মাঠের ক্রিকেটে নিষ্প্রভ সময় কাটলেও মাঠের বাইরে বরাবরই উত্তপ্ত দেশের ক্রিকেট। এখনো তার ব্যতিক্রম নয়, একদিকে লিটন-মিরাজরা সিরিজ হারছে আরব আমিরাতের কাছে, অন্যদিকে সভাপতির পদ নিয়ে চলছে লড়াই।
বিষয়টা অন্য সবার মতো অস্বস্তিকর তামিম ইকবালের জন্যও। যদিও শারীরিক কারণে নিজে দূরে আছেন ক্রিকেট থেকে, তবে ক্রিকেট নিয়ে এমন নয়-ছয় পছন্দ হচ্ছে না তার। তাই সরাসরিই মুখ খুললেন এবার।
শুক্রবার গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে হতাশা প্রকাশ করে বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘বিসিবিতে ক্রিকেট বাদে সব কিছুই হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কে সভাপতি হবে, কে সভাপতি হবে না, কে নির্বাচন করবে, কে নির্বাচন করবে না- এটা ক্রিকেটের একটা অংশ, ছোট একটা অংশ। এসব কারণে বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতি মানুষের আগ্রহ কতটা কমে আসতেছে।’
‘কে সভাপতি হবে এগুলো তো আমার বলাতে, না বলাতে কিছু যায়-আসে না। আমি একটাই অনুরোধ করব যারা আছেন বা যারা আসবেন ক্রিকেটটা নিয়ে একটু ভাবেন। কারণ ক্রিকেট তার আকর্ষণ হারাচ্ছে।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘এই জিনিসটা স্বীকার করা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা স্ট্রাগল করছি। আমরা কোনো সময়ই স্বীকার করি না আমরা স্ট্রাগল করছি। স্ট্রাগল করা মানে কী খালি জাতীয় দল ভালো খেলছে না তা না। ক্রিকেটীয় দিক থেকে আমরা প্রত্যেকটা জায়গায় স্ট্রাগল করছি।’
‘এই জিনিসটাকে স্বীকার করে, মেনে নিয়ে কেমনে এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে, ভালোর দিকে এগোতে হবে এই জিনিসটা নিয়ে ভাবা উচিত। ক্রিকেট বাদে আমি সবকিছুই দেখতেছি, ক্রিকেকটা আমি দেখতেছি না।’
নাজমুল হাসান পাপনের বিদায়ের পর ফারুক আহমেদ দায়িত্ব নিলেও সবশেষ কয়েক মাসে প্রত্যাশিত পরিবর্তন আনতে পারেননি। জাতীয় দলও ব্যর্থ। এই সময়ে ১০টি সিরিজ/টুর্নামেন্ট খেলে জিতেছে মাত্র ১টি।
যদিও বাংলাদেশে এত অল্প সময়ের মাঝে কিছু করে দেখানো কঠিন। তামিম মনে করেন, বিশ্ব ক্রিকেটে পাওয়ার হাউজ হতে চাইলে এখন থেকেই ৫-৭ বছরের পরিকল্পনা করতে হবে। তাই সময় দেয়ার পক্ষে তিনি।
আপনারা একটা পরিকল্পনা করতে পারবেন আজ থেকে ৫/৬/৭ বছর পর কিভাবে বিশ্ব ক্রিকেটে একটা পাওয়ার হাউজ হওয়া যায়। আমরা সবাই জানি ১/২/৩ বছরে আমরা এটা হতে পারব না, অসম্ভব একটা ব্যাপার।’
‘কিন্তু এখন থেকে যদি ওই লক্ষ্যের দিকে তাকান তাহলে একটা চান্স আছে। আমি সবসময় একটা জিনিস বলি, আমাদের ক্রিকেটে সবচেয়ে বাজে জিনিসটা আমার লাগে- সবাই মনে করে সবাই এসে চেঞ্জ করে ফেলবে।’