সেনানীরা। মানবতার মুক্তির জন্য যুদ্ধ করতে হয়, তারা করলেন। রক্ত দিতে হয়, তারা দিলেন। পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত কোথাও তারা বাদ রাখলেন না সত্যের সুধা বিতরণ থেকে। সেই সুধা পানে পৃথিবী প্রাণ ফিরে পেল। বিশ্বাস ফিরে পেল। মানুষ মানুষের দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মুক্ত আকাশতলে বেরিয়ে এলো। গণহত্যা ও বিনাশের যুদ্ধ হাত-পা গুটিয়ে নিলো। রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হলো সাম্যের, ইনসাফের, প্রেমের।

পরিবারগুলো হয়ে উঠল শান্তির নীড়। সমাজ হয়ে উঠল সুখের দিগন্ত। যার যার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়ার নীতি পৃথিবীতে হয় প্রতিষ্ঠিত। দয়া, ভ্রাতৃত্ব, অনুগ্রহ, প্রেম, আত্মত্যাগ, সত্যবাদিতা, নিষ্ঠা, আন্তর্জাতিকতা, মানবিকবোধ, জ্ঞান ও প্রজ্ঞার প্রতি আসক্তি, সাধনা, ইনসাফ ইত্যাদির পাপড়িগুলো অনুপম ঐশ্বর্যে প্রস্ফুটিত হলো। মানুষ তখন জীবনের লক্ষ্য ও গন্তব্য সম্পর্কে সচেতন। তার কাছে জীবন নয় উদ্দেশ্যহীন আবর্তন। মানুষ তখন সুখী হতে চায় সবাইকে নিয়ে। নিজেকে সাজাতে চায় ভেতরে-বাইরে। মানবীয় মহিমার সুবাতাস তখন বইছে মোহন মৌতাতে। মানুষ তার নিজের সাথে, নিজের পৃথিবীর সাথে, অন্যসব মানুষ ও সৃষ্টির সাথে এবং নিজের প্রতিপালকের সাথে সম্পর্কের ভারসাম্যে যতœবান। পৃথিবী বিপন্ন, এমন কোনো আশঙ্কা তখন অকল্পনীয়।

সেটা ছিল পৃথিবীর জন্য সুখদ হয়ে ওঠা, মানুষের মানুষ হয়ে ওঠা। যার যা প্রাপ্য, মানুষের বেলায়, বাতাসের বেলায়, মাটির বেলায়, পশুদের বেলায়, সমুদ্রের বেলায়, যখন আদায় হয়, তখন পৃথিবী সুষম হয়ে ওঠে। সেই সুষম পৃথিবীর সংহত ঠিকানা একসময় ভেঙে পড়ল। যেহেতু সবকিছু ভেঙে পড়ে-প্রকৃতির সূত্রমতোই ভেঙে পড়ল। ইবলিসের পুত্ররা ভাঙার পেছনে ছিল, জাহেলিয়াতের দন্ত-নখর ক্রিয়াশীল ছিল। কিন্তু সত্যের অনুসৃতি যথাযথভাবে না হওয়াটাই আসল কারণ। সেই কারণ যখন ক্রমাগত বড় হতে লাগলো, পৃথিবীর বিপর্যয়ও ফুলে উঠতে লাগলো। এখন ঘরহারা পৃথিবী বহু শতাব্দী যাবৎ উদ্বেগের কাদাজলে তড়পাচ্ছে। কালের বিপন্ন পাখির ক্রন্দন বেজে উঠছে বাতাসে বাতাসে। সভ্যতার রক্ত এখন ফিলিস্তিন-লেবাননে ফিনকি দিয়ে ঝরছে। বিবেকের আহাজারি শোনা যাচ্ছে জীবনের প্রতিটি গলিতে। সর্বনাশের ফুৎকার মুখে নিয়ে ইবলিসি ইচ্ছাগুলো বিশ্বময় সক্রিয়। তাদের প্রবল হাত সত্য-সুন্দরের কণ্ঠনালি চেপে ধরেছে। মানবতাকে উপনীত করেছে বিনাশের দোরগোড়ায়। মৃত্যুময়তার করুণ কাফনে ঢেকে যাচ্ছে মজলুম মানবতা। আশ্রয়হীন মানবতা। তাদেরই কণ্ঠ থেকে আজ আওয়াজ উঠছে বাঁচতে চাই, ঠিকানা চাই। কে তাদের আর্তনাদে দেবে সাড়া? কে তাদের দেবে প্রার্থিত জবাব?

জবাব দিচ্ছে একটি কণ্ঠস্বর। প্রতিটি ক্ষতবিক্ষত অঙ্গনে উপশমের অমোঘ আহ্বান নিয়ে ধ্বনিত হচ্ছে সে স্বর। মানবতার অন্তহীন আকুতি ও প্রত্যাশাকে ধারণ করছে সেই স্বর। সেই স্বর ক্রমাগত ধ্বনিত হচ্ছে হেরা গুহা থেকে। রাসূলে কারিমের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেই মহত্তম আহ্বানে সাড়া দেয়া ছাড়া মানবতার কোনো পরিত্রাণ নেই। তৃতীয় বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের জন্যও সেই নির্দেশনা ছাড়া বিকল্প নেই। বিকল্প নেই ইউরোপ-আফ্রিকাসহ সাত মহাদেশের তাবৎ ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত, হতাশাগ্রস্ত, শিকড়ছেঁড়া উদ্বিগ্ন মানুষের। জালেম মজলুমের লড়াইয়ে শোষিতের একটি অবলম্বন-রাসূলে কারিম সা:!

সেই অবলম্বনকে সম্বল করে মানবতা আজ অস্তিত্বের সংগ্রামে অভিযাত্রী। বেলা শেষে ঘরে ফেরার মতো সেই সত্যের দিকে মানুষের প্রত্যাবর্তন পৃথিবীর চতুর্দিকে সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এই সত্যই মানুষকে মানুষ করে এবং মানুষের পৃথিবীকে করে তোলে নিরাপদ উদ্যান। তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন মানেই রাত্রির তিমির ভেদ করে সূর্যোদয়ের আলামতগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তার আদর্শকে ধারণ করছেন মানেই নিজের প্রকৃত সত্তার ঘরে ফিরছেন। সত্য সমাগত। পৃথিবী, ঘরে ফেরো, ঘরে ফেরো।

লেখক : কবি, গবেষক
[email protected]


আরো সংবাদ



premium cement