ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশনের কথা বলছি
- মুসা আল হাফিজ
- ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:২৬
সত্য লাঞ্ছিত করেই দুঃশাসনের পথ রচিত হয়। নিজেদের স্বার্থ ও সুবিধার নির্দেশে সমাজকে বিভাজিত করে স্বৈরতন্ত্র। নিজের অপকর্মের দুনিয়াকে বিভাজনের হট্টগোলে আড়াল করার কোশেশে কমতি থাকে না তার। সে খোঁজে এমন সব উপাদান, যার ওপর ভর করে সমাজে একটি কমন প্রতিপক্ষ তৈরি করা যায়, যাকে প্রত্যেক মন্দের জন্য দায়ী করা যাবে। যার বিরুদ্ধে মানুষকে উত্তেজিত করে অলীক ও পাতানো খেলা চালিয়ে যাওয়া যাবে। সে ইতিহাসের ওপর মালিকানা কায়েম করতে চায়।
ইতিহাসকে সাজায় এমনভাবে, যা তাকে ভূমি ও মানুষের আসল প্রতিনিধি দাবি করে। তার হাতে ইতিহাস হয়ে ওঠে শাসন কাঠামো টিকিয়ে রাখার স্বার্থে শাসিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ-বৈষম্য তৈরির ও টিকিয়ে রাখার নকশা। নিজেকে জাতির সেলফ আর বিরোধীদের ক্রমাগতভাবে অপর, আদারস বানানোর কসরত করতে থাকে। নির্মিত ও আরোপিত এই ভাষ্য নিজেকে জ্ঞান হিসেবে দাবি করে। সত্য হিসেবে দাবি করে।
যাদেরকে তারা অপর বানিয়ে ইনসাফ থেকে বঞ্চিত করে, তাদের সাথে স্বৈরাচারের সব অনাচার দুরাচারের বৈধতা দেয় এসব ভাষ্য। তাদেরকে অধিকারহীন বানানো এবং ঐতিহাসিক অন্যায্যতার উত্তরাধিকারী বানানোর মধ্য দিয়ে সব অন্যায়ের সাহায্যে তাদেরকে দমনের প্রক্রিয়া চলমান থাকে। সব দলন ও নিপীড়নকে বানানো হয় মহৎ কর্ম। যেন এসব মহৎ কর্মের দ্বারা তারা জাতিকে রক্ষা করছেন। মানে, জুলুমকে জাতির পক্ষে অবদান হিসেবে চালানো হয়।
বাংলাদেশে এ ঘটনা ঘটেছে বিগ স্বৈরাচারের গোটা কালপর্বে। এই কাণ্ডের গোড়ায় স্থাপন করা হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির বয়ান। এই বয়ানকে সত্য থেকে বিচ্ছিন্ন করে এমন এক জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে সে কাউকে অনবরত শাস্তি দিতে চায়, কাউকে পুরস্কার দিতে থাকে। সেই পুরস্কারের হক দাবি করে হাসিনা সরকার দেশের ও জনগণের ওপর মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এই শাসনব্যবস্থার ওপর থেকে নিচ অবধি এমন প্রবণতা প্রতিষ্ঠিত আকার লাভ করল, যেখানে শাসকগোষ্ঠীর প্রত্যেক যন্ত্রপাতি একই মনোভাব দিয়ে রাষ্ট্র ও জনগণকে সংজ্ঞায়িত করছিল। তা হলো রাষ্ট্র তাদের জমিদারি তালুক এবং শাসকগোষ্ঠীর প্রত্যেকেই সামন্ত প্রভু।
কৌম বা জাতিগঠনের পথে ভয়াবহ প্রতিবন্ধক তৈরি করা হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর ভর করে। মরিয়া যুদ্ধের পরে স্বাধীন একটা জনগোষ্ঠী যেখানে ঐক্যবদ্ধ হবে, সেখানে বিতর্কের এমন সব চ্যানেল খোলা হয়, যার কোনো মানে নেই। এ দেশে অধিপতি বুদ্ধিজীবিতা তারস্বরে বলেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার চাই, তাদের সেই সরকার ছিল আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ অন্ধকারাচ্ছন্ন বছরগুলো তার শাসনে কাটিয়েছে এই দেশ। কী দেখলাম তখন? সীমাহীন দুর্নীতি, দুর্বৃত্তপনা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিনাশ, গুম, খুন, মানবাধিকার দলন, ইনসাফকে নির্বাসিত করা, চরম ও মাত্রাহীন প্রতিশোধপরায়ণতা, বিরোধীমাত্রই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী আর তাদের সাথে আচরণনীতি হলো পিষে ফেলা, মিডিয়ার কণ্ঠরোধ, চরম ও ভয়াবহ বৈষম্য, সামাজিক বিভাজন, কতিপয়তন্ত্রের বিপজ্জনক উত্থান এবং ইতিহাস, শিক্ষাব্যবস্থা ও রাষ্ট্রের ব্যক্তিত্বের ওপর পরিবারতন্ত্র চাপিয়ে দেয়ার দ্বিধাহীন কসরত। সে ইনিয়ে-বিনিয়ে চেতনাব্যবসার বিনিময়ে অধিকারহরণকে বৈধতা দিয়েছে। চেতনার নাম করে ছিটানো ভাতের ভোজকে নিরবচ্ছিন্ন করে রাখার জন্য সত্য হননের চেষ্টা করা হয়েছে এবং বিভক্তিকে জাতির নিয়তি বানিয়ে ফেলা হয়।
এই পরিস্থিতিতে জুলাই বিপ্লব এলো। সমসাময়িক ইতিহাস কাঁপিয়ে দিলো সে। অভূতপূর্ব, তারুণ্যে উজ্জীবিত, স্বপ্ন ও প্রত্যয়ে উদ্ভাসিত এই বিপ্লব বাংলাদেশের সামনে সত্য উদ্ধার এবং জাতীয় একত্রীকরণ নিশ্চিত করার বিপুল সম্ভাবনা হাজির করেছে। এ প্রেক্ষিতে আমরা প্রস্তাব করে আসছি ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশনের কাজে হাত দেয়ার। এটা হবে জাতিগঠনের কাজ। ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে আমাদের আকার দানের কাজ।
জাতীয় জীবনে যেসব ক্ষতস্থান আছে, ইতিহাসের যেসব ফাটল আছে, সেখানে নিরাময় ও ঐক্যবিধানের জন্য প্রয়োজন সঙ্কটের স্বরূপ উন্মোচন। এটা মূলত সত্য উদ্ধারের প্রয়াস। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী বাংলাদেশে বিহারি গণহত্যা কিংবা জহির রায়হানের অন্তর্ধান, সিরাজ সিকদার হত্যা কিংবা বাকশাল কায়েম ইত্যাদির কোনোটাই দৃষ্টিপাত ও অনুসন্ধানের বাইরে থাকতে পারে না। এসব নিছকই ইতিহাসের মামলা নয়, আইনের মামলাও। এসব জায়গায় যে সব অপরাধ ঘটেছে, কোনো অপরাধের বিচারের প্রশ্ন তামাদি হয়ে যায়নি। কিন্তু আমরা কেন এত পেছনে যাচ্ছি? যাচ্ছি এ জন্য যে, এসব ফাটলের মূলীভূত কারণ হলো সত্যকে দমিয়ে রাখা ও ন্যায়বিচারের জরুরত অস্বীকার করা, যা ফ্যাসিবাদকে একচেটিয়াবাজির সুবিধা দিয়েছে। সেকালের ঘটনাগুলোরর নিজস্ব বয়ান সে মুখস্থ করাতে চেয়েছে পুরো জাতিকে। এর আলোকে সত্য-মিথ্যা নির্ধারণের মানদণ্ড সে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে সর্বত্র। এর কবল থেকে মুক্ত না হলে আমরা আজাদিকে আলিঙ্গন করতে পারব না।
কিন্তু তখনকার রক্তচিহ্নগুলো থেকে শুরু করে এখনকার জখমগুলোকে সত্যের মুখোমুখি যখন করতে চাচ্ছি, তখন ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, প্রতিশোধ আমাদের অন্বেষা নয়। এটা প্রতিশোধ প্রবণতার কবলে পড়লে হিতে বিপরীত হবে। বরং এই বিবাদবিন্দুগুলোকে সত্য দিয়ে অতিক্রমের চেষ্টা করতে হবে, যাতে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে আমাদের সম্মিলনের পথে বাধা তৈরি না হয়। সেটি কখন হবে? যখন তদন্তগুলো হবে নির্মোহ, বিশ্বাসযোগ্য, বস্তুনিষ্ঠ ও সত্যলগ্ন। ২০২৪-এর ৫ আগস্ট অবধি ঘটনাচক্রকে আমরা এভাবে দেখার জন্য আয়না তৈরি করব। কিন্তু আয়নাই যথেষ্ট নয়, মুক্ত ও সত্যনিষ্ঠ চোখও আমাদের থাকতে হবে। যে চোখগুলো জুলাই বিপ্লবের আগের রেজিমের কোনো অপরাধ দেখার ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত ছিল, তারা কি সত্যের আয়নায় দেখতে প্রস্তুত আছেন বিগত ঘটনাচক্রকে? সম্ভবত তারা রাজি হবেন না। কিন্তু তাতেও দমে গেলে চলবে না। কারণ জনগণ তাদেরকে বয়ানের তোয়াক্কা না করেই জুলাই বিপ্লবকে নিশ্চিত করেছে। জনগণ বৃহত্তর অর্থে সেই সত্যের অনুবর্তী হলেই চলবে।
সত্য যখন সামনে আসবে, তখন অপরাধের মোকাবেলা করতে হবে, অপরাধীদের শাস্তি দিতে হবে। শাস্তি এবং সংশোধন এখানে সমান্তরাল। মানে শাস্তিটা নিছক শাস্তিদানের জন্য নয়, সংশোধনের অভিপ্রায় প্রাধান্য পাবে এখানে। ফলে শাস্তির বিমানবিকীকরণ হবে না। কেউ যদি যথার্থই অনুতপ্ত হয়, অপরাধের কারণে জাতির কাছে ক্ষমা চায় এবং ক্ষতিগ্রস্তের ক্ষমা লাভ করে, তাহলে সে শাস্তি থেকে রেহাই পাবেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় গঠিত ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন একটি নজির ও অভিজ্ঞতা। যদিও এই কমিশনের ক্ষমাশীলতা ভিকটিমদের তরফে নানাভাবে অভিযুক্ত হয়েছে। অপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে মানবাধিকার আইনজীবী, ধর্মীয় সম্প্রদায় এবং ভুক্তভোগীদের সমন্বয়ে ৫০টিরও বেশি সংগঠনের একটি জোট গঠন করা হয়। যারা বছরব্যাপী দীর্ঘ সংলাপ ও পরামর্শের প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়। তা আইনি রূপ লাভ করে ১৯৯৫ সালে, ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন অ্যাক্ট প্রণীত হয়, ১৭ জন কমিশনারের সমন্বয়ে টিআরসি কাজ শুরু করে। ১৯৯৫ সালে দেশটির দীর্ঘস্থায়ী বিভাজনের নিরাময়ে এবং মানবাধিকার হরণের সত্য উন্মোচনে এই কমিশন গঠিত হয়। যার মূল প্রতিশ্রæতি ছিল সত্য আবিষ্কার ও জনগণের মধ্যে পুনর্মিলন নিশ্চিত করা। সে জোর দিয়েছিল প্রমাণ সংগ্রহে, তথ্য উন্মোচনে এবং ভিক্টিম ও অপরাধীদের উভয়ের কাছ থেকে বিবরণী সংগ্রহে। কয়েক বছরের বিরতিহীন কাজের ধারায় কমিশন ২৯ অক্টোবর, ১৯৯৮-এ তার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের প্রথম পাঁচটি খণ্ড প্রকাশ করে এবং ২১ মার্চ, ২০০৩-এ প্রতিবেদনের অবশিষ্ট দু’টি খণ্ড প্রকাশ করে। এই কমিশন সত্য উন্মোচনে নিবেদিত ছিল, অপরাধের বিচারে নয়। বিচারকর্ম সংঘটিত হয় পরে, এসব সত্যসন্ধান বিচারকে দিশানির্দেশ করে। বিচার সম্পন্ন হয় জবাবদিহিতা, স্পষ্টতা ও গণসম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে। বর্ণবৈষম্যের বছরগুলোতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দোষী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা হয়। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিচারিক প্রক্রিয়ার সমন্বয়ে ব্যাপারটা সম্পন্ন হয়। অনেকেই সাধারণ ক্ষমার আওতায় আসেন। সাধারণ ক্ষমার শর্তাবলি ১৯৯৪ সালে নির্বাচিত দেশের প্রথম গণপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার দ্বারা চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
ঔপনিবেশিকতা ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ৩০০ বছরের ধারাবাহিক পথ পেরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা এভাবে ঐক্যবদ্ধ সত্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে।
এ পথে অতীতের অপরাধীদের বিচারের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হয়।
এই উদ্দেশ্য অর্জনে তিনটি আইনি কমিটি গঠিত হয়; মানবাধিকার লঙ্ঘন কমিটি, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন কমিটি এবং অ্যামনেস্টি কমিটি। কমিশনারদের দেশব্যাপী উন্মুক্ত মনোনয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছিল। দেশের সব রাজনৈতিক দল, সুশীলসমাজ এবং ধর্মীয় সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন নির্বাচন প্যানেল দ্বারা প্রকাশ্যে তাদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছিল।
কমিশনের প্রাথমিক ফোকাস ছিল ক্ষতিগ্রস্তদের ওপর। এটি ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ২২ হাজারেরও বেশি বিবৃতি সংগ্রহ করে এবং গণশুনানি করে। যেখানে ভুক্তভোগীরা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন সম্পর্কে সাক্ষ্য দেন। তারা জানান এমন সব ঘটনার বিবরণ, যা আইনে নির্যাতন, হত্যা, গুম এবং অপহরণ এবং বর্ণবাদী রাষ্ট্রের হাতে গুরুতর অসুস্থ আচরণ হিসেবে সংজ্ঞায়িত হয়েছে। কমিশনের সামনে হাজির করা হয় গণবিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের। যারা আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস, ইনকাথা ফ্রিডম পার্টি এবং প্যান-আফ্রিকানিস্ট কংগ্রেসের মতো দলের সাথে যুক্ত ছিলেন। জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের অপরাধের বিবরণ দেন এবং নেতারাও ক্ষমার আবেদনের সুযোগ পান। কমিশনের কাছে জমা পড়ে সাত হাজারেরও বেশি সাধারণ ক্ষমার আবেদন। কমিশন দুই হাজার ৫০০-এরও বেশি সাধারণ ক্ষমার শুনানি করে। সব বিচার-বিবেচনার পরে বর্ণবাদের বছরগুলোতে সংঘটিত হাজার হাজার অপরাধের মধ্যে এক হাজার ৫০০টি সাধারণ ক্ষমা মঞ্জুর করা হয়। এসব ক্ষমা ভোক্তভোগীদের দ্বারা ব্যাপকভাবে নিন্দিত হয়েছে। আবার ক্ষেত্রবিশেষে প্রশংসিতও।
এই কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ছিল উন্মুক্ততা এবং স্বচ্ছতা। টিআরসি দ্বারা অনুষ্ঠিত জনশুনানি দক্ষিণ আফ্রিকানদের ব্যাপক রাজনৈতিক সচেতনতার বিষয়টি সামনে আনে।
শুনানিগুলো বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। কারণ এটিই ছিল প্রথম কমিশন যা জনসাধারণের শুনানি করেছিল প্রকাশ্যে। যেখানে ভিকটিম এবং অপরাধীদের উভয়েরই শুনানি হয়েছিল। শান্তি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দীর্ঘ পথচলা একটি উদ্ভাবনী মডেল হাজির করে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তা হয়তো সর্বাংশে প্রযোজ্য নয়। তবে আমাদেরকে রিকনসিলিয়েশনের দিকেই যেতে হবে। নিজস্ব মেধা, উদ্ভাবন এবং নিজস্ব বাস্তবতার সাপেক্ষে। প্রতিশোধের রাজনীতি, বিচারহীনতা এবং অপরাধের প্রতি দায়সারা দৃষ্টিভঙ্গি অসুস্থ রাজনীতির এমন এক খেলা, যা জাতিকে রুগ্ন করে ক্রমবর্ধমান মাত্রায়। এখান থেকে উত্তরণের জন্য সর্বাত্মক পরিবর্তনের পথে হাঁটতে হবে। প্রক্রিয়াটি দীর্ঘমেয়াদি হলেও। আমাদের ঐতিহাসিক বিভাজনরেখাগুলোর নতুন মেরামত এবং সমাজ, সংস্কৃতি ও রাষ্ট্রের নতুন বন্দোবস্ত এর সাথে জড়িত। বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে এই প্রক্রিয়া আমাদের জন্য কর্তব্যের নোটিশ হিসেবে সামনে হাজির।
লেখক : কবি, গবেষক
[email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা