সাড়ে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ও অভিজ্ঞ উইকেটকিপার ব্যাটার ব্রেন্ডন টেইলর। দীর্ঘ ৪২ মাস পর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামতে যাচ্ছেন ৩৯ বছর বয়সী এই তারকা। আগামী ৭ আগস্ট বুলাওয়েতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে দেখা যাবে তাকে।
সিরিজের প্রথম টেস্ট বুধবার (৩০ জুলাই) বুলাওয়েতে শুরু হয়েছে, যেখানে দলের সাথে নেই টেইলর। তবে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন নিশ্চিত করেছেন, দ্বিতীয় টেস্টে তাকে পাওয়া যাবে।
আরভিন বলেন, সে অবশ্যই দ্বিতীয় টেস্টে উপলব্ধ থাকবে। আমি জানি সে কতটা কঠোর পরিশ্রম করেছে, বিশেষ করে গত আট-দশ-বারো মাসে। আমি দারুণ রোমাঞ্চিত তাকে আবার দলের সাথে পেতে এবং সে দলের জন্য কী অবদান রাখতে পারে, সেটি দেখার অপেক্ষায় আছি।
২০২২ সালে দুর্নীতির অভিযোগে আইসিসির পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞায় পড়েন টেইলর। এর আগেই ২০২১ সালে আচমকা অবসর নিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। পরে জানা যায়, ১৫ হাজার ডলারের বিনিময়ে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন তিনি। যদিও সেই সময় দাবি করেছিলেন, তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছিল।
২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর ৩৪টি টেস্টে ৩৬.২৫ গড়ে ছয়টি সেঞ্চুরিতে ২,৩২০ রান করেছেন টেইলর। নিষেধাজ্ঞার কারণে দীর্ঘদিন জাতীয় বা ঘরোয়া দলের সাথে ট্রেনিং করতে পারেননি। তবে হারারেতে একটি স্বতন্ত্র স্কুলের সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজের ফিটনেস ধরে রেখেছেন তিনি।
এ বছরের শুরুতে ক্রিকইনফোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে টেইলর বলেছিলেন, আমি একাদশে হেঁটে ঢুকে পড়বো, এমনটা ভাবছি না। আমি খেলতে চাই দায়িত্ব নিয়ে। কারণ, আমি মনে করি, আমার আগের আচরণ জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে হতাশ করেছে। আমি সত্যিই নিঃস্বার্থভাবে মূল্য যোগ করতে চাই।
টেইলারের প্রত্যাবর্তন এমন এক সময়ে যখন জিম্বাবুয়ে টেস্ট ক্রিকেটে কঠিন সময় পার করছে। চলতি বছর ৭টি টেস্ট খেলে মাত্র একটি জয় পেয়েছে দলটি। বছরের বাকি সময়েও নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে আরো চারটি টেস্ট রয়েছে। এ ছাড়া সেপ্টেম্বরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আগে ও পরে গুরুত্বপূর্ণ সূচি রয়েছে তাদের।
টেইলারের অভিজ্ঞতা ও দৃঢ় মানসিকতা দলকে সামনের দিনগুলোতে বড় অনুপ্রেরণা দিতে পারে, এমনটাই আশা জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের।