পাকিস্তানকে ১৩৪ রানের লক্ষ্য দিলো শ্রীলঙ্কা

টসে হেরে আগে ব্যাট করে লঙ্কানরা। তবে সুবিধা করতে পারেনি, শাহিন-হারিসদের দারুণ বোলিংয়ে ইনিংস থেমেছে ৮ উইকেটে ১৩৩ রানে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
জয়ের স্বপ্ন বুনছে পাকিস্তান
জয়ের স্বপ্ন বুনছে পাকিস্তান |সংগৃহীত

২০১৭ সাল থেকে শ্রীলঙ্কাকে টি-টোয়েন্টিতে কখনো হারাতে পারেনি পাকিস্তান। সেই জয়খরা কাটানোর সহজ সুযোগ পেল ম্যান ইন গ্রিনরা। ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে আজ লঙ্কানদের অল্পতেই বেঁধে দিয়েছেন তারা।

সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ মুখোমুখি হয় পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। যেখানে টসে হেরে আগে ব্যাট করে লঙ্কানরা। তবে সুবিধা করতে পারেনি, শাহিন-হারিসদের দারুণ বোলিংয়ে ইনিংস থেমেছে ৮ উইকেটে ১৩৩ রানে।

জিতলে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন বেঁচে থাকবে। হারলে অনিশ্চিত ভাগ্য। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে প্রথম ওভার থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। যা থেকে আর বের হয়ে আসতে পারেনি।

ইনিংসের দ্বিতীয় বলে কুশাল মেন্ডিসকে ফেরান শাহিন আফ্রিদি। গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন কুশল। এরপর দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ফের আঘাত আনেন, এবার শিকার পাথুম নিশাঙ্কা (৮)।

তবে এই ওভারে খরুচে ছিলেন শাহিন, দেন ১৬ রান। শ্রীলঙ্কার হয়ে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা ও কুশল পেরেরা। দু’জনে ১৯ বলে ২৫ রানের ছোট একটা জুটিও গড়েন।

তবে শ্রীলঙ্কার আর ফেরা হয়নি। হারিস রউফ এসে ভাঙেন জুটি। পেরেরা ফেরেন ১২ বলে ১৫ করে। ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। তবে মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়ার কাজটা করেন হুসাইন তালাত।

অষ্টম ওভারে পরপর দুই বলে শ্রীলঙ্কার বর্তমান ও সাবেক দুই অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা ও দাসুন শানাকাকে ফেরান তালাত। ৭.৩ ওভারে মাত্র ৫৮ রানে ৫ উইকেট হার বিপদে পড়ে যায় তারা।

আসালাঙ্কাকে ১৯ বলে ২০ রানে থামানোর পর তালাত পরের বলেই দাসুন শানাকাকে ফেরান গোল্ডেন ডাক মেরে। তাতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ডাক নিয়ে আউট হওয়ার বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন তিনি (১৪টি)।

এদিকে দলকে খেলায় ফেরাতে চেষ্টা করেন কামিন্দু মেন্ডিস ও লেগ স্পিনার ওয়ানেন্দু হাসারাঙ্গা। তবে কমে আসে রানের গতি। তাদের ২৮ বলের জুটিতে আসে মাত্র ২২ রান। ১৩ বলে ১৫ রান করে আউট হন হাসারাঙ্গা।

এরপর করুনারত্নেকে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে এগিয়ে নেন। সপ্তম উইকেটে ৩৮ রান যোগ করেন দু’জন। এর মাঝে ১৮.৩ ওভারে ৪৩ ফিফটি তুলে নেন কামিন্দু। তবে পরের বলেই শাহিন আফ্রিদির বলে এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন তিনি।

শেষ ওভারে হারিস রউফের ওভার থেকে ৮ রান তুলেন করুনারত্নে। তাতে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ পৌঁছায় ১৩৩ রানে। তিনি অপরাজিত থাকেন ২১ বলে ১৭ করে। পাকিস্তানের হয়ে শাহিন নেন ৩ উইকেট, তালাত নেন ২ উইকেট।