১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সংস্কার-নির্বাচন নিয়ে কোনো অস্পষ্টতা নেই

- প্রতীকী ছবি

আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন- এমন সিদ্ধান্ত ছিল পাকাপোক্ত। এ নিয়ে যদি তবে কিন্তুর কোনো অবকাশ ছিল না। কোনো কোনো দল অন্তর্বর্তী সরকারকে সংস্কারে যত ইচ্ছা তত দিন সময় দেয়ার ব্লাঙ্কচেক দেয়। আওয়ামী লীগ নামের বালামুসিবত বিদায় নিয়েছে, এটি ছিল তাদের মনের কথা। তবে দিন কয়েকের মধ্যে এতে ছেদ পড়ে। যোগ হয় নতুন কথাবার্তা। যত শিগগির, দ্রুত, অবিলম্বে, অনতিবিলম্বে ইত্যাদি শব্দ যোগ করে নির্বাচনের তাগিদ বাড়তে থাকে। তাদের কেউ চান নির্বাচনী পথরেখা সাজাতে, কেউ চান সময়সীমা। আবার কেউ বলতে শুরু করেন, সংস্কার এ সরকারের কাজ নয়। সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এসে সংসদের মাধ্যমে। অল্প সময়ের মধ্যে এ ধরনের কথা শুনতে হবে, তা ধারণা করা যায়নি।

প্রধান উপদেষ্টা আগেই বলে রেখেছেন প্রয়োজনের একদিনের বেশিও তার ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা নেই। এর সঙ্গে আরো যোগ করে রেখেছেন, আপনারা (রাজনৈতিক দলগুলো) যত দ্রুত তাকে বিদায় দেবেন, ততই স্বস্তি পাবেন তিনি। এরপর আর প্রশ্ন থাকার অবকাশ ছিল না। কিন্তু, কথা আর প্রশ্ন ছোড়ার তীব্রতা যেন আরো বাড়তে থাকে। সংস্কার করতে কত দিন লাগবে, নির্বাচন কবে হবে, নতুন সংসদ এসে সংস্কার করবে-ধরনের কথার খই ফুটতে থাকে। এসব উদ্বেগ ও কথার জবাব আসে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের কাছ থেকে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সের সাথে দেয়া এক সাক্ষাতে তিনি জানিয়ে দেন আগামী ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সব ধরনের সমর্থন দেবেন। স¤প্রতি ঢাকায় রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান ওয়াকার জানান, রাষ্ট্র পরিচালনা ও নির্বাচনব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার যেসব কাজ করছে তাতে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে সেনাবাহিনীর। পরিস্থিতি যা-ই হোক, প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ হওয়া উচিত। তবে ধৈর্য ধরার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন তিনি। সামরিক বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত করার একটি রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সেনাপ্রধান যখন এ বার্তা দেন প্রধান উপদেষ্টা তখন জাতিসঙ্ঘ অধিবেশনের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে। এ সময় আলোচিত কোনো উপদেষ্টার বদলে স্বয়ং সেনাপ্রধানের মাধ্যমে বার্তাটি দেয়ার একটি গভীর উদ্দেশ্য অবশ্যই আছে। এরপরও অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য এসেছে। তিনি বলেছেন, যে ছয়টি বিষয়ে সংস্কার কমিশন করা হয়েছে; তাদের সুপারিশের পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাথে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশ নিয়ে তার বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও জানান। এ কথাও জানান, যে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে চান তারা। আবার সংস্কারের পর নির্বাচন অনুষ্ঠানে ন্যূনতম সময় প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি। অপরাধ করে থাকলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানান ড. ইউনূস। বলতে বলতে এক পর্যায়ে জানিয়ে দেন বর্তমানে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলেও ভবিষ্যতে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবেন না।

নির্বাচন-গণতন্ত্রসহ সব ধরনের কাজে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ অধিবেশনের ফাঁকে দুই নেতার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে নতুনরূপে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়া এ দেশের পুনর্গঠনে পাশে থাকার আশ্বাসও দেয়া হয়। কথা হয়েছে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়েও। জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে, এ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনে এই বিশ্ব সংস্থার মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ড. ইউনূস।

এর মাঝে, সংস্কার কাজে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের সাথে বৈঠকের সময় এ ঘোষণা দেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা। অন্তর্বর্তী সরকারের নেয়া সংস্কারের উদ্যোগের প্রশংসা করেছে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন। ড. ইউনূসের সাথে সংস্থাটির প্রধান ফলকার টুর্কের আলোচনায় ন্যায়বিচার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের নেয়া সংস্কার উদ্যোগের প্রশংসা করেন টুর্ক। এ ছাড়া মানবাধিকার কমিশনের প্রধান নির্বাহীদের সমন্বয়ক ক্যারি কেনেডির সাথেও বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। বিগত সরকারের গুম, খুনের অধিকতর তদন্ত চায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে অপর এক বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে মিলিত হন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌরবিদ্যুৎসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে আরো বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানান। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইং বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণে এ সরকারের সফলতার বিষয়ে চীন আত্মবিশ্বাসী। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সাথেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টও প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রধান কার্যালয়ে বিখ্যাত ভূ-তাত্ত্বিক, নৃ-তাত্ত্বিক জানি গুড অলের হাতে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতির অ্যালবাম তুলে দেন।
কূটনীতির এমন যজ্ঞ, সংস্কার আয়োজনসহ পরিষ্কার কথার পর সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে? বা থাকা উচিত? যৌক্তিক এ প্রশ্নের মাঝেও সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে অবারিত কথামালা। প্রশ্ন ছোড়া হয়েছে, ১৮ মাসের মধ্যে সংস্কার শেষ করে নির্বাচন, নাকি সংস্কার শেষ করে ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন? সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারের আরো কিছু কথাও ছিল সাক্ষাৎকারে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য থাকা উচিত বলে মন্তব্যই শুধু নয়, সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না-তাও বলেছেন তিনি।

রয়টার্সের ‘বাংলাদেশ আর্মি চিফ প্লেজেস সাপোর্ট ফর ইউনূস ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট কাম হোয়াট মে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও তার সেনাবাহিনী আগস্টের শুরুতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ দমাতে ব্যবস্থা নেয়নি। এটি শেখ হাসিনার পরবর্তী ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। ১৫ বছরের ক্ষমতা থেকে তিনি পদত্যাগ করে প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলে যেতে বাধ্য হন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে মনে করিয়ে দেয়া হয়, বিশ্বে ক্ষুদ্রঋণ আন্দোলনের অগ্রদূত ড. ইউনূস বিচার বিভাগ, পুলিশ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ তৈরির প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। সবাইকে ধৈর্য ধরার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

সংস্কার-নির্বাচন বিষয়ে বলার তেমন কিছু বাকি রাখেননি সেনাপ্রধান। তাই এরপর আর কারো কোনো কথা থাকার কথা নয়। এরপরও কেউ কেউ বলছেন। এখানে জেনারেল ওয়াকারের সাথে তার আগের সেনাপ্রধানদের মোটা দাগে তফাত রয়েছে। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী নামে উচ্চারিত ‘দেশপ্রেমিক’ শব্দটির মর্যাদা ফিরিয়ে এনেছেন তিনি। পতিত প্রধানমন্ত্রীকে পালানোর ব্যবস্থা, আওয়ামী লীগ দলীয় মন্ত্রী-এমপি নেতাদের ক্যান্টনমেন্টে প্রাণরক্ষায় আশ্রয়, আন্দোলনকারীদের নিবৃত্ত করে আরো রক্তপাত থেকে দেশকে উদ্ধার করেছেন বর্তমান সেনাপ্রধান। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সাথে কমিউনিকেশন রাখেন নিয়মিত। সাক্ষাৎও করেন। অশান্ত পরিস্থিতির পর দেশকে স্থিতিশীল করতে সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছে সেনাবাহিনী । সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘আমি এমন কিছু করব না, যা আমার বাহিনীর জন্য ক্ষতিকর হবে। আমি আমার সেনাবাহিনীকে পেশাদার রাখতে চাই।’ বাংলাদেশের পুলিশের একটি অংশ এখনো বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। তাই সেনাবাহিনী দেশের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনের পদক্ষেপ নিয়েছে।

সরকারের পতনের পর সংস্কারের অংশ হিসেবে সেনাসদস্যদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগও আমলে নিয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সরাসরি নিয়ন্ত্রণে থাকা সংস্থাগুলোতে দায়িত্ব পালনকারী কিছু সামরিক কর্মকর্তা আইনের বাইরে গিয়ে কাজ করে থাকতে পারেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে ‘গুম’ হয়ে থাকতে পারে এমন প্রায় ৬০০ জনের বিষয়ে তদন্তের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিশন গঠন করেছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে যা-ই ঘটুক, সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে চান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি সৈন্য রয়েছে। জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি সেনা পাঠিয়ে অবদান রেখে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে, যা সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে একটি সাংবিধানিক সংস্কার প্রক্রিয়ায় বিষয়টি সংশোধনের দিকে নজর দেয়া যেতে পারে বলে মনে করেন সেনাপ্রধান। তাহলে আর বাকি থাকল কী?

আমাদের জাতীয় ইতিহাসের ৫৩ বছরে রাজনীতির সাপ-লুডুর খেলা চলে আসছে, যার বিষাক্ত পরিণতি আমরা বারবার দেখেছি। সংবিধান বারবার অবিবেচনাপ্রসূতভাবে সংশোধন করা হয়েছে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের স্বেচ্ছাচারিতা ও পরিবারতন্ত্র রাজনৈতিক দল ও সরকারব্যবস্থাকে এবং সর্বোপরি সমগ্র জাতিকে অসহায় করে রেখেছে। দ্বিতীয় স্বাধীনতার বৈষম্যবিরোধী স্লোগান এসব অনিয়ম ও কলুষতাপূর্ণ সরকার ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বিদ্রোহ।

আমাদের দেশে স্বাধীনতার পর থেকে যে দলগুলো শাসনক্ষমতায় এসেছে, সে দলগুলো দলের অভ্যন্তরে কখনো গণতন্ত্র মেনে চলেনি। ক্ষমতায় এসেও তারা দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটায়নি। বরং সরকারি ব্যবস্থাকে দলীয়করণের চেষ্টা করেছে। ঠিকভাবে সংস্কারকার্য চালিয়ে গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরি না করলে এবং ব্যক্তির নিজের ভেতরে সংস্কার না করলে সত্যিকারের গণতন্ত্র দৃশ্যমান হবে না। জো বাইডেন কিংবা আন্তর্জাতিক বিশ্ব দেশ পুনর্গঠনে সমর্থন দিতে পারেন বটে, কিন্তু মূল কাজটা হতে হবে এ দেশে এবং সেটা হতে হবে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে। অনেক রকম সংস্কারের মধ্যে এখানে প্রস্তাবিত সংবিধান, বিচার, নির্বাহী, আইন প্রণয়ন, নির্বাচনব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক দল সম্পর্কিত সংস্কারগুলোর মাধ্যমে ভবিষ্যতে একটা সুন্দর ব্যবস্থা গড়ে উঠতে পারে। সামনের দেড় বছর জাতীয় জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। দেশ পুনর্গঠনে সময়টি হয়ে উঠুক তাৎপর্যময়। আমাদের সেটাই চাওয়া। সেই সাথে, সংস্কারে কত সময় লাগবে, এরপর নির্বাচন কবে হবে- তা সরকার ও রাজনৈতিক দলের আলোচনায় নির্ধারণ হোক, এর মাঝে অন্য কিছু যোগ না হোক সে প্রত্যাশাও থাকল।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
rintu108@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement