এশিয়া কাপের হাত মেলানোর বিতর্ক নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও চলবে। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সাথে হাত মেলাননি ভারতের ক্রিকেটারেরা। টসের পর, এমনকি খেলা শেষেও হাত মেলানো হয়নি। চ্যাম্পিয়ন হয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ট্রফিও নেননি সূর্যকুমার যাদবেরা। সেই বিতর্ক এখনো চলছে। তার মধ্যেই নতুন খবর পাওয়া গেছে। একই কাজ করতে দেখা যেতে পারে হরমনপ্রীত কউরদেরও।
রোববার শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় পাকিস্তানের নারী দলের মুখোমুখি হবে ভারত। ক্রিকেটারদের জন্য ভারতীয় বোর্ড স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের সাথে হাত মেলানো যাবে না।
এক সূত্রে জানা গেছে, ‘বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সাথে ভারতীয় ক্রিকেটারেরা হাত মেলাবেন না। বোর্ডের কর্মকর্তারা দলকে এই বার্তা দিয়ে দিয়েছেন। সেই কথা মেনে চলবেন ক্রিকেটারেরা।’
তবে ‘বিবিসি’-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে ধোঁয়াশা রেখে দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব দেবজিৎ শইকীয়া। তিনি বলেন, ‘আমি এখনই কিছু বলব না। তবে ওদের সাথে আমার সম্পর্ক একই রয়েছে। তাতে কোনো বদল হয়নি। সব নিয়ম মেনে কলম্বোতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। আমি শুধু এটাই বলতে পারি যে এমসিসির সব নিয়ম মানা হবে। তবে করমর্দন বা আলিঙ্গন হবে কিনা সেই বিষয়ে এখনই কিছু স্পষ্ট করতে পারছি না।’
শইকীয়ার কথা শুনে জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কি দু’দেশের মহিলা ক্রিকেটারেরা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলাবেন? তা হয়তো হবে না। শইকীয় ক্রিকেটের নিয়মের কথা বলেছেন। নিয়মে কোথাও লেখা নেই যে হাত মেলানো বাধ্যতামূলক। এটা ক্রিকেটের সৌজন্য। ফলে হাত না মেলালেও নিয়ম ভাঙবে না ভারত।
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপের শুরু করেছে ভারত। সেই ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের ক্রিকেটার আমনজ্যোৎ কউরকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পাকিস্তানের সাথে কি তারা হাত মেলাবেন? এই প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি তিনি।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা



